Logo
শিরোনাম
বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ

মোজাদ্দেদিয়া তরিকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

নবীকুল শিরোমনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিদায় নেবার হাজার বছর পর ১৪ শাওয়াল ৯৭১ হিজরীতে সুবহে সাদেকের সময় ভারতের সেরহিন্দে ভূমিষ্ঠ হয় এক মহা পবিত্র নূর, যার নাম রাখা হয় শায়েখ আহমদ ফারূকী সেরহিন্দী (রঃ)। তিনিই হচ্ছেন তরিকতের শেষ ঈমাম হযরত আহমদ মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রঃ)।

হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রঃ) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর বংশধর। হযরত ওমর (রাঃ) এর পুত্র বিখ্যাত সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) ঈমাম হাসান (রাঃ) এর কন্যা ফাতেমা (রাঃ) কে বিবাহ করেন। তাঁরই বংশে হযরত মোজাদ্দেদ (রঃ) এর জন্ম। তিনি ছিলেন পিতার দিক হতে ফারূকী এবং মাতার দিক হতে সৈয়দ। মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রঃ) রাসুলেপাক (সাঃ) এর মতো খৎনা অবস্থায় জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি সাধারণ শিশুদের মতো ক্রন্দন করতেন না। তার শরীর ও পোশাক মুবারক কখনও অপবিত্র হতো না। মোজাদ্দেদ অর্থ নবায়নকারী, পুনর্জীবন দানকারী ও সংস্কারক।

 ইসলামী পরিভাষায় মোজাদ্দেদ হচ্ছেন মহান আল্লাহর এমন বান্দা যিনি রাসুল (সাঃ) এর উত্তরাধিকারী হিসেবে দ্বীন ইসলামকে পুনর্জীবিত করেন। আলফঅর্থ হাজার আর সানিঅর্থ দ্বিতীয়। শায়খ আহমদ (রঃ) হচ্ছেন দ্বিতীয় হাজার বছরের জন্য মোজাদ্দেদ, যার নূরের বরকতময় উসিলায় কেয়ামত পর্যন্ত সত্যসন্ধানী মানুষ বেদাত-কুফরীর অন্ধকার হতে পরিত্রান পেতে থাকবেন। মহাপুরুষগণের আগমনের বার্তা আগে থেকেই ঘোষিত হতে থাকে। রাসুলেপাক (সাঃ) এর আখেরী নবী হিসেবে আগমনের বার্তা যেমন পূর্ববর্তী নবী-রাসুল (আঃ) গণ বর্ণনা করেছিলেন, তেমনি ভাবে মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রঃ) এর আগমনের সংবাদও অলি-আল্লাহ (রঃ) গণ কর্তৃক বর্ণিত হয়েছিলো। স্বয়ং নবী করীম (সঃ) দ্বিতীয় হাজার বছরের মোজাদ্দেদের আবির্ভাবের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। দয়াল নবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, হিজরী একাদশ শতাব্দীর শুরুতে মহান আল্লাহ এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন যিনি এক বৃহৎ নূর! তার নাম হবে আমার নামের অনুরূপ। দুই অত্যাচারী বাদশাহর মধ্যবর্তী সময়ে তিনি অবির্ভূত হবেন এবং তাঁর শাফায়াতে অসংখ্য ব্যক্তি বেহেশতে প্রবেশ করবে।

বড় পীর (রঃ) এমন আদেশ দেন কারণ একদিন তিনি মুরাকাবায় বসলে এভাবে এলহাম প্রাপ্ত হন যে, “তোমার পাঁচশ বছর পরে পৃথিবী শিরক-বেদাতের তমসায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। সেই সময়ে রাসুল (সঃ) এর উম্মতের মধ্যে থেকে একজন অদ্বিতীয় অলি-আল্লাহ জন্মগ্রহণ করবেন এবং শিরক, বেদাত ও নাস্তিকতাকে ধ্বংস করবেন। স্পর্শমনি তুল্য হবে তার সহবত। তার সাহেবজাদা ও খলিফাগণ আল্লাহর খাস দরবারের মেহমান হবে।এছাড়া তরিকতের ঈমাম খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রঃ), বাহাউদ্দিন নক্শবন্দ (রঃ) সহ অসংখ্য অলি-আল্লাহ (রঃ) গণ শেষ তরিকতের শেষ ঈমাম মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রঃ) এর আগমনী বার্তা ঘোষনা করে গেছেন তাদের জীবদ্দশায়। হিজরী ১০১০ সালের ১০ রবিউল আউয়াল শুক্রবার সোবহে সাদেকের সময় যখন শায়েখ আহমদ (রঃ) নির্জনে ধ্যানরত এমন সময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাশরীফ আনলেন। সঙ্গে সকল নবীরাসুল (আঃ), আউলিয়া কেরাম (রঃ) এবং অসংখ্য ফেরেশতা (আঃ)। রাসুলেপাক (সঃ) তাঁর পবিত্র হাতে হযরত শায়েখ আহমদ (রঃ) কে একটি অমূল্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ খেরকা মুবারক পরিয়ে দিয়ে বললেন, শায়খ আহমদ! মোজাদ্দেদ এর প্রতীক স্বরূপ এই বিশেষ খিলআততোমাকে পরিয়ে দেয়া হলো।

এখন থেকে তুমি মোজাদ্দেদ আলফেসানি অর্থাৎ দ্বীন ইসলামের সংস্কারক। আমার উম্মতের দ্বীন ও দুনিয়ার যাবতীয় দায়িত্ব আজ হতে তোমার উপর অর্পিত হলো। জন্ম হলো ইসলামের ইতিহাসের শেষ তরিকা তরিকায়ে মোজাদ্দেদিয়াআর যার ঈমাম হলেন হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রঃ)।

মোজাদ্দেদ (রঃ) পূর্ববর্তী সকল তরিকতের ঈমাম (রঃ) গণের খলিফা এবং পূর্ববর্তী সকলের কাছ থেকেই তাঁদের স্ব স্ব নেসবতের কামালত রূহানীতে তার উপর অবধারিত ভাবে সমর্পিত হয়েছিলো এবং এ জন্য তিনি এবং তার সিলসিলার খলিফাগণ কেয়ামত পর্যন্ত সকল তরিকার পক্ষেই খেদমত করে যাবেন এবং পূর্ববর্তী সকলেই মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রঃ) এর কাছ থেকে পারিশ্রমিক পেতে থাকবেন। কিন্তু যেহেতু নবী (আঃ) গণের পরে শ্রেষ্ঠ মানব হযরত সিদ্দীকে আকবর (রাঃ) হতে নক্শবন্দিয়া তরিকার উৎপত্তি এবং এতে দৃঢ়তার সাথে সুন্নতের অনুসরণ ও বেদাত বর্জন করা হয় তাই ইসলামের সংস্কারের বিশেষ খেদমত সম্পাদনের ক্ষেত্রে মোজাদ্দেদিয়া তরিকা সর্বাপেক্ষা যোগ্যতাপূর্ণ। এ জন্য শায়খ আহমদ (রঃ) এর তরিকাকে নক্শবন্দি মোজাদ্দেদিয়া তরিকা বলেও অভিহিত করা হয় এবং নি:সন্দেহে এ কারণে অন্যান্য তরিকা হতে এ তরিকা শ্রেষ্ঠ।

 


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে দ. কোরিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার এ অনুদানকে স্বাগত জানিয়ে ইউএনএইচসিআর বলছে, গুরুত্বপূর্ণ এ আর্থিক সাহায্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে ইউএনএইচসিআরের কাজকে জোরদার করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের সহকারী প্রতিনিধি (ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ) সু-জিন রি বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের সর্বশেষ ঢলের পর ছয় বছর পার হয়েছে। আর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট এখন একটি প্রলম্বিত পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে, যেখানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী তাদের দৈনিক প্রয়োজন মেটাতে এখনও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, কোরিয়া সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে পাওয়া এই অনুদানের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদা ও কল্যাণে কাজ করতে পারবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমহ্রাসমান আর্থিক সহায়তার এই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এই অবদান সত্যিই অমূল্য।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া রাষ্ট্রদূত পাক ইয়ং-শিক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কোরিয়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের জন্য প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে।


আরও খবর



মনোনয়ন কিনলেন ১৭ আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন দুই উপজেলার ১৭ জন নেতা। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এসব প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

এ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েছেন প্রয়াত সংসদ-সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী, গোরুদাশপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহমদ আলী, সদস্য মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ আলী, রাজশাহী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এস এম রফিকুল পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রতন কোমার সাহা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম, সদস্য কে এম জাকির হোসেন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এস এম আসাদ-উজ জামান, সহ-সভাপতি একে এম শাহজাহান কবির, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, জেলা বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, উপ-কমিটির সাবেক সদস্য সুব্রত কোমার কুন্ডু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মো আতিকুর রহমান, গুরুদাশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল কাদের।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে আসন শূন্য হওয়ায় এখানে উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে।


আরও খবর



শামীম ওসমানের নেতৃত্বে বৃহত্তর সমাবেশের ডাক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল, নারায়ণগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান চলতি মাসের ১৬ তারিখ বৃহত্তর সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। ‘দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে এই সমাবেশের ডাক দেন তিনি।শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় রাইফেলস ক্লাবে সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের নিয়ে এক প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, আমি দেখছি সম্প্রতি জাতিরন পিতার কন্য শেখ হাসিনাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেওয়া হচ্ছে। তারা অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আন্দোলনের নামে মিছিল করছেন। তারা শুধু জাতির পিতার কন্যা শেখ হসিনাকেই নয় বরং বঙ্গবন্ধুকে পর্যন্ত নোংরা ভাষায় গালি দিচ্ছে, যা মেনে নেওয়ার মত না।

শামীম ওসমান বলেন, রাজনীতিতে কিছু হিসাব নিকাশের বিষয় আছে। আমি যে সব জানি তা না। তবে খোঁজ খবর রাখি। ওরা ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। ওরা তারাই যারা স্বাধীনতার সময় ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন নিয়েছিল। দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নিয়েছিল। ওরা ইসলামের কথা বলে মানুষ জবাই করেছিল। আমরা কি এই জন্য মাঠে নামবো, না এই জন্য মাঠে নামবো না। নামবো স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির জানান দিতে। কী লজ্জা আমাদের? এই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ রক্ষা করতে আমাদের এক হতে হয়। এই বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের রাস্তায় নেমে শ্লোগান দিতে হয়। সেই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা শ্লোগান দিয়েছিলেন, ‘বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ আর আজকে আমাদের শ্লোগান ধরতে হয়, ‘বীর বাঙ্গালী ঐক্য গড়ো, বাংলাদেশ রক্ষা কর।

বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি অনেক লাফালাফি করছে। কেউ বলছে, সাত দিনের মধ্যে সরকার পতন করে ফেলবে। কেউ বলছে এক মাসের মধ্যে করবে। কারা সরকার পতন করবে আর করবে না, এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ফায়সালা। তবে আমি বলি, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাই হবেন সরকার প্রধান। আমরা যারা ৭৫ এর পরে রাজনীতিতে এসছি তারা শেখ হাসিনাকে মায়ের দৃষ্টিতে দেখি। ওরা আমাদের মাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করবে, এটাতো আমরা মেনে নিব না। এমন কর্মকান্ড আমরা মেনে নিতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি বলে পুলিশ নিয়ে চলি। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করছি আপনাদের যত পুলিশ আছে, সব তাদের পক্ষে যান। সব নিয়ে ঘোষণা করেন পুলিশ আমাদের পক্ষে আছে, তারপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়া করে দিব। আপনাদের স্মরণ থাকার কথা, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মতিন চৌধুরী। নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন, আটকে দিয়েছিলাম। অনুমতি চেয়ে বলেছিলেন, আমি যাই। অনুমতি দেওয়ার পর চলে গিয়েছিলেন। আমাদের পুলিশ বাহীনি লাগে না।

অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা হলে আমিও সমান, তুমিও সমান। তখন খেলবো। দেখা যাবে কতটুকু জোড় কার? আসলে খেলার আগে রিহার্সেল লাগে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের শরীরে চর্বি জমে গেছে। আমি বিশ^াস করি আমসার সাথে যারা আছেন তারা ফিট আছেন। আমাদের মদ্যে কেউ আছেন যারা মনোনয়ন পাবার জন্য বলেন আপা আপা। কিন্তু মনোনয়ন পেলে আর কিছুই ঠিক থাকে না। এখানে আমরা যারা আছি সবাই কর্মী, কেউ নেতা না। আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিক।  

সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, সেদিন নারায়ণগঞ্জের মানুষ দেখিয়ে দেবো নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাটি ছিল আছে এবং থাকবে। আপনারা ১৬ তারিখ দেখিয়ে দেবেন, আমরা এমন আওয়াজ তুলব, যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। সেদিন আমি মন্ত্রীকে দাওয়াত করব আশা করি কোনো ব্যস্ততা না থাকলে উনি উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সাফায়েত আলম সানী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



লিবিয়ার পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মৃত্যুপুরী লিবিয়ায় বন্যা দুর্গতদের মানবিক সহায়তায় জরুরি ত্রাণ-সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত লিবিয়ার মানুষের সাহায্যের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০ জে পরিবহন বিমান প্রয়োজনীয় ত্রাণ-সামগ্রী ও ওষুধসহ দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করে।

সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক বিমানটির লিবিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ উপলক্ষে ব্রিফ করেন। এ সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুলমুতালিব এসএম সুলাইমান উপস্থিত ছিলেন।

ওই পরিবহন বিমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ত্রাণ-সামগ্রী হিসেবে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং জরুরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাঠানোর কথা জানানো হয়। সেনাবাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী উল্লিখিত বিমানে লিবিয়ায় পাঠানোর কথাও জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় বাংলাদেশের দেওয়া চিকিৎসা ও অন্যান্য সামগ্রীর লোডিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। তার আবেদনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানি, বিভিন্ন স্থাপনাসমূহের ক্ষয়ক্ষতিসহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের তাণ্ডব এবং আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ হাজার ৩০০ জনে। এ ছাড়া ২০ হাজার জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। খাবার, জ্বালানি, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পর্যাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আশ্রয়ের অভাবে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা পরবর্তী সময়ে লিবিয়ায় এক সংকটময় পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বন্যার পর দেরনা শহর ভবিষ্যতের জন্য আর বাসযোগ্য থাকবে না। শহরটির অন্তত ৮০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেরনায় যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগই এড়ানো যেত। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের প্রধান পেটেরি তালাস জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, যদি স্বাভাবিক কোনও অপারেটিং আবহাওয়া পরিষেবা থাকত, তাহলে তারা সতর্কতা জারি করতে পারত। আর সেটি হলে জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সক্ষম হতো।


আরও খবর



বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ফ্রান্স

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশের উন্নয়নে ফ্রান্স সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে। যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স। বাংলাদেশের উন্নয়নে দেশটি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও সহযোগিতা করবে ফ্রান্স।

বৈঠকে অংশ নিতে সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে ম্যাক্রোঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এর ১০ মিনিট পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ঋণ সহায়তা চুক্তি সই হয়।

এর আগে সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে গেলে সেখানে ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানান জাতির পিতার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাদুঘর পরিদর্শন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। শেষ পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসেন ম্যাক্রোঁ। সেখান থেকে গতরাতে ঢাকায় আসেন। ৩৩ বছর পরে ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক সফরে ঢাকায় এলেন তিনি।

রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রধানমন্ত্রীর আয়োজন করা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে অংশ নেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। পরে জলের গান ব্যান্ডের শিল্পী রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করেন ম্যাক্রোঁ।


আরও খবর