Logo
শিরোনাম

মোংলায় বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ ‘গঙ্গা বিলাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি :                 

ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত ৩২০০ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দেয়া বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ ‘গঙ্গা বিলাস’ দুপুরে মোংলায় এসে পৌঁছেছে। গত ১৩ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্ধোধনের ২২ দিন পর সুন্দরবনের আংন্টিহারা রুট দিয়ে মোংলায় এসেছে প্রমোদ তরীটি। বিলাসবহুল রিভার ক্রুজটি আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২ টা নাগাদ মোংলা বন্দর জেটিতে নোঙ্গর করলে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদেশী পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চেীধুরী। এসময়ে ভারতীয় হাই কমিশনার প্রনয় ভার্মা,  নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৩২০০ কিলোমিটার নৌপথে ৫০ দিনের যাত্রায় বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ গঙ্গা বিলাসের পর্যটকরা দুই দেশের ২৭টি নদ-নদী পাড়ি দিয়ে ৫০টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও বিশ্বঐতিহ্য স্থান (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। দৈর্ঘ্য ৬২.৫ মিটার এবং প্রস্থ ১২.৮ মিটার ও ১.৩৫ মিটার ড্রাফটের প্রমোদ তরীটিতে ১৮টি অত্যাধুনিক স্যুইটসহ একসাথে ৮০ জন পর্যটককের ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। রেস্টুরেন্ট, স্পা, সুইমিংপুল, সানডেকের ব্যবস্থাসহ রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সব রকম সুযোগ-সুবিধা। উদ্ধোধনী যাত্রায় সুইস ও জার্মানসহ ৩০ জন পর্যটক নিয়ে মোংলায় এসেছে প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রম ও বানিজ্য প্রটোকল চুক্তির আওতায় বিশ্বের দীর্ঘতম বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরীটি বাংলাদেশের সুন্দরবনের আংন্টিহারা- বাগেরহাট- বরিশাল- আরিচা- সিরাজগঞ্জ- দৈখাওয়া নৌপথ অতিক্রম করে ভারতের আসামে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।


আরও খবর

লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা

শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




রমজানের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীজুড়ে যানজট

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

রমজানের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীর সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে  বাড়ছে কর্মব্যস্ত মানুষের সংখ্যাও। শুক্রবার রোজা শুরু হলেও সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি মিলিয়ে রবিবার পর্যন্ত রাজধানীর সড়কগুলো ছিলো অনেকটাই ফাঁকা।

আজ সোমবার সরকারি বেসরকারি অফিস, আদালত, স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় একসাথে খোলায় সড়কে দেখা যায় তীব্র যানজট।

এতে গন্তব্যে যেতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। একই জায়গায় দীর্ঘ সময় আটকে থেকে সময় পার করতে হচ্ছে। অফিসগামীরা বলছেন, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলের যন্ত্রণায় বাইরে বের হতেই পারছি না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। কখনোই সময়মতো কোথাও যেতে পারি না।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে যানজট। যাত্রাবাড়ি শনির আখড়া এলাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটার যানজট দেখা যায়, কোন প্রকার উপায় না অনেকে পায়ে হেটে কাজে যেতে দেখা গেছে । দ আবার শুধু মিরপুর সড়কেই দেখা যায়, টেকনিক্যাল থেকে কল্যাণপুর, শ্যামলী হয়ে আসাদগেট আসতেই যেন ঘণ্টা পার। সামনের দিনে ঈদের কেনাকাটা শুরু হলে পরিস্থিতি আরও তীব্র রূপ ধারণ করার শঙ্কা সবার মনে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঢাকা শহরের যানজট প্রতিনিয়তই বাড়ছে।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সব স্টেশন চালু

শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩




বিশ্ব জলবায়ুর নেতিবাচক আচরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামীর বাংলাদেশে ব্যাপক অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অসময়ে প্রবল বন্যা, মরুময়তা, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্র্যোগের সম্ভাবনা ইতোমধ্যে লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি আমাজনের জঙ্গলের তীব্র আগুন এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবের প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশগত সমস্যা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে প্রকট।

 

ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন জনবসতি, জীবিকার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এবং দারিদ্র্যসহ নানা কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা, পূর্বাঞ্চলের হাওর-বাঁওড়, উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের নাম রয়েছে সর্বাগ্রে। ভূ-গর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্যানুসারে, ঢাকা শহরের পানির স্তর বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ ফুটের অধিক নিচে। বিগত ৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলাদেশের ৫২০টি নদী। এক আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ুর আমূল পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। উত্তাপ বাড়ার কারণে হিমবাহের গলন আরও বাড়বে। হিমালয় অঞ্চলে তৈরি হবে অসংখ্য হিমবাহ লেক।

এসব লেকে বিস্ফোরণ হলে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিজনিত বিভিন্ন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের ঝুঁকি অধিক। সেক্ষেত্রে জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন বৈরী আচরণ এবং পরিবেশের অবনমন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে চ্যালেঞ্জস্বরূপ।

জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের (আইপিসি) সম্প্রতি রিপোর্টে উল্লিখিত জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ার করেছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত বরফ গলছে। মেরু অঞ্চলের বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বণ নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে চলছে। বিভিন্ন জীবজন্তুর আবাসস্থল বদলাচ্ছে। এই শতকের শেষ ভাগে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তবে তার পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভীতিকর দিক হচ্ছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র এবং বরফে আচ্ছাদিত অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলার ফলে প্রাণিজগতের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে পরিবেশে যে বাড়তি তাপ তৈরি হচ্ছে তার ৯০ শতাংশই শুষে নেয় সাগর। ১৯৯৩ সাল থেকে শুষে নেওয়ার এই মাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে গলছে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফও। দেখা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে হারে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলছে তা তার আগের ১০ বছরের তুলনায় তিনগুণ।

জানা যায়, সারা বিশ্বে ১ লাখ ৭০ হাজার হিমবাহ রয়েছে, যা পৃথিবীর ৭ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিদ্যমান। এ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৭ সেন্টিমিটার। বিশেষ করে, আন্দিজ, মধ্য ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় যেসব হিমবাহ রয়েছে, সেগুলোর বরফ ২১০০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ গলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এসব বরফগলা পানি গিয়ে পড়বে সাগরে। ফলে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। আইপিসির শেষ রিপোর্টে জানা যায়, সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে যা আগের ধারণার চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার অধিক। আর তা হলে মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বিশ্বের এক ডজনের বেশি বড় বড় শহর। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, সাগরের উচ্চতা বাড়লে নিচু উপকূলীয় এলাকার ৭০ কোটি মানুষ বিপদে পড়বে। সাগরের তাপমাত্রা বাড়লে আবহাওয়াও দিন দিন বিরূপ আচরণ শুরু করবে।

জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ও বেড়ে যাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বেশকিছু জায়গায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি নেই স্থলভাগের খুব ভেতরের বসবাসরত মানুষগুলোর। বন্যায় ক্ষতির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যেতে পারে। সাগরের ৯০ শতাংশ প্রবাল বিলীন হতে পারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। মাছের শরীরে পারদের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, জলজ প্রাণীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বাড়তি তাপ। সাগরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে রয়েছে বেশকিছু করণীয়। তার জন্য কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিশ্চিতকরণের জন্য জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ বন্ধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে অর্থ বরাদ্দে আজও তেমন সাফল্য অর্জিত হয়নি। আইনি কাঠামো বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে আসেনি অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো। অথচ প্যারিস সম্মেলনে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ার বাধ্যতামূলক চুক্তিরও সিদ্ধান্ত ছিল।

এ ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্য নির্ধারণে ধনী দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে আনার কথা ছিল। চুক্তিতে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে এনে কোপেনহেগেন গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব উদ্যোগ উষ্ণায়ন রোধে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। সেই চুক্তির ফলে কার্বন নির্গমন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যত শূন্যে নামিয়ে বিভিন্ন দেশকে এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমন ব্যাপক হারে কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কার্বন নিঃসরণ কার্যকরভাবে বন্ধ বা হ্রাস করা সম্ভব না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বর্তমান শতাব্দীতে তীব্রতর হতে থাকবে।
 
ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত ক্ষতি হয়েছে সেখানে অভিযোজন ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে ।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় এবং বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে সহায়তার লক্ষ্যে উন্নত বা তুলনামূলক ধনী দেশ ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা এবং এই অর্থের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রয়েছে তা বাস্তবায়ন আবশ্যক। বর্তমান জ্বালানি ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে জ্বালানি সংরক্ষণ, গতানুগতিক জ্বালানি চাহিদা হ্রাস, বিদ্যমান যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দক্ষতার উন্নয়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার জোরদার করাও জরুরি। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ নিশ্চিত করে সামষ্টিক উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা বিনিময়, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

 বাংলাদেশে খরাসহিষ্ণু কৃষিপণ্য উৎপাদন, আধুনিক পদ্ধতিতে শস্য ও বীজ সংরক্ষণসহ কৃষিজমি রক্ষার্থে বনভূমি উজাড়, জলাধার ভরাট বন্ধ করা ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য প্রকল্পিত দীর্ঘ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০, নীতি এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ গ্রহণ পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা মানুগুলোকে বাঁচাতে না পারলে বিশ্বসভ্যতাই হুমকির মুখে পড়বে। ইন্টারন্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ৬ বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। ঢাকার বস্তি এলাকায় বাসবাসকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমও। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সম্মুখীন হন বাংলাদেশের নারীরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই নারী। জলবায়ু, খাদ্য উৎপাদন ও নারী- তিনটি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলাধীন ১৪৭ উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারির ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের মধ্যে ৪৯ শতাংশ নারী। নিমজ্জিত নিম্নাঞ্চলে লবণাক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যগতসহ জীবন-জীবিকাজনিত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন। ফলে ঘটছে তাদের পেশার পরিবর্তন। কর্মস্থানের খোঁজে ত্যাগ করছে পুরান আবাসভূমি। বাড়ছে কর্মস্থানহীনতা, পরিবর্তন হচ্ছে তাদের জীবন ও জীবিকা এবং পেশার ধরন।

আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নারী ও শিশুর সামাজিক সুরক্ষাকরণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




ফুলবাড়িতে, তুলার চাষের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে,তুলা চাষের বাম্পার ফলন কৃষকদের মুখে হাসি এবারে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা অন্যান্য আবাদের তুলুনায় উৎপাদন খরচ কম। কম খরচে অধিক লাভ। সেই কারণে কৃষকরা এখন তুলা চাষে ব্যস্ত।আশানুরূপ দাম পাওয়ার কারণে কৃষকদের চাহিদা বেড়েছে তুলা চাষের দিকে। বর্তমানে কৃষকদের কাছে তুলা চাষাবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী এবছর উপজেলায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে ২৪০জন তুলা চাষ করেছে গত বছরের তুলনায় এবারে তুলার দাম বেশি থাকায় লাভবান হচ্ছে প্রান্তিক তুলা চাষিরা। অনুকূল আবহাওয়া ও হাইব্রিড রুপালি-১জাতের বীজ ভালো হত্তয়ার কারণে এবারে তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ভাবে সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্পের বিভিন্ন প্রোণোদনা ও উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরামর্শে চলতি মৌসুমে তুলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারে তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখাযায় তুলার বাম্পার ফলনের জন্য কৃষক কৃষাণীর মুখে হাসি তুলার সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন আবার কেউবা তুলা বেচাকেনা নিয়ে ব্যস্ত। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তুলা চাষ করতে অফিস থেকে প্রশিক্ষণ,সার ঝৃণ প্রদান করার এবারে তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এবারে দাম ২৪৪টাকা বেশি হত্তয়ায় প্রতি মন ৩৮০০টাকা বিক্রি হচ্ছে।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা এলাকায় এক তুলা চাষির সাথে কথা বলে জানাজায়, ফুলবাড়ী তুলা উন্নয়ন বোর্ড থাকি সার বীজ,ঋণ সহায়তা পেয়ে ১৫বছর থাকি এই তলা চাষ করে আসছি এবারেও তুলা অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শে ২ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি আল্লাহরহতে এবার আবাদ ভালো হয়েছে দামতো ভালো এইজন্য খুব ভালো লাগতেছে।

বগুড়া থেকে আসা তুলা ব্যবসায়ী জানান, প্রতিবছরই আমরা এই এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য দামে তুলা ক্রয়করে থাকি। শুধু এই এলাকা নয় আমরা উত্তর বঙ্গের সমস্ত তুলা আর মাথা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ক্রয় করে থাকে যেটি এস আলম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।এখান থেকে তুলা ক্রয়করে বগুড়ায় নিয়ে যাই সেখান থেকে আবার ঢাকা গাজীপুরের স্পিনিং মেইলে সুতা তৈরি করে এই সুতা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পোশাক তৈরি করে থাকি। এছাড়া আমরা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের আগাম বিনা সুদে ঋণ প্রদান করে থাকি।

উপজেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব লুৎফর রহমান জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় এবছরে ১৭২হেক্টর জমিতে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা থাকলেও ১৬৫হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে।

তুলার বাম্পার ফলনের জন্য সার, বীজ প্রশিক্ষণ সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ০১৭১৯৬১৬২৪৫


আরও খবর



নওগাঁয় এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবকের আত্নহত্যা, মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত যুবক হলেন, নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরের তুলাপট্টীর কাপড়-বেডিং ব্যবসায়ী রতন ভগত যুবক ছেলে আশীষ ভগত (৩১)।

নিহতের পরিবার সহ স্থানিয় সুত্র জানায়, পারিবারিক কলহের কারনে আশীষ ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুর ১২টারদিকে তার শয়ন নিজ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টারদিকে পরিবারের লোকজন দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য তাকে ডাকতে গিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখতে পান। এক পর্যায়ে বেঁচে আছে মনে করে (বাড়ি) পরিবারের লোকজন তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামালে ততক্ষনে তার মৃত্যু হয়। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে সাপাহার থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করেছেন। যুবকের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে সাপাহার থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।


আরও খবর



মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাট জেলাতেও মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র লালমনিরহাট এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১০টায় গণভবন প্রান্ত হতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে উক্ত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।

লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ আতিকুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র মোঃ রেজাউল করিম স্বপন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতআরা ফেরদৌস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা রাশেদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

পরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের পাশে নির্মিত লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।


আরও খবর