Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

মাভাবিপ্রবিতে ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচিতে পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

কর্মসূচির মধ্যে মাওলানা ভাসানীর মাজারে সকাল ৭.৩০ মিনিটে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দের-এর নেতৃত্বে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রোভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকবৃন্দ, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এছাড়া সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ ও বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার চুনিয়াগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে চুনিয়াগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খন্দকার মোঃ আলমগীর কবির বাবুর সভাপতিত্বে ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসহাক মিঠুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয় প্রত্যাশী মোঃ জাহিদুল ইসলাম ধলু।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সফিউল আজম (ভিপি রানা) প্রমুখ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, জেলা, সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা বিএনপির আয়োজনে ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা তুলে ধরে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি আগামীর সুন্দর ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার লক্ষ্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের প্রতিক ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন। এছাড়া উপজেলার কোথাও কোন চাঁদাবাজি, হয়রানী, রাহাজানিসহ যে কোন প্রকারের অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটলে জড়িতদের আটক করে আইনের আশ্রয়ে সোপর্দ করার অনুরোধ জানান। আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে এই অঞ্চলের অবহেলিত গ্রামীণ জনপথের আধুনিকায়নের কাজ গুরুত্বসহকারে সম্পন্ন করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। পরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিয়োগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার এবং এলাকার যুবক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফুটবল সামগ্রী বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যরা। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অত্র এলাকার কয়েক হাজার নারীসহ অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হয়ে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।


আরও খবর



এমন ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে, যা এখনো ব্যবহার করিনি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। যদিও দুদিন আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, বাস্তবে পরিস্থিতি সে দিকে না গড়িয়ে আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।

মঙ্গলবার রাতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এক হুঁশিয়ারিমূলক বার্তা সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করে। ওই বার্তায় তিনি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে বলেন, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

এরপর রাতেই ইরান আবারও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে। জেরুজালেম ও তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, সঙ্গে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বিমান সতর্কতা জারি করা হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সাতটি স্থানে আঘাত হেনেছে, এতে অন্তত ৬৫ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বেয়ার শেভায় সোরোকা হাসপাতালে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি তেল আবিব, রামাত গ্যান এবং হোলোন শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের খবর মিলেছে।

ইসরায়েল বলছে, যতদিন প্রয়োজন ততদিন তারা অভিযান চালিয়ে যাবে এবং নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করবে। তবে যুদ্ধ বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিমাণ এখন আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।

ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ইরানের পশ্চিম সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলো— ইলাম, কুর্দিস্তান, পূর্ব ও পশ্চিম আজারবাইজান এবং কেরমানশাহে অবস্থিত অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এতে ইরানের হামলার সক্ষমতা অন্তত ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।

তবে ইরান পাল্টা দাবি করে জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র রয়েছে, যা এখনো ব্যবহার করা হয়নি। বুধবার ইরান জানায়, তারা নতুন প্রজন্মের উচ্চগতিসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা আগের তুলনায় অনেক দ্রুত ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম। এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি উন্নত রাষ্ট্রেরই রয়েছে বলেও জানায় তেহরান। তথ্যসূত্র : বিবিসি ও ইরনা নিউজ


আরও খবর



বাংলা বললেই জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জুন 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। ভারতের বহু বিজেপি শাসিত রাজ্যে এমনটাই হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ২৪ জুন রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নজরে আনতে চান মমতা।

বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, কয়েকদিন আগেও বিভিন্ন জেলার বহু লোকজনকে নিয়ে এসেছি। বাংলা ভাষায় কথা বললেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি বলে আটকে দেওয়া হচ্ছে। বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ? আমাদের রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে দেড় কোটি। সব রাজ্যের লোক আমাদের রাজ্যে কাজ করে। আমরা তো তাদের অপমান করি না? বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ? বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে আটকে দেওয়া হচ্ছে।

মমতা ব্যানার্জী আরো বলেন, বাংলার ৩০০ থেকে ৪০০ শ্রমিককে বাংলাদেশি বলে রাজস্থানে আটকে দেওয়া হয়েছে। এরকম আরো অনেক রাজ্যে হয়েছে। সেখান থেকে তাদের আমরা নিয়ে এসেছি। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার।

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমার রাজ্যের অনেককেই বাংলাদেশি বলে বন্দি রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশি বলে তাদের জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অথচ তাদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এসব কি হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উদ্দেশ্য করে মমতা ব্যানার্জী বলেন, বাংলায় যারা কথা বলে, তারা কি অপরাধ করেছে? এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে খুব কড়া প্রতিবাদ হবে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী বোধ হয় এই বিষয়গুলো জানেন না। আমি বিষয়টি তার নজরে আনবো। যাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে তারা ভারতীয়। স্বামী বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সকলেই বাংলা ভাষায় কথা বলতেন। তারা কি সব ভুলে গেছে? বাংলাকে দেখলেই কি অত্যাচার করতে হবে? তাহলে স্পষ্ট বলে দিক, বাংলা নিষিদ্ধ। একাধিক দেশে একই ভাষা হতে পারে। ভারতের অনেকে উর্দু বলেন, অন্য দেশে উর্দু বলা হয়। শুধু ভাষার কারণে তাদের অন্য দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে?

মমতা দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, আমরা কখনো বেআইনি কিছু করি না। গতকাল বাংলাদেশের হাইকমিশনার আমার কাছে এসেছিল। আমি প্রথমেই তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ভারত সরকারের অনুমতি আছে কি না। তিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরেই আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।

ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এই যুদ্ধের ফলে পরিবেশে দূষণের মাত্রা বাড়ছে এমন অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, বিশ্বের অনেক জায়গায় এখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এ ধরনের সংঘাতে পানি, স্থল ও আবহাওয়ায় দূষণ বাড়ছে। এসব বন্ধ করার জন্য এখন ওই পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা পুরোই পররাষ্ট্র বিষয়, যা ভারত সরকারের অধীনে। তবে কূটনৈতিকভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে যাতে যুদ্ধ বন্ধ হয়।

মমতা ব্যানার্জি বলেন, এটা পররাষ্ট্র বিষয়। যা ভারত সরকারের অধীন। কূটনৈতিকভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে, আমাদের অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে যাতে যুদ্ধ বন্ধ হয়। মমতার স্পষ্ট বক্তব্য, বৈদেশিক নীতি এবং কূটনৈতিক বিষয়ে কথা বলার আমার কোনো অধিকার নেই। বিশ্বের একজন উদ্বিগ্ন নাগরিক হিসেবে এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় রথযাত্রা উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি  :লক্ষ্মীপুরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা । শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে শহরের বিভিন্ন মন্দির ও আখড়া থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) লক্ষ্মীপুর শাখার আয়োজনে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির থেকে বিশাল রথের  শোভাযাত্রা বের হয়। হাজারো ভক্তের অংশগ্রহণে রথটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় মন্দিরে ফিরে আসেন । 


আরও খবর



অভিজাতরা কেন সালাফি হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

মাহদী গালিব :

বড় ভাইর বন্ধু তিনি। বহুজাতিক কোম্পানির বড়কর্তা। পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই বয়স। হঠাৎ করে ইসলামমুখি হয়েছেন। দাঁড়ি রেখেছেন। হুযুর রেখে কোর’আন শিখছেন। ফোনে একদিন যেতে বললেন। গেলাম। উত্তরা এলাকার অভিজাত বাড়ি। কড়া নিরাপত্তা। দারোয়ানকে পরিচয় দাও, নাম ঠিকানা লিখ। এরপর ঢোকার অনুমতি। 

বসার ঘরে অপেক্ষা করছি। নজর পরল বইয়ের তাকে। সারিসারি বই। তিনি সৌখিন মানুষ। বই আগেও দেখেছি। কিন্তু একটা জিনিষে দৃষ্টি আটকাল। অনেক নতুন বই দেখছি। বলাই বাহুল্য ইসলামি বই।  কিন্তু বিষয়টা অন্যখানে। একজন লেখকের বই দিয়ে পুরো একটা সেলফ ভর্তি। নাম বলব না। তিনি কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন সম্ভবত। হেসে হেসে কথা বলতেন টিভিতে। ভারতের ফুরফুরা দরবারে সাথে আত্মিয়তার সম্পর্ক ছিল তার। এখন তিনি প্রয়াত। যাহোক, এই লেখক একজন লামাযহাবি। স্পষ্ট করলে ওহাবিতন্ত্রের সালাফি ঘরনা। 


এসব দেখছিলাম। এরমধ্যে আমার মেজবান এসছেন। আলাপ শুরু হল। কয়েক ঘণ্টা গেল। তিনি আস্তে আস্তে আমার প্রতি আশ্বস্ত হচ্ছেন। নতুন তথ্য জানাচ্ছি। তিনি অবাক হচ্ছেন। এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলাম- দাদা, আপনি দেখি জনৈক অধ্যাপকের বই কিনে ফতুর হচ্ছেন, ঘটনা কি? তার উত্তর এমন- আরে তিনি তো ভালো লোক, কী সুন্দর ব্যবহার, হেসে কথা বলেন, চেঁচিয়ে বক্তব্য দেন না, আর শিরিকের বিষয়ে সোচ্চার। কী বলব বুঝছিলাম না। একটা মুচকি হাসি দিয়ে প্রসঙ্গ শেষ করলাম। 


দ্বিতীয় ঘটনা সাম্প্রতিক। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। যুবক মানুষ। কয়েকটি ব্যতিক্রম বইয়ের লেখক। আমার ফেসবুক বন্ধু তিনি। সেদিন নিউজফিড দেখছিলাম। তার একটা পোস্ট এলো। তিনিও জনৈক অধ্যাপকের বিষয়ে লিখেছেন। তিনি বলছেন জনৈক অধ্যাপক নাকি গ্রামবাংলার কুসংস্কার যুক্ত হুজুরদের জব্বর আঘাত হেনেছেন।  তিনি নাকি সহিহ হাদিস দিয়ে বুঝিয়েছেন আমরা বাংলাদেশের মুসলমান কতটা অশিক্ষিত। তিনি বাংলাদেশের মুসলিমদের শিক্ষিত করার চেষ্টা করেছেন। 


এখানেও চুপ ছিলাম। ধপ করে বলার মত কিছু পাই নি। এবার শেষ উদাহরণ। আমার ভালোবাসার ইরফান ভাই। চট্টগ্রামের মানুষ। ধনাঢ্য পরিবারের। থাকেন ঢাকার অভিজাত এলাকায়। পরশু কথা হচ্ছিল ইনবক্সে।  প্রচণ্ড বিমর্ষ পেলাম। কারণ জিগালাম। এরপরে তার বক্তব্যের সারমর্ম তুলে ধরছি। বললেন- 


চট্টগ্রামের অনেক শিক্ষিত সুন্নি পরিবার মসজিদ-মাদ্রাসা চালায়। কিন্তু যাদের ঘরে আলেম নেই এদের প্রায় সবাই সুন্নিয়াত থেকে বেরিয়ে গেছে। সোজা কথায় ওহাবি হয়ে গেছে। এখন শুধু কালচারের কারণে সুন্নি প্রতিষ্ঠান, গাউসিয়া খতম ইত্যাদি প্রোমোট করছে। ধনী সুন্নিদের ওহাবিরা কব্জা করছে। চট্টগ্রামের উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম ঘুরে গত কয়েক বছরে সবদিকে একই অবস্থা দেখলাম। এদের মধ্যে ধনাঢ্য পরিবারের পিছে পিছে কয়েকটা সুন্নি আলেম ঘুরে। কিন্তু ওহাবিবাদী কথাগুলার কোনো প্রতিবাদ করে না। আজকে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। এক বুড়া হুজুরকে দেখলাম। সে নাকি শেরেবাংলা হুজুরের সাথে একখাটে ঘুমিয়েছে। অনুষ্ঠানে কিছু সালাফিও ছিল। সালাফিরা আলাপ উঠিয়েছে যে শিক্ষিত হয়ে কেউ পীর-মুরিদি কীভাবে করে? এটা মূর্খদের কাজ।  সে বুড়া হুযুর একটা কথারও প্রতিবাদ করে নি। টাকার জন্য গেছিলো এক সওদাগরের কাছে। জানেন ভাই, জামেয়া মাদ্রাসার পাশের মহল্লাতে এখন ওহাবি মাদ্রাসা। জামেয়ার পাশের মহল্লার নতুন মসজিদ সবগুলোতে ওহাবি ইমাম। (এ পর্যায়ে একজন শিল্পপতির নাম নিলেন) সূফি সাহেবের খেদমতগুলো থেকে লংটার্মে সুন্নিয়াতের কী লাভ হচ্ছে বলেন? সুন্নি কমিটিগুলো কি পারে না তার সাথে বসে মাস্টারপ্ল্যান করতে? সে খরচ তো কম করছে না। এসব নিয়ে ভাবে না সুন্নিরা। আমার নানাবাড়ির গ্রামে ওহাবিদের অস্তিত্ব কল্পনা করা যেতো না। সেখানের মসজিদে দেখি আজকাল একটা ছেলে বুকে হাত বেঁধে নামাজ পড়ে। একবারে সালাফি হয়ে গেছে। 


তিনি আরো বলছিলেন। থামিয়ে দিলাম। সহ্য হচ্ছিল না। চিন্তায় মাথা ব্যথা শুরু হল। এরকম হাজার উদাহরণ আছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? শতশত বছর ধরে লালন করা সূফিধারা ও সুন্নিয়াত থেকে কেন অভিজাত শ্রেণি নাক সিটকাচ্ছে? ভেবেছেন!


কারণ জানতে হলে, আগে অভিজাতদের সাইকোলজি বুঝতে হবে। যাদের বুনিয়াদী বংশ, অর্থবিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি আছে, উচ্চশিক্ষিত সমাজ- এরাই অভিজাত শ্রেণি। অভিজাতরা সৌন্দর্য পছন্দ করে। কোটি টাকার ইরানি কার্পেট পায়ের তলায় বিছায়। কাশ্মীরি গোলাপ না পেলে লাখ টাকার কাগজের গোলাপে ঘর সাজায়। মানে এরা পরিচ্ছন্ন থাকতে চায়। শুধু ঘর সাজানো না- সামাজিকতা, মেলামেশা, এমনকি ধর্ম পালনেও। এরা স্বাধীনচেতা, যুক্তিবাদী হয়। হুযুর যাই বলবে তাই মানার প্রবণতা নেই। হুজুরের কথার সাথে নিজের চিন্তা মিশাবে।  এরপর সিদ্ধান্ত নিবে। 


এদের সংস্কৃতি ভিন্ন। গ্রামের হত দরিদ্র সমাজ হুজুরের সুরেলা ওয়াজ ঘন্টঘন্টা শুনবে। কিন্তু অভিজাতদের অত সময় নেই। এরা ধর্মকে জীবনের একটা অংশ মনে করে। পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ভাবে না। আপনার-আমার মত সময় নেই তাদের।  এরা ধর্মকে একটা রিচুয়াল বা ধর্মানুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ ভাবে।  তাই শর্টকাট ইসলাম খুঁজে। 


আর এখানেই সুন্নিরা পরাজিত। বাংলাদেশে ওহাবি বিপ্লবের পিছে ওহাবি-সালাফিদের অবদান খুব কম। পুরো অবদান সুন্নিদের নিজের। আমরা স্কলারি বা পাণ্ডিত্য সুলভ কথা বলি না। সমাজ-স্থান বুঝি না। মাইক পেলেই দেই টান। চেঁচামেচি আর বক্তব্যের গরমে ময়দান উতালা করি। কিন্তু অভিজাতরা তথ্য চায়, যুক্তি চায়। আবেগ তাদের খুব সহজে তাড়িত করে না।  


গুলশানে এক কোটিপতির বাসায় অনুষ্ঠান। ঈদে মিলাদুন্নাবির (দ) অনুষ্ঠান। আমি উপস্থাপক। এক হুযুর এসেছেন। তিনি নাকি টিভি-রেডিওতে কাজ করেন। বক্তব্য শুরু করল। হায় খোদা! বিশ মিনিটের জায়গায় এক ঘন্টা টানলেন।  কোনো তথ্য নেই, উপাত্ত নেই। সুরের ঠেলায় মাইক ছেঁড়ার অবস্থা। শ্রোতারা বিরক্তির চরমে। ভদ্রতা করে উঠে যাচ্ছে না শুধু। 


একবার ভাবুন তো, যে লোক এ বছর বিরক্ত হয়ে ফিরলেন, তিনি কি আগামী বছর আসবেন? না, আসবে না।  এটাই বাস্তবতা। আর এখানেই ওহাবি-সালাফিরা সুযোগ নেয়। এরা রেফারেন্সের ভেল্কি দেখায়। নিজেকে আধুনিক সাজায়। আর সঙ্গত কারণেই অভিজাতরা তাদের দিকে ঝুঁকে। অভিজাতদের অত গবেষণার সময় নেই যে ওহাবি, কে সুন্নি। হুযুর হলেই হল। এরপর হুযুর যদি হয় মডার্ন, আধুনিক মুখোশের- তাহলে কথাই নেই। 


অভিজাত ও শিক্ষিতরা সংস্কারবাদী হয়। নিজেকে সামগ্রিক সমাজ থেকে আলাদা ভাবে। কেউ নতুন কিছু করলে আগ্রহ দেখায়। এটা তাদের অবচেতন বা সাবকন্সেস সাইকোলজি।  আর এখানেই সুন্নিরা ধরা খাচ্ছে। সুন্নিদের নতুনত্ব, নবায়ন নেই। 


সুন্নিরা মাজারকেন্দ্রিক ব্যবসার যথার্থ প্রতিবাদ করে না। সুন্নি নামধারী ভন্ডদের যথেষ্ট প্রতিহত করে না। ওহাবিদের গালি দেয়, কিন্তু মানুষকে গঠনমূলক ভাবে বুঝায় না ওহাবি-সালাফিদের মৌলিক ত্রুটি কোন জায়গাতে। কালচার না বুঝে কথা বলা সবচে বড় সমস্যা। আর একজন আলেমের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব- দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন। এটা করছে না। সুন্নিরা কেমন নেতিয়ে গেছে। শেরেবাংলার সেই বিপ্লবী চেতনা এখন মরচিকার মত। 


মূলত এসব কারণেই অভিজাতরা সুন্নিদের দেখলে নাক সিটকায়। পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী ভাবে। সহজ ভাষায় ফিকিন্নির জাত। অথচ সূফিরাই সবচে অভিজাত পরিবার থেকে এসেছে, আসে। বাবা শাহজালাল, শাহ আমানত, মাখদুম রূপস এভাবেই সব আউলিয়াগণ সবচে অভিজাত পরিবার থেকে এসেছেন। 


এমনকি মাদানি যুগে দেখুন। প্রথম দিকের সাহাবিরা বেশীরভাগ অভিজাত। হযরত আবু বকর, হযরত ওসমান, মওলা আলী, মা খাদিজা- তাঁরা সবাই সমাজের সবচে সম্মানিত পরিবারের। ইতিহাসের শুরু থেকেই ইসলাম প্রচারে সবচে বেশী এগিয়েছে অভিজাত শ্রেণি।  


শিক্ষিত সমাজের দিকে দেখুন। শিক্ষিতরা শুধু কুষ্টিয়ার সেই অধ্যাপকের দিকে ঝুঁকে কেন? আমাদের কি কেউ নেই! ঢাবি, চবি, শাবিপ্রবি, জবি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অধ্যাপকদের চিনি। যারা অনেকেই বিভাগীয় প্রধান। আপাদমস্তক সুন্নি। তাঁরা এগুচ্ছেন না কেন? আলেম সমাজ করছেন কি? দোহাই আপনারা বদলান। স্মার্ট হন। সোসাইটি ও কালচার বুঝুন। মানুষের ভাষায় কথা বলতে শিখুন। সাইপ্রাসের নাজিম হাক্কানিকে দেখুন। তাঁর ডেপুটি হিশাম কিব্বানিকে দেখুন। তাঁরা সূফি হয়েও চূড়ান্ত আধুনিক। 


শুধু সামাজিক আন্দোলন দিয়েই হবে না। রাজনৈতিক অংশগ্রহণও সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া দরকার। দাওয়াতি কার্যক্রম বেশী দরকার সুন্নিদের। পড়াশুনা বাড়ানো ওয়াজিব হয়ে গেছে। সুন্নিদের গবেষক, লেখক, কবি, বক্তা, রাজনীতিক, শিক্ষক, প্রশিক্ষক- শ্রেণি গড়ে তোলা এখন ওয়াজিব। এর সাথে মানবিক কার্যক্রমে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। 


এসব যদি না করি, যেভাবে চলছে, সেভাবেই যদি চলে- খুব বেশী দিন নেই, যখন সুন্নিরা বিরলপ্রাণি বা এলিয়েনে পরিণত হবে। বর্তমানেই তো সুন্নি-সূফিরা এদেশে হিন্দুদের থেকেও সংখ্যালঘু। 


সামনে দিন, আরো আসছে কঠিন।  মনে রাখবেন- নিজে না চাইলে আল্লাহ্‌ও ভাগ্য পরিবর্তন করে না।


লেখকঃ মাহদী গালিব


আরও খবর