Logo
শিরোনাম

মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে রিপোর্ট:


ভারতের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত যাচ্ছেন। আগামীকাল (৭ জুন) তার ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। 


এর আগে বুধবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান।


বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।


ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ’র বিজয়ের পরপরেই অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তার অভিনন্দনের জবাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার (৫ জুন) এক্স হ‌্যা‌ন্ডে‌লে (টুইটার) এক পো‌স্টে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।


নরেন্দ্র মো‌দি লিখেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার আন্তরিক শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা গত এক দশকে অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 


আমি আমাদের জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।


অন্যদিকে এদিন নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই।


প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন বিরল তৃতীয় মেয়াদে নতুন করে জনগণের রায় নিয়ে মোদির এ নবযাত্রায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযানে উদ্বার হলো শিশু জাইফা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীর আজিমপুরে বাসায় ডাকাতির সময় অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া সেই মেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে এলিট ফোর্সটি। আটক করা হয়েছে অপহরণে জড়িত একজনকে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো ক্ষুদেবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‌্যাব। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে দুপুর সাড়ে ১২টায় কারওয়ানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এলিট ফোর্সটি। সেখানে কথা বলবেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে আজিমপুরের মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারে সরকারি কর্মকর্তা ফারজানার বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। হঠাৎ বাহির থেকে কয়েকজন পুরুষ এসে ফারজানার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা নিয়ে চলে যায়। এ সময় তার বাচ্চাটিকেও নিয়ে যায় তারা।

পরে জানতে চাইলে লালবাগ থানার ওসি কাশৈনুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারীর (ফারজানা) সঙ্গে তার স্বামীর চার মাস থেকে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। চার মাস থেকে তার স্বামী বাসায় থাকে না। তিনি এক মেয়েকে সাবলেট দিয়েছিলেন। যে মেয়েকে তিনি সাবলেটে বাসায় তুলেছিলেন তার মোবাইল নাম্বারও বলতে পারছেন না। আমরা সেই সাবলেট ভাড়াটিয়ার নাম ঠিকানা পাইনি। তবে ভিন্নভাবে বিষয়টি তদন্ত চলছে। আমরা সিসি ক্যামেরার কিছু ফুটেজ পেয়েছি কিন্তু তাও স্পষ্ট না। ভুক্তভোগী ফারজানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী।


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




উৎপাদন বাড়লেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্বাধীনতার পর থেকে উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ, তবুও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাজারে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে নাকাল অবস্থা মধ্য ও নিম্নবিত্তের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি পুরোপুরি ব্যবহার শুরু করা যায়নি। অন্যদিকে বাজার চলে গেছে সিন্ডিকেটের কবজায়।

দেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমার লক্ষণ থাকে না। বিশ্বের দাম বৃদ্ধির এমন বিরল চিত্রের দেখা মিলবে বাংলাদেশে। এতে বঞ্চনার শিকার কেবল সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, সরকারি কাগজে-কলমে মূল্যস্ফীতি গত কয়েক বছরে যে হিসাব দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তার পরিমাণ অনেক বেশি।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের ধানের উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ, ১০ গুণ বেড়েছে গম উৎপাদন। সবজি ও মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৪ থেকে ৭ গুণ। তারপরও কেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারছে না বাংলাদেশ?

এ বিষয়ে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আমাদের সমসাময়িক দেশগুলো যেভাবে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে।

বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, আমাদের বাজারব্যবস্থা পুরোপুরি সিন্ডিকেটভিত্তিক হওয়ায় এবং তাদের ব্যাপক প্রভাব থাকার কারণে আমরা সুফল পাচ্ছি না। কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। তারা ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে যারা কৃষি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, খাদ্যপণ্যের ব্যবসা যারা করছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন। তারা অর্থ পাচার করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কারসাজিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় সুমন হত্যাকান্ডে জড়ীতদের আটক ও বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর কম্পিউটার ব্যবসায়ী যুবক সুমন হোসাইন (২৩) কে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ সহ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের চৌ-রাস্তামোড়ে এসব কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র-জনতা। সড়ক অবরোধ করায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এক পর্যায়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুজ্জামান মিলন ও থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান পৌছে আন্দোলন কারীদের আসস্ত করেন যে, দ্রুত সুমন হোসাইন হত্যার সাথে জড়িতদের আটক পূর্বক আইনের আওতায় নেওয়া হবে।  ইতি মধ্যেই প্রশাসন কাজ করছে এমন আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। সুমন হোসাইন হত্যার মূল বুলবুলসহ অজ্ঞাত সকল জড়িত আসামীকে সনাক্ত করা সহ আইনের আওতায় এনে বিচার দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত সুমন হোসাইন এর বোন মৌসুমি আক্তার, উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য মারুফ মোস্তফা ও মেহের রাব্বি, জামায়াত নেতা আখতার ফারুক প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, দ্রুত সকল জড়ীত আসামীদের আটক করতে হবে। আটক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন ছাত্র-জনতা বলেও ঘোষণা দেন এসময় বক্তারা। এক পর্যায়ে পরবর্তীতে আরো তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন ছাত্র-জনতা।

অপরদিকে, সুমন হোসাইন হত্যার বিচার দাবিতে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এজেড মিজান এর ডাকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জরুরি ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ ছিলো। পরে বেলা ২টারদিকে নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও ৩টায় উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, গত রবিবার ১৭ নভেম্বর সুমন হোসাইন পার্শ্ববর্তী মহাদেবপুর উপজেলার থেকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়ে একটি সিএনজি যোগে ফেরার পথে পত্নীতলা উপজেলায় নাদৌড় মোড় এলাকায় পৌছালে দূর্বত্তের হামলার শিকার হোন। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিলে সে অন্ধকারে গিয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য ফেসবুক লাইভে আকুতি-মিনতি করেন। এরি মাঝে ঘটনাস্থলে লোকজন এগিয়ে গেলেও তার পূর্বেই সুমন হোসাইনের কাছ থেকে মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে সুমন হোসাইন কে গাছে ঝুঁলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। হত্যাকান্ডের শিকার 

সুমন হোসাইন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিলছাড়া গ্রামের মৃত ময়েন ও শাহিদা বেগম এর ছেলে। সে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের সুমন কম্পিউটার নামক প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা'র) পত্নীতলা উপজেলা শাখার উন্যতম সদস্য এবং নজিপুর সরকারী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এঘটনায় সুমন হোসাইন এর বোন মৌসুমি আক্তার বাদী হয়ে ১৮ নভেম্বর রাতে গাহন গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে বুলবুল ইসলাম (৩৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৯-১০ জনকে আসামী করে পত্নীতলা থানায় মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন, পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান।


আরও খবর



১০০ দিনে ৮৬২৭৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে সরকার

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার ১০০ দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৬ হাজার ২৭৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রমের অগ্রগতি-সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এ তথ্য জানান। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। গত ১০ নভেম্বর আসিফ মাহমুদকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের সরকারি-বেসরকারি কর্মে নিয়োজিত এবং আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮০ জনের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত ১০০ দিনে ১৯ হাজার ৪৫২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে ৫২ হাজার ১১৫ জন যুব প্রশিক্ষণরত।

তিনি বলেন, বিগত ১০০ দিনে নতুন কর্মসংস্থান হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বিপিএসসি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বমোট রাজস্ব ও প্রকল্প খাতে নতুন ৮৬ হাজার ২৭৭ জনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৬৮ জনের রাজস্ব খাতে ও প্রকল্প খাতে (আত্মকর্মী ও উদ্যোক্তা) ৮৩ হাজার ৮০৯ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে সরকার।

দুই বছরে সরকারিভাবে ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান সচিব।

রেজাউল মাকছুদ জাহেদী আরো বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সে সাতটি ব্যাচে ২ হাজার ১০০ জনকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক পুলিশ হিসেবে ২৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অবশিষ্ট নিয়োগ কর্যক্রম চলমান।


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরেরও কম

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে, এমনকি আরও কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল–জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৯) ফাঁকে ড. ইউনূস আল–জাজিরাকে এই সাক্ষাৎকার দেন। রোববার সম্প্রচারিত ওই ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ যে সংকটগুলো মোকাবিলা করছে, সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া, আগামী নির্বাচন, কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তিত চিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

ড. ইউনূসের কাছে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের সঠিক সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "না, আমার মাথায় এমন কিছু নেই।" তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তার কোনো পরিকল্পনা নেই।

এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে—এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, স্থায়ী সরকার না। নিয়মিত সরকারের মেয়াদ ৫ বছর হয়ে থাকে। নতুন সংবিধানে সম্ভবত সরকারের মেয়াদ চার বছর হতে পারে, কারণ মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ অবশ্যই চার বছরের কম হবে, এটি নিশ্চিত। এটা আরও কমও হতে পারে, তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে মানুষের কী চাহিদা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কী মতামত তার ওপর।

তিনি আরও বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে যে, সংস্কার প্রক্রিয়া ভুলে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, তাহলে সেটাও করা হবে।

ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে চার বছর দায়িত্বে থাকবেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি চার বছর থাকার কথা বলিনি। আমি বলেছি, এটা সর্বোচ্চ মেয়াদ হতে পারে, তবে আমাদের উদ্দেশ্য তা নয়। আমাদের উদ্দেশ্য যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা।

চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, পুরো সরকার ব্যবস্থা সংস্কার হবে। মানুষ নতুন কিছু চায়, আর সেখানে সব ক্ষেত্রেই সংস্কার করা হবে। এমনকি সংবিধানও সংস্কার হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে দুটি প্রক্রিয়া একসাথে চলছে—একটি হচ্ছে নির্বাচনের প্রস্তুতি, আর অন্যটি হচ্ছে সকল সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার প্রস্তুতি।

ড. ইউনূস বলেন, সারাদেশ নতুন কিছু চায়, আর নতুন বাংলাদেশ শুধু নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে জানতে চাইছি, তারা কি এখনই নির্বাচনে যেতে চায় নাকি সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া আগে নির্বাচন চান। তিনি নিশ্চিত করেন যে, সমস্ত সিদ্ধান্ত জনগণের মতামত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শের ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে।

সাক্ষাৎকারে ভারতের কাছে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার প্রসঙ্গও ওঠে। এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের মধ্যে বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছেন। এগুলো বাংলাদেশের জন্য ভালো নয়। তাই ভারতকে এসব বিষয়ে বলার প্রয়োজন আছে। ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু যদি এই ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকে, তাহলে তাদের কাছে আবার অভিযোগ করা হবে।

তিনি বলেন, ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এর জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিজেকে যতই কিছু বলতে পারেন, বাস্তবতা কিন্তু অন্য কথা বলে। এমনকি ভারতও তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছে। তাই আশ্রয়দাতাও তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কিছুই বলছে না।

শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আইনি প্রক্রিয়া চলছে। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তার প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে।

ভারতের সঙ্গে মিলিতভাবে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, আমরা চাই, ভারতসহ আমাদের অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনা যৌথভাবে করা হোক।

শেষে, ড. ইউনূস বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। আমাদের সরকার চেষ্টা করছে, দেশের দুর্নীতি থেকে বের হয়ে আসতে এবং একটি স্বচ্ছ সরকার ব্যবস্থা তৈরি করতে।


আরও খবর