Logo
শিরোনাম

পাবনা-সিরাজগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে লিটন-রাসেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মো.হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ পাবনা-সিরাজগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নবগঠিত কমিটির সভাপতি পদে টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী লিটন মাহমুদ ও  সাধারণ সম্পাদক  পদে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো:রাসেল চৌধুরী দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন।  


আজ বৃহস্পতিবার সকালে সংগঠনটির  বিগত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ  সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়।  


এছাড়াও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ সভাপতি আসিফ হাসান, সাদিয়া হক পূর্বা ,আবু হানিফ ,আখতারুজ্জামান রিয়াদ,মো. সাব্বির হোসেন। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে রাশেদ ভূঁইয়া ,মো:শাকিল ইসলাম, হৃদয় কুমার সূত্রধর 

,তুষার ইমরান ,মো:মেনহাজ  ,মো:নুরুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক  পদে রয়েছেন আবুল বাশার সৌরভ, মো: জুবায়ের ইসলাম প্রান্ত,আব্দুল কাইয়ুম,পলাশ খান,অমিয় সাহা,মো:হৃদয় হোসেন,সাফিয়া  সাফা,বৃথী,উম্মে হাবিবা অর্ভি ,মোছা:আয়েশা সিদ্দিকা


দপ্তর সম্পাদক হিসেবে রয়েছে নাইম রাজ। উপ দপ্তর সম্পাদক পদে মো. আসাদুজ্জামান জোসেফ, মো.আবির হোসেন স্বাধীন। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে আ. বাতেন। উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রয়েছে মো.মোবারক  ও চৈতি। প্রচার ও প্রকাশনা পদে উৎস কর্মকার , উপ প্রচার ও প্রকাশনা পদে

মো.হামিম,আল আমিন পারভেজ , আরিফুল ইসলাম, মো.জিল্লুর রহমান,নাইমুল হোসেন ,তানভির ফেরদৌস, তাসনিম আলম।


সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক জোবায়ের  হোসাইন রতন, উপ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মামুন হোসেন,মো:মোবাল্লেক ,শুভ্র কর্মকার, জুবায়ের খান। সংগঠনটির কার্যকারী সদস্য :

মোঃ নয়ন আলী সেখ, জয় কুমার সাহা মেহেরুন নেছা হিতৈষী, নিয়ামুল হাসান রাকিব

 মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া দূর্জয়, মেহেদী হাসান, মো: রাসেল ইসলাম ,নুসরাত জাহান,আমির হামজা,তৌকির আহমেদ তুষার,নিশাত আনজুম, মো. ফিরোজ মাহমুদ,মোঃ মেহরাব হোসাইন,মো: রিফাত তাসপিয়াল,মো: মাহবুব আলম মুন্না জুবায়ের,  বি.এম শাহিদ মাহমুদ,মোঃ জাহিদুল ইসলাম, আরিফুল হাসান,মো: ইব্রাহিম,গৌড় পাল। 


নবনির্মিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী বলেন, " সংগঠনের সাথে প্রায় ৪ বছর ধরে যুক্ত আছি। এই সংগঠন আমার আবেগের,ভালোবাসার।ইনশাআল্লাহ যত দিন বেঁচে আছি ততদিন এই সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকবো।নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাবো। বিগত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ  সকলের সহযোগিতায় এই অ্যাসোসিয়েশনের বহুদূর এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। "


এছাড়াও বর্তমান সভাপতি লিটন মাহমুদ বলেন,"নব গঠিত কমিটির সকল সদস্য কে অভিনন্দন। আমি আমার অ্যাসোসিয়েশনকে এগিয়ে নেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।" 


উল্লেখ্য যে, আগামী ১ বছরের জন্য ৬৩ সদস্যের পাবনা-সিরাজগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর কমিটি গঠন করা হয়েছে।


আরও খবর



মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, দু'জন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

রাজশাহীতে স্কুল ছাত্রী (এসএসসি পরীক্ষার্থী) মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর বাবা আকরাম হোসেনকে হত্যা মামলার প্রধান দু'জন আসামী নান্টু (২৮) ও খোকন মিয়া (২৮) কে মামলা দায়েরের মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আটক করেছে র‍্যাবের চৌকস অভিযানিক টিম। শনিবার ১৯ এপ্রিল পূর্বরাত সোয়া ৮টারদিকে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার রামরায়পুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন র‍্যাব। আটককৃত নান্টু রাজশাহীর তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে ও তার সহযোগী খোকন মিয়া একই এলাকার মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, আকরাম হোসেন (৫২) পেশায় একজন বাস ড্রাইভার। তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী।

ঘটনার দিন বিকাল সারে ৪ টারদিকে তার মেয়ে প্রাইভেট পড়া শেষ করে তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকায় অটোরিকশা থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পথে আসামী নান্টু ও তার সহযোগীরা তাকে উত্তক্ত করে। ঘটনাটি বাসায় গিয়ে সে তার বাবাকে জানালে ছাত্রীর বাবা মেয়েকে উত্তক্ত করার বিষয়টি নান্টুর বাবাকে জানায়। এতে নান্টু আরও ক্ষীপ্ত হয়ে গত ১৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকায় ছাত্রীর ভাই ইমাম হোসেন অনন্তকে

নান্টু ও তার সহযোগীরা পথরোধ করে এলোপাথারী মারধর করতে থাকলে তার ডাক-চিৎকারে শুনে ঘটনাস্থলে ছাত্রীর বাবা আকরাম হোসেন এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করার এক পর্যায়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আকরাম হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের  করেন। এরপর র‌্যাব-৫, রাজশাহী সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এর নির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে তাদের দু'জনকে আটক করেন। র‍্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।তাদেরকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ায় নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শৈলদহ নদীতে সড়ক ভেঙে পরে যাওয়ায় চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছিলো ১০ গ্রামের মানুষ। প্রায় ১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হতো।উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নের চিতলিয়া এলাকায় সড়কে ফাটল ধরে। ঐদিন দুপুরে সড়কের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

পরে নদী ভাঙন ও মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিদিনের সংবাদ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে মঙ্গলবার বিকাল থেকে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজের উদ্বোধন করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক।

এসময় টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) মারুফ দস্তগীর, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন। সেই সাথে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস বলেন, গত ৩০ এপ্রিল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চিথলীয়া নামক স্থানে নদীগর্ভে রাস্তার কিছু অংশ বিলীন হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগ দেখা দেয় ১০ গ্রামের মানুষের। তখন বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্বাবধানে পাউবোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ওই স্থানে অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করেছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক বলেন, গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তখন নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরন করেন পাউবো। তখন জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ৭৬ মিটার এলাকায় ১৭৫ কেজি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। মঙ্গলবার বিকালে প্রাথমিকভাবে ৯৪ টি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে কার্যক্রম শুরু হয়। আশা করি ওই স্থানের ভাঙন প্রতিরোধে সক্ষম হবো।


আরও খবর



রায়েরবাগে ট্রাফিক সার্জেন্ট বাপ্পির ওপেন চাঁদাবাজী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

যাত্রাবাড়ী ডেমরা শ্যামপুরে ট্রাফিক পুলিশের ট্রাক সি এন জি অটোরিস্কা ও পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি যেন ওপেন সিক্রেট। প্রতিদিন প্রকাশ্যে চলছে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি। ফলে বিতর্কিত হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের ভাবমূর্তি অন্যদিকে অবৈধ ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলছে নিরদ্বিধায়।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে চৌরাস্তার মোড়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা চলছে প্রকাশ্য চাঁদা নেওয়ার দৃশ্য। ঐ এলাকায় ডিউটিরত ৪/৫ টি ট্রাফিক পুলিশ টিম প্রকাশ্যে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করছে দশ টাকা থেকে দুইহাজার টাকা পর্যন্ত।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী রায়েরবাগসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে। এসব পয়েন্টে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত সার্জেন্টগণ ফ্রি-স্টাইলে চাঁদাবাজি করছেন। ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র দেখার নামে ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টরা গাড়ি আটকের পর মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে ।


এ চাঁদাবাজি দিনের চেয়ে রাতের বেলায় বেশি হচ্ছে। এজন্য দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের অনেক সার্জেন্ট সূর্য ডোবার অপেক্ষায় থাকেন। প্রতিদিন রাত ৮টার পর থেকে ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালামাল বহনকারী বিভিন্ন যানবাহন আটক করে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছেন। ব্যস্ততম এলাকার যানজট নিরসনের পরিবর্তে ট্রাফিক ও সার্জেন্টদের চাঁদাবাজির কারণে তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। সার্জেন্ট বাপ্পি তার ৪/৫ জন বেতন ভুক্ত দালাল রায়েরবাগ এলাকায় ত্রাস হয়ে উঠছে ।

নগরীর যাত্রাবাড়ী থেকে রায়েরবাগ এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টরা যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেক করার নামে চাঁদা আদায় করছেন। শুধু তাই নয়, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন নানা ব্রান্ডের গাড়ি কারণে-অকারণে থামিয়ে কাগজপত্র চেকসহ বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করছে। আবার অনেক গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটক রাখায় যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে।

গাড়ির কাগজপত্র চেক করা নয়, সাধারণ মানুষকে হয়রানি আর টাকা আদায়ই তাদের মূল টার্গেট বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। রাস্তায় লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা ফিটনেসবিহীন যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহনগুলো তাদের চোখে পড়ছে না। এসব ফিটনেসবিহীন যানবাহনের চালক ও মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা মাসোহারা নিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। আর দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্য ও সার্জেন্টরা এসিকে চাঁদাবাজির নির্ধারিত ভাগের টাকা পরিশোধ করতে হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশেরই একাধিক সদস্য জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ট্রাফিক পুলিশ জানান, সার্জেন্ট বাপ্পি স্যার ও তার ৪/৫ জন বেতন ভুক্ত দালাল এই কাজে বেশি পারদর্শী ।


গতকাল ৮মে সকাল ১১.৩০টায় রায়েরবাগ ব্রিজের পাশে পুলিশের চাঁদাবাজির শিকার একটি প্রাইভেটকারের চালক জানান, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে তারা অতিষ্ঠ। যাত্রাবাড়ি থেকে সাইনবোর্ড মোড় পর্যন্ত তিনটি স্থানে ট্রাফিক পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। কারণে-অকারণে গাড়ি থামিয়ে মামলা দেয়ার ভয় দেখানো হয়। আবার ট্রাফিক পুলিশের এসির ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার ভয় দেখানো হয়। আর তাদের চাহিদা মতো টাকা দিলে সব ঝামেলা চুকে যায়।

৮ মে সকাল ১১ টার দিকে সায়দাবাদ, ধোলাইপাড় মোড়ে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাফিক পুলিশের এই চাঁদাবাজি নিত্যদিনের। যানজটের তোয়াক্কা না করে শুধু দিনে নয়, রাতভর চাঁদা নিতে তৎপর এসব ট্রাফিক সদস্যরা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে ন্যূনতম ১০০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা বা তারও বেশি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। রাতের বেলায় যাত্রাবাড়ী, জুরাইন,রায়েরবাগ পোস্তাগোলা এলাকাতেও যানবাহন থামিয়ে পুলিশকে টাকা আদায় করতে দেখা যায় প্রতিদিন। গভীর রাত পর্যন্ত কাজলা ফ্লাইওভারের ওপর থেকে ট্রাক কভারভ্যান ও ট্যাক্সিক্যাব থামিয়ে চাঁদা আদায় করতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত।


আরও খবর



গাজায় খাদ্যের মজুদ শেষ, সংকট চরমে

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় সব ধরনের খাদ্য, পানি এবং ওষুধ প্রবেশ বন্ধ রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে তীব্র অনাহারে দিন কাটাচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। এমন পরিস্থিতিতে অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় খাদ্যের মজুত শেষ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। খবর আল-জাজিরার।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, তাদের আওতায় যেসব দাতব্য রান্নাঘরকে এতদিন সহায়তা করা হতো, সেখানে পৌঁছে মজুত খাদ্যের শেষ চালান এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে। এখন আর তাদের কাছে কোনো খাদ্য মজুত নেই।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান মাইকেল ফাখরি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্টতই গাজায় অনাহার অভিযান ঘোষণা করেছেন। গাজায় রীতিমতো মানবসৃষ্ট এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনাহার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

ফাখরি বলেন, গত ৩ মার্চ নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন- ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের পণ্য এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করবে। এরপর ৫০ দিনেরও বেশি সময় পার হয়েছে এবং এখনো এ পরিস্থিতি চলমান রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে এমন কোনো শর্ত নেই যেখানে কেউ বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিতে পারে। সুতরাং ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহকে দর কষাকষির একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের তাণ্ডবে অন্তত ৫১ হাজার ৪৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১ লাখ ১৭ হাজার ৪১৬ জন।


আরও খবর



চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, চিকিৎসাসেবার পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর কিংবা চিকিৎসকদের হুমকির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তাসহ চিকিৎসার সামগ্রিক পরিবেশকে অনুকূল, নিরাপদ ও জনবান্ধব করতে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সিভিল সার্জনদের প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী (১২-১৩ মে) সিভিল সার্জন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ। তাই আপনাদের ওপর জনপ্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি। জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতের চালিকাশক্তি হিসেবে আপনাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রচেষ্টা ও ত্যাগ সরাসরি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, ছুঁয়ে যায়। তাই, আপনারা হচ্ছেন মানুষের আশার আলো, দুঃসময়ে ভরসার আশ্রয়। সেবাকে আরো জনমুখী করতে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, পোস্টমর্টেম সেবাকে থানা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া; মহিলাদের পোস্টমর্টেম মহিলা ডাক্তার দিয়ে করানো; ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে মহিলা ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করানো, না পাওয়া গেলে মহিলা সেবিকা দিয়ে করিয়ে পুরুষ ডাক্তার দিয়ে প্রতিস্বাক্ষর করা, শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণহীন এবং ভবনকেন্দ্রিক বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করা, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করে মেডিকেল কলেজগুলোর মান উন্নীতকরণ, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ৬ মাস শহরে ও ৬ মাস গ্রামে করার ব্যবস্থাকরণ ও গ্রামে থাকাকালীন সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিকরণ, ইত্যাদি।

তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা গেলে জনগণ দ্রুত সেবা পাবে ও জনদুর্ভোগ হ্রাস পাবে। তাছাড়া মানহীন চিকিৎসক তৈরির হাত থেকে দেশ ও জাতি রক্ষা পাবে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এ সময় থানা বা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে অংশীদার হয়ে মাদক পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করতে সিভিল সার্জনদের আহ্বান জানান।

চিকিৎসকদের প্রতি জনগণের কিছু অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসা পেশা নিঃসন্দেহে সম্মানজনক। চিকিৎসকদেরই জনগণকে সবচেয়ে বেশি সেবা দেয়ার সুযোগ রয়েছে এবং তারা তা করতে সচেষ্ট আছেন। তথাপিও চিকিৎসকদের প্রতি জনগণের কিছু অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে চাই এ অভিযোগগুলো যেন মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তিনি আরও বলেন, জনগণের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো- অনেক সরকারি চিকিৎসক হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হন না বা পূর্ণ সময় থাকেন না। অনেক উপজেলা বা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পান না। এই অনুপস্থিতি স্বাস্থ্যসেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ও স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।

প্রশ্নোত্তর পর্বে উপদেষ্টা সিভিল সার্জনদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সিজিল সার্জনরা এ সময় উপদেষ্টার নিকট বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জেলা হাসপাতালগুলোকে কেপিআই স্থাপনার স্বীকৃতি প্রদান ও সেখানে পুলিশ টহল বৃদ্ধিকরণ, জেলার পোস্টমর্টেম সেন্টারকে আধুনিকীকরণ, সিভিল সার্জনদের জন্য গানম্যান প্রদান, ইত্যাদি। উপদেষ্টা যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী প্রমুখ।


আরও খবর