Logo
শিরোনাম

মিন্টুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ডের আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক:


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 


গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চাওয়া হয়েছে ১০ দিনের রিমান্ড।



আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সিনিয়ার সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।



এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে ধানমণ্ডি থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।


ডিবি সূত্র জানিয়েছে, আনার হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঝিনাইদহের একাধিক নেতার মোবাইলে ‘মিশন সফল’ জানিয়ে আকতারুজ্জামান শাহীন খুদে বার্তা পাঠান। আনার হত্যাকাণ্ডের পর সঞ্জীবা গার্ডেন থেকে শিমুল ভূঁইয়া শাহীনের মোবাইলে ছবি পাঠান।


 যেসব ছবি শাহীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টুর মোবাইলফোনে পাঠিয়ে বলেন, ‘আনার শেষ, মনোনয়ন কনফার্ম’।


এদিকে, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর সঙ্গে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের রাজনৈতিক বিরোধ ছিল বলে জানিয়েছেন আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তার সন্দেহ, বাবার হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় থেকে জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা জড়িত।


ডরিন বলেছেন, আকতারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে আমার বাবার কোনো ব্যবসা ছিল না। সে আমার বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু না। আমার বাবা হত্যার সঙ্গে যত বড় নেতাই জড়িত থাকুক না কেন, আমি তাদের বিচার চাই।


ডরিন বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে আমার বাবার বিরুদ্ধে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচা। তার সঙ্গে আমার বাবার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধিতা রয়েছে। 


এমনকি সেই নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আমার বাবার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিলেন।


গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে।



 পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।


বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের।


 ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউ টাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামের একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ।



আরও খবর



মুরগির বাজার চড়া, বেড়েছে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে কেন্দ্র করে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম বেড়েছে। রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি কোনোটাই ৮০ টাকা দরের নিচে বিক্রি হচ্ছে না।

এরমধ্যে- বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, পটল ১০০ টাকা,ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর মুখী ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, সাজনা ১৬০ টাকা ঝিঙা ৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁপেটা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া সিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস, বাঁধা কপি বড় সাইজের ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পাকা টমেটো কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, খিরাই ৮০ টাকা এবং শসা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

তবে এসব বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ। নতুন আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার লাল আলু ৩০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। এসব বাজারে সোনালি কক মুরগি ৩৩০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে আদা ১২০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।


আরও খবর



এবার পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। গত শুক্রবারে যেখানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, এখন সেটিই বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। সামনে দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

পুরো রমজানে স্বস্তি দেয়া পেঁয়াজের বাজারে যেন হঠাৎ আগুন লেগেছে। কারণ পেঁয়াজের ভরা মৌসুম হলেও রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। দাম বাড়ার এই প্রবণতা শুরু হয় মূলত পহেলা বৈশাখ থেকে। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, দাম কেন বাড়ছে, তার সুনির্দিষ্ট কারণ তাদের জানা নেই। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আলমগীর বলেন, ‘খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে দাম। কেন বেড়েছে বুঝতেছি না।

আরেক বিক্রেতা নয়ন বলেন, ‘দাম বাড়ার পেছনে খুচরা বিক্রেতাদের কোনো হাত নেই। পাইকারি বাজার থেকে যে দামে কিনি, সেই অনুযায়ী বিক্রি করি। আমরা নিজেরাও জানি না কেন এমন বাড়ল। দাম বাড়ায় কমেছে বেচাকেনাও।

একই অভিযোগ পাইকারদেরও। তারা বলছেন, ‘আড়ত থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা জুবায়ের জানান, পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আড়তে ও মোকামে দাম বাড়ায় পাইকারিতেও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।


আরও খবর



রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম সৃষ্টি”

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রহমতে আলম,নূরে মুজাস্সাম, হুজুর পূরনুর (ﷺ) হলেন সর্বপ্রথম সৃষ্টি, যাঁকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না।

★২৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:)-কে বলেছেন,ওহে ঈসা! মহানবী (ﷺ)-এঁর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো।রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-না হলে আঁমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না,বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।”

📚*দলিল

*১. আল মোসতাদরেক’ হাকিম: ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭

*২.আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২

*৩. ইমাম ইবনে সাদ : তানাকাতুল কোবরা

*৪.ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী : ‘শিফাউস্ সিকাম ৪৫

*৫. শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী : ফতোওয়ায়ে সিরাজিয়া ১/১৪০

*৬.ইবনে হাজর রচিত ‘আফদালুল কোরা

*৭.আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,

*৮. শায়খ ইউসূফ নাবাহানী :

জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪ ও ৪/১৬০

*৯. ইবনে কাসীর : কাসাসুল আম্বিয়া : ১/২৯ পৃ:

*১০.ইবনে কাসীর : সিরাতে নববিয়্যাহ : ১/৩২০

*১১. ইবনে কাসীর :মুজিযাতুন্নবী (দরুদ ) : ১/৪৪১

*১২. ইবনে হাজর আসকালানি : লিসানুল মিযান : ৪/৩৫৪,রাবী, ১০৪০।

*১৩.ইবনে হাজর আসকালানী রচিত ‘আফদাল আল-কুরআন’; ১/১৮৯।

ইমাম কুস্তালানী : মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া; ১/১৮

ইবনে হাজার হাইসামী : শরহে শামায়েল, ১/১৪২।

*১৩. ইমাম যাহাবী : মিজানুল ইতিদাল : ৫/২৯৯, রাবী নং ৬৩৩৬

*১৪. ইবনে হাজর হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/৪২

*১৫. ইমাম যুরকানী :শরহে মাওয়াহিব : ১/১২/২২০

*১৬. আবু সাদ ইব্রাহীম নিশাপুরী : শরহে মোস্তফা : ১/১৬৫

*১৭. খাসায়েসুল কুবরা : ১/১৪ : হাদিস ২১

*২৮. ইমাম ইবনে হাইয়্যান : ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী : ৩/২৮৭

*২৯. কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২

*৩০.মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১

*৩১. মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১/২৯৫, হাদিস : ৩৮৫

*৩২. ইবনে শামী সালেহ : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩

✅হাদিসের মান পর্যালোচনা✅

*১.ইমাম হাকিম তাঁর ‘মোসতাদরেক’ গ্রন্থে তাঁর তাহকিকে হাদিসটিকে সহিহ্ সাব্যস্থ করেছেন।

আল মোসতাদরেক’ হাকিম: ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭

*২.ইমাম দায়লামী : হাদিসটির মান সনদের দিক থেকে হাসান।

আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২

*৩.অারও অসংখ্য ইমাম, ইমাম হাকিম রহ. এঁর রায়কে গ্রহণ করেছেন।অপরদিকে, কেবলমাত্র ইমাম যাহাবী (রহ:) উক্ত রায়ের বিপরীত বলেছেন।তিনি বিপরীত বলার কারন স্বরুপ বলেন :উক্ত হাদিসের একজন রাবী ‘আমর ইবনূ আউস আল আনসারী’ ‘অপরিচিত’।

একজন রাবী অপরিচিত হওয়াতে একটি হাদিস জাল কোনভাবেই হতে পারে না।উক্ত রাবী ইমাম যাহাবী (রহ:)এর দৃষ্টিতে অপরিচিত।অথচ তাঁর চেয়ে উঁচু স্তরের ইমামগণ উক্ত হাদিসকে সহিহ্ ও উক্ত রাবী (আমর ইবনূ আউস) কে সিকাহ্ বলেছেন।

*৪.বিশ্ববিখ্যাত রিযাল গ্রন্থ ‘তাহযিবুল কামাল ফি আসমাউর রিযাল’ এ বলা হয়েছে, উক্ত রাবী সিকাহ্ বা বিশ্বস্থ।

*৫. ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম বুখারি, ইমাম আবু নুআইম (রহ:)ও তাঁকে সিকাহ্ বলেছে।

[ইমাম মিযযী : তাহযিবুল কামাল ফি আসমাউর রিযাল; ১৪/১৭৭, রাবী নং : ৪৯১৩]

*৬. তদুপরি,আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (রহ:) উক্ত রাবীকে সিকাহ্ বা বিশ্বস্থ বলেছেন।

[ইবনু হাজর আসকালানী : তাকরীবুত তাহযীব; ১/৪৩৬]


বুঝা গেল ইমাম যাহাবী (রহ:) এর নিকট উক্ত রাবী অপরিচিত হলেও আর কারো নিকট পরিচিত হবেন না এমন নয়।আর ইমাম যাহাবী (রহ:) উক্ত রাবীকে মিথ্যাবাদী বলেন নি; বলেছেন,অপরিচিত।


✌সুতরাং হাদিসটি নি:সন্দেহে সহিহ্ এর মান রাখে। আর হাদিসটি যেহেতু আমল ও আহকাম সম্পর্কিত নয়, সেহেতু ‘হাসান’ বলে মানতে ও বিশ্বাস করতে সমস্যা নেই।

★৩০. এবার আমি তাবলীগ জামাতের ‘ফাজায়েলে আমল’ গ্রন্থ থেকে একটি প্রমান দিব।সেখানে একটি শিরোনাম দেওয়া হয়েছে কোন ‘আমালে আদাম (আ:)-এঁর তাওবাহ কবূল হলোঃ

“হযরত ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হুজুরে পাক (ﷺ) বলেন, যখন হযরত আদম (আঃ) হইতে কিছুটা পদস্খলন হইয়া গেল যাহার দরুণ তিনি বেহেশত হইতে দুনিয়াতে প্রেরিত হইলেন,তখন তিঁনি সব সময় কান্নাকাটি ও এস্তেগফার করিতে থাকেন।একদিন তিঁনি আসমানের দিকে মুখ উঠাইয়া আরজ করিলেন হে আল্লাহ! মোহাম্মাদ (ﷺ)-এঁর উছিলায় আঁমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।ওহী নাজিল হইল, মোহাম্মদ (ﷺ) কে? যাহার উছিলায় তুমি ক্ষমা চাহিতেছ? হযরত আদম (আঃ) বলিলেন- যখন আঁপনি আমাকে সৃষ্টি করেন তখন আমি আরশের উপর লিখিত দেখিয়াছিলাম ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ’, তখনই আমি বুঝিতে পারিয়াছিলাম মোহাম্মদ(ﷺ) হইতে অধিক মর্যাদাশীল আর কেহই হইবে না,যেহেতু আঁপনি তাহার নাম নিঁজের নামের সঙ্গে রাখিয়াছেন।ওহী হইল হে আদম! তিঁনি আখেরী নবী এবং তিঁনি তোমার আওলাদভূক্ত হইবেন অথচ তিনি না হইলে তোমাকেও পায়দা করতাম না”-।

📚দলিল

মৌ:মোহম্মদ জাকারিয়া,ফাজায়েলে আমল; খণ্ড ‘ফাজায়েলে জিকির’, পৃষ্ঠা ৩১৫ (বাংলা), পরিবেশনায় তাবলিগী কুতুবখানা / ফাউণ্ডেশন।

তাবারানী; সাগীর,২/৮২,২০৭।


★৩১. ইবনে আসাকির (রহ:) উদ্ধৃত করেন হযরত সালমান ফারিসী (রা:)-কে, যিনি বলেন: “হযূর পূর নূর (ﷺ)-এঁর কাছে জিবরীল আমীন (আ:) এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী, ‘(হে রাসূল) আঁপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আঁমি সৃষ্টি করিনি।আঁমি বিশ্বজগতও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আঁপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে। আঁমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না, যদি আঁপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”

📚দলিল

*১.ইবনে আসাকির : তারিখে দামেস্ক : ৩/৫১৭

*২. মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১

৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৮২

৪. ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/২৮৯

*৫.কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ২/১০৫


★৩২.তাবেয়ী হযরত কাবুল আহবার (রা) থেকে বর্নিত,(বিশাল বর্ননার পর)…. যদি তিঁনি [রাসুল (ﷺ)] না হতেন তাহলে আঁমি না তোমাকে [আদম (আ:)] সৃষ্টি করতাম, না আসমান,জমীন সৃষ্টি করতাম।

📚দলিল

*১.ইমাম কুস্তালানী : আল মাওয়াহেব : ১/৩৩

*২.ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৫২

*৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/৭৮

*৪. আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩১

*৫.ইমাম তুগরিব : আল মাওলুদ শরীফ : ১৪২

★৩৩. হাদিস শরীফে অপর একটি বর্ননায় এসেছে।

عن ابن اباس رضي الله عنهما انه قال قال رسول الله صلي عليه و سلم اتاني جبريل عليه السلام فقال يا رسول الله صلي عليه و سلم لولاك ما خلقت الجنة ولولاك ما خلقت النار

অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্নিত, নিশ্চয়ই হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আঁমার নিকট আগমন করে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক তিঁনি আমাকে এই বলে পাঠিয়েছেন যে, আঁপনি যদি না হতেন তবে আঁমি জান্নাতও জাহান্নাম কিছুই সৃষ্টি করতাম না। ”

📚দলিল

*১.কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২

*২.ইমাম দায়লামী: ‘মুসনাদ আল- ফিরদাউস, ২/২৪২

*৩. শায়খ ইউসূফ নাবাহানী : যাওয়াহিরুল বিহার; ৪/১৬০।

*৪.আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫।

🌹সনদের মান যাচাই🌹

*(ক.) ইমাম দায়লামী বলেন, হাদিসটি সনদের দিক থেকে ‘হাসান’।

[দায়লামী; মুসনাদ আল ফিরদাউস, ২/২৪২]

*(খ.) বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস মোল্লা আলী ক্বারী বলেন,একথাটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ।

[আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫]

★৩৪. ইবনে আসাকির উদ্ধৃত করেন হযরত সালমান ফারিসী (রা:) থেকে।তিনি বলেন : “হযূর পূর নূর প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর কাছে জিবরীল আমীন (আ:) এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী : ‘আঁমি যদিও ইব্রাহিম (আঃ) কে খলিল বানিয়েছি, কিন্তু আঁপনাকে বানিয়েছি ‘হাবীব’।আঁমি যদিও মূসা (আঃ) এঁর সাথে দুনিয়াতে কথা বলেছি, আঁপনার সাথে কথা বলেছি আসমানে।আঁমি ঈসা (আঃ) কে রুহুল কুদ্দুস থেকে সৃষ্টি করলেও আঁপনাকে করেছি সমগ্র সৃষ্টিজগতের ২০০০ হাজার বছর পূর্বে।আঁপনার কদম এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আঁপনার পূর্বে কারো কদম পৌঁছেনি, ভবিষ্যতেও পৌঁছবে না।আঁমি আদম (আঃ) কে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করলেও আঁপনার মাধ্যমে ঘটিয়েছি নাবুয়্যাত ক্রমধারার পরিসমাপ্তি।(হে রাসূল) আঁপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আঁমি সৃষ্টি করি নি।

ক্বিয়ামাত দিবসে আঁমার আরশের ছায়া আঁপনার উপর প্রসারিত হবে। প্রশংসার জয়মুকুট আঁপনার নূরানী মস্তকে শোভা পাবে। আঁমি আঁপনার নাম আঁমার নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছি।আঁমি বিশ্বজগতও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আঁপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে।আঁমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না,যদি আঁপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”

📚দলিল

*১. ইবনূ আসাকির : তারীখে দামেস্ক; ৩/৫১৭।

*২. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী : মওদ্বুআতুল কবীর; পৃষ্ঠা ১০১।

*৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব; ১/১৮২।

*৪. শায়খ ইউসূফ নাবাহানী : যাওয়াহিরুল বিহার; ১/২৮৯।

*৫. ইমাম কাজী আয়াজ : শিফা শরিফ; ২/১০৫।


আরও খবর



সীমিত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মাভাবিপ্রবিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলা শুভ নববর্ষ ১লা বৈশাখ-১৪৩২ পালন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ-এর নেতৃত্বে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় সকল অনুষদের ডিনবৃন্দ, গ্রন্থাগারিক, শিক্ষার্থীকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান এবং অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে মুক্তমঞ্চে মাভাবিপ্রবি সাহিত্য সংসদের নববর্ষ বই মেলা, রোটারেক্ট ক্লাব অব মাওলানা ভাসানীর খেলাধুলা ও খাবারের দোকান, ধ্রুবতারার আয়োজনে পান্তা-ইলিশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি ও মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এতে অংশগ্রহণ করেন সীমিত সাধারণ শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা।


আরও খবর



অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শাহাদাত হোসেন সায়মন: তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ-আশুলিয়া, আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-সাভার -এর আওতাধীন আশুলিয়ার জামগড় ও ইটখোলা এলাকার ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

অভিযানে প্রায় ৫০০টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৪০০ মিটার পাইপ অপসরণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এতে প্রায় ১১,৩৩৪ ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তিনটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মক্কা হোটেল এন্ড চাঁদপুর রেস্টুরেন্ট, মেসার্স মদিনা হোটেল ও মেসার্স গাইবান্ধা হোটেল এবং ২ জন অবৈধ গ্রাহক আব্দুল ওয়াহাব মীর ও হুমায়ুনকে পৃথক পৃথক মামলায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়েছে।

একই দিন নাজমূল হুদা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণগঞ্জ এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ-আড়াইহাজার, আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-রুপগঞ্জ-এর আওতাধীন কালিবাড়ি বাজার সংলগ্ন এবং সত্যবান্দি, দুপ্তারা আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ২.৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

অভিযানে প্রায় ৮২০টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ১১০ ফিট এমএস পাইপ, ১ টি প্যাকেজ বার্ণার ও ১ বুস্টার অপসরণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ কারখানায় অভিযানকালে ফ্যাক্টরি সংশ্লিষ্ট কেউ না থাকায় জেল/জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমশিনার ভূমি মামুন শরিফ এবং আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা-নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্বে হোসাইননগর, কাশিপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ৫ টি বিশেষ টীমের মাধ্যমে সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

উক্ত অভিযানে বকেয়া গ্যাস বিলের কারণে ৩ টি যাদের বার্ণার সংখ্যা ছিল ৬ ডাবল চুলা, অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহারের কারণে ১০ টি আবাসিক যাদের বিচ্ছিন্নকৃত বার্ণার সংখ্যা ৯৯ ডাবল চুলা। এছাড়াও অভিযান পরিচালনাকালে সম্পূর্ণ অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের (গ্রাহক সংকেত ব্যতীত) কারণে ১০ টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় যাদের বার্ণার সংখ্যা ছিল ৩৩ টি ডাবল চুলা।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে গত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৩০টি শিল্প, ১৫৫টি বাণিজ্যিক ও ২৯,২৩২টি আবাসিকসহ মোট ২৯,৬১৭টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৬৭,১২টি বার্নার বিচ্ছিন্নসহ উক্ত অভিযানে ১৪৪ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


আরও খবর