Logo
শিরোনাম

মির্জাগঞ্জে সংখ্যালঘু পরিবারের ঘর ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক সংখ্যালঘু পরিবারের ঘর ভেঙ্গে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বুধবার ভুক্তভোগী পরিবার মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী গ্রামের আলতাফ হাওলাদার, জসিম ও আরিফসহ একাধিক ব্যক্তির নামে এ অভিযোগ করা হয়। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডোকলাখালী গ্রামের দিনমজুর সঞ্জয় চন্দ্র হাওলাদারের পিতা  মৃত- রাখাল চন্দ্র হাওলাদারের কাছ থেকে ডোকলাখালি মৌজার ১৩৫ নং খতিয়ান এর ৪৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন একই গ্রামের আলতাফ হাওলাদার গংরা। 

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় তাদের ভয়ে  কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। 

রাখাল চন্দ্রর মৃত্যু  পরে  অভিযুক্তরা তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভোগ দখল না করে দিন মজুর সঞ্জীব এর বাড়ির সামনের অন্য খতিয়ানের ৬ শতাংশ জমি অবৈধভাবে জোর পূর্বক দখল করে ভোগ দখল করার পাঁয়তারা করতে ৪-৫ দিন পূর্বে ওই জমিতে  বালু ফেলে ভরাট করে এবং জমিতে পূর্বের নির্মানধীন একটি টিনের ঘর ভাংচুর করে। এসময় বাঁধা দিলে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে  সঞ্জয়ের মা ভিবা রানীর গলায় থাকা চার আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়া যায় অভিযুক্তরা। 

ভুক্তভোগী সঞ্জীব হাওলাদার আরও অভিযোগ করেন,

ওই জমির কাছে গেলে তাদের খুন জখম করার হুমকি প্রদান করেন অভিযুক্তরা।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে ও মুঠোফোনে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের  পাওয়া যায়নি।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদারের সাথে কথা বলতে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আরও খবর



রেলওয়ের আখাউড়া-সিলেট প্রকল্প বাতিলের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ রেলওয়ের আখাউড়া-সিলেট সেকশনের মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে উন্নীতকরণের প্রকল্পটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালে প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। চীনের অর্থায়নে জিটুজি পদ্ধতিতে এটি বাস্তবায়নের কথা। দর চূড়ান্তকরণের পর তা কমানোর নির্দেশের পর সরে যায় চীন। পরে ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়নের চিন্তা করা হয়। তাতেও লাভ হয়নি। কোনোভাবেই অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বলা হয়, প্রকল্পের অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় কাজ শুরু হয়নি। তাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি থেকে এটি বাদ দেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।

প্রকল্প থেকে চীন সরে যাওয়ার পর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের (ইরকন) মাধ্যমে কাজ পাওয়াসাপেক্ষে অর্থায়ন নিশ্চিত করার প্রস্তাব পেয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেই প্রস্তাবও বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। এরপর অন্য উৎস থেকেও অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারেনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী বলেন, প্রকল্পটির অর্থায়নে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে এডিপি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার।

জানা গেছে, ঢাকার সঙ্গে সিলেটের যোগাযোগ আরও সহজ করার লক্ষ্যে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের জুনে। প্রকল্পে ৬৬ দশমিক ১৬ শতাংশ অর্থায়ন করার কথা ছিল চীন সরকারের। এমনকি ঠিকাদার নির্বাচনসহ প্রায় সব প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছিল। চীনা অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৬ সালে। চীনের রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যৌথ সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর প্রকল্পটির দরকষাকষি সম্পন্ন করে ২০১৯ সালের এপ্রিলে অনুমোদন দেয় একনেক। পরবর্তী সময়ে এটি অত্যধিক ব্যয়বহুল মনে হলে খরচ কমানোর নির্দেশনা আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। তাতে রাজি হয়নি নিযুক্ত চীনের ঠিকাদার।

বলা হয়েছে, নির্ধারণকৃত দর থেকে ৩ হাজার ৩৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা (২০.৮%) কমে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ অনুশাসনের পর ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়। খরচ কমানোর জন্য প্রস্তাব তৈরি করে এ সংক্রান্ত কমিটি। তাদের প্রতিবেদনে দর নির্ধারণের জন্য চলমান অন্য প্রকল্পের আইটেমের দরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মতামত চাইলে তারা বেশ কয়েকটি যুক্তি দেখিয়ে প্রকল্পের মূল্য পুনর্নির্ধারণে একমত পোষণ না করে জবাব পাঠিয়েছে। সেখানে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি) অনুমোদিত দরমূল্য বহাল রাখার কথা বলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব চিঠি চালাচালি শেষে প্রকল্প থেকে সরে যায় চীন।

আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ২৩৯ দশমিক ১৪ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথ ডুয়েলগেজে রূপান্তরে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে নির্মাণব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৭৫০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে মাটির কাজে ৩৪৬ কোটি ২৮ লাখ, ট্র্যাকের কাজে ১৯২ কোটি ৫৭ লাখ, সিগন্যাল ও টেলিকম খাতে ২১ কোটি ৬১ লাখ, সেতু ও কালভার্ট খাতে ১৪৬ কোটি ৪৬ লাখ, স্টেশন ও বিল্ডিং খাতে ২০ কোটি ৩৩ লাখ এবং প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট খাতে এক হাজার ৩৮২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু রাজি হয়নি ঠিকাদার সিআরবিসি।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তি ছিল। আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ডুয়েলগেজ লাইন হলে ট্রেন চলাচলের হার (ফ্রিকোয়েন্সি) বাড়বে না। এ রুটে ডাবল লাইন এবং ডুয়েলগেজ নির্মাণ করা হলে এ প্রকল্প থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে। অন্যথায় সরকারের এ বিশাল বিনিয়োগে জনগণের তেমন কোনো সুবিধা হবে না। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও এ প্রকল্পে আপত্তি তুলে এক চিঠিতে বলেছিলেন, এটা ডাবল লাইন ও ডুয়েলগেজ হওয়া উচিত। শুধু ডুয়েলগেজ করে কোনো লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।


আরও খবর



অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু গত কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৭ নম্বরে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৬২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কার ২০৯। আর ১৯৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের শহর দিল্লি, ১৮৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের স্কোর ১৭২।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




আর্জেন্টাইন তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্লপ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলতে ত্রিমুখী শিরোপা লড়াইয়ে মেতে আছে লিভারপুল-আর্সেনাল-ম্যানচেস্টার সিটি। শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে গতকাল শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে গতকাল মাঠে নেমেছিল লিভারপুল। এ ম্যাচে কনর ব্র্যাডলির আত্মঘাতী গোলে ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কায় ছিল অল রেডরা। তবে ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন তারকার গোলেই জয়ের পথ রচনা করে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।

অ্যানফিল্ডে শেফিল্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এদিন শুরুতেই লিভারপুলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডারউইন নুনিয়েজ। এরপর প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি অল রেডরা। এদিকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ৫৮ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়ান ব্র্যাডলি।

আত্মঘাতী গোলে শেফিল্ড সমতায় ফেরার পর ঘরের মাঠে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কা জেগেছিল ক্লপের দলে। তবে এমন সময়ে ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। সাবেক লিভারপুল কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ডকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গটির শটে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। লিড নেয়ার পর নির্ধারিত সময়ের শেষ কিনিটে আরও এক গোল করেন কোডী গ্যাকপো। এই গলেই ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা, সেই সঙ্গে শীর্ষস্থানও নিশ্চিত করেছে ক্লপের দল।

এদিকে লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত গোল করা ম্যাক অ্যালিস্টারকে নিয়ে ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন অল রেডদের কোচ ক্লপ। তিনি বলেন, তার রক্ষণাত্মক কাজও সত্যিই ভাল ছিল যেখানে লোকেরা সন্দেহ করেছিল যে সে রক্ষণাত্মক হতে পারে কিনা, তবে আমি তাকে আটে (অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার) পছন্দ করি।

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত কিছু গোল করেছেন জানিয়ে ক্লপ আরও বলেন, সে সত্যিই একজন ভাল খেলোয়াড়। প্রথমার্ধে সে ছয়ে খেলছিল, কিন্তু আমরা জানতাম যে আমরা তাকে কিছুটা উপরে নিয়ে যেতে পারব। তারপর সে এই ধরনের গোল করে, মৌসুমের সবচেয়ে বড় দুটি স্ক্রিমার ওর কাছ থেকে এসেছে। তারপর ফ্রি কিক থেকে সরাসরি (গোল) - একেবারে পাগলাটে, কি দারুণ একজন খেলোয়াড়।


আরও খবর



ঈদের আগেই মুক্তি পাবেন ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক যেকোনও সময় দেশে ফিরছেন। তবে কবে নাগাদ দস্যুদের কবল থেকে তারা মুক্তি পাচ্ছেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে দস্যুদের সঙ্গে জাহাজ কর্তৃপক্ষের মুক্তিপণ নিয়ে সমঝোতা হয়েছে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন।

ওই জাহাজের নাবিকদের মুক্তিপণ হিসেবে দস্যুদের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি মালিকপক্ষের কেউ। তবে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জাহাজে জিম্মি নাবিকরা সুস্থ আছেন। দস্যুদের সঙ্গেও আমাদের আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ঈদের আগেই যেন জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

এদিকে, কবির গ্রুপের অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দস্যুদের কবল থেকে নাবিকদের মুক্ত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিককে আকাশপথে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। জাহাজটিতে নতুন করে ২৩ জনের একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারাই কয়লাভর্তি জাহাজটিকে সোমালিয়া থেকে দুবাইয়ে নিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে ওই ২৩ জন নাবিকের নতুন টিম প্রস্তুত করেছেন জাহাজের মালিক।

দস্যুদের কবলে জিম্মি এক নাবিকের স্বজন বলেছেন, আমরা প্রতিদিন এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জিম্মি নাবিকদের খবর নিচ্ছি। কর্মকর্তারা সর্বশেষ আমাদের বলেছেন, নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দস্যুদের সঙ্গে কথা হয়েছে। জাহাজমালিক দস্যুদের চাহিদামতো অর্থ দিতে রাজি হয়েছেন। এখন নাকি সমস্যাটা হয়েছে ডলার নিয়ে। দস্যুদের এই টাকা দেশ থেকে নাকি জোগান দেওয়ার সুযোগ আইনে নেই। এ টাকা অন্য দেশ থেকে সংগ্রহ করে দিতে হবে। এখন টাকা সংগ্রহের জন্য নাকি নাবিকদের মুক্তিতে দেরি হচ্ছে।

আবদুল্লাহ জাহাজে জিম্মি ওয়েলার মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম বলেন, আমার শ্যালক শামসুদ্দিন গত রবিবার রাতে ফোন করেছেন। জানিয়েছেন তারা সুস্থ আছেন। শামসুদ্দিন আরও জানিয়েছেন, কিছু দিন ধরে জাহাজে এক লোক যোগ দিয়েছেন দস্যুদের সঙ্গে। লোকটি স্থানীয় ভাষা বোঝার পাশাপাশি ইংরেজিতেও পারদর্শী। তারা ধারণা করছেন, ইংরেজি জানা লোকটির মাধ্যমে জাহাজমালিকের কাছে মুক্তিপণের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে।

এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেবার ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জিম্মি নাবিকরা মুক্তি পায় বলে জনশ্রুতি আছে। ওই সময় কেনিয়া হয়ে সোমালিয়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ। এখন কীভাবে টাকা পৌঁছানো হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি। ভাড়ার বিনিময়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের আমদানিকারকের কাছে কয়লা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর।

এই প্রতিষ্ঠানটির অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম এমভি আবদুল্লাহ।


আরও খবর



ছুটিতে পদ্মাসেতুতে প্রায় ২২ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) পদ্মাসেতু হয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।


সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল ২০ হাজার ৮৫১ টি, ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি ও ১৪ এপ্রিল ১১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ সাতদিনে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা।

জাজিরা প্রান্ত দিয়ে সাতদিনে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৪৯টি, ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি ও ২৩ হাজার ৩০১টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।


এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ১০ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

এসব তথ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্য সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।


আরও খবর

কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪