Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাট জেলাতেও মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র লালমনিরহাট এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১০টায় গণভবন প্রান্ত হতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে উক্ত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।

লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ আতিকুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র মোঃ রেজাউল করিম স্বপন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতআরা ফেরদৌস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা রাশেদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

পরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের পাশে নির্মিত লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।


আরও খবর



অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন রুটে স্বল্প দূরত্বের পরিচিত যান হিউম্যান হলার-লেগুনা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুটপারমিট ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলেও প্রভাবশালী রাজনীতিকদেরমদতেআর পুলিশের আস্কারায় লক্কড়ঝক্কড় অবস্থায় বছরের পর বছর বীরদর্পে রাজপথে চলছে বিপজ্জনক এই যান পুরাতন মাইক্রোবাস কেটে লেগুনায় রূপান্তর করা এসব যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণও 

ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে, এসবের স্টিয়ারিংও রয়েছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতে। যাদের হেলপারও কোমলমতি শিশু। লেগুনা মালিক-শ্রমিকরা এক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করছেন না। শিশুশ্রম বিষয়টিও বেমালুম কেয়ারই করছে না শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তবে কাগুজে তৎপরতা কিছুটা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। 

ছাড়া দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম হলেও নিয়ে কোনো ভূমিকাই দেখা যাচ্ছে না পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। নিয়মনীতি মেনে না চলা এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নজিরও খুবই কম। যার অন্যতম কারণ এসব লেগুনার মালিকানায় রয়েছেন খোদ পুলিশ সদস্যরাও। গতকাল দৈনিক বাংলা মোড়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় দুই কনস্টেবলের সাথে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)  

তারা জানান, রাজনৈতিক নেতা, প্রতিবন্ধী, সাংবাদিক পুলিশের মালিকানায় চলছে রাজউক ভবনের সামনে থেকে বাসাবো-খিলগাঁও রুটের লেগুনা। রুটপারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই; জানা থাকলেও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। কোনো একটি লেগুনা আটকালেই সাংবাদিক, না হয় রাজনৈতিক নেতা কিংবা খোদ পুলিশ অফিসাররাও ফোন দিচ্ছেন। চা খাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছেন। 

তবে প্রতিদিন দৈনিক বাংলা মোড়ে ফকিরাপুল মোড়ে দুটি করে লেগুনা রেকার করা হয়। রেকার বিল নিয়ে আবার ছেড়েও দেয়া হয়। সরকারের রাজস্বের যোগান হলেও অনিময়মের মধ্য দিয়েই চলার কারণ রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ সাংবাদিকদের মালিকানা। রাজউক ভবন থেকে খিলগাঁও-বাসাবো রুটে যে কটি লেগুনা চলছে এর মধ্যে ১৫টি সাংবাদিকের, পুলিশের মালিকানায়ও প্রায় ২০-৩০, বাকি সব রাজনৈতিক নেতাদের, প্রতিবন্ধীদের। ঢাকার অন্যান্য রুটেও একই অবস্থা বলে বলছেন তারা। 

ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা প্রাপ্তবয়স্ক চালকদের কাগজপত্র তল্লাশি করতে দেখা গেলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার। পুলিশের সামনে দিয়েই যানবাহনের স্টিয়ারিংয়ে বসে মাঝে মাঝে যাত্রীবাহী লেগুনা নিয়েই অপ্রাপ্তবয়স্করা মেতে উঠছে গতির লড়াইয়েও। ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্বশীল দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, অনেক সময় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদেরও এসব লেগুনায় যাতায়াত করতে দেখা যায়

বেশ কিছু দিন ধরে সরেজমিন ঘুরে ঢাকার রাস্তায় চলাচল করা অধিকাংশ লেগুনাতেই দেখা গেছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। যারা ওস্তাদের দেয়া ট্রেনিংয়ের ভিত্তিতেই স্টিয়ারিং ধরেছে বলে জানায়। আর এই ট্রেনিং তাদের কাছে বিআরটিএর লাইসেন্সের চেয়েও মূল্যবান। বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই চালকের আসনে বসা এসব বালক চালকদের সহযোগীও কোমলমতি শিশুরা। ঢাকায় সরকারি হিসাবে বৈধ প্রায় পাঁচ হাজার লেগুনার স্টিয়ারিংয়ে বসে আছে অন্তত ১০ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। সংখ্যার ৬০ শতাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া প্রতিটি লেগুনায় রয়েছে একজন করে হেলপার। সে হিসাবে ১০ হাজার হেলপারের মধ্যে হাজারই অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং কোমলমতি শিশুও রয়েছে । 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক হয়, সেখানে ১৩-১৪ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোররাই বনে যাচ্ছে চালক-হেলপার। যারা মানুষের সাথে সঠিক আচরণ কীভাবে করতে হয় তাও বুঝে না এখনো। আর এদেরই কাজে লাগাচ্ছে লেগুনা সংশ্লিষ্টরা। যেখানে আন্তর্জাতিকভাবেই শিশুশ্রম নিষিদ্ধ।     

বাংলাদেশে শ্রম অধিদপ্তরের কলকারখানা পরিদর্শকরা যেসব প্রতিষ্ঠানে শিশুশ্রমিক আছে বা যেসব মালিকরা শিশু শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু প্রক্রিয়াও এখন কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।হানিফ খোকন বলেন, ‘শিশুশ্রমের ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ। ঢাকায় লেগুনাচালক অপ্রাপ্তবয়স্ক কেবল তাই না, বিভিন্ন সিএনজি গ্যারেজে মিস্ত্রি হিসেবেও কাজ করছে শিশু-কিশোররা। ছাড়া ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ, লেদ আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতেও যারা কাজ করে তাদের বয়সও সর্বোচ্চ ১০-১২ বছর। শিশুশ্রমে জর্জরিত আমাদের দেশ। ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক ড্রাইভাররাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেগুনার চালক-হেলপার নেয়। রাস্তায় ঘুরাফেরা করে এমন শিশু-কিশোরদের তারা ধরে এনে স্টিয়ারিংয়ে বসাচ্ছে। 

ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কাজ করছে দৈনিক ২০০ টাকার লোভ, আর নিয়োগ দেয়া চালকের ভাবনায় থাকছে প্রফেশনাল কাউকে নিলে দিতে হবে বেশি বেতন খাবার খরচ। বাড়তি খরচ এড়াতেই ২০০ টাকায় শিশু-কিশোর দিয়ে লেগুনা চালাচ্ছে তারা। 

তিনি আরও বলেন, লেগুনাগুলো চলে দৈনিক জমায়। গাড়িগুলোও খুবই লক্কড়ঝক্কড়। প্রাপ্তবয়স্ক অভিজ্ঞ চালকরা এসব চালাতেও চায় না। যারা লাইসেন্স পায়নি, অপ্রাপ্তবয়স্ক বা হেলপারি করত ঝুঁকি উপেক্ষা করেই তাদের হাতেই স্টিয়ারিং দিচ্ছে তারা। ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থারও ব্যর্থতা রয়েছে, শ্রম অধিদপ্তরেরও অবহেলা আছে। অন্যথায় লেগুনা কিংবা গণপরিবহনে শ্রম আইনের এমন বরখেলাপ হতে পারে না

এদিকে অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনার প্রবণতাও বাড়ছে। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওস্তাদের কাছ থেকে ড্রাইভিং শেখা অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা যাত্রী পরিবহন করে পুলিশের নাকের ডগায়। সড়কে চলাচলরত অবস্থায় লাইসেন্সের বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক ডিভিশনের। তাদের দায়সারা দায়িত্ব পালনের কারণেও এসব বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। একাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পুলিশ থামায়, পরে ছেড়েও দেয়। 

যাত্রীরা বলছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা নিজের মতো গাড়ি চালায়। কোনো কিছুর ধার ধারে না। এদিকে নিজেদের দক্ষতার কথা জানান দিয়ে এসব চালকদের ওস্তাদরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, অভিজ্ঞ সিনিয়রদের না দিয়ে কম বয়স্কদের দিয়ে বেশি আয় করার জন্য গাড়ি চালান তারা। যদিও কম বয়সি চালকরা কিছুটা অসতর্কতার সাথে চালায় বলেও স্বীকার করছেন তারা। ভবিষ্যতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ের হাল ধরার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই কোমলমতি শিশু হেল্পাররাও। সব জেনেও কেন উঠেন এমন প্রশ্নের জবাবে যাত্রীরা বলছেন, বাধ্য হয়েই লেগুনায় উঠছেন তারা।  

পরিবহন বিশেষজ্ঞ . মো. শামসুল হক বলেন, ‘অদক্ষ, অবৈধ চালক দিয়ে যখন চালানো হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই এরা যানজটের দিকে লক্ষ করবে না, নিরাপত্তার ইস্যুটিও লক্ষ করবে না। তাদের নজর রাস্তায় থাকে না, নজর থাকে যাত্রীর দিকে। রাজধানীতে অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা। যাদের না আছে লাইসেন্স, না আছে সংকেত সম্পর্কে কোনো ধারণা। অদক্ষ চালকের কারণেই দেশে আশঙ্কাজনক হারে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

এদিকে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চাইল্ড লেবার ইউনিট শিশুদের জন্য ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপারের কাজটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২০১৩ সালে একটি তালিকা প্রণয়ন করে। সেখানে বলা হয়, সরাসরি রৌদ্রের মাঝে ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপার হিসেবে কাজ করার কারণে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ধোঁয়া সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়মিত খাবার গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এসব শিশু-কিশোরদের। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা, পাকস্থলিতে ঘা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, মূত্রনালীতে সংক্রমণ এবং শারীরিক মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে বলেও উল্লেখ করা হয়। 

এসব থেকে পরিত্রাণ মোটকথা, শিশুশ্রম বন্ধের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা প্রণয়নের পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দিনে দিনে খাতে শিশু-কিশোরদের সংশ্লিষ্টতা বেড়েই চলেছে। এসবের তদারকিতে যেন এক ধরনের অনীহা প্রকাশ পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। তবে সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদেরউপানুষ্ঠানিক শিক্ষাদক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণপ্রদানের মাধ্যমে শিশুশ্রম নিরসনে বিকাশের মাধ্যমে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বৃত্তি মেধাবৃত্তি বিতরণ করবে বলে বিকাশের সাথে একটি চুক্তি করে। এক লাখ শিশুর জন্য এই প্রকল্প। 

গণপরিবহনে নিয়োজিত শিশু-কিশোরদের জন্য পৃথক কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব . সেলিনা আক্তার বলেন, ‘এদের জন্য আলাদা করে কিছু নেই। যেসব এনজিও নিয়ে কাজ করছে তারা তালিকা দিচ্ছে। আমরা দেখছি। তবে আলাদা করে কিছু নেই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় তারাও পড়বে

 


আরও খবর



আগুনের ঝুঁকিতে ঢাকার বেশির ভাগ ভবন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

২০২২ সালে ফায়ার সার্ভিস ঢাকার এক হাজার ১৬২টি ভবন পরিদর্শন করে। এরমধ্যে ৬৩৫টি ভবনকে আগুনের ঝুঁকিতে থাকা চিহ্নিত করে নোটিশ দেয়। তারমধ্যে আবার ১৩৬টি আবার অতি ঝুঁকিপূর্ণ। মোট ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ৬৩৪টি। শতকরা হিসাবে ৫৪ দশমকি ৬৭ ভাগ।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা আমাদের জনবল অনুযায়ী প্রতিবছরই ভবন পরিদর্শন করি। আর আমাদের অভিজ্ঞতা হলো ঢাকার ভবনগুলোর ৫৫ ভাগেরও বেশি আগুনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর তার মধ্যে সরকারি ভবনও আছে।

পরিদর্শন করা ওই এক হাজার ১৬২টি ভবনের মধ্যে সরকারি ভবন ৪৯৭টি আর বেসরকারি ৬৬৫টি। সেই হিসাব আলাদা থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদনে ঝঁকিপূর্ণ ভবন সরকারি ও বেসরকারি আলাদা করা হয়নি।

ফায়ার সার্ভিস থেকে জানা যায়, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন ছাড়াও এই ঝঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ব্যাংক ও মার্কেট সবই আছে।

২০২২ সালে সারাদেশে মোট পাঁচ হাজার ৮৬৮টি ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। তার মধ্যে দুই হাজার ২২৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। সেই বিবেচনায় সারাদেশে ৩৮ ভাগ ভবন আগুনের ঝুঁকিতে আছে

২০২৩ সালেও দুই হাজারের মতো ভবন ঢাকায় পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস। সেখানেও অর্ধেকের বেশি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানান ফয়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তারা প্রকাশ করেনি।

পরিদর্শনের সময় ভবনের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ও অতিঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস।

২০১৯ সালে ফায়ার সার্ভিস ঢাকায় একটি সার্ভে করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক। তাতে দেখা যায় ঢাকার তিন হাজার ৭৭২টি প্রতিষ্ঠান আগুনের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে এক হাজার ৩০০ শপিংমল, মার্কেট ও বিপনিবিতান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৬১টি, ব্যাংক ৬৪, হাসপাতাল ৪২২, আবাসিক হোটেল ৩১৮ এবং ২৪টি মিডিয়া ভবন আগুনের ঝুঁকিতে আছে।

ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গড়ে প্রতিদিন ৭৭টি। এইসব আগুনের ঘটনায় সারা দেশে মোট ২৮১ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছেন। এইসব ঘটনায় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস তার প্রতিবেদনগুলোতে ওই সব অনিয়ম এবং ঝুঁকির ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার উল্লেখ করেনি। বাস্তবে তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয় না। যেমন বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের ব্যাপারে তারা তিন বার নোটিশ দিলেও আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা নোটিশের পর মামলা ও মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারি। তবে মামলা করে তেমন ফল হয় না। ২০১৪ সালের ফায়ার বিধিমালা স্থগিত থাকার ফলে মামলা কাজে আসে না। আর আমাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় মেবাইল কোর্ট পারিচালনাও কঠিন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিলগালা করতে পারি না। আইনে আমাদের সেই ক্ষমতা নাই। বার বার নোটিশ দেয়ার পরও যখন ভবন মালিক আমলে না নেয় তখন আমরা ভবনটি অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ বলে নোটিশ টানিয়ে দিই। কিন্তু আমরা চলে আসার পর তা তারা ছিড়ে ফেলেন।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আলি আহমদ খান বলেন, নোটিশ দেয়া প্রাথমিক পদক্ষেপ। শুধু নোটিশ দিয়ে তো হবে না। এরপর মামলা দায়ের ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। জরিমানা এবং অন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক এই মহাপরিচালক বলেন, ভবন মালিকদের নোটিশ দিলে তাদের কেউ কেউ ভবনের নিরাপত্তা বাড়ান। তবে অধিকাংশই এটা আমলে নেন না। কারণ তারা জানেন এরপর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। তারা এটা নানাভাবে এড়াতে পারেন।

স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ভবনের নানা ধরনের অনুমোদন এবং নিরাপত্তার বিষয় দেখার জন্য সরকারের ছয়টি মন্ত্রণালয় আছে। তারা কেউই দায়িত্ব পালন না করে চাঁদাবাজি করে। তারা বিভিন্ন ধরনের অনুমোদনের নামে ব্যবসা করে।

তিনি বলেন, ঢাকার ভবনগুলোর মধ্যে ৮৮ ভাগ ভবন অবৈধ। আর বাকি ১২ ভাগ কোনো না কোনোভাবে ব্যত্যয় করেছে। এটা ড্যাপের সমীক্ষা রিপোর্ট। রাজউক এলাকায় মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ভবনের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট আছে। তাহলে পরিস্থিতি বুঝুন।

এই দুইজন মনে করেন, ভবনের অনুমোদনসহ নানা বিষয় একটি ছাতার নিচে আনা দরকার। আর আইনেরও সমন্বয় দরকার। কারণ রাজউকের আইনে ১০ তলার পর বহুতল আর ফায়ার সার্ভিসের আইনে ছয় তলার পর বহুতল-এই দুই রকম তো হতে পারে না।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরও খবর



মৌলিক চাহিদা মেটাতে ঋণ করে ২৬% পরিবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

চড়া মূল্যস্ফীতি আর লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে অতিষ্ঠ দেশের চার কোটি মানুষ খাবার কিনছে ধার-দেনা করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রতিফলন উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্য নিরাপত্তা জরিপে। সংকট কাটাতে সঠিক পরিকল্পনা ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাড়ানোর তাগিদ অর্থনীতিবিদদের।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পঞ্চাশোর্ধ ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সিরাজ। বছর দুয়েক ধরে চলা মূল্যস্ফীতির মোটাদাগের প্রভাব তার জীবনে। আয়ের তুলনায় বেড়েছে ব্যয়। অর্ধেকে নামিয়েছেন খাওয়া-দাওয়া। চলতে হচ্ছে ধার-দেনায়। তিনি বলেন, আগে দিনে তিন/চারবার খেয়েছি। এখন দুই থেকে তিনবার খেয়ে হলেও চলতে হবে। ধরে আমি একবেলা কম খেলাম। কিন্তু বাচ্চাদের তো ঠিক রাখতে হবে।

আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলাতে এনজিও থেকে ঋণ করেছেন রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক। সংকটের এমন চিত্র উঠে এসেছে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত বিবিএসের খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিবেদনে। তিনি বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি। কিন্তু সেটা শোধ করতে পারছি না। পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক সময় না খেয়েও থাকতে হয়।

বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, দেশের চার ভাগের এক ভাগ মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাচ্ছে ঋণ করে। যাতে সবচেয়ে বেশি ২৮ শতাংশ ঋণের দায় গ্রামের মানুষের। অন্যদিকে শহরে ২৪ এবং সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের ঋণ করতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ হারে। যার জন্য চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এই অবস্থায় তাল সামলানোর বেশি চাপে মধ্যবিত্ত শ্রেণি।

বিআইআইসিসির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর বলেন, অর্থনৈতিক চাপ রয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এসময়ে কর্মসংস্থান হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গুণগত হয়নি। ফলে পর্যাপ্ত আয়-উপার্জন নেই। যে কারণে তারা বিভিন্ন খাত থেকে ধার-দেনা করেছে।

বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতি কতটা ভঙ্গুর, এই তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে। ঋণ করে নিজের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন অনেকে। প্রয়োজন মেটাতেই এটা করছেন তারা।

বিবিএস বলছে, ২২ শতাংশ পরিবার মাঝারি বা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ কৃষক পরিবারের সমস্যা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যারা দরিদ্রসীমার ওপরে আছেন, তাদেরও যে আয় বেশি সেটা কিন্তু নয়। তারা আরামদায়ক পরিস্থিতিতে আছেন, ঠিক তেমনটা নয়।

বিআইআইসিসির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য রেড অ্যালার্ম। খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষগুলো জনসম্পদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন। যদি দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় থাকেন।

২০২২ সালের জুনের ১৫ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার খানার ওপর এই জরিপ চালায় বিবিএস।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




গাজায় ত্রাণ চাইতে আসা মানুষের ওপর হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ চাইতে আসা মানুষের ওপরও গুলি করেছে ইসরায়েলের সেনারা। ইসরায়েল বলছে, বেশির ভাগই ভিড়ের মধ্যে পদলিত হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু ওই ঘটনায় আহতদের নিরীক্ষা করে দেখা গেছে- তাদের মধ্যে ৮০ ভাগই গুলিতে জখম হয়েছেন। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ সর্বত্রই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এবার ত্রাণের আশায় যেসব মানুষ এসেছিল, তাদেরও গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচার চেয়েছে জাতিসংঘ। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর গুলির ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৭৫০ জন। আল-আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সালহা এপিকে বলেছেন, ১৭৬ জন আহতের মধ্যে ১৪২ জনেরই গুলি লেগেছে। এর মধ্যে বাকি ৩৪ জন পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন। তবে নিহতদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি। কেননা, মরদেহগুলো গণনার জন্য সরকার পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রমজানের আগেই যুদ্ধবিরতি : আসন্ন রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি শুক্রবার এই আশাবাদ জানিয়েছেন। একই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আন্তর্জাতিক জোট আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে তুরস্কে রয়েছেন শৌকরি। সেখানে এক ভাষণে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি যে এই যুদ্ধের সব পক্ষ, অর্থাৎ আমরা সবাই ইতোমধ্যে সমঝোতার একটি পয়েন্টে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করছি, রমজানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি হস্তান্তর শুরু হবে।

ইসরায়েলের হামলায় ৭ জিম্মি নিহত : গাজা উপত্যকায় অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এই নিহতদের মধ্যে ৪ জন ইসরায়েলি এবং ৩ জন বিদেশি নাগরিক। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা উবাইদা। কিন্তু উপত্যকার কোন এলাকায় এই ৭ জিম্মি নিহত হয়েছেন, তা বলেননি তিনি।

গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলবে যুক্তরাষ্ট্র : ইসরায়েলের নির্বিচার চলমান গণহত্যার মধ্যে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা গাজাবাসীর জন্য বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার গাজা সিটির কাছে ত্রাণের জন্য ভিড় করা শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পরদিন শুক্রবার বাইডেন এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে। এদিকে ত্রাণ সংস্থা অক্সফাম বলেছে, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ ফেলার বিষয়টি অক্সফাম সমর্থন করে না, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাদের বিবেকের দায় থেকে মুক্তি দিতে কাজ করবে, যাদের নীতি গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে অবদান রাখছে। এর পরিবর্তে ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা উচিত বলে মনে করে সংস্থাটি।


আরও খবর



সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) কর্তৃক বাজার মনিটরিং

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান :

রমজানের পবিত্রতা ও বিশুদ্ধতা রক্ষা ও ঈদুল ফিতরে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের  নাগালের মধ্যে রাখতে মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, পিপিএম সেবা স্যারের নির্দেশক্রমে বাজার মনিটরিং করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, রাজাপুর সার্কেল, জনাব মাসুদ রানা। এসময় রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্যান্য অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

রাজাপুর থানার অন্তর্গত বাইপাস মোর,বাগরী বাজার, পুটিয়াখালী বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

মনিটরিং এর অংশ হিসেবে চাল, ডাল, চিনি, চিড়াসহ অন্যান্য মুদি মালামাল, খেজুর সহ অন্যান্য ফল, মাছ, মাংস, শাক সবজি ইত্যাদি পণ্যের দাম, ওজন, মান পরিমাণ যাচাইসহ কৃত্রিম সংকট তৈরীর জন্য অতিরিক্ত মজুদ আছে কিনা তা যাচাই করা হয় এবং বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়। ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকান স্থাপন করে পন্য বিক্রিতে ব্যবসায়ীদের নিষেধ করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মো: মাসুদ রানা  এ মনিটরিং চলমান থাকবে বলে জানান।

সাধারণ মানুষ এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।


আরও খবর