Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবির অধীনে সিরাজগঞ্জ ভেটেরিনারি মেডিসিন ও এনিমেল হাজব্রেন্ডি বিভাগের পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভেটেরিনারি মেডিসিন ও এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এনিমেল হাজব্রেন্ডি বিভাগের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পাসে লেভেল-১ এর ফান্ডামেন্টাল নিউট্রিশান ও লেভেল-২ এর ইমব্রায়োলজি পরীক্ষা পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।

এ সময় সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ আব্দুর রহিম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এ কে এম মহিউদ্দিন, প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুল হক, প্রফেসর ড. রোকেয়া বেগম, প্রফেসর ড. আজিজুল হক সহ সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি ২০২৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা প্রদান করেন।


আরও খবর



২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের প্রার্থী বাছাই থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাদ দেওয়ার মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের প্রার্থী বাছাইয়ে অংশ নিতে পারবেন।

কলোরাডোর কিছু ভোটার যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময়কার সংবিধান সংশোধনীর ভিত্তিতে বিদ্রোহে জড়ানোর আভিযোগে আদালতে আবেদন করেছিলেন, ট্রাম্পকে যেন অঙ্গরাজ্যটির প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া না হয়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেস ভবনে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরো তিনটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগে মামলা রয়েছে। মামলার শুনানিতে ট্রাম্প আদালতে উপস্থিত না হলেও তার পক্ষে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিচারক সারাহ ওয়ালেস গত শুক্রবার শুনানির পর ট্রাম্পের পক্ষে রায় দেন।

মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর ধারা ৩-এ বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের যেসব কর্মচারী সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়েও এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জড়ান, তারা সরকারি পদের অযোগ্য হবেন। কিন্তু বিচারক বলেন, ১৪তম সংশোধনীর ধারা ৩ প্রেসিডেন্টের জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রেসিডেন্টের কথা এখানে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়নি।


আরও খবর



পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলেও যথাসময়ে নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলেও যথাসময়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

৩১ অক্টোবর সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।


চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। ফলে সংবিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

গতকাল ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছে, নভেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে।

ইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও এখনো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। দাবি আদায়ে গত শনিবার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীদের

সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়। আহত হয় শতাধিক পুলিশ ও আনসার সদস্য। আহত হন বিএনপিরও বহু নেতাকর্মী।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলেও নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে।

পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের কাছে নির্বাচন করা ছাড়া কোনো অপশন নেই। অনেক সময় অনকূল প্রতিকূল বিভিন্ন কথা ওঠে। অনুকূল ও প্রতিকূল শব্দগুলো অর্থবহ। নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল হোক বা প্রতিকূল হোক আমাদের প্রত্যাশা সবসময় যত বেশি অনুকূল হবে তত নির্বাচন কমিশনের জন্য সহজ হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত চাইব সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশ হলে যে নির্বাচন হবে না বিষয়টি তা না।

সিইসি বলেন, পিটার হাস বলেছেন সংলাপ চান, আমরাও তাই বলেছি। রাস্তায় শক্তি প্রর্দশন সমস্যার সমাধান করা যাবে না, উনিও (পিটার হাস) বিশ্বাস করেন সংলাপের মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যা সমাধান করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর আছে।

বৈঠক শেষে কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতও। রাজনৈতিক সংঘর্ষ কাম্য নয় জানিয়ে পিটার হাস সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংলাপে বসার আহ্বান জানান।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




জামালপুর-১ আসনে নুর মোহাম্মদ’কে নৌকা দেওয়ার দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে শিল্পপতি নুর মোহাম্মদ কে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ি,কাঠাঁরবিল ও ডাংধরা এলাকায় নুর মোহাম্মদের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেন আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। নুর মোহাম্মদের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সভা সমাবেশ করে নুর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছেন তারা। নেতাকর্মীরা বলেন,জননেতা নুর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সমাজসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ দানবীর হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ। তিনি আওয়ামীলীগের তৃনমূলের প্রাণ। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুর মোহাম্মদকে নৌকা দেয়া হলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও অনেক বেশি খুশি হবে। নৌকার জয় শতভাগ নিশ্চিত হবে। তাই নুর মোহাম্মদকে নৌকার দেয়ার জোর দাবি জানান বক্তারা। 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন,সদস্য আবদুল মজিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়া,আবদুস সাত্তার,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুজ্জামান প্রমূখ। এ সময় বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিটলার,নিলাক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার,মনিরুজ্জামান মনির,নজরুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়,জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ালীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি নূর মোহাম্মদ। তিনি দীর্ঘদিন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। গত প্রায় ৩০ বছর যাবত সমাজসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন এলাকায়। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই আসনে বেশ কয়েকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যৌথভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে তার নাম দুই নম্বরে থাকায় শেষ পর্যন্ত আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোরালো ভাবে মাঠে কাজ করেন নুর মোহাম্মদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।  

দীর্ঘদিন ধরে দুই উপজেলায় সামাজিক কর্মকান্ড করে আসছেন নূর মোহাম্মদ। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার দুই শতাধিক মসজিদে মাইক প্রদান,৩৫ হাজার পরিবারের মাঝে স্যানেটারি ল্যাট্টিন বিতরণ, ১ হাজার নলকুপ বিতরণ, ১ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ,১০ লাখ ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ,আড়াই হাজার মন ধানবীজ বিতরণ,করোনা মহামারিতে গরীব অসহায়দের মাঝে এক কোটি টাকা অনুদান, ৫ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে আর্থিক সহায়তা,১ হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদান ও দুই হাজার মানুষকে বয়স্ক  ভাতা দিয়েছেন নুর মোহাম্মদ। যা এখনো চলমান আছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,এতিমখানা, মন্দির, গির্জা,মসজিদ, মাদ্রাসায় জমি দান,ভবন নির্মান করে দিয়েছেন তিনি। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত একটা অবস্থান রয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তাকে মূল্যায়ন করে নৌকা দিবে এমনটাই প্রত্যাশা তার কর্মী সমর্থকদের। 

মনোনয়ন প্রত্যাশী নূর মোহাম্মদ বলেন,দীর্ঘদিন যাবত দল,দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পূনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি। মনোনয়ন পেলে সবাইকে সাথে নিয়ে নৌকার জয় নিশ্চিত করে এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। সেই সাথে নদী ভাঙন দুই উপজেলার মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করতে পারবো। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন,এই আসন নৌকার দূর্ভেদ্য ঘাটিঁ। যেহেতু সব কিছুরই পরিবর্তন আছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন হওয়াটা সময়ের দাবি। এই দাবি এখন তৃনমুলের। এ আসনে জনপ্রিয় মুখ জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদের বিকল্প নেই। দল তাকে এবার সঠিক মূল্যায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী। জননেতা নুর মোহাম্মদ নৌকা পেলে জয়ের বন্দরে পৌছঁতে আমাদের বেশি বেগ পেতে হবে না। কারন দুই উপজেলার সাধারণ জনগন নুর মোহাম্মদের সাথে আছে।


আরও খবর



অস্থির ডলারের বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ ধরে আবারো অস্থিরতা ডলারের বাজারে। প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কেনার নির্দেশনা থাকলেও অনেক ব্যাংক এমনকি ১২৪ টাকা দরেও ডলার কিনেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও আমদানিতে এসব ডলার বিক্রির কথা ১১১ টাকা দরে। এছাড়া খোলাবাজারেও ডলারের দাম ১২৭ টাকা পর্যন্ত উঠতে দেখা গেছে। কেন এমন পরিস্থিতি?

ঢাকার একজন খাদ্য আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন। আমদানির জন্য বিভিন্ন সময় ব্যাংকে এলসি খুলতে হয় তাকে।

তিনি জানাচ্ছেন, সম্প্রতি একটি ব্যাংকে এলসি খুলতে গেলে তার কাছে সরকারি রেট ১১১ টাকার বদলে ডলারের দাম ধরা হয় ১২৫ টাকা।

আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, এই বাড়তি দামের কোনো কারণ জানাতে পারেনি ব্যাংক।

আমি আপনাকে ব্যাংকের নাম বলতে পারব না। কারণ তাহলে যেটুকু এলসি পাচ্ছি, সেটাও আমি পাবো না। কিন্তু তারা ১২৫ টাকা করে আমার কাছে জমা রেখেছে।

আমি বললাম, এক সপ্তাহ আগেই আপনারা আমার কাছ থেকে ডলার প্রতি ১১৫ টাকা করে জমা রেখেছেন। এখন কেন ১২৫ টাকা রাখবেন? সরকার তো ডলারের মূল্য বৃদ্ধি করে নাই। তখন ওরা বললো যে আপনাকে ১২৫ টাকা করেই দিতে হবে। না হলে এলসি করা যাবে না।

এই আমদানিকারক ব্যাংকে ডলারের বাড়তি দাম নিয়ে যে অবস্থায় পড়েছেন, সেটাই যেন এখন ডলার মার্কেটের বাস্তবতা। কিন্তু ডলারের খোলা বাজারের অবস্থা কী?

খোলাবাজারে যা দেখা গেল


খোলা বাজারের পরিস্থিতি বুঝতে গত সোমবার ঢাকায় কালোবাজারে ডলার বিক্রির একটা পরিচিত স্পটে যান বিবিসির এই সংবাদদাতা। পরিচয় গোপন করে ডলার কেনার চেষ্টা করা হয়।

সংবাদদাতা প্রথমেই যে মানি এক্সচেঞ্জে যান, সেখান থেকে জানানো হলো ডলার নেই। কোন এনডোর্স করা যাবে না।

কিন্তু যখন শুধু ডলার কিনতে চান তিনি, তখন পাশেই থাকা একজন বললেন, ডলার প্রতি ১২৭ টাকা করে দিতে হবে। এর কমে বিক্রি করতে রাজি হননি তিনি।

শেষ পর্যন্ত ১২৭ টাকা দরেই ডলার কিনতে হলো। এরপর রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জে গিয়ে দেখা গেল, ডলারের রেট অনেকটা একইরকম - ১২৫ থেকে ১২৭ টাকা চাওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ কেউই নির্ধারিত দামে ডলার বিক্রি করছেন না।

এর কারণ জানতে চাইলে সামাদ (ছদ্মনাম) নামে একজন বললেন, বাজারে ডলার নেই। ব্যাংকগুলোই বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। সুতরাং খোলাবাজারে তারা বেশি দামে ডলার না কিনলে ডলার পাবেন না। ফলে বেশি দামে কিনে আরো বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, মানি এক্সচেঞ্জগুলো ডলার বিক্রি করতে পারবে সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা দরে। সেক্ষেত্রে এর চেয়ে কম দামে তাদের ডলার কিনতে হবে। কিন্তু মানি চেঞ্জারগুলো এ দর মানছে না - এমন অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নজরদারি বৃদ্ধি করে।

কিন্তু যেসব মানি এক্সচেঞ্জ নির্ধারিত দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছেন, তারা বলছেন, তাদের কাছে কেউ সেভাবে ডলার বিক্রি করতেই আসছেন না।

ঢাকার পল্টনে মেক্সিমকো মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মোশাররফ হোসেন বলছেন, যারা বিদেশ থেকে আসার সময় ডলার নিয়ে আসেন, তাদের কাছ থেকেই তারা ডলার কিনে থাকেন। এটাই তাদের মূল উৎস। কিন্তু যেহেতু কালোবাজারে ডলারের দাম বেশি, সেহেতু বেশিরভাগ প্রবাসী সেখানেই ডলার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

গভর্নমেন্ট রেট তো কম, সুতরাং প্রবাসীরা কেন আমাদের কাছে ডলার বেচবে? তাছাড়া এখন সরকারি নজরদারি অনেক কড়া।

কেউ যদি ডলারের বৈধ কাগজ দেখাতে না পারে, আমরা সেটা কিনতে পারব না। কিনলে প্রশাসন ধরবে। ফলে এই ডলারগুলোও আমরা পাচ্ছি না। এগুলোও ব্ল্যাক মার্কেটে চলে যাচ্ছে, বলেন মোশাররফ হোসেন।

তার মতে, এসব কারণেই যারা শিক্ষা, চিকিৎসা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশ যাবেন তারা চাহিদা মতো ডলার পাচ্ছেন না। কারণ মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলারের ঘাটতি আছে।

বাধ্য হয়ে এসব লোক যখন ব্ল্যাক মার্কেটে যাচ্ছে, তখন চাহিদা বেড়ে ডলারের দামও সেখানে বাড়ছে, জানান তিনি।

পরিস্থিতি কেন এমন হলো?


বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়তে থাকে ২০২১ সালের ২২ অগাস্ট থেকে। তখন ডলারের দাম ৮৪ টাকা থেকে ৮৫ তে উঠে আসে। দুই বছরের ব্যবধানে সেটা হয়ে যায় ১০৯ টাকায়। বর্তমানে যেটা ১১১ টাকা।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এই দাম খোলাবাজারে কার্যকর হয়নি। দুই বছর আগে একবার দাম বৃদ্ধি শুরুর পর বর্তমানে সেটা ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায় ওঠা-নামা করছে।

এসময় ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার দাবি উঠলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এর দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স এবিবিকে।

কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাফেদা-এবিবির নির্ধারণ করা রেটও খোলাবাজারে কার্যকর থাকেনি।

বেশ কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিদেশী রেমিটেন্স হাউস থেকে ডলার কিনে সেটা আরো বেশি দামে গ্রাহকদের কাছে দিয়েছে।

জানতে চাইলে এবিবির সাবেক সভাপতি ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিবিসিকে বলেন, এরকম ঘটনা তারাও শুনেছেন এবং এটাই বাস্তবতা যে ব্যাংকগুলো বেশি দামে ক্রয়-বিক্রয় করছে।

কিন্তু কেন এ এরকম হচ্ছে? মাহবুবুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীদের কাছে ডলারের রেট গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং এলসি খুলে ব্যবসা করার ওপর ব্যবসায়ীরা জোর দিচ্ছেন। সেজন্য ব্যবসায়ীদের চাহিদা মেটাতেই ব্যাংকগুলোকে বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে ,যেহেতু ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার নেই।

আমার কাছে গ্রাহক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমি যদি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী এলসি দিতে না পারি, তাহলে সে ক্লায়েন্ট অন্য ব্যাংকে চলে যাবে। এখন কোনো ব্যাংক তো এভাবে নিজেকে ক্ষতির মুখে ফেলবে না। সে বেশি দাম দিয়ে হলেও ডলার কিনে ব্যবসা এবং ক্লায়েন্ট ধরে রাখবে, বলেন তিনি।

বাফেদা-এবিবি বলছে, ১১১ টাকায় এলসি সেটেলমেন্ট করতে। এ দামে ডলার বিক্রি করতে হলে এর চেয়ে কম দামে ডলার ক্রয় করতে হবে। কিন্তু সে দাম দিয়ে ডলার ক্রয় করা যাচ্ছে না বলে ব্যাংকাররা জানান। তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও তার রিজার্ভ থেকে এতো ডলার বিক্রি করে চাহিদা মেটাতে পারবে না।

মাহবুবুর রহমান প্রশ্ন তোলেন, যেসব ব্যাংক ১১৮ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দামে বিদেশী রেমিটেন্স হাউস থেকে ডলার কিনে ব্যবসায়ীদের এলসি দিচ্ছে, সে কিভাবে ১১১ টাকা দরে এটা দেবে?

দিনশেষে ব্যাংক তো একটা কমার্শিয়াল অরগানাইজেশন। এখানে তো কেউ চ্যারিটি করতে বসেনি, বলছিলেন মোশাররফ হোসেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ডলারের বাজারে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে হুন্ডি। যারা বিদেশে ডলার নিয়ে যাচ্ছেন, তারা বেশি দাম দিয়ে হলেও ডলার কিনতে চান। এটা বাজারে চাহিদা তৈরি করছে। ফলে বিদেশী রেমিটিং হাউসগুলো তাদের কাছে বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে।

কিন্তু বাজারে এমন অবস্থা কেন হলো? এজন্য ঘুরে-ফিরে একই প্রসঙ্গ বার বার সামনে আসছে। সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশের নিম্নমুখী রফতানি আয় এবং প্রবাসী আয়ের কারণে ডলার সঙ্কটের কথা।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন দায়ী করছেন, সঙ্কটের মধ্যেও ডলারকে বাজারমুখী না করে একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকে।

এখানে ডলারের দাম নির্ধারণের যে মডেল, সেটা দিয়ে ডলার বাজার স্বাভাবিক রাখা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক একেক সময় একেক পলিসি নিচ্ছে। ফলে যারা কারসাজি করে, তারাও এটার সুযোগ নিচ্ছে। বাজারদর অনুযায়ী দাম নির্ধারণ না হলে এটার সঙ্কট মিটবে না,  বলেন মোশাররফ হোসেন।

বাংলাদেশে নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এই সময়ের মধ্যে সরকারের মূদ্রানীতি কিংবা ডলার বাজার নিয়ে নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তনের সম্ভাবনাও দেখছেন না অনেকেই।

ফলে ডলারের যে উর্ধ্বমুখী দাম, সেটা নির্বাচনে আগে কতটা স্থিতিশীল হবে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে যেখানে আমাদের যোগানের অভাব আছে সেখানে আগামীতে ডলারের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নাই। কারণ এটাতো বাজারের ওপর নির্ভর করছে না। এটাকে সেভাবে রাখা হয়নি, বলেন মোশাররফ হোসেন।

কিন্তু এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কী ভাবছে? জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

যদিও ব্যাংকসূত্র জানিয়েছে, ডলারের বাজারে কারসাজি রোধ করতে ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ তারা নিয়েছেন, যার প্রভাবে হয়তো 'শিগগিরই বাজারে দাম কমে' আসবে।

কিন্তু বাংলাদেশে যখন গত দুই বছর ধরেই ডলারের প্রধান দুই উৎস রেমিটেন্স ও রফতানি আয় নিম্নমুখী, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে সেটা এক বড় প্রশ্ন।

সূত্র : বিবিসি

 


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




লন্ডন হাই কমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

লন্ডন প্রতিবেদক :

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসহ বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। 

এ উপলক্ষে বুধবার লন্ডনে ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়ামে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জাতির পিতা এবং সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসহ বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন,“ “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল মূল্যবোধ ভিত্তিক বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও কৌশলগত সম্পর্ক গত এক দশকে আরো সুদৃঢ় হয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, উন্নত, আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গঠন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হাইকমিশনার বলেন, “গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রথম প্রতিরক্ষা সংলাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শীর্ঘই দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হবে।” তিনি “ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নসহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সাথে বহুমাত্রিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো জোরদার করার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হাইকমিশনার বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের উন্ননয়, অগ্রগতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বৈশ্বিক মঞ্চে জাতীয় পতাকাবাহী হিসেবে এ পর্যন্ত ৪৭ টি দেশে ৬৫টি মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

হাইকমিশনার গত মে মাসে যুক্তরাজ্যে রাজার করোনেশন প্যারেডে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর সাথে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দীর্ঘ এবং দৃঢ় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে উভয় দেশ সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থে প্রশিক্ষণ প্যাকেজ বিনিময় করে। কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সামরিক সরঞ্জামও সংগ্রহ করেছে।

লন্ডন হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল মতিন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবাসহ জাতিগঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমেও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে।” তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক বলে উল্লেখ করেন।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সিকিউরিটি ও অপারেশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোঃ মুহিব রহমান অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে ১৯৭২ সালে লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর সফর এবং ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে স্যার এডওয়ার্ড হীথের সাথে ইতিহাসিক বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। 

অনুষ্ঠানে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশের চেয়ার বিরেন্দ্র শর্মা এমপি, সাইপ্রাসের হাইকমিশনার এন্ড্রিয়াস এস কাকউরিস(Andreas S Kakouris) এবং নামিবিয়ার হাই কমিশনার মিসেস লিন্ডা স্কটসহ (Linda Scott) বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, কূটনৈতিক ফোরামের সদস্য, যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ ও এফসিডিও এর সম্মানিত প্রতিনিধিগণ এবং যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকবৃন্দ, বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং লন্ডনে বাংলাদেশি-বৃটিশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিষ্ঠা ও দেশে-বিদেশে এর বিশেষ ভূমিকা সম্বলিত বর্ণিল ব্যানারে সুসজ্জিত অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ওপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের সহকারি প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা উইং কমান্ডার মোঃ সাইফুর রহমান, অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।


আরও খবর