Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের কর্মীসভা সফলভাবে অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার(২৪ সেপ্টেম্বর)  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্তর সভাপতিত্বে কর্মীসভার উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মো. ফুয়াদ হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক সিয়াম রহমান, উপ-নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুল বাশার এবং সদস্য জেবুন্নাহার শিলা। কর্মীসভায় প্রারম্ভিক সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল। 

কর্মীসভার শুরুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের সামগ্রিক পরিবেশ ও তাদের প্রত্যাশা নিয়ে মতামত প্রদান করতে বলেন এবং তাদের মতামত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনানের কাছে পৌঁছে দেবার আশ্বাস দেন৷ 

এ সময় মো. রকিবুল হাসান রকি, রবিউল ইসলাম, মো. সাইদ ইসলাম সিয়াম, কামরুজ্জামান শতাব্দী, রায়হান আহম্মেদ শান্ত, রাফিউল হাসান, এমরান হোসেন মামুন, আকাশ, নাহিদুল ইসলাম হিমেল,  হুমায়ুন কবির, নাজিম উদ্দিন, বাবু কিশোর দেব, মানিক শীলসহ অন্যান্য কর্মীরা মতামত প্রদান করেন। 

মতামত প্রদান শেষে মাভাবিপ্রবিতে উপস্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নেতারা বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্ত বলেন, অতীতের চেয়ে সাদ্দাম-ইনানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অনেক শক্তিশালী। যে ইউনিটগুলোতে কমিটি নেই, সবগুলোতেই  দ্রুত কমিটি করবে ছাত্রলীগ। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট কমিটি দেওয়া হবে।

নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলো জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক শিশির বলেন, ‘আপনারা জানেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ একটি টিম ওয়ার্ক। আমরা কর্মীসভা সম্পন্ন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে এখানে এসেছি। আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাহী ছাত্র সংসদের সঙ্গে বসব, পর্যালোচনা ও বিচার বিবেচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনে কমিটি অনুমোদিত হবে।’


আরও খবর



মানবাধিকার উন্নয়নে জাতিসংঘে ৩০১ সুপারিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে ৩০১টি সুপারিশ করেছে বিশ্বের ১১০টি দেশ জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদেরইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)’ বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে প্রতিবেদনের খসড়া গৃহীত হয়েছে খসড়ায় অনেকগুলো দেশ থেকে একই বিষয়ে একই ধরনের সুপারিশ আসায় সংখ্যাটি এত বড়, প্রকৃত সুপারিশ এত বেশিসংখ্যক হবে না

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিলেও সুপারিশমালা অনুমোদনের সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। জেনেভায় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমান আইনমন্ত্রীর পরিবর্তে সভায় বক্তব্য দেন

বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে তার সিদ্ধান্ত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় মানবাধিকার পরিষদের ৫৫তম অধিবেশনের আগেই জানিয়ে দেবে

এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, বহুল আলোচিত গুমবিষয়ক সনদ নির্যাতনবিরোধী সনদের অতিরিক্ত চুক্তি অনুমোদন, গুমের ঘটনাগুলোর স্বাধীন স্বচ্ছ তদন্ত, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত এবং দোষীদের বিচার সাজার ব্যবস্থা করা

সুপারিশের মধ্যে আরও রয়েছে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপ সব ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংশোধন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সভা সংগঠনের অধিকার নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা, অবাধ, সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, মানবাধিকাররক্ষী, নাগরিক সমাজ বা এনজিও সদস্যদের হয়রানি ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করা, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ, নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধে আইন সংশোধন

এছাড়াও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করা, বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়ন, ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ঘোষণা, শ্রমিকদের আইএলও স্বীকৃত সব অধিকার নিশ্চিত করা ইত্যাদিও রয়েছে সুপারিশে

গত সোমবার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর পর্যালোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে তৃতীয় ইউপিআরে উঠে আসা ১৭৬টি সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। এরপর জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১০টি দেশ তাদের মূল্যায়ন সুপারিশ তুলে ধরে

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষ থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নির্বাচন, শ্রম অধিকার, ভিন্নমত দমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি না থাকার বিষয়গুলোতে বেশি জোর দিতে দেখা গেছে

 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




বৃষ্টি শীতের আগমনী বার্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শীতের আবহে থাকা দেশে হঠাৎ করেই নিম্নচাপের কড়া নাড়া। তারপর সেই নিম্নচাপ পরিণত হলো ঘূর্ণিঝড়ে। মিধিলি নামের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মিথিলার কবির বিদ্যাপতির পদের মতোই মিহি বৃষ্টি ঝড়ল দেশজুড়ে। গুনগুনিয়ে কে যেন গেল শুনিয়ে, শীতের ওড়নি পিয়া গিরিসের বাও, বরিসার ছত্র পিয়া দরিয়ার নাও।  আবহাওয়া অফিসও বলছে, এই বৃষ্টির প্রভাবে দেশজুড়ে ৩-৪ চার ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। মানে শরতের ফালি মেঘের আকাশ ডিঙিয়ে হেমন্তের হীম আভার ঘোর কাটিয়ে এবার দেশে নামতে চলেছে পুরোদস্তুর শীত। কারণ তো ওই ঝরে গেছে নভেম্বর রেইন।

গরমক্লিষ্ট মনের এবার শীতল হাওয়ায় প্রাণ এলিয়ে দেওয়ার পালা। ঋতু বৈচিত্র্য হারাতে বসা এ তল্লাটে এখন নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার দেখা পাওয়া ভার। উল্টো গরমের প্রকোপটাই সারা বছর থাকছে বেশি। তবে কেবল শীত নয়, এই বৃষ্টি মনে করায় একটা গানের কথাও। যে গানের নাম নভেম্বর রেইন। ১৯৯২ সালে প্রকাশ হওয়া রক ব্যান্ড গানস অ্যান্ড রোজেস-এর সাড়া জাগানো গান এটি। যে গানের ভাঁজে ভাঁজে বিরহের আঁচ। প্রেমিকার রহস্যময় মৃত্যু আর শোকগাঁথা যার উপজীব্য 

তবে নভেম্বর রেইন সবার জন্য রোমান্টিক নয়। অফিসগামীদের হঠাৎ বিপদে ফেলে। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েন বিপাকে। কারণ এই সময়ে কারোই যে বৃষ্টি বরণের প্রস্তুতি থাকে না খুব একটা। তারপরও মৃদু বর্ষণমুখর এমন দিন প্রকৃতির এক অনিন্দ্য দান। দুঃখের সাথেও তো বৃষ্টির আছে সখ্য। সুখ যেমন বৃষ্টিতে ভেলা ভাসায়, দুঃখও তো তেমন বৃষ্টি দরিয়ায় ভাসায় আপন ডিঙি নাও। আর দিন শেষে তো কথা থাকে ওই, বৃষ্টিরা কখনো একা আসে না। সাথে নিয়ে আসে ভালো-মন্দের অনেক কিছু। 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




গোপালগঞ্জের ৩টি আসনে মনোনয়ন পেলেন ৩ ‘হেবিওয়েট’ প্রার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মোঃ মাসুদ রানা,জেলা প্রতিনিধি :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছে ৩ ‘হেবিওয়েট’ প্রার্থী। তারা জেলার ঐ তিনটি আসনে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরেই প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে দলীয় নেতা-কর্মীরা। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গোপালগঞ্জের তিনটি আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, গোপালগঞ্জ-০১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বতর্মান সংসদ সদস্য লে: কর্নেল (অব:) ফারুক খান। 


গোপালগঞ্জ-০২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য,বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি"র ছোট ভাই সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী ও বিগত আট বারের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। 

গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধনমন্ত্রী এবং বতর্মান সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জ জেলায় রয়েছে রাজনৈতিক ঐতিহ্য। এ জেলা জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কারণে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আধিপত্য এলাকা হিসেবে পরিচিত। বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। সেই সাথে জামানত হারিয়েছে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্য প্রার্থীরা।


এদিকে গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণার পরেই আনন্দ মিছিল ও উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করছে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহেযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিকেলে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহেযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে মিয়ানমার বাহিনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনে সশস্ত্র সরকারবিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অন্তত ২৮ জন পুলিশ ১০ জন সেনা সদস্য মঙ্গলবার এএ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত এক যুদ্ধ শেষে এই পুলিশ সেনা সদস্যরা তাদের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গেছে

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন অবশ্য সেদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যকেপ্রোপাগান্ডাবলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তারা পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে এবং কারণেই এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তবে ঘটনার পরের দিন বুধবার রাখাইনের রাজধানী সিটওয়েতে কারফিউ জারি করেছে জান্তা। সিটওয়ের বিভিন্ন সড়কে ট্যাংক চলাচল করেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন

আরাকান আর্মি বহু বছর ধরে রাখাইনের আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের জন্য যুদ্ধ করছে আরাকান আর্মি। গত মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (নাগ) অন্যতম সদস্য এই গোষ্ঠীটি। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সেনা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছে নাগের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে আরাকান আর্মিও রয়েছে

তিন সপ্তাহের এই সংঘাতে মিয়ানমারের কিছু শহর এবং সামরিক স্থাপনা দখল করেছে জান্তাবিরোধী জোট নাগের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী, যা ২০২১ সালে অভুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা আসা জান্তাকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছে

মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে জাও মিন তুন জানান, বর্তমানে মিয়ানমারের শান, রাখাইন কায়াহ রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চলছে সেনা পুলিশ সদস্যদের। সেসব লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন জান্তা মুখপাত্র

বাস্তব পরিস্থিতি অবশ্য তার দাবিকে তেমন সমর্থন করছে না কারণ চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী প্রদেশ চিনে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধের এক পর্যায়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন মিয়ানমারের সেনবাহিনীর সদস্যরা

শুধু তা নয়, এই সেনা সদস্যদের মধ্যে অন্তত ৪৩ জন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে পালিয়ে গেছেন


আরও খবর



বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত: মেজর হাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতিতে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বীর বিক্রম সক্রিয়তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তিনি নতুন দল গঠন করছেন, এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছ থেকে।

বুধবার ৮ নভেম্বর বেলা ১১টায় বনানীতে নিজের বাসায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি এ সময় বলেন, অনেকগুলা ভুল আমরা করেছি, সেই দলীয় ভুল প্রকাশ করার জায়গা এটি না। আর এটা প্রকাশ করাও ঠিক হবে না। কিন্তু আমার তো কোনো ফোরাম নাই এবং দলে কোনো অবস্থান নাই। গত আট বছর দলে কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। কোনো নেতা নির্বাচিত হয়নি। কারণ, নেতা নির্বাচন করার সুযোগ নাই এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্য রাখারও সুযোগ নেই।


তিনি বলেন, আমার চোখ কান নষ্ট না। আমি কোনো বধির স্কুলে পড়ি না। তবে জাতির স্বার্থে কিছু কিছু কথা বলতেই হয়। তবে আমার দেশ সবার উপরে। আমার নেতা জিয়াউর রহমান বলেছেন দেশ সবার আগে। আমিও তাই মনে করি, সে জন্য দু-চারটি কথা বলছি। তবে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।


বিএনপিতে সত্য কথা বলার মতো কোনো লোক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিতে সত্যি কথা বলার মতো লোক বিশেষ করে চেয়ারপারসনের সামনে সত্য বলার মতো লোক আমার সামনে পড়েনি। অনেক আগে সাইফুর রহমান সাহেব বলতেন; তিনি বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এছাড়া বাকি সবাই ইয়েস স্যার, রাইট স্যার বলা আর কিছু জানেন না। এই হলো বাস্তবতা।


২০১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার দরকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগের অবস্থা লেজে-গোবরে ছিল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় দেওয়ার জন্য। কখন একজন এ আহ্বান জানায়? কারা এ ধরনের আহ্বান জানায়? আমরা সেই অবস্থার ফায়দা নিতে পারিনি। যে পথ অনুসরণ করেছি, সেই যে রাজপথে গেছি এখনো সেই রাজপথেই আছি।


হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই সে নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তা করব। তবে বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাওয়া উচিত। দলে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন, তারা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাস্তবতার কারণে এটি সম্ভব হয়নি। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের ওপর জোর না দিয়ে বিকল্প খোঁজা উচিত। আমি মনে করি আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের সরকার কিছুই না।


দেশের সহিংসতা তরুণ-কিশোরদের ওপর প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রতিদিন টেলিভিশনে দেখি বাস জ্বলছে। সেটা আওয়ামী লীগের ক্যাডারও জ্বালাতে পারে আবার বিএনপির থেকেও জ্বালাতে পারে। অথবা অন্য কেউ। তবে এর দায় সম্পূর্ণ বিএনপির ওপর এসে পড়ছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দেশের অভিভাবক হিসেবে সব সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত।


হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, আমি মনে করি বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দলই ক্ষমতায় আসবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনে আদায় করতে জানতে হবে। শুধুমাত্র রাজপথে স্লোগান দিলেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে বাড়ি যাবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক কানেকশন খুবই দুর্বল। সে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য নেতৃবৃন্দ তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অনেক সময় রাষ্ট্রদূতের কথাবার্তা এক পেশে মনে হয় এবং সেটারও কোনো বেনিফিট বিএনপি নিতে পারেনি। তবুও এখন বিএনপির উচিত কীভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যায়। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে মাঠে থাকবে।

  

আগামী নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আইনমন্ত্রণালয় একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, তবে এটিও দিনের আলোর মতো সত্য যে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুষ্ঠু হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও হবে না এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের অধীনেও হবে না।


রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ অবসরে যাওয়ার বিষয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়। এখন আমার প্রায়োরিটি হলো শারীরিক সুস্থতা লাভ করা এবং চিকিৎসা করা। রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ এখন আর আমার অবশিষ্ট নেই।

 

গতকাল তথ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিএনপির মধ্যে একেবারেই একজন গুরুত্বহীন ব্যক্তি। বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। গত কয়েকদিন ধরে কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। অতি শীঘ্রই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কারণে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়নি। মোট কথা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। এমন এক সময় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি একটি নতুন দল করতে যাচ্ছি। যা একদমই সঠিক নয়। আমি এখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি ৩১ বছর ধরে বিএনপির সদস্য।


তিনি আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও ভুল বোঝাবুঝিকে আমার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আর বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছে আমার নেত্রী। তিনি যতদিন সুস্থ ছিলেন আমার কোনো সমস্যা ছিল না। এ ধরনের কোনো সংবাদ সম্মেলন আমার করতে হয়নি। আমি কমফোর্টেবলি জনগণের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেটা ক্ষমতায় থেকে বা বিরোধী দলে থেকেই হোক না কেন। তবে দুঃখের বিষয় বিগত দুবার নিজের ভোটটাও দিতে পারিনি।


২০১৮ সালের নির্বাচনে আমাকে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দেয়া হয়েছিল। তারপর যখন আমি পুলিশ প্রোটেকশনে আমার নির্বাচনী এলাকায় গেলাম তখন আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখেছিল। যে কারণে সেবার আমি নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা ওইদিন আমাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি একটা মামলা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এই হচ্ছে আমার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা। এমন অভিজ্ঞতা আমার মতো আরও অনেক বিরোধী দলের নেতার আছে। এরপর নির্বাচন থেকে সরে আসার পর আমার দলকে নাকি ৮০টি আসন দেবে নির্বাচনের পরে। আমি এই খবরও জানি না, আর এই ৮০ জনের মধ্যে আমি নিজেও ছিলাম না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ১৪ নভেম্বর ২০২০ সালে আমার দল থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন আমার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ ছিল। আমি দলে সক্রিয় না, দলের কোনো কাজ করি না, সংস্কারপন্থী, আমি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করি। এ ধরনের আজগুবি ১১টি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল- আমি শওকত মাহমুদের সঙ্গে বিজয় নগরে সরকার বিরোধী মিছিল করেছি। আমরা বিরোধী দল সরকার বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করতেই পারি। তবে আমি এই মিছিলে কখনোই ছিলাম না। এসবে আমি কখনোই অংশগ্রহণ করিনি। তখন আমি শো-কজের লিখিত জবাবও দিয়েছি। তবে আমার বক্তব্যের জবাব দল থেকে পাইনি। 


আরও খবর