Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

মোংলায় বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ ‘গঙ্গা বিলাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি :                 

ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত ৩২০০ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দেয়া বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ ‘গঙ্গা বিলাস’ দুপুরে মোংলায় এসে পৌঁছেছে। গত ১৩ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্ধোধনের ২২ দিন পর সুন্দরবনের আংন্টিহারা রুট দিয়ে মোংলায় এসেছে প্রমোদ তরীটি। বিলাসবহুল রিভার ক্রুজটি আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২ টা নাগাদ মোংলা বন্দর জেটিতে নোঙ্গর করলে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদেশী পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চেীধুরী। এসময়ে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রনয় ভার্মা,  নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৩২০০ কিলোমিটার নৌপথে ৫০ দিনের যাত্রায় বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ গঙ্গা বিলাসের পর্যটকরা দুই দেশের ২৭টি নদ-নদী পাড়ি দিয়ে ৫০টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও বিশ্বঐতিহ্য স্থান (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। দৈর্ঘ্য ৬২.৫ মিটার এবং প্রস্থ ১২.৮ মিটার ও ১.৩৫ মিটার ড্রাফটের প্রমোদ তরীটিতে ১৮টি অত্যাধুনিক স্যুইটসহ একসাথে ৮০ জন পর্যটককের ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। রেস্টুরেন্ট, স্পা, সুইমিংপুল, সানডেকের ব্যবস্থাসহ রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সব রকম সুযোগ-সুবিধা। উদ্ধোধনী যাত্রায় সুইস ও জার্মানসহ ৩০ জন পর্যটক নিয়ে মোংলায় এসেছে প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রম ও বানিজ্য প্রটোকল চুক্তির আওতায় বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরীটি বাংলাদেশের সুন্দরবনের আংন্টিহারা- বাগেরহাট- বরিশাল- আরিচা- সিরাজগঞ্জ- দৈখাওয়া নৌপথ অতিক্রম করে ভারতের আসামে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।


আরও খবর

৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩




ভারতে রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ বোমা হামলা, নিহত ৯

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর কুন্দাহালির একটি রেস্টুরেন্টে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ জন আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে।

রামেশ্বরাম নামের ওই রেস্টুরেন্টে ঘটা বিস্ফোরণ তদন্ত করতে জাতীয় সন্ত্রাস-বিরোধী তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) দল, বোম স্কোয়াড এবং ফরেনসিক ল্যাবরটেরি ঘটনাস্থলে যায়।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিধারমাইয়াহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইডি) ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, সাড়ে ১২টার দিকে বিস্ফোরণের একটি তথ্য আসে এবং বলা হয় সেখানে একটি ব্যাগ ছিল। আমি জানতে পারছি এটি একটি আইইডি ছিল। তদন্ত চলছে।

এ ঘটনার পর সন্ত্রাস বিরোধী অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও বিস্ফোরক পদার্থ আইনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দক্ষিণ এমপি তেজাসভি সুরিয়া মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে জানিয়েছেন, তিনি ওই রেস্টুরেন্টের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছেন কি কারণে বিস্ফোরণ ঘটল যেটিতে ৯জন আহত হয়েছেন।

তিনি এক্সে বলেছেন, এইমাত্র রামেশ্বরাম ক্যাফের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী নগরাজের সঙ্গে তার রেস্টুরেন্টে হওয়া বিস্ফোরণ নিয়ে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ হয়েছে একজন কাস্টমারের রেখে যাওয়া ব্যাগ থেকে, কোনো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে নয়। তাদের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। পরিষ্কার মনে হচ্ছে এটি একটি বোমা হামলা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে স্পষ্ট উত্তরা চায় ব্যাঙ্গালুরু।

সূত্র: এনডিটিভি


আরও খবর



আগুনের ঝুঁকিতে ঢাকার বেশির ভাগ ভবন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

২০২২ সালে ফায়ার সার্ভিস ঢাকার এক হাজার ১৬২টি ভবন পরিদর্শন করে। এরমধ্যে ৬৩৫টি ভবনকে আগুনের ঝুঁকিতে থাকা চিহ্নিত করে নোটিশ দেয়। তারমধ্যে আবার ১৩৬টি আবার অতি ঝুঁকিপূর্ণ। মোট ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ৬৩৪টি। শতকরা হিসাবে ৫৪ দশমকি ৬৭ ভাগ।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা আমাদের জনবল অনুযায়ী প্রতিবছরই ভবন পরিদর্শন করি। আর আমাদের অভিজ্ঞতা হলো ঢাকার ভবনগুলোর ৫৫ ভাগেরও বেশি আগুনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর তার মধ্যে সরকারি ভবনও আছে।

পরিদর্শন করা ওই এক হাজার ১৬২টি ভবনের মধ্যে সরকারি ভবন ৪৯৭টি আর বেসরকারি ৬৬৫টি। সেই হিসাব আলাদা থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদনে ঝঁকিপূর্ণ ভবন সরকারি ও বেসরকারি আলাদা করা হয়নি।

ফায়ার সার্ভিস থেকে জানা যায়, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন ছাড়াও এই ঝঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ব্যাংক ও মার্কেট সবই আছে।

২০২২ সালে সারাদেশে মোট পাঁচ হাজার ৮৬৮টি ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। তার মধ্যে দুই হাজার ২২৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। সেই বিবেচনায় সারাদেশে ৩৮ ভাগ ভবন আগুনের ঝুঁকিতে আছে

২০২৩ সালেও দুই হাজারের মতো ভবন ঢাকায় পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস। সেখানেও অর্ধেকের বেশি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানান ফয়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তারা প্রকাশ করেনি।

পরিদর্শনের সময় ভবনের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ও অতিঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস।

২০১৯ সালে ফায়ার সার্ভিস ঢাকায় একটি সার্ভে করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক। তাতে দেখা যায় ঢাকার তিন হাজার ৭৭২টি প্রতিষ্ঠান আগুনের ঝুঁকিতে আছে। তার মধ্যে এক হাজার ৩০০ শপিংমল, মার্কেট ও বিপনিবিতান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৬১টি, ব্যাংক ৬৪, হাসপাতাল ৪২২, আবাসিক হোটেল ৩১৮ এবং ২৪টি মিডিয়া ভবন আগুনের ঝুঁকিতে আছে।

ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গড়ে প্রতিদিন ৭৭টি। এইসব আগুনের ঘটনায় সারা দেশে মোট ২৮১ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছেন। এইসব ঘটনায় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস তার প্রতিবেদনগুলোতে ওই সব অনিয়ম এবং ঝুঁকির ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার উল্লেখ করেনি। বাস্তবে তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয় না। যেমন বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের ব্যাপারে তারা তিন বার নোটিশ দিলেও আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা নোটিশের পর মামলা ও মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারি। তবে মামলা করে তেমন ফল হয় না। ২০১৪ সালের ফায়ার বিধিমালা স্থগিত থাকার ফলে মামলা কাজে আসে না। আর আমাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় মেবাইল কোর্ট পারিচালনাও কঠিন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিলগালা করতে পারি না। আইনে আমাদের সেই ক্ষমতা নাই। বার বার নোটিশ দেয়ার পরও যখন ভবন মালিক আমলে না নেয় তখন আমরা ভবনটি অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ বলে নোটিশ টানিয়ে দিই। কিন্তু আমরা চলে আসার পর তা তারা ছিড়ে ফেলেন।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আলি আহমদ খান বলেন, নোটিশ দেয়া প্রাথমিক পদক্ষেপ। শুধু নোটিশ দিয়ে তো হবে না। এরপর মামলা দায়ের ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। জরিমানা এবং অন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক এই মহাপরিচালক বলেন, ভবন মালিকদের নোটিশ দিলে তাদের কেউ কেউ ভবনের নিরাপত্তা বাড়ান। তবে অধিকাংশই এটা আমলে নেন না। কারণ তারা জানেন এরপর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। তারা এটা নানাভাবে এড়াতে পারেন।

স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ভবনের নানা ধরনের অনুমোদন এবং নিরাপত্তার বিষয় দেখার জন্য সরকারের ছয়টি মন্ত্রণালয় আছে। তারা কেউই দায়িত্ব পালন না করে চাঁদাবাজি করে। তারা বিভিন্ন ধরনের অনুমোদনের নামে ব্যবসা করে।

তিনি বলেন, ঢাকার ভবনগুলোর মধ্যে ৮৮ ভাগ ভবন অবৈধ। আর বাকি ১২ ভাগ কোনো না কোনোভাবে ব্যত্যয় করেছে। এটা ড্যাপের সমীক্ষা রিপোর্ট। রাজউক এলাকায় মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ভবনের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট আছে। তাহলে পরিস্থিতি বুঝুন।

এই দুইজন মনে করেন, ভবনের অনুমোদনসহ নানা বিষয় একটি ছাতার নিচে আনা দরকার। আর আইনেরও সমন্বয় দরকার। কারণ রাজউকের আইনে ১০ তলার পর বহুতল আর ফায়ার সার্ভিসের আইনে ছয় তলার পর বহুতল-এই দুই রকম তো হতে পারে না।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরও খবর



রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন নেতানিয়াহুর

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নতুন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে অযৌক্তিক বিষয়বস্তু রয়েছে দাবি করে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই সঙ্গে গাজার সর্বদক্ষিণের নগরী রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন তিনি। ইসরায়েলি হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি এখানে আশ্রয় নিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।

হামাসের পক্ষ থেকে ৪২ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠানো হয় ইসরায়েলকে। এ নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বৈঠকের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া রয়েছে।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, রাফাহ শহরকেন্দ্রিক অভিযানের জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) যে পরিকল্পনা করেছে তা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

ইসরায়েল রাফায় বড় ধরনের হামলা শুরু করলে ব্যাপক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া গাজাজুড়ে মানবিক সংকট আরও প্রকট হবে।

ইসরায়েলি হামলার অনুমোদন করার প্রেক্ষাপটে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বিয়েরবক এক্সে (আগের যার নাম ছিল টুইটার) বলেছেন, রাফায় বড় ধরনের হামলা যৌক্তিক হতে পারে না। সেখানে ১০ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আর কোথায় যাওয়ার জায়গা নেই। আর লোক যাতে না মরে এবং পণবন্দীরা যাতে মুক্তি পেতে পারে, সেজন্য অবিলম্বে মানবিক অস্ত্রবিরতি প্রয়োজন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতোপূর্বে বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়া হামলা চালানো হবে ‌'রেড লাইন' অতিক্রম করা।

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি। আর আহত ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। ত্রাণবাহী ট্রাক দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে, ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি করছে।


আরও খবর



গজারিয়ায় বিদ্যুৎ এর টাওয়ার নির্মাণ বন্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি:

২৫ শে মার্চ সোমবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় টেংগারচর ইউনিয়নের মীরের গাঁও গ্রামে বেলা ৪ ঘটিকার সময় কয়েকশত নারী পুরুষের উপস্থিতিতে অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বন্ধের প্রতিবাদে সভা ও মানববন্ধন করা হয়।

উক্ত প্রতিবাদ সভায় মানববন্ধনের আয়োজককারীরা জানান আমাদের গ্রামের উপর দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে মানা-বে ওয়াটার পার্কের জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ জন্য ৩ ফসলী জমির উপর টাওয়ার নির্মাণের প্রস্তাবনা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ বিভাগ।

আমাদের এই জমিই শেষ সম্বল টাওয়ার নির্মাণ হলে আমাদের কৃষিকাজার করার মত কোন জমি  থাকবে না।

ভাটের চর হতে মীরের গাওয়ের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার উপর দিয়ে লাইনটি নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইতিপূর্বে আমাদের গ্রামের উপর দিয়ে মেঘনা গ্রুপের একটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলে আমাদের কৃষি জমি ও এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই এলাকার উপর দিয়ে আরও একটি লাইন নির্মাণ করলে কৃষি জমি সহ বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্রামবাসীরা আরও জানান এই লাইন বন্ধের বিষয়ে আমরা স্থানীয় কয়েক শত কৃষকের গণস্বাক্ষর দিয়ে সম্মানিত জেলা প্রশাসকের নিকট বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ বন্ধের আবেদন জানাই।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসিম, মহিলা ইউপি সদস্য স্বপ্না আক্তার, নাজমুল হাসান, হাজী জাহাঙ্গীর নক্তি, মামুন নক্তি, আখতার হোসেন, হাজী নাসির উদ্দিন, ইসমাইল প্রধান, হাবিবুর রহমান, বিল্লাল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, আবুল মাস্টার, আব্দুল গাফফার ,দেলোয়ার হোসেন, মুজিবুর রহমান ,নজরুল ইসলাম, নুরুল আমিন, হান্নান ফরাজী সহ ব্যক্তিবর্গ।


আরও খবর



ইস্যু না পেয়ে ভারত বিরোধিতায় বিএনপি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না পেয়ে বিএনপি ভারতবিরোধী ইস্যু সামনে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও চিরাচরিত পাকিস্তানি কায়দায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। সরকারের সঙ্গে যাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। রাজনৈতিক ইস্যু না পেয়ে তারা ভারতবিরোধী ইস্যু সামনে আনছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে যে অপপ্রচার শুনেছি, কোনো রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না তখন একটাই ইস্যু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিয়ে আসে। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনতো আর এখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনে, সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধীতার ইস্যু।

বিএনপি অবাক করা দল এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক নেতা বলে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য আপনারা সহযোগিতা করেছেন। আরেকজন বলে ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন। এখন এই দলের নেতায় নেতায় মতের কোনো মিল নেই। মঈন খান বলে এক কথা, রিজভী বলে আরেক কথা। আবার সিঙ্গাপুর থেকে ফখরুল সাহেব বলেন আরেক কথা।

বিএনপি ইফতার পার্টি করে আর আওয়ামী লীগ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে এমন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা ইফতার খাওয়ার পার্টি করে আর আমরা ইফতার দেওয়ার পার্টি করি। এটাই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মাঝে পার্থক্য।

নির্বাচনের সময় ভারতের পাশে থাকার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা যখন নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্র করে, তখন ভারত পাশে ছিল। ভারতসহ যেসব বন্ধুদেশ আছে তারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি, তারা ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

দ্রব্যমূলের দাম নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু পণ্যের মূল্য কমতে শুরু করেছে। দাম আরও কমে সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় হয়ে উঠবে।

এ সময় ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণের এই কর্মসূচি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

 


আরও খবর