Logo
শিরোনাম

মধ্যবিত্তের বাজারের হিসাবে কাটছাঁট

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি প্রশাসন। পাইকারি বাজারে সরবরাহ চেইন এখনো সিন্ডিকেটের হাতে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের দাম আরও এক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশে ভোগ্যপণ্যের সিংহভাগই আমদানিনির্ভর। ছোলা, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ প্রধান কয়েকটি পণ্যের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় রমজান মাসে। তবে এলসি সংকটে আমদানি কমে যাওয়ায় আসন্ন রমজান অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কঠিন হতে যাচ্ছে ভোক্তাদের জন্য। এখনই উদ্যোগ নেওয়া না হলে রোজার আগে পণ্যবাজার নতুন করে অস্থির হয়ে উঠতে পারে। খোদ ব্যবসায়ীরাই এমনটা মনে করছেন। 

এদিকে চট্টগ্রামে বাজারে দফায় দফায় বেড়ে চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। আজ এক পণ্যের দাম বাড়লে কাল বাড়ে আরেক পণ্যের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। কিছু সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে এক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ডিম ও কাঁচামরিচের দাম। পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব নেই। মাছ ও মাংসের দাম বাড়ার ফলে ক্রেতারা এখন ঝুঁকছেন সবজির দিকে। ফলে সবজির দামও এখন লাগামহীন।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের মোট পণ্যের প্রায় অর্ধেকই নিয়ন্ত্রিত হয় এ বাজার থেকে। এসব পণ্য আমদানির সঙ্গে যুক্ত চট্টগ্রামভিত্তিক একাধিক শিল্প গ্রুপ। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকের তারল্য সংকট ছাড়াও ডলার সংকটের কারণে আমদানি ভোগ্যপণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে রোজায় পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজার থেকে রমজানের নিত্যপণ্য কিনে মজুত করা শুরু করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে আমদানিকারক ও পাইকারি বাজারে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। আমদানিকারকরা সব ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। রমজান আসার আগেই চড়া ডাল ও ছোলার বাজার। দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই ডালের দাম বাড়িয়েছেন। পাইকারি বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৭৬ টাকা। আর খুচরা বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯৫ টাকার বেশি।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডলার সংকটের কারণে আমদানি-পরবর্তী কিছু ভোগ্যপণ্যের খালাস নিয়ে জটিলতা তৈরি হলেও এখন সরকারি নানান সিদ্ধান্তের কারণে তা কেটে গেছে। বড় আমদানিকারকরাও নতুন করে এলসি (ঋণপত্র) খুলেছেন। বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার সংকট হবে না বলে আশা করছেন অনেকে।
পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মনপ্রতি ১শ টাকা বেড়ে সয়াবিন তেল ৬ হাজার ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া মনপ্রতি ১৫০ টাকা কমে পামতেল ৪ হাজার ৮৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সুপার সয়াবিন মনপ্রতি আগের ৫ হাজার ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিলিটার খুচরা তেল ১৯০ থেকে ১৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল খুচরায় ১৮৬ টাকা ও পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি পলিব্যাগ লিটারপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।

এছাড়া প্রতিকেজি চিনি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১১৮ টাকা। ভারতীয় গম বিক্রি হচ্ছে প্রতিমন ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। চিনি প্রতিমন ৩ হাজার ৯৫০ টাকা, ভারতীয় মরিচ কেজি ৪৬৯ টাকা, হলুদ ১১০ টাকা, রসুন ১১০ টাকা। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে শুধু পেঁয়াজের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। ভালোমানের ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৮ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে। দেশি পেঁয়াজ আরও ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে চালের। প্রতি বস্তা মোটা সিদ্ধ চালের দাম ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সিদ্ধ মিনিকেটের দাম আগে ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা। এ সপ্তাহে তা ২ হাজার ৯০০ টাকা। গুটি স্বর্ণার দাম ছিল ২ হাজার ৩০০ টাকা, এখন ২ হাজার ৪০০ টাকা। ভারতীয় স্বর্ণার দাম ২ হাজার ৪০০ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৪৫০ টাকা হয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে পারি সিদ্ধ জাতের চালের দাম ২ হাজার ৪৫০ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৬৫০ টাকা হয়েছে। খুচরা বাজারেও অস্থির চালের বাজার।

খাতুনগঞ্জের নিউ আমানত স্টোরের মালিক কামরুল হাসান রাজু জানান, টানা কয়েক মাস ধরে অস্থির ভোগ্যপণ্যের বাজার। বাজার অস্থিতিশীলকারী সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়। প্রশাসন পণ্যের সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। তাই সিন্ডিকেট রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের বাজার আবারও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। 

বাজারদর : গত দুই-তিন সপ্তাহ রেকর্ড ভেঙে ২৩০-২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা । এ নিয়ে দেড় মাসের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকার বেশি। বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা saকেজি। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৫০-৬০ টাকা। লাউ আকারভেদে ৬০-৭০ টাকা। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৫০ টাকা। শিম ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০-১০০ টাকা, পটোল ৮০, করলা ৭০-৯০ টাকা ও আলু ২৭-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫-৭০ টাকা ও ঝিঙ্গা ৭০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




মোরেলগঞ্জে মধ্যরাতে বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাগানে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে এক গৃহ পরিচারিকার মরদেহ। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের বাড়ির বাগান থেকে হাওয়া বেগমের(৬০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, বাদুরতলা গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা হাওয়া বেগম ৩ দিন পূর্বে ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে ২ হাজার টাকা বেতনে ঝি এর কাজ নিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে খাবার সময় তাকে খুজে না পেলে বাড়ির লোকজন এক পর্যায়ে ঘরের বাইরে বাগানে গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পান হাওয়া বেগমের মরদেহ। 

হাওয়া বেগমের মেয়ে কমলা বেগম(৪০) বলেন, তার মা রুজির টানে ঝি এর কাজ নিয়েছিলেন। রাতে হঠাৎ শুনি সে আত্মহত্যা করেছে। তার গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিলো। 

এ বিষয়ে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, হাওয়া বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় আজ শনিবার একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে শনিবার তার মরদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম করানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। ##


আরও খবর



হত্যার পর লাশ পুতে রাখার অভিযোগ, স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মির্জা হৃদয় সাগর,জেলা প্রতিনিধি,

নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আবুল হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর বাড়ির পাশে খালে পুতে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীসহ মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে সকালে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের বড় বেতাম গ্রামের সাপমরা খাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, আবুলের স্ত্রী রূপবাহার (৪২), মেয়ে চিন্তা মনি (১৩) ও তাদের সহযোগী আশিকুর রহমান আবির (১৯)। এদিকে ছেলে আরমান মিয়া (২৪) মিয়া ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে গেছে।

মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মোহনগঞ্জ থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) কানাই লাল চক্রবর্তী মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বলেন, গত শনিবার বিকেলে থেকে নিখোঁজ হন আবুল হোসেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সূত্র খুঁজতে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে আবুল হোসেনের ছেলে আরমানের সহযোগী আশিকুর রহমান আবিরকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। কৌশলী প্রশ্নের এক পর্যায়ে আবির স্বীকার করে—শনিবার রাতে আবুল হোসেনকে নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করে তার ছেলে আরমান। এ কাজে মেয়ে চিন্তা মনি ও স্ত্রী রূপবাহার তাকে সহযোগীতা করে। লাশ গুম করার জন্য বন্ধুকে ডেকে নেয় আরমান।

গভীর রাত পর্যন্ত লাশ কিভাবে গুম করা হবে এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে ভোর হয়ে যায়। একবার পুড়িয়ে ফেলারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে লোকজন দেখে ফেলবে সেই ভয়ে বাড়ির পাশের সাপমরা খালে কোদাল দিয়ে গর্ত করে গলা পর্যন্ত মাটির নিচে পুতে রাখা হয়। পরে উপরের জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খালে ছেড়ে দেওয়া হয়। যেন লাশ পানিতে তলিয়ে যায়।  

কানাইলাল আরও জানান, এই তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করা হয়। গলা পর্যন্ত লাশ মাটির নিচে পুতে রাখায় তুলতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। পরে অভিযুক্ত মেয়ে চিন্তা মনি ও স্ত্রী রূপবাহারকে আটক করা হয়। এদিকে হত্যার প্রধান অভিযুক্ত ছেলে আরমান মিয়া পালিয়ে গেছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাবাদ করে আরও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখনো কোন মামলা হয়নি।  এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে। এদিকে পালিয়ে যাওয়া আরমানকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।


আরও খবর



জমজমাট ইফতার বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

রমজানের প্রথম দিনেই জমে উঠেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতার বাজার। শুক্রবার পয়লা রমজানে পুরান ঢাকার চকবাজার জামে মসজিদের সামনের সড়কে ভরে উঠেছে হরেক রকমের কাবাব, কোফতা, রোস্ট, পরোটা, তন্দুরি, ফুলুরি, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালুয়া, শরবতের মতো শতেক পদের উপাদেয় খাবারের সম্ভারে। তবে দাম বেশ চড়া।

চকবাজারের ইফতারির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ নামের বিশেষ ইফতারি। এটি কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ তৈরিতে মাংস, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, ডাবলি, বুটের ডাল, ডিম, মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনো মরিচসহ নানা পদের খাবার আইটেম এবং হরেক ধরনের মসলা প্রয়োজন হয়।

প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দরে এটি বিক্রি হচ্ছে। ৬৮ বছর আগে ১৯৪৫ সালে শাহী জামে মসজিদ চত্বরে বাণিজ্যকভাবে এ খাবার বিক্রি শুরু করেন এক ব্যক্তি। সেই খাবারটি এখন পুরান ঢাকাসহ গোটা রাজধানীতে একটি আকর্ষণীয় ইফতারির আইটেম হিসেবে পরিচিত। আকর্ষণীয় সব আইটেমের পাশাপাশি প্রচলিত ইফতারির কদরও অনেক বেশি এই চকবাজারে।

ইফতার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিলাপি কালাই আইটেম ২৪০ টাকা, আটার জিলাপি ২০০ টাকা, বড় সাইজের জিলাপি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শিঙাড়া ১৫ টাকা প্রতি পিস, সমুচা ১৫ টাকা, চিকেন টোস্ট ৪৫ টাকা, চিকেন পরোটা ৫০ টাকা, বিফ পরোটা ৬০ টাকা, নরমাল পরোটা ৩০ টাকা, বেগুনি ৫ টাকা, আলুর চপ ৫ টাকা, পেঁয়াজু ৫ টাকা, ভেজিটেবল পাকোড়া ৫ টাকা, ডিমচপ প্রতিটি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ঘুমনি ৮০ টাকা কেজি, ছোলা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, সবজির বড়া ১০ টাকা প্রতিটি, গরুর টিকা ৩০ এবং মুরগির টিকা ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জালি কাবাব প্রতি পিস ৫০ টাকা, সাসলিক ৫০ টাকা, টিকা কাবাব ৫০ টাকা, কোয়েল পাখির রোস্ট ৭৫ থেকে ১০০ টাকা, চিকেন রোল ৬০ টাকা, আস্ত মুরগি ৩৫০ টাকা, পনির ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পানীয় আইটেমের মধ্যে পেস্তা শরবত ২০০ টাকা লিটার, মাঠা ৮০ টাকা লিটার, বোরহানি ১২০ টাকা লিটার, ফালুদা বড় বাটি ২০০ টাকা, ফালুদা ছোট বাটি ১০০ টাকা, দইবড়া বড় বক্স ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




পাল্টা-হামলা করবে না ইউক্রেন : জেলেনস্কি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

টানা ১৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলা রুশ এই আগ্রাসন মোকাবিলায় পশ্চিমা সহায়তায় পাওয়া অস্ত্র নিয়ে লড়ছে ইউক্রেন এমনকি পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির পাল্টা হামলায় রুশ সেনারা বহু সময়ই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে

তবে ইউক্রেনের এই পাল্টা হামলা চালানো নিয়েই এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে মূলত পশ্চিমা অস্ত্র না পেলে কিয়েভ পাল্টা হামলা চালাবে না বলেও জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রবিবার (২৬ মার্চএক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছেপশ্চিমা মিত্ররা আরও সামরিক সহায়তা না পাঠানো পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ শুরু করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জাপানি একটি সংবাদপত্রকে তিনি বলেনআরও ট্যাংকআর্টিলারি এবং হিমারস রকেট লঞ্চার ছাড়া তিনি তার সৈন্যদের ফ্রন্টলাইনে পাঠাবেন না

বিবিসি বলছেজাপনের সংবাদপত্র ইয়োমিউরি শিম্বুনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন সেখানে তিনি বলেনপূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতি ‘ভালো নয় তার ভাষায়,‘আমরা আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে গোলাবারুদ আসার জন্য অপেক্ষা করছি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেনপাল্টা হামলা আমরা এখনও শুরু করতে পারিনি ট্যাংকআর্টিলারি এবং দূরপাল্লার রকেট ছাড়া আমরা আমাদের সাহসী সৈন্যদের 

ফ্রন্টলাইনে পাঠাতে পারি না

তিনি আরও বলেছেনআপনার যদি রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকে তবে আপনি একটা উপায় খুঁজে আমাদের সাহায্য করবেন আমরা যুদ্ধ করছি এবং (কোনও কিছুর জন্যঅপেক্ষা করতে পারি না

বিবিসি বলছেরাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ শুরু করার বিষয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা শোনা যাচ্ছে ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা ইঙ্গিত দিয়েছেনকিয়েভের এই হামলা আসন্ন হতে পারে ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেছেনএই সপ্তাহে এটি ‘খুব তাড়াতাড়ি’ দেখা যেতে পারে

অন্যদিকে কিছু বিশ্লেষক বলছেনইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাদের রুশ প্রতিপক্ষকে অস্বস্তিতে ফেলতে পাল্টা আক্রমণের কথা বলছে তারা চায়রাশিয়ান কমান্ডাররা তাদের বাহিনীকে পূর্বের শহর বাখমুতের মতো নির্দিষ্ট স্থানে কেন্দ্রীভূত করার পরিবর্তেযেকোন আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিতে রুশ বাহিনীকে পুরো ফ্রন্টলাইনে ছড়িয়ে দিক

আবার অন্য বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেনইউক্রেনের দিক থেকে শিগগিরই পাল্টা আক্রমণ সম্ভব মার্কিন ভিত্তিক থিংক ট্যাংক দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার গত সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়েছিলরাশিয়ার নিজস্ব আক্রমণ সম্ভাব্যভাবে গতি হারাচ্ছে এবং শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছেসুতরাং ইউক্রেন যেকোনও পদক্ষেপ নিতে এবং গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোতে পাল্টা আক্রমণ চালানোর জন্য উপযুক্ত অবস্থানে রয়েছে

তবে ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যেন বেশিই হতাশাবাদী সাম্প্রতিক সময়ে তিনি প্রায়ই সতর্ক করে বলেছেনপশ্চিমা মিত্ররা দ্রুত আরও বেশি অস্ত্র সরবরাহ না করলে যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে তবে এই প্রথম তিনি আসলে বলেছেনইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ বিলম্বিত হতে পারে এবং সেটিও পশ্চিমা সরঞ্জামের অভাবে

অবশ্য রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের মিত্ররা আরও ট্যাংকআর্টিলারি এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তবে কিছু দেশ তাদের প্রতিশ্রুত অস্ত্র দেওয়ার জন্য কার্যত সংগ্রাম করছে আর অন্য দেশগুলোও ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম পাঠাতে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সময় নিচ্ছে

পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেনসামরিক সহায়তা ইউক্রেন অবশ্যই পাবে তবে প্রশিক্ষণ এবং পরিকল্পনা করতে সময় লাগছে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তারা এদিকে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ সম্পর্কে এই ধরনের জল্পনা - বিশেষ করে পাল্টা হামলা কখন এবং কোথায় হতে পারে - সম্পর্কে সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেনইউক্রেনের সামরিক পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আনার অধিকার রয়েছে কেবল তিনজনের তারা হলেনপ্রেসিডেন্টপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ

তিনি লিখেছেনঅন্য সকলেই কেবল তাদের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করতে পারে অনুগ্রহ করে আকাশপথে পাল্টা আক্রমণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন করা বন্ধ করুনদয়া করে এই বিষয়ে ব্লগ এবং পোস্টে কোনও কিছু লেখা বন্ধ করুনদয়া করে আমাদের সেনাবাহিনীর সামরিক পরিকল্পনাগুলো প্রকাশ্যে আলোচনা করা বন্ধ করুন

 


আরও খবর



গরম মাছ-মাংসের বাজার; প্রতিদিন কমছে ক্রেতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২২জন দেখেছেন

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল: বাজারে আরেক ধাপ বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম। শবে বরাতকে উপলক্ষ করে বৃদ্ধি পায় এই দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছে, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় তারাও দাম বাড়িয়েছে। ক্রেতারা বলছেযে কোনও উপলক্ষে দাম বাড়ানোটা দেশে একটি রীতি হয়ে উঠেছে !

শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ ও মাংসের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া কাঁচাবাজারে গরমে চাহিদা রয়েছে এমন সব সবজির দামও বেড়েছে। অন্যদিকে সব কিছুর দাম বাড়ায় ছুটির দিনে ক্রেতার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।

বাজারে বর্তমানে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০০ থেকে ৭১০ টাকা। এছাড়া খাসির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ১১০০ টাকায় বিক্রি হতো।

মুরগির দাম গত এক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী, এখন তা সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে। সাদা ব্রয়লার এখন ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২২০ টাকা, লাল লেয়ার ২৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় যা ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

দাম বাড়ায় নিম্নআয়ের মানুষ আলাদা করে বিক্রির জন্য রাখা মুরগির ডানা ও পা কেনার দিকে ঝুঁকছে। সেগুলোও কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা করে।

মাছের বাজারে মাছের সংখ্যা কমেছে। অধিকাংশ দোকানিকে পাঙাশ, তেলাপিয়া ও রুই মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে দোকানিরা জানান, ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পড়ে না এমন মাছ উঠালে অবিক্রিত রয়ে যায়। তবে সেই মাছেরও দাম বেড়েছে।

বাজারে পাঙাশ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা হয়েছে, রুই (নলা) ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  মাঝারি আকারের রুই ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিল ২৮০ টাকা। এছাড়া পুঁটি ২৪০ টাকা ও সিলভার কার্প ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সবজির বাজার কিছুটা স্থির থাকলেও লেবুসহ সালাদ উপাদানের দাম চড়া। লেবু হালি (৪ পিস) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এছাড়া কেজিপ্রতি টমেটো ৩০, শশা ৫০ টাকা। অন্যান্য সবজি গড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদির দোকানে পণ্যের দাম আগের মতো উর্ধ্বমুখী। এই সপ্তাহে কোনও পরিবর্তন নেই।

গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে মিরপুরের ১১ নং বাজারের মহিউদ্দিন মাংস বিতানের মালিক মহিউদ্দিন বলেন, 'এক সময় গরুর ভুসির দাম ছিল ১৫ টাকা, সেটা এখন ৮০ টাকা। একটা গরু পালতে এখন অনেক খরচ। আর আমরা তো নিজের থেকে দাম বাড়াই না। বেশি দামে আনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি করি।'

মুরগির মাংসের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রোকসানা বানু বলেন, 'আগে ১৪০ টাকা কেজিতে মুরগি পাওয়া যাইতো, সেই দামে এখন মুরগির হাবিজাবি কিনতে হচ্ছে। বাসায় বাচ্চাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে নিরূপায় হয়ে এসব কিনতে হচ্ছে। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই!

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩