Logo
শিরোনাম

মেক্সিকোর নতুন প্রেসিডেন্ট শিনবাউম

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিডি রিপোর্ট:

মেক্সিকোর নির্বাচন কমিশনের (আইএনই) গণনা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ ভোট নিয়ে সবার উপরে অবস্থান করছে ক্লাউদিয়া শিনবাউম। 


গতকাল রোববার (২ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে বেসরকারিভাবে তিনি  মেক্সিকোর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হয়েছেন। খবর আলজাজিরার। 


ক্ষমতাসীন মোরেনা পার্টির প্রার্থী শিনবাউম প্রচারণার শুরু থেকে নির্বাচন পর্যন্ত স্বচ্ছ নেতৃত্ব বজায় রেখেছিলেন এবং তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশা করা হচ্ছিল। তাঁর জয় মেক্সিকানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ধরা হচ্ছে। 


ক্লাউদিয়া কেবল মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্টই নন, মেক্সিকোতে ইহুদি ঐতিহ্যের ধারক হিসেবেও প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।


ক্লাউদিয়া শিনবাউম একজন বিজ্ঞানীর পাশাপাশি রাজনীতিবিদও। তিনি ২০০৭ সালে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিবেদনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন।



জয়ী হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় শিনবাউম বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজের অসম্পূর্ণ কাজগুলো তিনি শেষ করবেন। তিনি  রাষ্ট্র পরিচালিত তেল সংস্থাগুলোর প্রতি তার সমর্থন বজায় রাখার পাশাপাশি নারীবাদী সংস্থাগুলোর নীতি প্রণয়ন করবেন যাতে নারীরা কোনো ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি না হয়। 


আগামী ৮ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাউদিয়া শিনবাউমকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হবে।



আরও খবর



আত্মহননের সাংবাদিকতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক :

আত্মহত্যা অবশ্যই বেদনাদায়ক। এর পেছনের ঘটনাও সাধারণত সংবেদনশীল ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। তাই আত্মহত্যার ঘটনার সংবাদ-মূল্য অনস্বীকার্য। কিন্তু নিউজ ভ্যালু আছে এবং পাঠক চাহিদা আছে বলেই কি এই জিনিস প্রকাশ্যে বিক্রি করা উচিত?

বিষের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আত্মহত্যার ঘটনাগুলো বিষ স্বরূপ, যা বিতরণের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যম এর নেতিবাচকতা বিবেচনায় নেয় না, যা দুর্ভাগ্যজনক।

পেছনের ঘটনা যতই বেদনাদায়ক হোক, আত্মহত্যা একটি অপরাধ। এই অপরাধটি সংক্রামক বৈশিষ্ট্যর। আত্মহননের মনস্তত্ব সংক্রামক এবং এটি একটি ব্যাধি – যা গবেষণায় প্রমাণিত। আত্মহত্যার ভাইরাস জনসমাজে ছড়ানোর দায়িত্ব মিডিয়া নেবে কেন?

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ'র আত্মহত্যার সংবাদ প্রচারের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সেলিব্রেটির বেশ কয়েজন তরুণ ভক্ত আত্মহত্যা করেছিল। মিডিয়া সেই সংবাদগুলিও প্রচার করেছিল।

একটি আত্মহত্যার ঘটনা অন্যকেও আত্মহননে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সাংবাদিকতায় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। আমরা যখন বিদেশি মিডিয়ায় কাজ করি তখন সম্পাদকীয় নীতিমালার এই বিষয়গুলো মানি। অথচ নিজ দেশে মানি না।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢুকে একজন মানুষ নিজেকে হত্যার মতো গর্হিত কাজ করার ফলে, এরপর অন্যকেউ এরকম কর্মে উদ্বুদ্ধ হবে কিনা তা মাথায় রাখা উচিত।

প্রথমত: সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আত্মহননকে দুস্কর্ম হিসেবেই উপস্থাপন করা উচিত। পিছনে যে কারণই থাক, সেই কারণে একজন ব্যক্তি যেমন কাউকে হত্যা করার অধিকার রাখে না, তেমনি নিজেকেও হত্যা করার অধিকার রাখে না।

নিজেকে হত্যাকারী ব্যক্তিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না, যেমন একজন খুনি, ডাকাত বা আত্মঘাতি জঙ্গিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যায় না।

আত্মহননকারীর প্রতি সহানুভূতি মিশ্রিত সংবাদ পরিবেশন অন্যকেও এধরনের অপকর্মে উৎসাহিত করতে পারে। এধরনের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহানভূতিব্যঞ্জক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাইরাল হলে তা সমাজের জন্য আরও ক্ষতির কারণ হয়।

যতই সংবেদনশীল হোক, এই নিউজ পত্রিকার প্রথম পাতায় কভার করা উচিত নয়। ভেতরের পাতায় দিতে হবে, যাতে এর ফোকাস কম হয়। সংবেদনশীলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে সংবাদটি উপস্থাপন করতে হবে। গণপাঠক টার্গেট করে নয়, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং একাডেমিক প্রয়োজনে সতর্কতার সাথে সংবাদটি যাবে।

এধরনের সংবাদ টেলিভিশনে প্রচার না করাই ভাল।

আত্মহত্যার বহুবিধ কারণ থাকে। সেগুলো নিরসন করতে না পারা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। ঘটনার তদন্ত করে কারণ খুঁজে বের করা এবং প্রতিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।



আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




অন্তর্বর্তী সরকারকে দুই বছর সময় দিতে চান অধিকাংশ নাগরিক

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

দেশের ৫৩ শতাংশ ভোটার মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারকে দুই বছর বা তারও কম সময় থাকতে হবে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) পরিচালিত একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নাগরিকদের প্রত্যাশা শীর্ষক জাতীয় জরিপের ফল প্রকাশ করে এসআইপিজি

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের আটটি বিভাগের ১৭টি জেলায় মোট এক হাজার ৮৬৯ জনের ওপর এ জরিপ করা হয়। এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সর্বপ্রথম সরাসরি পরিচালিত একটি জাতীয় প্রতিনিধিত্বমূলক জরিপ

উত্তরদাতাদের ৬৩ শতাংশ মধ্যবয়সী (২৮-৫০ বছর), ২২ শতাংশ জেনারেশন-জেড (১৮-২৭ বছর), এবং ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের উপরে। এছাড়া জরিপের উত্তরদাতাদের ৫৪ শতাংশ শহরাঞ্চল ও ৪৬ শতাংশ গ্রামীণ অঞ্চলের বাসিন্দা

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সম্পর্কে মতামত: উত্তরদাতাদের প্রায় ৫৩ শতাংশ মনে করেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত। যেখানে ৪৭ শতাংশ মনে করেন এই অন্তর্বর্তী সরকারকে তিন বছর বা তার বেশি ক্ষমতায় থাকতে হবে

সমীক্ষায় আরও যেসব বিষয় উঠে এসেছে: রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা: উত্তরদাতাদের ৪৬ শতাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনিশ্চিত। যেখানে ৫৪ শতাংশ মূলধারার রাজনীতিতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে

রাজনৈতিক সংস্কার: উত্তরদাতাদের ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করাকে সমর্থন করেছেন এবং ৪৬ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে, উল্লেখযোগ্য সাংবিধানিক পরিবর্তন প্রয়োজন। এছাড়া ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন সংবিধানের পক্ষে তাদের মত জানিয়েছেন

গবেষণায় জানা যায়, নাগরিকরা অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তাদের বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের ওপরও নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সচিব ড. বদিউল আলম মজুমদার। অন্যদের মধ্যে আলোচক হিসেবে ছিলেন এসআইপিজির উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম. আমিনুজ্জামান ও এনএসইউর রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের (পিএসএস) অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ

এদিন সেমিনারে জরিপের তথ্য ও ফলাফল উপস্থাপন করেন এনএসইউর এসআইপিজি ও পিএসএসের সহকারী অধ্যাপক ড. আকরাম হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এসআইপিজির সিএমএসের সদস্য ও এনএসইউর চেয়ারম্যান এবং ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান


আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




ফ্রান্সের ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গোলাম মোস্তফা :

বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া বেশ কিছু ধাপ ও ডকুমেন্টেশনের প্রয়োজন হয়। ফ্রান্সের ভিজিট ভিসা (শেঞ্জেন ভিসা) ৯০ দিনের কম সময়ের জন্য ভ্রমণকারীদের জন্য হয়। নিচে বিস্তারিত প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো:


ধাপ ১: ভিসার ধরন নির্ধারণ

আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং সময়কাল অনুযায়ী, আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা নির্ধারণ করুন। সাধারণত, ফ্রান্সের জন্য শেঞ্জেন ভিজিট ভিসা (শর্ট স্টে) পর্যটন, ব্যবসা, বা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য হয়ে থাকে।


ধাপ ২: আবেদন ফর্ম পূরণ

ফ্রান্সের শেঞ্জেন ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।


 ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ

নিম্নলিখিত ডকুমেন্টসগুলি সাধারণত ফ্রান্সের ভিজিট ভিসার জন্য প্রয়োজন হয়:


1. পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্টটি ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ থেকে কমপক্ষে তিন মাস পর পর্যন্ত বৈধ হতে হবে এবং এতে অন্তত দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

   

2. আবেদন ফর্ম: সম্পূর্ণ পূরণ করা এবং স্বাক্ষর করা শেঞ্জেন ভিসা আবেদন ফর্ম।

   

3. ফটো: সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি (বায়োমেট্রিক ফটো)।

   

4. ফ্লাইট বুকিং: ফ্রান্সে আসা-যাওয়ার নিশ্চিত ফ্লাইট টিকেট।

   

5. হোটেল রিজার্ভেশন: ফ্রান্সে থাকার সময়কালীন হোটেল বুকিং বা থাকার ব্যবস্থা।

   

6. বীমা: ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা, যা শেঞ্জেন অঞ্চলে আপনার পুরো থাকার সময়কালের জন্য অন্তত ৩০,০০০ ইউরো পর্যন্ত কভার করবে।

   

7. আর্থিক ক্ষমতার প্রমাণ: আপনার ভ্রমণ এবং ফ্রান্সে থাকার সময়কালের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ। এটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চাকরির সার্টিফিকেট, বা স্পনসরশিপ লেটার হতে পারে।

   

8. কাভার লেটার: আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং বিস্তারিত বিবরণ সহ একটি চিঠি।

   

9. ভিসা ফি: নির্ধারিত ভিসা ফি জমা দেওয়া।


ধাপ ৪: ভিসা আবেদন জমা

ফ্রান্সের ভিসা আবেদন গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VFS Global) বা ফ্রান্সের দূতাবাসে ভিসা আবেদন জমা দিতে হবে। VFS Global বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।


ধাপ ৫: বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান

ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সময়, আপনাকে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি) প্রদান করতে হবে।


ধাপ ৬: সাক্ষাৎকার

কিছু ক্ষেত্রে, ভিসা অফিসার সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে ডাকতে পারেন। এই সময় আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে পারে।


ধাপ ৭: ভিসা প্রসেসিং সময়

ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পর সাধারণত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফলাফল জানা যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।


ধাপ ৮: পাসপোর্ট সংগ্রহ

ভিসা অনুমোদিত হলে, আপনাকে ভিসা স্ট্যাম্প করা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। আপনি VFS Global বা দূতাবাস থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারেন।


 ফ্রান্সের ভিজিট ভিসা করার যাবতীয় সহযোগিতার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন


আরও খবর



বৈষম্যের বোঝা মাথায় নিয়ে নওগাঁয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস উৎযাপন

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বৈষম্যের বোঝা মাথায় নিয়ে সারা দেশের ন্যায় আজ নওগাঁয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস উৎযাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। 

এবারের শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় "শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার" এর আলোকে জেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে সকাল ১০টায় র‍্যালী বের হয়ে সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে এসে শেষ হয়ে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

সাংবাদিক কায়েস উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায় পাহাড়সম বৈষম্য রয়েছে। আমাদের বাসা ভাড়া দেওয়া হয় ১ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয় ৫ শ টাকা এবং শিক্ষকদের উৎসব ভাতা দেওয়া হয় মূল বেতনের ২৫ শতাংশ আর কর্মচারীদের দেওয়া হয় ৫০ শতাংশ। এর বাহিরে আমরা আর কোন ভাতা পাই না। আমাদের ন্যায্য দাবী নিয়ে রাস্তায় নামলে পূর্বে বিভিন্ন সরকার শিক্ষকদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছে। এর থেকে আমরা মুক্তি চাই।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। আমি জানি পাশ্ববর্তী দেশগুলোর শিক্ষকদের বেতনের সাথে আমাদের শিক্ষকদের বেতনের কথা বলতে গেলে আমাদের লজ্জা লাগে। তার পরেও দেশের স্বার্থে আপনাদের কাজ করে যেতে হবে। আপনাদের হাতেই তৈরি হয় এই দেশের সুনাগরিক। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করে যান একসময় দেখবেন আপনাদের এই অবস্থা আর থাকবে না। 

উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানা, নওগাঁ সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, নামাজগড় গাউসুল আযম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পি এম আদম আলী, ফয়েজ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী প্রমুখ।


আরও খবর



বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিম তালিকায় ড. ইউনূস

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় শুরুর দিকেই রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম।

সম্প্রতি ২০২৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা আম্মানের দ্যা রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার প্রকাশ করে

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রভাব ও অবদান পর্যালোচনা করে প্রকাশিত হয় দ্য মুসলিম ৫০০: দ্য ওয়ার্ল্ডস ৫০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস, যা ১৬ বছর আগে থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম ৫০ নম্বরে স্থান পেয়েছে

প্রতিবছর প্রকাশিত এই তালিকায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী মুসলিমদের নির্বাচন করা হয়। এই ক্যাটাগরিগুলো হলো: ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া ও বিনোদন। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেসব মুসলিম ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোফাইন্যান্স ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব তাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে অন্যতম মুখ

২০২৫ সালের প্রকাশিত তালিকার নারী বিভাগের Woman of the Year হয়েছেন জর্ডানের রানী রানিয়া আল-আবদুল্লাহ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করছেন

এই তালিকায় আরও অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যেমন, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবন আল-হুসেইন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, এবং ইরানের আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ শীর্ষস্থানীয় মুসলিম ব্যক্তিত্বরা স্থান পেয়েছেন


আরও খবর