Logo
শিরোনাম

মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিটিআরসির গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের ডাটা ও ডাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজের নতুন নির্দেশিকার উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নতুন এই নির্দেশিকা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

মন্ত্রী বলেন, গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ বিবেচনায় নতুন ডাটা প্যাকেজ ও মেয়াদসহ বিভিন্ন নির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাটার মেয়াদ সীমিত রাখতে চায়। অতিরিক্ত মুনাফা থেকে অপারেটরদের বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পূর্বে অসংখ্য প্যাকেজ থাকায় জনগণ বিভ্রান্ত্রিতে পড়েছে, নতুন নির্দেশিকায় ৪০ টি প্যাকেজ গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দিবে। বর্তমানে ০৩ দিনের প্যাকেজের যে মেয়াদ সেটাই ০৭ দিনের মেয়াদ হবে বলেও জানান তিনি।

সভার শুরুতে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা তৈরিতে এবং প্রান্তিক জনগণের দৌড়গোড়াঁয় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে বিটিআরসি। নতুন ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকার ফলে গ্রাহক ভোগান্ত্রি ছাড়াই তাদের পছন্দ অনুযায়ী ডাটা প্যাকেজ বাছাই করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অপারেটরগণ নিজেদের স্বার্থেই ডাটার মূল্য কমিয়ে আনবে।

পরবর্তীতে কমিশনের মহাপরিচালক (সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ নতুন প্যাকেজ নির্দেশিকার আদ্যোপান্ত বিশদভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, নির্দেশিকায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে সভা, আলোচনা, মতামত গ্রহণ, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে গ্রাহকের সাথে সরাসরি মতবিনিময়সহ অনলাইন জরিপ পরিচালনা করেছে। উপস্থাপনায় তিনি নিম্নোক্ত বিষয় উল্লেখ করেন:

প্যাকেজ সংখ্যা ও মেয়াদ: একটি অপারেটরের নিয়মিত (regular package), বিশেষ প্যাকেজ (CCSP), রিসার্চ ও ডেভেলমেন্ট (R&D), সব ধরনের ব্র্যান্ড মিলিয়ে (ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান অনুযায়ী) প্যাকেজের সংখ্যা হবে ৪০টি, যা আগে ছিলো ৮৫টি। এছাড়া, সকল প্যাকেজের সময়সীমা হবে ০৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড, যা আগে ছিলো ৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন এবং ৩০ দিন।

আনলিমিটেড প্যাকেজের সংখ্যা ও ডাটা ভলিউম: প্রতিটি অপারেটর তিনটি ভিন্ন ভলিউমে আনলিমিডেট ডাটা প্যাকেজ অফার করতে পারবে আর তা হবে ২৫ জিবি, ৫০ জিবি এবং ৭৫ জিবি। অর্থাৎ উক্ত তিনটি ভলিউমের যেকোনো একটি আনলিমিটেড প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে পরবর্তীতে ভলিউম পরিবর্তন করা যাবে।

ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান প্যাকেজ ডিজাইন: যে সকল গ্রাহক (MyGP, MyRobi, MyBL, My Teletalk) ব্যবহার করে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী টকটাইম, ডাটা ভলিউম,সোশ্যাল প্যাক, এসএমএস ইত্যাদি নির্বাচন করে নিজের প্যাকেজ নিজেই ডিজাইন করতে পারবেন। প্রদর্শিত মূল্য গ্রাহকের পছন্দ হলে নিজেই তার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্যাকেজটি গ্রহণ করতে পারবে এবং এটি একটি রেগুলার প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বোনাসসহ অব্যবহৃত ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড ( অব্যবহৃত ডাটা নতুন প্যাকেজে যুক্ত হওয়া) : নতুন নির্দেশিকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ কিনলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। একই ভলিউমের ৭ বা ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গ্রাহক উক্ত প্যাকেজ আবার ক্রয় করলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। ক্যারি ফরওয়ার্ড করা যাবে সর্বোচ্চ ৫০ জিবি ডাটা পর্যন্ত। এছাড়া, গ্রাহককে অপারেটররা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩ টি প্রমোশনাল এসএমএস দিতে পারবে, যা পূর্বে ছিল ৪টি। সোশ্যাল প্যাকেজের ক্ষেত্রেও মেয়াদের মধ্যে একই প্যাক পুনরায় গ্রহণ করলে অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে এবং বোনাস হিসেবে প্রদান করা ডাটাও ক্যারি ফরওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে।

ডাটা শেষ হওয়ার পূর্বে গ্রাহককে অবহিতকরণ: একজন গ্রাহককে প্যাকেজের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে নতুন প্যাকেজ অফার প্রদান করলে অফারটি অবশ্যই একই প্যাকেজ হতে হবে এবং অন্য দুটি প্যাকেজ তার ব্যবহারের প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ০১ (এক) দিন পূর্বে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে ডাটার মেয়াদ শেষ হওয়ার নোটিফিকেশন পাঠাতে হবে। অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে চলতি প্যাক পুনরায় ক্রয় করার নিদের্শনা উক্ত এসএমএস এ থাকবে।

৩ দিনের প্যাকেজে না রাখার কারণ: মোবাইল অপারেটর তিন দিনের প্যাকেজে যে পরিমাণ ডাটার অফার প্রদান করেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রাহকগণ উক্ত সময়সীমার মধ্যে করতে ব্যর্থ হয় । এছাড়া, উক্ত প্যাকেজ সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং সময়সীমা কম হওয়ায় গ্রাহকরা পুনরায় প্যাকেজ ক্রয় করলে ডাটা ক্যারি ফর্ওয়ার্ড নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। বিটিআরসি কর্তৃক পরিচালিত অনলাইনে জরিপে দেখা যায়, ৫৪.৬% গ্রাহক ০৩ দিনের প্যাকেজ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়।

অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফল: বিটিআরসি কর্তৃক অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৬১% গ্রাহক মনে করে প্যাকেজের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৪০-৫০ টি হওয়া উচিত এবং ৫৪% গ্রাহক ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদ রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, অপারেটরগুলো সবসময় গ্রাহকবান্ধব এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে বিটিআরসির সাথে আলোচনার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বিটিআরসির নতুন নির্দেশিকায় অপারেটর ও গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয়েছে এবং টেলিপ্ল্যানগুলোতে গ্রাহকদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত ৪০ টি প্যাকেজের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ এর মধ্যে রাখার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে টেলিটক ।

রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম বলেন, রবি সবসময় গ্রাহককের গুণগত সেবা দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ভূত প্রতিটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গ্রাহকদের সাথে নিয়ে অপারেটরগুলো কাজ করবে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বিটিআরসির সহায়তা কামনা করেন তিনি।

অ্যামটবের সভাপতি এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলালিংক গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, টেলিযোগাযোগ আইনে কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করছে বিটিআরসি। এর আগে এক দেশ এক রেট বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক সুফল ভোগ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মোবাইল ডাটার ফ্লোর প্রাইস ও সিলিং প্রাইস আপাতত নির্ধারণ করা না হলেও ভবিষ্যতে সময়ের চাহিদানুযায়ী সেটা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। অপারেটর ও গ্রাহক উভয়ের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভোটার তালিকা হালনাগাদে কোনোরকম অনিয়ম, অবহেলা, অস্বচ্ছতা বরদাস্ত করা হবে না বলে নিজেদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার হালনাদাগের তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন সিইসি।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না নির্বাচন কমিশন।

ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ইসি আবদুর রহমান মাছউদও। তিনি বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

এ সময় আরেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে।

ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে এবার ইসি বেরিয়ে আসতে পারবে দাবি করে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল, তা কমে এসেছে। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বিগত নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে, তার সবটুকুই করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

ইসি তাহমিনা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।


আরও খবর



বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে দ্রুত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। তিনি বলেন, আমরা উভয়ই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই। আর এটি বাংলাদেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে সহায়তা করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউওআইএনকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক গারসেটি একথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে ডব্লিউআইওএনের ‘ভিডিও জার্নালিস্ট’ ধিরাজ প্যাটেল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারত সরকারের জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেখানে বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উত্থান ঘটছে। সেই সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ছে চীনের। এসব বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? জবাবে এরিক গারসেটি বলেন, ‘আমরা উভয়েই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) মৌলিক বিষয়গুলোর কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথাও বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র একক নীতিতে বিশ্বাস করে। সেটি হলো উভয় দেশই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র।

ডব্লিউওআইএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, হোক সেটি বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য যে কোনও দেশ—ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যেন কখনই নির্যাতনের শিকার না হন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের পাশাপাশি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। গত বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে একটি ধারণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।

তবে তার ঘোষিত সময় নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিতে অসন্তোষ রয়েছে। দলটির নেতারা আগামী জুন থেকে আগস্টের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জানিয়েছেন।


আরও খবর

ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা

বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫




লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল নেভাতে ছড়ানো হচ্ছে ‘ফস-চেক’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। আগুন নেভাতে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা দিনরাত কাজ করলেও দাবানলের গতি কমার লক্ষণ নেই। ভয়াবহ এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে তারা একধরনের গোলাপি পাউডার ব্যবহার করছে। বিমান ও হেলিকপ্টার থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ‌‘ফস-চেক’ নামের এই অগ্নি প্রতিরোধক। এর মধ্যেই লস এঞ্জেলসের ঘরবাড়ি, সড়ক আর গাড়ি লাল-গোলাপি গুঁড়ায় ঢাকা পড়েছে। খবর গলফ নিউজের।

দাবানলের বিস্তার ঠেকাতে বিশাল এলাকাজুড়ে আকাশ থেকে এই রঙিন গুঁড়া ছিটানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে গাড়ি ও রাস্তাঘাটে গোলাপি রঙের গুঁড়ার আস্তর পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে হাজারো গ্যালন লাল-গোলাপি গুঁড়া উড়োজাহাজ থেকে ছিটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা জানান, গোলাপি রঙের এ পাউডার মূলত আগুনের গতি কমিয়ে দেয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে অনেকাংশে রক্ষা করে।

দাবানলের বিস্তার রোধে ফস-চেক নামের অগ্নিপ্রতিরোধক এই গুঁড়া সাধারণত দাবানলের আশেপাশে আগুনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে স্প্রে করা হয়। পণ্যটি ‘পেরিমিটার’ নামের একটি কোম্পানি বিক্রি করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৯৬৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফস-চেকের ব্যবহার হয়ে আসছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বন ও অগ্নিনিরাপত্তা বিভাগও দীর্ঘদিন ধরে আগুন নেভানোর প্রধান উপাদান হিসেবে এটা ব্যবহার করছে।

ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ কর্তৃক ব্যবহৃত প্রধান দীর্ঘমেয়াদী অগ্নি প্রতিরোধক এটি। ২০২২ সালে বার্তা সংস্থা এপির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অগ্নি প্রতিরোধকও। তবে ফস-চেক তৈরি করা কোম্পানি পেরিমিটার নিরাপদে পাউডার পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে। বলা হয়েছে, অগ্নি প্রতিরোধক যত বেশি সময় থাকবে তত বেশি শুকিয়ে যাবে। এমন হলে সম্পূর্ণরূপে রঙ অপসারণ করা বেশি কঠিন হবে। কোম্পানিটি বলেছে, রঙ অপসারণে গরম পানি এবং হালকা ডিটারজেন্ট কার্যকর। তবে বড় আকারের জায়গা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে প্রেসার ওয়াশার ব্যবহার করা যেতে পারে।


আরও খবর



ভারতের দুই রাজ্যে ছড়াচ্ছে এইচএমপিভি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অবশেষে ভারতে ঢুকে পড়েছে এইচএমপিভি। চীনে ছড়িয়ে পড়া নতুন এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে দেশটিতে। সোমবার দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত বেশ কয়েকটি শিশুর খোঁজ পাওয়া গেছে।

এমন অবস্থায় মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকসহ দেশটির বেশ কিছু রাজ্য সতর্কতা জারি করেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাটে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-তে আক্রান্ত পাঁচ শিশুর খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।

অন্যদিকে সোমবার কর্নাটক, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র সরকারসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে আশ্বস্ত করেছে, শঙ্কার কোনও কারণ নেই। ইতোমধ্যে, দিল্লি সরকার রাজধানীতে সমস্ত হাসপাতালকে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার সম্ভাব্য বৃদ্ধি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এছাড়া দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সংকট রোধে কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে কর্নাটকে জারি করা নির্দেশনায় রাজ্যটির সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে মাস্ক পরতে হবে। সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে সাবান, স্যানিটাইজার। বছর চারেক আগে কোভিড পরিস্থিতিতেও এমনই নানা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এইচএমপিভি ফেরাবে করোনা-কালের স্মৃতি?

যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এখনই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভারতে অতীতেও এইচএমপিভি-র সংক্রমণ দেখা গেছে। তবে এই ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি হয়েছে, চীনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে শনাক্ত এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও সংযোগ নেই। এছাড়া এইচএমপিভি আক্রান্ত সব শিশুরই অবস্থা স্থিতিশীল। বেঙ্গালুরুর আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে এক জনকে ইতোমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যজনও সুস্থ হয়ে উঠছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীনে এইচএমপিভির একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তারপর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর দুই শিশু, আহমেদাবাদের এক শিশু এবং কলকাতার এক শিশুর দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতেও। তবে চীনে ভাইরাসটির যে রূপ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটির গঠনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য মেলেনি। ফলে এটি ভাইরাসের চীনা রূপ নাকি স্বাভাবিক এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ, তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

তবে এইচএমপিভির সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সাধারণ এইচএমপিভি সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, ঠান্ডা লাগা, ঘাম হওয়া, মাথা ধরা, পেশি ও গাঁটে ব্যথা, ক্লান্তি এবং ক্ষুধা কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

সাধারণত, ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরেও এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। এ থেকে বাঁচতে সোমবারই কয়েক দফা নির্দেশনা জারি করে কর্নাটক সরকার। তাতে খোলা জায়গায় হাঁচি-কাশি থেকে বিরত থাকা, হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা, মাস্ক পরা, একই রুমাল বার বার ব্যবহার না করা, সাবান ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, অসুস্থ ব্যক্তির থেকে দূরে থাকা— এমন নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




রাজধানীতে পটকা ও আতশবাজির আগুনে দগ্ধ ৫

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইংরেজি বর্ষবরণের আনন্দ উদযাপনে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানোর সময় রাজধানীতে পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছে; তাদের মধ্যে তিনজন শিশু।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের পর বিভিন্ন সময়ে তারা ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছে। একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আগুনে ফারহান নামে ৮ বছর বয়সী একটি শিশুর শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

এছাড়া শিফান মল্লিকের (১২) শরীরের ১ শতাংশ, সম্রাটের (২০) শরীরের ১ শতাংশ, শান্তর (৪৩) শরীরের ২ শতাংশ এবং তাফসির (৩) নামে এক শিশুর শরীরের ২ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ডা. শাওন বলেন, দগ্ধরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে হাসপাতালে এসেছেন। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা পোড়ানোর সময় তারা আগুনে দগ্ধ হয়েছে। তাদের একজন শরীরের ১৫ শতাংশ বার্ন নিয়ে এসেছে। বয়স্ক হলে তেমন আশঙ্কা ছিল না, শিশু তাই তার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বছরের শেষ রাত উদযাপনের এমন বিপত্তি এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পটকা-আতশবাজির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কয়েকদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকেও বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, পটকা ফাটিয়ে যেন শব্দ ও বায়ুদূষণ করা না হয়।

তবে ঢাকাবাসী তা কানে তোলেনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই পাড়া মহল্লার চারপাশে শুরু হয়ে যায় হৈ চৈ, থেমে থেমে ভেসে আসতে থাকে পটকার শব্দ। ঘড়ির কাঁটা ১২টায় পৌঁছালে তা চরমে ওঠে। রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাজির রঙিন আলোয়।

গত কয়েক বছরে এরকম উদযাপনের রাতে জ্বলন্ত ফানুস থেকে অগ্নিকাণ্ডও ঘটেছে অনেক জায়গায়।

২০২২ সালে পটকা ও আতশবাজির বিকট শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়ে তানজীম উমায়ের নামের ৪ মাস বয়সী এক শিশু। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫