Logo
শিরোনাম

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, মেট্রোরেল এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে চলাচল করবে। ফলে বন্ধের দিন মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ল।

বুধবার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত নতুন সময়সূচি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সময়সূচিতে জানানো হয়, আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে প্রতি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার পরিবর্তে ৩টা থেকে মেট্রো চলাচল করবে। সেই হিসেবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন দুপুর ৩টায় ছাড়বে এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টায় ছাড়বে।

অন্যদিকে মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ছাড়বে এবং সর্বশেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে। উভয়দিকের চলাচলে প্রতি ট্রেনের মধ্যে বিরতি থাকবে ১০ মিনিট।

আরও জানানো হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে একক যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে। একই সঙ্গে র‌্যাপিড পাস কেনা এবং এমআরটি বা র‌্যাপিড পাসে টাকা প্রবেশ করানো যাবে।

মেট্রোরেল চলাচলের অন্য সব কার্যক্রম আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানানো হয়।


আরও খবর

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিশ্বমানবতার শান্তি ও মুক্তি কামনায় শেষ হলো মাইজভাণ্ডারে কর্মসূচি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দাতাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে... 

-ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী 

প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল, শায়খুল ইসলাম, হুজুর গাউছুল ওয়ারা, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৮৮তম ৫দিনব্যাপী বার্ষিক খোশরোজ শরীফ সোমবার বাংলা ২৭শে মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারী) লাখো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন ধ্বনিতে বিশ্ব মানবতার শান্তি ও মুক্তি কামনায় আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার খোশরোজ শরীফের সমাপনী দিবসের কর্মসূচিতে ছিল, বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পমাল্য অর্পন, খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির আজকার, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, বিকালে হযরত গাউছুল ওয়ারা শায়খুল ইসলাম হযরত শাহসুফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভান্ডারীর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা, মিলাদ কিয়াম, ছেমা মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও ভোর রাতে আখেরী মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রাতে মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া দরসে নেজামী আলিম মাদ্রাসা ও হেফজখানার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে এ বছর হেফজ সমাপ্তকৃত ১১জন হাফেজে কুরআন কে পাগড়ি পরানোর মাধ্যমে দস্তারে ফজিলত ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি বক্তব্যে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী বলেন, যুগে যুগে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন নবী-রাসূল এবং আউলিয়ায়ে কেরামগণ। অথচ বর্তমানে অন্যায় অবিচার হঠকারিতা উগ্রবাদিতা অন্যের সম্পদ ভাঙচুর লুটপাট মব জাস্টিসের নামে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা করা এসব নিত্যদিনের খবরের কাগজের শিরোনাম হচ্ছে। কোন কোন বিপথগামী ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী এসব ফৌজদারী অপরাধ সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এসব বে-ইনসাফি কর্মকাণ্ডকে উস্কে দেয়। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, ইসলামী শরিয়ত আইন প্রয়োগের ক্ষমতা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেয়নি। এমনকি কোনো মসজিদের ইমাম, মুফতি ও সমাজপতিদের ওপর আইন প্রয়োগের ক্ষমতা অর্পণ করেনি। কোনো মানুষ অপরাধ করলে তার বিচার রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থার মাধ্যমেই হবে। সব ইসলামী আইনজ্ঞ এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে যিনি আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রাখেন, তিনি হলেন রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর প্রতিনিধি। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, ইসলামী শরিয়ত অপরাধের শাস্তি বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে দিয়ে শেষ করেনি; এর সঙ্গে সন্দেহাতীতভাবে তা প্রমাণিত হওয়ারও শর্ত দিয়েছে। সুতরাং কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তা প্রমাণের আগে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, রাষ্ট্রও তাকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার রাখে না। ইসলামী দণ্ডবিধির একটি মূলনীতি হলো, সন্দেহ শাস্তি রহিত করে। ইসলামী শরিয়তের সুস্পষ্ট বিধান অনুসারে, সাধারণ মানুষের জন্য আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অতএব, প্রচলিত গণপিটুনির কারণ যা-ই হোক না কেন, ইসলামী শরিয়তে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (ক.) আজীবন ইনসাফের আলোকে সমতা ভিত্তিক সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই করেছেন। খোশরোজ শরীফ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। খোশরোজ শরীফে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে থাকা–খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  এছাড়াও ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়।আগত দেশ বিদেশের আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, পার্কিং, নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে খোশ রোজ  শরীফের কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়  । খোশরোজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আনজুমান-এ রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, সাংবাদিক কামরুজ্জামান হারুনসহ অন্যান্যরা। মাহফিলে হুজুর কেবলার জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী  বিল্লাহ আল আজহারী,অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নাজের হোসাইন, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভাণ্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।


আরও খবর



ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধতো না

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। এ সময় তিনি ট্রাম্পকে ‘স্মার্ট’ নেতা হিসেবে প্রশংসাও করেন। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকলে ২০২২ সালে ইউক্রেন ‍যুদ্ধের সূত্রপাত ঠেকাতে পারতেন বলেও দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর এনডিটিভির।

তবে কখন আলোচনা হবে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি পুতিন। ক্রেমলিন আগেই জানিয়েছিল যে তারা ওয়াশিংটন থেকে সংকেত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন তিনি পুতিনের সঙ্গে অবিলম্বে দেখা করতে ইচ্ছুক।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের একজন প্রতিবেদককে পুতিন বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি এবং আমি আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই যে আমরা ইউক্রেন সম্পর্কিত আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

এ সময় ট্রাম্পকে ‘স্মার্ট’ ও ‘বাস্তববাদী’ নেতা হিসেবে প্রশংসা করে পুতিন রিপাবলিকান নেতার ২০২০ সালের নির্বাচন সম্পর্কিত সেই ‘ভিত্তিহীন’ দাবি পুনরায় উল্লেখ করেন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে নির্বাচনে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তিনি জয়ী হয়েছিলেন।

পুতিন বলেন, আমি তার সাথে একমত না হয়ে পারছি না। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতেন—যদি ২০২০ সালে তার বিজয় চুরি না হতো—তাহলে হয়তো ২০২২ সালে ইউক্রেন সংকটের উদ্ভব হতো না।

প্রায় তিন বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। ২০২২ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর দুই পরাশক্তিধর দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।

তবে ক্ষমতায় বসার পর এই যুদ্ধ মাত্র ২৪ ঘণ্টায় থামিয়ে দেয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনে জয়ের পর এই যুদ্ধ বন্ধে একজন প্রতিনিধিকেও নিয়োগ দিয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ট্রাম্পের তৎপরতায় একটি শান্তি চুক্তির চেষ্টাও চলছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে মস্কো-কিয়েভের ঐকমত্যে সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রে বিশেষ শর্ত যুক্ত করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে হাসপাতাল চত্বরে এ মানবববন্ধন কর্মসূচি পালিত। নওগাঁ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র প্রতিনিধি রিয়াদুল সালেহীন, হাসপাতালের তালিকাভুক্ত এমএসআর সামগ্রী সরবরাহকারী ঠিকাদার আশরাফুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত সরদার, তৌফিক ইমাম, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলতি মাসের ৫ জানুয়ারি নওগাঁ সদর হাসপাতালে ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার জন্য অনলাইনে এমএসআর দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে বরাদ্দ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী বিশেষ শর্ত যুক্ত করেছেন। শর্তের বেড়াজালে অংশ নিতে পারছে না অনেক ঠিকাদার। দরপত্রে বিভিন্ন শর্তাবলীর একটি অংশে বলা হয়েছে দরপত্রের জন্য ঠিকাদার বাছাইয়ের আগেই কাজ পেতে ইচ্ছুক ঠিকাদারকে ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রীর নমুনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। অথচ এই শর্ত বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালে দেওয়া হয় না। পছন্দের ঠিকাদারকে বাছাই করার জন্য এই শর্ত যুক্ত করেছে তত্ত্বাবধায়ক। এছাড়া হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ, হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দেওয়া সহ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, প্রধান সহকারী স ম ওমর ফারুক ও স্টোর কিপার সাজ্জাদ হোসেনের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদেরকে অপসারণসহ তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।  

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, দরপত্র আহ্বানসহ নিয়ম মেনেই হাসপাতালে সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। গত ৫ জানুয়ারী হাসপাতালে বিভিন্ন সামগ্রী কেনার জন্য সারে ৪ কোটি টাকার এমএসআর সামগ্রী দরপত্র অনলাইনে আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় দেওয়া হয়েছে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। নওগাঁ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির সভাপতি বলেন, এমএসআর সামগ্রী কেনার জন্য যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তাতে তত্ত্বাবধায়ক স্বেচ্ছাচারীভাবে কিছু শর্ত যুক্ত করেছেন। দরপত্র পাওয়ার আগেই নাকি এমএসআর সামগ্রীর নমুনা জমা দিতে হবে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। নিয়ম বর্হিভূতভাবে দেওয়া শর্তগুলো সংশোধন করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে হবে। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরী, প্রধান সহকারী স ম ওমর ফারুক ও স্টোর কিপার সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদেরকে অপসারণসহ তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানাতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল ও স্টোর কিপার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে নির্বাচিত ঠিকাদারের নাম প্রকাশ করবেন। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করার কিছু নেই। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি থাকলে সেটা তদন্ত করুক। তদন্ত হলেই সত্যতা বের হয়ে আসবে।


আরও খবর



কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের দাবিতে (কুকসু) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে পদার্থবিজ্ঞান ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের  আরাফ ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে আটটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, গণতন্ত্রের চর্চা, সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখা, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতার বিকাশ, ক্যাম্পাসের শান্তি বজায় রাখা, লেজুড়বৃত্তিক ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে মুক্তি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা।

কুবির ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ফার্মেসী বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, 'ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে এসে রাজনীতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে তৈরী হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির নামে অপরাজনীতি বন্ধ হবে। আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ চালু করবে এবং শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র প্রতিনিধি তৈরীর একটা সুযোগ সৃষ্টি করবে।'

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইকবাল বলেন, 'আমরা জানি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি, যা আমাদের জন্য লজ্জার। এখনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো একটি যৌক্তিক দাবি আসলে তা প্রশাসনের সাথে এটা উপস্থপনা করার জন্য ওইভাবে কোনো ছাত্রসংগঠন নেই। আমরা এই সমস্যার দ্রুত অবসান চাই। আমরা চাই এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন (কুকসু) হউক যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক যে কোনো দাবি তুলে ধরতে আর কোনো সমস্যা না  হয় এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব বিকাশ এবং সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।'

কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমার এখন কোনো মন্তব্য নেই। আলোচনা করে পরে জানানো হবে। 


আরও খবর



সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। প্রায় ৩২ ঘণ্টা অনশনে থাকা অসুস্থ শিক্ষার্থীরাও সেখানে এসেছেন। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা এবার সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে সচিবালয়ের পথে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টার দিকে তারা সচিবালয়ের সামনে পৌঁছান। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে স্লোগান দিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করবেন। সেখানে আমরণ অনশনও শুরু করেছেন তারা।

এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসে ব্রিফিং করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, বিকেল ৪টার মধ্যে তাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নিলে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন তারা।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি পূরণে করণীয় ঠিক করতে সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সভা হবে।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আহমেদ শিবলীর সই করা নোটিশে এ সভা আহ্বান করা হয়। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জবি ক্যাম্পাসে গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের জবি মেডিকেল সেন্টারসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ছাত্ররা অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মসূচি চালিয়ে নিতে রাত ২টার দিকে গণ-অনশনে বসেন অর্ধশতাধিক ছাত্রী। তারা সকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি

১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে সই করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে তা শেষ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালি সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। বৈঠকে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫