Logo
শিরোনাম

মঞ্চ মাতালেন নোরা ফাতেহি

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ঢাকায় এসেই মঞ্চ মাতালেন বলিউড অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি। নেচে-গেয়ে মুগ্ধতা ছড়ালেন তিনি। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় উইমেন লিডারশিপ করপোরেশনের আয়োজনে ‘উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আয়োজনে অংশ নেন নোরা ফাতেহি।

প্রথমে মঞ্চে নোরা ফাতেহির জমকালো এন্ট্রি। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি মঞ্চে এলে উপস্থিত দর্শক-ভক্তরা তাকে ‘নোরা নোরা’ বলে আওয়াজ তুলে স্বাগত জানান। এরপর পর্দায় দেখানো হয় তার অভিনয় ও গান। পরে সহশিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হন নোরা নিজেই।

এরপর শুরু হয় পারফরম্যান্স। ‘দিলবার’ গানের সঙ্গে নাচ করেন নোরা। শুধু দর্শকরাই তার নাচে উন্মাতাল হননি, নোরা নিজেও ভক্তদের আবেগ সাড়া দিয়েছেন। 

শুরুতেই মঞ্চে উঠে নোরা ফাতেহি হাত নেড়ে ঢাকার অনুগারীদের মাঝে অপার ভালোবাসা ছড়িয়ে দেন। মঞ্চে নোরার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে তিনি বাংলাদেশকে খুব ফিল করছেন। এ দেশের মানুষের ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ।


আরও খবর



শ্রেণিকক্ষে পাঠ বা কোচিং ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিকে উপজেলায় প্রথম হলেন ফাতেমা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

হাফেজ উম্মে ফাতেমা। কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে। কিন্তু কোন শ্রেণিক্ষ বা শিক্ষকের সাথে নেই কোন পরিচয়। একদিনও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহন করেননি। বাড়িতে ছিলোনা কোন প্রাইভেট পড়ার শিক্ষকও। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে তিনি ১৩০০ ’র মধ্যে ১১৬৫ নম্বর পেয়েছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হাফেজ উম্মে ফাতেমা অভাবনীয় মেধার অধিকারি। সে একদিনও কলেজে ক্লাশ বা কোচিং করেনি। বাড়িতে একাই তার পাঠ চর্চা করেছে। সে আমাদের কলেজের মুখ উজ্জল করেছে। হাফেজ উম্মে ফাতেমা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন আশাকরি।

উম্মে ফাতেমা মাত্র ৮ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হেফ্জ শেষ করেছেন। সে কারনে তার নাম এখন ‘হাফেজ উম্মে ফাতেমা’। তার পিতা মো. টিপু সুলতান আমতলী ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ইংরজি বিষয়ে অধ্যাপক। মা শিউলি খাতুন একজন গৃহিনী। তবে তিনি লোক প্রশাসন বিষয়ে অনার্স মাষ্টারস্ শেষ করেছেন।  

হাফেজ উম্মে ফাতেমা ভবিষ্যতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতে চান। সে লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারিভউ দিয়ে খ ইউনিটে টিকেছেন। ইংরেজি, অর্থনীতি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী হাফেজ উম্মে ফাতেমা। 


আরও খবর



৮ ও ৯ এপ্রিল ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়া যাবে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি অফিস খোলা থাকবে। এবার ঈদে ঐচ্ছিক ছুটির একটা ব্যবস্থা আছে। নিয়মানুযায়ী সেই ছুটি নেওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এবার রমজান ৩০ দিন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ঈদুল ফিতর হতে পারে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। ১১ এপ্রিলকে ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ক্যালেন্ডারে আমাদের যেভাবে ছুটি করা আছে, ওইভাবেই ছুটিটা থাকবে। ৮ এবং ৯ তারিখে অফিস খোলা থাকবে। ওখানে (মন্ত্রিসভার বৈঠক) আলোচনা হয়েছিল। বিস্তারিত আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তই হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার দেখা যাচ্ছে রমজান মাসের আগে দুটি মাসে ২৯ দিন ছিল। সাধারণত পরপর তিনটি মাস ২৯ দিন হয় না। এটা হলো সাধারণ ওয়ে এবং আবহাওয়া পরিদপ্তরের যে রিপোর্ট, সেটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে এ বছরের রমজান মাস ৩০ দিনে হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

ছুটি যেহেতু বাড়েনি, সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাইলে তো ছুটি নিতে পারবেন সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমাদের ঐচ্ছিক ছুটির একটা ব্যবস্থা আছে। যারা ঐচ্ছিক ছুটি নিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করবেন, তারা তো নিতেই পারবেন।

তিনি আরও বলেন, এটার(ঐচ্ছিক ছুটি) জন্য আলাদা নির্দেশ দেওয়ার দরকার নেই। এটা আমাদের ছুটি বিধিতেই আছে। প্রতি বছর আমরা যখন ক্যালেন্ডারটা করি, সেই ক্যালেন্ডারের নিচে ঐচ্ছিক ছুটির কথা লেখা থাকে।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় ঈদের ছুটি নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়।

ঈদের ছুটি এমনিতেই এবার ৫ দিন আছে জানিয়ে কয়েকজন মন্ত্রী বলেন, বাড়তি আরেকদিন ছুটি দেওয়া হলে সেটি কাজে সমস্যা করতে পারে। আলোচনার পর ৯ এপ্রিল অফিস খোলা থাকবে বলেই সিদ্ধান্ত হয়। তবে যারা দূরে ঈদ করতে যাবেন, তারা চাইলে ছুটি নিতে পারবেন বলে জানানো হয়।

এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করে। কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

 


আরও খবর

১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




নতুন কারিকুলামে প্রতি বিষয়ে ৫ ঘণ্টার পরীক্ষা!

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত মূল্যায়ন নিয়ে তুমুল সমালোচনার পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে খসড়াটি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগের পদ্ধতিতে আর পরীক্ষা হবে না। এটিকে মূল্যায়ন বলা হচ্ছে।

আগে তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হলেও নতুন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ভিন্ন হচ্ছে। নতুন কারিকুলাম চালুর পর আগের মতো পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ছিল। শিক্ষার্থীদের অভিভাবরাও উদ্বেগে ছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ তথ্য জানিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেছেন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

জানা গেছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির পরীক্ষায় মার্কিং (চিহ্নিত) করার নিয়ম থাকবে না। রিপোর্টিং ভালো, অর্জনের পথে এবং প্রাথমিক পর্যায় এমন তিনভাগে ফলাফল হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে। এসএসসি পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের ওপর। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রতি বছর দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। গত বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে এ নিয়ম। এর আলোকে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে।

খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিড টার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ স্কুলে। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এতে ছয়টি সেশন থাকবে। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক। মিডটার্ম ও বার্ষিক চূড়ান্ত পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে নতুন কারিকুলামের আলোকে।

চলতি বছরের জুন মাস থেকেই এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন হবে স্কুলে। এর আগেই সব চূড়ান্ত হবে জানিয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেছেন, অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের নিয়ে খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।

চলতি মাসের শুরুতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে সমন্বয় কমিটি গঠন করে সরকার। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)। সমন্বয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান। এছাড়া, আরও বিভিন্ন দপ্তরের নয় কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



ছাত্র রাজনীতি ইস্যুতে উত্তপ্ত বুয়েট ক্যাম্পাস ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু :

বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ প্রত্যক্ষ করে  আমার মানসপটে ভেসে উঠছে  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুঃসহ স্মৃতি।   আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।  ইসলামি সম্মেলন সংস্হা (ওআইসি'র) আর্থিক সহযোযিতায়  বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার সন্নিকটে  গাজীপুরের বোর্ড বাজারে (বর্তমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে  বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং  আমি ছিলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয় আশির দশকে  যেখানে ছাত্র  ভর্তির  নুন্যতম যোগ্যতা ছিল  ৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ অন্তত  একটিতে প্রথম বিভাগ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে  ভর্তির আবেদনই করা যেত নাা। সে সময় বুয়েট এবং  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ভর্তির নুন্যতম যোগ্যতা ছিল ৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ এসএসসি এবং  এইচএসসিতে দ্ধীতিয় বিভাগ থাকলেই বুয়েট কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সুযোগ ছিল কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি অথবা এইচএসসি'র যে কোন একটিতে প্রথম বিভাগ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনই করা,যেতো না। সুতরাং  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন  দেশের সেরা ছাত্ররাই  শুধু ভর্তির সুযোগ পেতো।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ভর্তি ফরমের সাথে আরেকটি ফরমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি করব না মর্মে আমাদের কাছে থেকে একটি অঙ্গীকারনামা নেওয়া হতো। সে ফরমে ছাত্রদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরকেও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেওয়া হতো। তখন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে  ছাত্র ভর্তি করা হতো না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের কিছু অদ্ভুত কালাকানুন দেখে আমরা অবাক হয়েছিলাম। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে  ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার নামে প্রকারন্তে ধর্মান্ধ,উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তাদের অপরাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে। রাজনীতি বন্ধের নামে জামাত-শিবিরকে মসজিদ কেন্দ্রিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ, ছাত্রী ও অমুসলিমদের ভর্তি নিষিদ্ধ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ, বিশেষ বিশেষ  দিবসে ছাত্রদের পায়জামা পাঞ্জাবি পরিধান বাধ্যতামুলক করা প্রভৃতি। এসবই করা হয়েছিল ধর্মান্ধ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য । আমরা ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষের এসব কালাকানুন বাতিল করতে বাধ্য করেছিলাম। কর্তৃপক্ষের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলাম। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ডিপার্টমেন্ট চালু,ছাত্রী ও অমুসলিম শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করতে বাধ্য করেছিলাম। অবশ্য এজন্য আমাদের চরম মুল্য দিতে হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের কয়েকজনকে  বহিষ্কার করা হয়েছিল। ডজন ডজন মামলায় চরম হয়রানি ও কারাভোগ করতে হয়েছিল। শুধু তাই নয় অন্তত তিনবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে  আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের  মুক্ত জ্ঞান চর্চার অন্যতম বিদ্যাপিঠে পরিণত হয়েছে। 

বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ দেখে আজ থেকে প্রায় চার দশক  আগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের সেই অপতৎপরতার কথা মনে পড়ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সেই  কুট কৌশলের সাথে আজকের  বুয়েট কতৃপক্ষের অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। বুয়েট  বাংলাদেশের মেধাবীদের চারণভূমি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতাদের গৌরবোজ্জল ভূমি রয়েছে। মহান ভাষা আন্দোলন  থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং  তৎপরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এদেশের ছাত্র আন্দোলনের স্বর্ণোজ্জল ইতিহাস রয়েছে। এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই বর্তমান ছাত্র রাজনীতি তার জৌলুশ হারিয়েছে। ছাত্রনেতাদের কিছু  নেতিবাচক কর্মকান্ড ছাত্ররাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করেছে। এখন মেধাবি ও দেশপ্রেমিক  ছাত্রনেতাদের  সম্পৃক্ত করে ছাত্ররাজনীতিকে  গৌরবোজ্জ্বল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে মুক্ত জ্ঞান চর্চার সুযোগ করে দেওয়া প্রয়োজন। তবে এটাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে ছাত্ররাজনীতির নামে বুয়েটে আর যেন কোন মায়ের কোল খালি না হয়।


আরও খবর



নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পোরশা নিতপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিন (৩৮) এর মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টারদিকে ১৬ বিজিবি হাঁপানিয়া বিওপি সংলগ্ন কৃষ্ণসদা এলাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় উভয় দেশের পুলিশ সদস্য ও বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে মৃতদেহ পৌছে দেয় বিএসএফ সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাঁপানিয়া বিওপি’র নায়েক সুবেদার আবু তালেব। তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৮টারদিকে কৃষ্ণসদা সীমান্তের ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। এসময় পোরশা ও সাপাহার থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।                  নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সোমবার দিবাগত রাতে আল আমিন আরো কয়েক জনের সাথে নওগাঁর পোরশা উপজেলার নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের নীলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টারদিকে ভারতের দাল্লাপাড়া কাঠের ব্রীজ নামক স্থানে পৌঁছালে বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের কেদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হোন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখা থেকে ১ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএসএফ সদস্যরা আল আমিনের মৃতদেহ নিয়ে যায়।    মঙ্গলবার দুপুরে হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় বিএসএফ ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতীয় পুলিশ ময়না তদন্তের পরই মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে।নিহতের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন ছিলো।


আরও খবর