Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

মির্জাগঞ্জে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৭ দোকানিকে জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি,পটুয়াখালী :


পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ৭ টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পটুয়াখালী জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার কলেজ রোড থেকে সুবিদখালী বাজারের ষ্টীল ব্রিজ পর্যন্ত ৭ টি দোকান থেকে এ জরিমানা আদায় করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পটুয়াখালী জেলার সহকারী পরিচালক মো.শাহ শোয়াইব মিয়ার নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় মির্জাগঞ্জ থানার এসআই মো.ইব্রাহীম,উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মাখসুদুর রহমান খান অভিযানে সহয়তা করেন।

সুবিদখালী কলেজ রোডস্থ সকাল সন্ধ্যা হোটেলকে ৬ হাজার,হোটেল সালামকে ৩ হাজার,মৃধা স্টোরকে ১ হাজার,স্টিল ব্রিজ সংলগ্ন রোগ মুক্তি ফার্মেসীকে ৩ হাজার,অন্তরা মেডিকেল হলকে ১০ হাজার এবং নান্নু শপিং কমপ্লেক্সের সুরাইয়া ফ্যাশনকে ৪ হাজার ও শেফা ফ্যাশন হাউসকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।


জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পটুয়াখালী জেলার সহকারী পরিচালক মো.শাহ শোয়াইব মিয়া বলেন,মির্জাগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপন্য তৈরি ও সংরক্ষন করা,মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধ বিক্রয় ও বিক্রয় প্রস্তাব করা,এমআরপি থেকে অতিরিক্ত দামে ঔষধ বিক্রয় করা,বিক্রয় নিষিদ্ধ কসমেটিক্স বিক্রয় করা ও কসমেটিকসের মোড়কে খুচরা মূল্য উল্লেখ না থাকার কারণে ৭ টি  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে বাজার তদারকি মূলক এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



রোজার দুমাস আগেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তবুও দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। শিম, কপি ও বেগুনসহ শীতকালীন নানা সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে দামে। এ অবস্থায় রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মহাচিন্তায় সাধারণ ক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুলা, পেঁপে ও শালগম ছাড়া কোনো সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। অন্যান্য দিনে মুলা কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবারের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপিও। এছাড়া, প্রকারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়।

তাছাড়া, বাজারে রান্নায় সবচেয়ে ব্যবহার্য আলু বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। তুলনামূলক সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে মুলা ও পেঁপে ৪০ টাকায়। আর বরবটি ১২০ টাকা, শালগম ৪০, লাউ ৫০-৮০ টাকা প্রতি পিস, শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে।

আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাক কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া, লাউ শাক ৫০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা ও ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজির দাম শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়। এখন শীতের প্রতিটি সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে, না হয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। কী আর করা, বাধ্য হয়েই আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখছি ব্যবসায়ীরাও এই দিনটাকে ঘিরে নতুন করে ব্যবসার ফন্দি এঁটেছে। আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় সব কিছুর দাম বেশি। বাজারগুলোতে মনিটরিং করতে কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে অনেকটা অসহায়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, বাজারে শীতের সবজি পর্যাপ্ত আছে, কিন্তু দামটা অন্যান্য সময়ের তুলনামূলক একটু বেশি। আবার দাম বেশি হলেও তুলনামূলক চাহিদাও অনেক বেশি। আপনারা বলছেন দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে, যা দেখে অবাক হওয়ার মতো।

দাম বেড়েছে ডিম-মুরগির, স্থিতিশীল গরু-খাসি

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আর লাল লেয়ার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের রিপন বলেন, বাজারে সরবরাহ কমায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে শীত যেভাবে বাড়ছে, এতে মুরগির রোগ-বালাইও বাড়ছে। প্রচুর মুরগি মরে যাওয়ায় সামনে আরও দাম বাড়তে পারে।

এদিকে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। তবে গত মাসে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দিয়েছিল মাংস ব্যবসায়ীরা। এখন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারিত থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতিকেজি গরুর মাস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন দাবি করে আপাতত ৭০০ টাকা দরে বিক্রির চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা।

আর রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী খোকন বলেন, দাম কমানোয় গরুর মাংসের বিক্রি বেড়েছিল; কিন্তু কম দামের কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখতে দাম ৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারে বাড়েনি খাসির মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়।

এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে ডজন প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মুরগির রোগ-বালাই। মারা যাচ্ছে মুরগির। এতে ডিমের উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। নিত্যপণ্যের এ অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

রোজার পণ্যের বাজার গরম-

রোজার এখনও প্রায় দেড় মাস বাকি। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে আটা-ময়দা, ডাল-ছোলা ও চিনির দাম। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। ছোলার পাশাপাশি বাড়ছে অন্যান্য ডালের দামও। গত এক মাসের মধ্যে এসব পণ্যের দাম ১০-৩০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি ছোলার ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, ডাবলির ডাল ৭৫ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা দানার মুগ ডাল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, চিকন মুগ ডাল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও খেসারি ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।

আর আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পরও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা জানান, রোজাকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। সরকার তাদের ওখানে অভিযান চালায় না। মিলগুলোতে অভিযান চালালে পণ্যের দাম এমনিতেই কমে যাবে।

আর খুচরা বিক্রেতা সালাম জানান, পণ্যের দাম খুচরা বিক্রেতাদের হাতে নেই। বাড়তি দামে কেনায়, বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

খেজুরের দাম আকাশছোঁয়া-

রাজধানীর ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। গত এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে খেজুরের চাহিদা। এতে বাড়ছে দামও।

এছাড়া প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০ টাকা, সবুজ আপেল ২৮০ টাকা, নাশপতি ২৫০ টাকা, আনার ৫০০ টাকা, লাল আঙুর ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা ও কমলা ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অস্থির মসলার বাজার-

দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারেও। গত এক মাসের ব্যবধানে এলাচ-লবঙ্গের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। গোলমরিচ, দারুচিনির দামও বাড়তি। এর কারণ জানেন না খোদ বিক্রেতারাও। তাদের দাবি, আমদানিকারকদের কারসাজিতেই বাড়ছে দাম।

কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা বলেন, দাম কমেছে শুধু জিরার। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি লবঙ্গ ১ হাজার ৮০০ টাকা, গোল মরিচ ৮০০ টাকা, এলাচ ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা ও দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। তবে বাজারে দেখা নেই পুরাতন দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও সেটি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পুরোদমে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। এতে বাড়ছে দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা হাসিব বলেন, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করলে দাম কমে আসবে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৬০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আড়ত পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।

এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে আদা-রসুনের।

আল-আমিন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। রোজার আগেই সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এখনই বেগুনের কেজি ১০০ টাকা, রোজায় কী অবস্থা হয় আল্লাহ জানেন! দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তদের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে যাবে।

বিক্রেতাদের দাবি, রোজা সমানে রেখে পণ্যের দাম বাড়ছে দ্রুত গতিতে। মূলত মিল পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে দাম। মিল মালিকদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে রোজায় দাম আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



নওগাঁয় র‌্যাবের অভিযানে ২০ কেজি গাঁজা সহ দু'জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার 

অভিনব কায়দায় প্রাইভেট কারের ভেতর বিপুল পরিমান গাঁজা লুকিয়ে নিয়ে বহনকালে নওগাঁয় প্রাইভেট কারে র‌্যাবের তল্লাশি' ২০ কেজি গাঁজা সহ দু'জন আটক।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল শুক্রবার দিনগত রাত পনে ৮ টারদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা ও প্রাইভেট কারে তল্লাসি চালিয়ে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ বরিশাল জেলার মুলাদি থানার

উত্তর পাতারচর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার এর ছেলে

সোহরাব কাজী (৫০) ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার সাতগাও গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে মোহন হোসেন (৩৩) কে আটক করেন। র‌্যাব আরো জানায়, আটককৃত আসামী সোহরাব একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে এবং তার সহযোগী মোহন দীর্ঘদিন যাবত  সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে প্রাইভেট কার-এ বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ কে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে আসছিলো এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, গত কয়েকদিন ধরে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর গোয়েন্দা দল সোহরাব ও মোহন এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করেন এবং ঘটনার দিন ও সময় অভিনব কায়দায় প্রাইভেট কারের সিটের পিছনে বিশেষ ভাবে তৈরিকৃত বক্সের ভেতর লুকিয়ে গাঁজা বহনকালে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসায়ী সোহরাব ও মোহনকে নওগাঁর রাণীনগর থানাধীন রেলগেট এলাকা থেকে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল আটক করেন।


আরও খবর



পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত বাংলাদেশকে ৩৮ টাকা দরে পেঁয়াজ দিচ্ছে এমন খবরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে দাম কমেছে ৫০ টাকা। এর ৩ মাস আগে ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে পেঁয়াজের দাম এক রাতেই কেজিতে বেড়েছিল ৬৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. আশরাফ জানান, বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজ আছে এখন। এরমধ্যে একটি হচ্ছে পাবনার এবং অন্যটি হচ্ছে ফরিদপুরের। আজকের বাজারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লার (৫ কেজি) দাম ২৮০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৪০০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী জলিল বলেন, গতকাল থেকেই পেঁয়াজের দাম কমেছে। আগে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৭২ থেকে ৮০ টাকা। এখন পেঁয়াজের দাম ৫২ থেকে ৫৬ টাকা। দাম কেনা বাড়লো বা কমলো, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমরা কিনে এনে এখানে মাত্র ২/৩ টাকা লাভে বিক্রি করি।

ভারতের পেঁয়াজ দেশে আসলে দাম আরো কমবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের পেঁয়াজ আসবে কী না তারই তো কোনো ঠিক নেই। আসলেও দাম এমনই থাকবে।

এদিকে মগবাজারের চারুলতা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, যে পেঁয়াজের দাম একদিন আগেও ১১০ টাকা ছিল, সেটি কমে হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়।

কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ বলেন, গতকাল বিকাল থেকে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এখন পাবনার পেঁয়াজ ১১০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫০ টাকা। দাম বাড়া-কমার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো কারিশমা নেই। আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি।

ওই দোকানের ক্রেতা মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২ দিন আগে এই দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ১১০ টাকা দিয়ে। আজও এক কেজিই নিতে এসেছিলাম। কিন্তু এক কেজির দামে আজ ২ কেজি কিনতে পারলাম। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়। কী এমন হলো যে দাম অর্ধেকে নেমে এলো। তারা কিন্তু সীমিত লাভ করলে সারা বছরই মানুষ একটা লেভেলে বাজার করতে পারে। কিন্তু সেটি তারা করে না। কোনও মাসে একই বাজার হয় ১০ হাজার টাকা আবার কোনও মাসে ওই একই বাজার হয় ১৫-১৬ হাজার টাকায়।

গতকাল বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল), এমন খবর প্রকাশ পায়। খবরে বলা হয়, প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর বিশেষ বিবেচনায় ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ডেঙ্গুতে আড়াই মাসেই ২০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের প্রথম আড়াই মাসেই ডেঙ্গুতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ছাড়াও ঢাকার দুই সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। এ বছর রাজধানীর বাহিরের জেলাগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

বিভাগভিত্তিক তথ্য বলছে, চলতি বছর ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৫ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৪৫৫ জন, বরিশালে ১৯০ জন, খুলনায় ৯৩ জন, রাজশাহীতে ৩৬ জন, ময়মনসিংহে ২৮, রংপুরে ১৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন।

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দেশের সব হাসপাতালকে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেব। প্রতিটি ওয়ার্ডে মানুষকে সচেতন করা, মানুষকে বোঝানো যে ডেঙ্গু কীভাবে হয়। আমাদের হাসপাতালে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, তারা যেন প্রস্তুত থাকেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় বা জ্বর হয় তারা যেন অতি দ্রুত হাসপাতালে আসে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক দেরিতে আসে। তখন কিছু করা যায় না। এই ম্যাসেজগুলো আমরা দিচ্ছি।

এদিকে, এক বছর আগে বিটিআই আমদানি নিয়ে কেলেঙ্কারির পর এবার এডিসের লার্ভা ধ্বংস করতে নিজেরাই জৈব কীটনাশক আমদানি করার কথা জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।


আরও খবর



দেশে ভোটার বেড়েছে ২৭ লাখ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশে এক বছরে ভোটার বেড়েছে প্রায় ২৭ লাখ। আর আনুপাতিক হারে ভোটার বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদ করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন আর হিজড়া ভোটার ৯৩২ জন।

গত বছরের ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিল ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন, নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন, হিজড়া ৮৩৭ জন।

গত বছরের চেয়ে এবার ভোটার বেড়েছে ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭২০ জন। গতবারের চেয়ে এবার পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৩ জন। এবার নারী ভোটার বেড়েছে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬২ জন। আর হিজড়া ভোটার বেড়েছে ৯৫ জন।


আরও খবর