ধেয়ে
আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ১২ মে অতি প্রবল আকার ধারণ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া
অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়
মোখা থেকে ধান ও অন্যান্য ফসল রক্ষায় বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ দিয়েছে কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবা (বামিস)।
আগামী
১৪ মে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ঝোড়ো হাওয়া এবং হালকা থেকে ভারী
বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য জরুরি
কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর,
লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী,
ফেনী, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি,
বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের জন্য
বিশেষ এই পরামর্শের কথা বলা হয়।
১.
বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন।
২.
সংগ্রহ করা ফসল পরিবহন না করা গেলে মাঠে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখুন যেন
ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতি না হয়।
৩.
দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল সংগ্রহ করে ফেলুন।
৪.
সেচ, সার
ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
৫.
দণ্ডায়মান ফসলকে পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন।
৬.
নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।
৭.
খামারজাত সব পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখুন।
৮.
আখের ঝাড় বেঁধে দিন,
কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা
করুন।
৯.
পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দিন যেন ভারী বৃষ্টিপাতের পানিতে মাছ ভেসে না যায়।
১০.
গবাদি পশু ও হাঁসমুরগি শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখুন।