Logo
শিরোনাম
বন্ধের ঘোষণা এলে বেড়ে যায় চাঁদার রেট

মহাসড়কে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানীর অলি-গলিসহ প্রধান সড়কগুলোতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সংযোগ সড়কে তো আছেই। মূল সড়কেও দাপটের সাথে চলছে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত রিকশা। এমনকি রাজধানীর অভিজাত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। তাদের চলার ভংগি এমন, কাউকেই তোয়াক্কা করার সময় নেই। রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তার সেই নির্দেশের কোনো বাস্তবায়ন নেই। অন্য স্বাভাবিক দিনের মতো রাজধানীর সড়ক, অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করেছে।

বিপজ্জনক উল্লেখ করে বিভিন্ন সময় এসব রিকশা চলাচল বন্ধের দাবি উঠলেও তা কমছে না। এবার খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসবের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেও অবাধে চলছে এসব যান। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল দিনদিন বেড়েই চলেছে। এসব গাড়ির নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলের কারণে প্রতিদিনই ঘটছে কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা। সরকারের নির্দেশনা দিলেও, এখনো তা কার্যকর হয়নি। পুলিশ প্রশাসনের সামনেই চলছে সব। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আটো রিকশার দৌরাত্ম্যে অসহায় সাধারণ মানুষ। এসব যানের অনিয়িন্ত্রিত চলাচলে যানজট লেগেই থাকে সারাক্ষণ। চালকদের ভাষ্য, তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সড়কে এ যান চালাচ্ছেন। তবে বন্ধের ঘোষণা এলে চাঁদার রেট বেড়ে যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। বিদ্যুৎ ঘাটতির সময়ে অবৈধ এই যানবাহন চলতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত হচ্ছে না। এছাড়া বাহন নিরাপদও নয়। সাধারণ রিকশার অবকাঠামো কিছুটা পরিবর্তন করে তৈরি এসব রিকশা বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। এতে প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। রাজধানীতে প্রায় দুই লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। এগুলোর জন্য একদিকে যেমন বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে অদক্ষ চালক ও বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রায়ই হচ্ছে দুর্ঘটনা। এসব যান নিয়ন্ত্রণে আছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ফলে এসব রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকেও অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। পুরান ঢাকার কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, হাজারীবাগ, মগবাজার এবং মিরপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য বেশি। এসব জায়গায় শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এসব যান। দিনপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার চুক্তিতে পাওয়া যায় ব্যাটারিচালিত রিকশা। অবশ্য রিকশাপ্রতি মাসে ২ হাজার টাকার মতো চাঁদা গুনতে হয়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশায় সয়লাব রাজধানীর মূল সড়ক। অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করতে দেখলেই পুলিশ আটক করলেও বাহনগুলোর চলাচল অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল, আরামবাগ, যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, মালিবাগসহ কয়েকটি সড়কে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। রামপুরা, খিলগাঁও, বাড্ডা, নয়াবাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাংলামটর, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, নাজিরাবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, দনিয়া, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্যাডেল রিকশায় মোটর ও ব্যাটারি লাগিয়ে চলাচল করছে। এলাকায় মোড় দখল করে নিয়েছে ওই বাহনটি। রাতে অন্যান্য গাড়ির চাপ কমে গেলে ব্যাটারিচালিত এসব গাড়ি নামতে থাকে। চলতে থাকে সকল রুটেই। কোন রুটেই বাধা নেই তাদের যেতে।

শ্যামপুর, জুরাইন, কদমতলী, ডেমরা, সায়েদাবাদ, সদরঘাট, মোহাম্মদপুর, দারুসসালাম, কাফরুল, পল্লবী, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, তুরাগ, হাজারীবাগ, আদাবর থানা এলাকার অলি-গলিতে অবাধে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলতে দেখা যায়। অনেক এলাকায় পুলিশের সামনেই এসব যান দাপট নিয়ে চলছে। এমনকি অলি-গলি ছাড়িয়ে অটোরিকশাগুলো মূল সড়কে চলে আসায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও। মিরপুর-১০ নম্বরের সড়কজুড়ে দেখা মিললো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য। স্পষ্ট হলো, মন্ত্রীর কড়া নির্দেশ এখানে উপেক্ষিত। শুধু ১০ নম্বর না, অবৈধ অটোরিকশার অবাধ বিচরণ পুরো মিরপুর জুড়ে। পুরো এলাকা ঘুরেও চোখে পড়েনি অটোরিকশা বন্ধে কোনো বিশেষ অভিযানের।

নূর ইসলাম নামের এক চালক বলেন, সরকার যখন বন্ধের ঘোষণা দেয়, এই সুযোগে যারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে তারা প্রথমে কয়দিন বন্ধ রাখতে বলে। পরে চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া এই অটো চালিয়ে সংসার চলে। যদি না চালাতে পারি তাহলে সমস্যায় পড়ে যাব।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে হাইকোর্টের একটা নির্দেশনা ছিল। ট্রাফিক যেসব এলাকাতে থাকে সেসব এলাকাতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাতে কোনোভাবে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই সচেষ্ট আছি। ব্যাটারিচালিত রিকশার মূল উৎপত্তিস্থল চার্জিং পয়েন্ট এবং যেখানে গ্যারেজ আছে, যেসব ব্যক্তি এগুলোর সঙ্গে জড়িত সেসব ব্যক্তিরও তালিকা প্রণয়নের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান বলেন, ব্যাটারিচালিত যানের জন্য সড়কে একদিকে যেমন বাড়ছে যানজট, তেমনি দুর্ঘটনার নতুন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকেই এই ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে বাড়ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ না করায় সড়কে বেড়েই চলেছে ব্যাটারিচালিত যান। ব্যাটারি, মোটর আমদানি করার নিষেধাজ্ঞা না থাকায় দেশে এসব যান ঢুকে গেছে। কোনোভাবেই সিটিতে চালানো যাবে না।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য প্রস্তুত

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ কীভাবে বন্ধ হবে, সে ব্যাপারে কিয়েভ যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারবে তখনই এই আলোচনা হবে।

জেলেনস্কি আরও বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্রদের সঙ্গে যেকোনো আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যদি তারা আমাদের কাছ থেকে আসা নির্দিষ্ট অনুরোধের সুনির্দিষ্ট উত্তর ও বিপজ্জনক পুতিন সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দেয় তাহলে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।

এদিকে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ শুরু হচ্ছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুতিনের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনি তার উপদেষ্টাদের কাছে স্পষ্ট করে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করা তার অন্যতম লক্ষ্য।

ফোনালাপের পর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য, জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডলারের ক্ষমতা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছি এবং একে অপরের দেশে সফর করতেও রাজি হয়েছি। আমাদের দলগুলো এখনই আলোচনা শুরু করবে এবং আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বিষয়টি জানাবো।

অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সাম্প্রতিক ফোনালাপের পর ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের এ ধরনের একতরফা কূটনৈতিক পদক্ষেপকে কিয়েভের কর্মকর্তারা ইউক্রেনের স্বার্থ উপেক্ষা করার শামিল বলে মনে করছেন। সূত্র: এএফপি


আরও খবর



জানুয়ারী মাসে ৬৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৭৭ জন নিহত, ১২৭১ জন আহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিদায়ী জানুয়ারী মাসে ৬৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৭৭ জন নিহত, ১২৭১ জন আহত হয়েছে। রেলপথে ৫৭ টি দুর্ঘটনায় ৫৯ জন নিহত, ২৩ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১৬ টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত, ০৯ জন আহত এবং ০৫ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর সংবাদপত্রে মিলেছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সময়ে ২৮৯ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩০১ জন নিহত ও ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৪৩.৮৫ শতাংশ, নিহতের ৪৪.৪৬ শতাংশ ও আহতের ১৮.৮০ শতাংশ। এছাড়া ১৫৬ বাস দুর্ঘটনায় ১৫৯ ও আহত ৪৫২ আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ২৩.৬৭ শতাংশ, নিহতের ২৩.৪৯ শতাংশ ও আহতের ৩৫.৫৬ শতাংশ। এবং ১৬৩ ব্যাটারিচালিত-ইজিবাই-নসিমন-অটোরিকশা-মাহিন্দ্রা দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত ও ৩৩৬ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ২৪.৭৩ শতাংশ, নিহতের ২০.৫৩ শতাংশ ও আহতের ২৬.৪৩ শতাংশ।


আজ ১০ ফেব্রুয়ারী সোমবার সংগঠনের এক প্রেস বার্তায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।


দেশের বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য ৯৬টি জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক সংবাদ প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে ধারাবাহিকভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে দেখা যায়, বিদায়ী জানুয়ারী মাসে সর্বমোট সড়ক, রেল ও নৌপথে ৭৩২ টি দুর্ঘটনায় ৭৫৪ জন নিহত এবং ১৩০৩ জন আহত হয়েছে। এই মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ঢাকা বিভাগে, সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ময়মনসিংহ বিভাগে।


এই মাসে সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত- ১৬ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৩৮২ জন চালক, ২৩৮ জন পথচারী, ১৮৮ জন শ্রমিক, ১৫১ জন শিক্ষার্থী, ১৭ জন শিক্ষক, ১৭১ জন নারী, ২১ জন শিশু, ০৮ জন সাংবাদিক, ০৩ জন চিকিৎসক, ১২ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং ৪১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এর মধ্যে সড়কে ০৪ জন পুলিশ সদস্য, ০১ জন আনসার সদস্য, ০২ জন বিজিবি সদস্য, ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ০২ জন সাংবাদিক, ১১৯ জন নারী, ১২ জন শিশু, ৮৬ জন শিক্ষার্থী, ১৩ জন শিক্ষক, ৩১১ জন চালক, ৪৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ২৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ০৩ জন চিকিৎসক, ২১৯ জন পথচারী ও ১২ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।


এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় সর্বমোট ১০৩২টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে, যার ১৬.৫৭ শতাংশ বাস, ২৩.৮৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৫.৪২ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ৪.৯৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৩১.২৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৭.৯২ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ইজিবাইক-নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুর্ঘটনা ভয়াবহ বাড়লেও এসব সংবাদ গণমাধ্যমে কম আসছে বলে প্রকৃত চিত্র তুলে আনা যাচ্ছে না।


সড়কে দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১০.৩৫ শতাংশ ভোরে (৪.০০-৬.০০), ২৬.৬৯ শতাংশ সকালে (৬.০০-১২.০০), ১৫.৫৩ শতাংশ দুপুরে (১২.০০-৩.৩০), ৮.১৬ শতাংশ বিকালে (৩.৩০-৫.৩০), ১৭.৫২ শতাংশ সন্ধ্যায় (৫.৩০-৭.০০), ১৯.৫২ শতাংশ দিবাগত রাতে (৭.০০-১২.০০), এবং ২.১৯ শতাংশ মধ্যরাতে (১২.০০-৪.০০) সংগঠিত হয়েছে।


সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ০.৬৩ শতাংশ (০০-১০) বছর, ২৩.২৫ শতাংশ (১১-২০) বছর, ৩১.৬২ শতাংশ (২১-৩০) বছর, ১৩.৬৩ শতাংশ (৩১-৪০) বছর, ১৩.৫ শতাংশ (৪১-৫০) বছর, ৯ শতাংশ (৫১-৬০) বছর এবং ৮.৩৭ শতাংশ (৬১-১০০) বছর বয়সী ব্যাক্তি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।


সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪১.৬০ শতাংশ গাড়ি চাপা, ৩৮.১৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৩.৩৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৬.১৬ শতাংশ বিবিধ কারনে এবং ০.৬৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে মোট সংগঠিত দুর্ঘটনার ৩৭.৮০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮.৭৫ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৮.০৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংগঠিত হয়েছে। এছাড়াও দেশে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৬৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.০৪ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ০.৬৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণসমূহ :

১। বেপরোয়া গতি।

২। বিপদজনক অভারটেকিং।

৩। সড়কের নির্মাণ ত্রুটি।

৪। ফিটনেসবিহীন যানবাহন।

৫। চালক, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা।

৬। চালকের অদক্ষতা ও ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত অজ্ঞতা।

৭। পরিবহন চালক ও মালিকের বেপরোয়া মনোভাব।

৮। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার।

৯। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো।

১০। অরক্ষিত রেলক্রসিং।

১১। রাস্তার উপর হাট-বাজার, ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা।

১২। ট্রাফিক আইন প্রয়োগে দুর্নীতি।

১৩। ট্রাফিক আইন প্রয়োগে দুর্বলতা।

১৪। ট্রাফিক আইন অমান্য করা।

১৫। রোড মার্কিং না থাকা।

১৬। সড়কে চাঁদাবাজি।

১৭। চালকের নিয়োগ ও কর্মঘন্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা।

১৮। সড়কে আলোকসজ্জা না থাকা।

১৯। রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উচু না থাকা।  

২০। সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর দ্বায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহি না থাকা।

২১। দেশব্যাপী নিরাপদ, আধুনিক ও স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে টুকটুকি-ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা নির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ার কারনে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ভয়াবহভাবে বাড়ছে।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশমালা :

১. দুর্ঘটনায় মানুষের জীবন রক্ষায় সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অর্šÍভুক্ত করা।

২. দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করা।  

৩. সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্ধ বাড়ানো, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সড়ক নিরাপত্তা উইং চালু করা।

৪. সড়ক নিরাপত্তায় ইতিমধ্যে প্রণীত যাবতীয় সুপারিশমালা বাস্তবায়নে নানামুখী কার্যক্রম শুরু করা।

৫. দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিং (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা। জেব্রা ক্রসিং অংকন ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা।

৬. গণপরিবহন চালকদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

৭. সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্টা করা। অনিয়ম-দুর্নীতি ও সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা।

৮. গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করা।

৯. সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তা তহবিলে আবেদনের সময়সীমা ৬ মাস বৃদ্ধি করা।

১০. স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশব্যাপী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া।

১১. ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য  ট্রাফিক ট্রেনিং একাডেমী গড়ে তোলা।

১২. সড়কের মিডিয়ানে উল্টো পথের আলো এবং পথচারীর পারাপার রোধে মহাসড়কের রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উচু করা।

১৩. গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিকদের সাথে ভুক্তভোগীদের পক্ষে যাত্রী সাধারনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের হলে মুক্তি পেল দুই নতুন সিনেমা। সরকারি অনুদানের সাত বছর পর আজ শুক্রবার আলোর মুখ দেখল ‘দায়মুক্তি’। অন্যদিকে বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শন ও কানাডায় মুক্তির পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে এসেছে ‘বলী’।

বৃদ্ধাশ্রমের গল্পকে উপজীব্য করে ‘দায়মুক্তি’ নির্মাণ করেছেন বদিউল আলম খোকন। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক ও সুম্মি রহমান। গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। আরও আছেন সামিয়া নাহি, সুচরিতা, সুব্রত প্রমুখ।

২০১৭-১৮ সালের অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল ‘দায়মুক্তি’। অবশেষে সাত বছর পর আজ ছবিটি মুক্তি পেল। সিনেমাটির সহপ্রযোজক জসিম উদ্দিন।

এদিকে, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘বলী (দ্য রেসলার)’। বানিয়েছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ছবিটি। ‘বলী’র প্রযোজক পিপলু আর খান, সহপ্রযোজক সাইফুল আজিম ও গাউসুল আলম শাওন।

এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। সাগরপারের এক খ্যাপাটে জেলের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে, যিনি অংশ নেন ঐতিহ্যবাহী বলী খেলায়। আরো অভিনয় করেছেন প্রিয়াম অর্চি, অ্যাঞ্জেল নূর, এ কে এম ইতমাম প্রমুখ।

২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পায় ‘বলী’। এরপর কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত, গোপনে ঢাকায় ব্রিটিশ দল

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও ব্রিটেনের সাবেক নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা-এনসিএ। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গোপনে ঢাকা সফর করেছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এ সময় তারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন।

শনিবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র মেইল অন সানডে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ত মাসের বৈঠকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এনসিএর গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন যে তারা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তির তদন্তে টিউলিপের বিরুদ্ধে নতুন প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ তথ্য প্রকাশের ফলে টিউলিপের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইমেল রেকর্ড খতিয়ে দেখার, এমনকি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটেনের এই সাবেক নগরমন্ত্রী ও তার মা শেখ রেহানা সিদ্দিকসহ পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তিন দশমিক নয় বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করার অভিযোগে তদন্ত চলছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে শেখ হাসিনার চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপও।

বাংলাদেশের এক সরকারি সূত্র সংবাদপত্রটিকে জানায়, এনসিএ ব্রিটেনে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের দ্বারা টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করতে পারে এনসিএ।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো যদি প্রমাণিত হয় তাহলে যুক্তরাজ্যে ২০১০ সালের ঘুষ আইনের অধীনে তার ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাংলাদেশী কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের আয়োজিত এই বৈঠকের জন্য এনসিএই অনুরোধ করেছিল।

এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে এনসিএ বাংলাদেশে এসেছিল। সে সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে চুরি যাওয়া কোটি কোটি টাকা উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার প্রস্তাব দেয়, যা ব্রিটেনের মতো দেশে পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সূত্র : মেইল অন সানডে


আরও খবর



বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতলেই সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেত বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয়টিতে ঘুরে দাঁড়ায় টিম টাইগ্রেস। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয় মেয়েদের কাছে ৮ উইকেটে হারের ফলে সিরিজের সাথে সরাসরি বিশ্বমঞ্চে খেলার সুযোগও হারাল বাংলাদেশ। অবশ্য সুযোগ একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। ৬ দলের সঙ্গে একটি বাছাইপর্ব খেলে উৎরে যেতে পারলে ২০২৫ সালের বিশ্বমঞ্চের টিকিট পাবেন জ্যোতিরা।

সেন্ট কিটসে শুক্রবার রাতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪৯ রান। এক পর্যায়ে স্কোর হয় ৩ উইকেটে ৯৪। সেখান থেকে হঠাৎ ধসে ৪৩.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে কেবল ১১৮ রানের সংগ্রহ পায় লাল-সবুজের মেয়েরা। জবাবে ২৭.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে স্বাগতিক দল।

টপঅর্ডার ব্যাটাররা কাজটা কিছুটা করে দিয়েছিলেন। শুরুতে উইকেট হারানোর পরও ফারজানা হক পিংকি ও শারমিন আক্তারের জুটিতে ধীরে অর্ধশতরানের জুটি আসে। দুজনই থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন, ফারজানা করেছেন ২২, শারমিন বিদায় নেন ৩৭ রানে।

তাদের বিদায়ের পর থেকে শেষপর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইনিংসটা খেলেছেন সোবহানা মোস্তারি। কিন্তু উইকেটের অন্যপাশে ছিল আসা-যাওয়ার মিছিল। এরমধ্যেই ৬২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষপর্যন্ত ১১৮ রানে থামে বাংলাদেশ।

জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। উদ্বোধনী জুটি তাদের এনে দেয় ৪৫ রান। অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস ফিরে গেলেও ১১৯ রান তাড়া করতে স্বাগতিকদের বেগ পেতে হয়নি। কিয়ানা জোসেফ করেন ৩৯, সঙ্গে ডিয়ান্দ্রা ডটিনের ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস উইন্ডিজের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে দেয়।

মেয়েদের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভারত। বাংলাদেশকে হারানোয় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে অষ্টমস্থানে। তাদেরও সরাসরি খেলা হচ্ছে না বিশ্বকাপে। অন্যদিকে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাছাই পর্ব খেলবে বাংলাদেশ। যেখান থেকে দুটি দল পাবে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫