Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার বিকেল পৌনে ৪টায় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি ভবনটি উদ্বোধন করেন। 

স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান,  জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত চারতলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি রবিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 


আরও খবর



১৪ বছরে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ গুণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

২০২১ সাল থেকে চলতি মাসের এখন পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএর সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে নতুন বাজারগুলোতে আমদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নতুন বাজারে গত ১৪ বছরে দশ গুণ রপ্তানি বেড়েছে বলে জানান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ কার্যালয়ে 'রোডম্যাপ টু রিকভারি' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এসময় বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, চলমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি কমে আসায় এবং পোশাকের খুচরা বিক্রিতে কিছুটা গতি সঞ্চার হওয়ায় চলতি জানুয়ারি-মার্চ সময়ে আমাদের রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আশার বিষয় হচ্ছে, শিল্পে আমরা নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের পদচারণা দেখতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংকটে আমাদের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একই সময় বেশকিছু নতুন কারখানা ও নতুন বিনিয়োগ এসেছে। আমরা বিজিএমইএর দায়িত্ব নেওয়ার পর দিন থেকে অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল ২০২১ থেকে আজ পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএর সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় অনুপ্রেরণা।

রপ্তানিখাতে ভালনারিবিলিটি কাটিয়ে উঠার জন্য বরাবরই বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার তৈরি উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। নতুন বাজারগুলোতে আমদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা বিগত ১৪ বছরে দশ গুন বেড়েছে, অর্থাৎ ৮৪৯ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৮.৩৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে নতুন বাজারগুলোতে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১০.৮৩ শতাংশ বেড়েছে, বিশেষ করে তুরষ্কে ৬৩.৩৫ শতাংশ, সৌদি আরবে ৪৭.১৯ শতাংশ, চীনে ৪৪.৭৬ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩৬.৫৪ শতাংশ, রাশিয়ায় ২৫.৬৫ শতাংশ, অষ্ট্রেলিয়ায় ২১.২৯ শতাংশ, দক্ষিন কোরিয়ায় ১৭.১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে।

এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সংকটময় সময়ে নতুন বাজারে প্রবৃদ্ধি আমাদের রপ্তানিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনেছে। গত তিনটি বছর আমরা বাজার সম্প্রসারণের নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা গত বছর জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়াতে দিনব্যাপী বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট আয়োজন করেছি। আরও বেশকিছু অপ্রচলিত বাজার নিয়ে কাজ করছি, যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, ভারত, সৌদি আরব ও ইরাক। যদি এই উদ্যোগগুলো চলমান রাখতে পারি তাহলে এই বাজারগুলোতে রপ্তানি আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

এর পাশাপাশি কৌশলগত কারণে ভার্চুয়াল মার্কেটে আমাদের উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন। এই উপলব্ধি থেকে আমরা একটি গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছি, যার প্রতিবেদনটিও আমরা এরইমধ্যে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। ভার্চুয়াল মার্কেটে আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিটুবি ও বিটুসি উভয় ক্ষেত্রে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে, যার মধ্যে কিছু নীতি সহায়তা ও নীতি সংস্কারের বিষয়ও রয়েছে। এসব বিষয় এই স্টাডি রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্ধেকের বেশি আমানত কোটিপতিদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত টাকা জমা আছে, তার অর্ধেকের বেশি কোটিপতিদের অর্থ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোট আমানতের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৫ শতাংশের বেশি বা ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা কোটিপতিদের আমানত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব আমানতকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় এক কোটি থেকে শুরু করে দেড়শ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন এ রকম আমানত হিসাব রয়েছে ছয়টি। এই ছয় হিসাবেই রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি, বেসরকারি ও বিশেষায়িত মিলিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন তিনটি, বেসরকারি মালিকানাধীন ৩২টি ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাঁচটি। এই ৪০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গত ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক বা আমানতকারীর হিসাব ছিল চার লাখ ৩১ হাজার ২২১টি। এসব হিসাবের মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত জমা আছে, এমন হিসাবের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৮৭। আর পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক কোটি টাকার কম আমানত রেখেছেন এমন আমানতকারীর হিসাব রয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪টি।

পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত আমানত ছিল, তার প্রায় ৫৫ শতাংশই রয়েছে মাত্র সোয়া এক শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে। আর পৌনে ৯৯ শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে ছিল মোট আমানতের সাড়ে ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪ জন আমানতকারী মিলে জমা রেখেছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। তার বিপরীতে মাত্র পাঁচ হাজার ২৮৭ জন আমানতকারী জমা রেখেছেন ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, দেশে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। একশ্রেণির মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে উঠছেন। তার বিপরীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তসহ বিপুল জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ে টান পড়ছে। দেশে বৈষম্য এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটিকে চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাই বৈষম্য কমাতে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করে আসছেন তারা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে আমানত রয়েছে, তার মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির আমানত যেমন আছে, তেমনি রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও। ফলে কোটি টাকার বেশি আমানত যেসব হিসাবে রয়েছে, তার সবই ব্যক্তিশ্রেণির আমানত নয়, প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও রয়েছে এর মধ্যে।

সরকারি পরিসংখ্যানেও উঠে এসেছে দেশের প্রকট বৈষম্যের তথ্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতেই এখন দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ তথ্য বিবিএসের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এ উঠে এসেছে।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যের নির্দেশক জিনি সহগ সূচক বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯৯ পয়েন্টে। কোনো দেশে এ সূচক দশমিক ৫০০ পয়েন্ট পেরোলেই সেই দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ উচ্চ বৈষম্যের দেশের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




ডেঙ্গুতে আড়াই মাসেই ২০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের প্রথম আড়াই মাসেই ডেঙ্গুতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ছাড়াও ঢাকার দুই সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। এ বছর রাজধানীর বাহিরের জেলাগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

বিভাগভিত্তিক তথ্য বলছে, চলতি বছর ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৫ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৪৫৫ জন, বরিশালে ১৯০ জন, খুলনায় ৯৩ জন, রাজশাহীতে ৩৬ জন, ময়মনসিংহে ২৮, রংপুরে ১৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন।

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দেশের সব হাসপাতালকে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেব। প্রতিটি ওয়ার্ডে মানুষকে সচেতন করা, মানুষকে বোঝানো যে ডেঙ্গু কীভাবে হয়। আমাদের হাসপাতালে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, তারা যেন প্রস্তুত থাকেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় বা জ্বর হয় তারা যেন অতি দ্রুত হাসপাতালে আসে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক দেরিতে আসে। তখন কিছু করা যায় না। এই ম্যাসেজগুলো আমরা দিচ্ছি।

এদিকে, এক বছর আগে বিটিআই আমদানি নিয়ে কেলেঙ্কারির পর এবার এডিসের লার্ভা ধ্বংস করতে নিজেরাই জৈব কীটনাশক আমদানি করার কথা জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।


আরও খবর



প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনে

গাজীপুর-৩ আসনে আ.লীগের রাজনীতিতে বাড়ছে ক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,সিনিয়র রিপোর্টার:

গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্ষোভ হতাশা বিভেদ এবং বিভক্তি বাড়ছে।

আশাহত মানুষের কাফেলায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন মুখ।নেতৃত্বের অদুরদর্শিতা ও একক স্বার্থের নব ইতিহাসের সমুখে  সরোবমুখগুলো আবার খুঁজছে এমন একটি মুখ, যে মুখ তাদেরকে নিরাশ করবে না।এমন অভিযোগ ও প্রত্যাশা রয়েছে সর্বত্রই।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ঐক্যবদ্ধ কাফেলার সরোব পদচারণা এবং বিভিন্ন জনপদে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠি,সেই ঐক্যবদ্ধতায় ফাটল ধরেছে ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসার বখরা না পেয়ে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা,বিশেষ ব্যক্তির একক সিদ্ধান্ত,সুসম ফ্যাক্টরী ব্যবসা না পাওয়ায় এই জনপদের রাজনীতির অভ্যন্তরে যে চাপা কষ্টের সূচনা হয়েছে তার প্রতিফলন দেখা যাবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় যে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের মুখর উদ্দীপণা ও এক মঞ্চে এসে পরিবর্তনের যে স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি ছিল,বাস্তবে তা আর নেই।বাহ্যিকভাবে তা প্রকাশ না হলেও বঞ্চিত নেতৃত্বের আশীর্বাদ আর পাচ্ছেন না ক্ষমতাসীনরা।

যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায়।ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত মিটিং করে উপজেলায় প্রার্থি কে,তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব।একথা অনস্বীকার্য যে,সিংহভাগ নেতৃত্ব যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গোপনে গ্রহন করেছেন জনমত তাদের দিকেই থাকবে।

যেহেতু এবারের উপজেলা নির্বাচন প্রতিকবিহীন হতে যাচ্ছে,সে কারনে বঞ্চিত নেতৃত্ব এবার তাদের পছন্দের প্রার্থির পক্ষেই অবস্থান গ্রহন করবেন। নির্বাচিত হলে এই প্রার্থিই বঞ্চিতদের বঞ্চণা নিরসনে শক্ত অবস্থান গ্রহন করবেন।আর ঠিক সেসময়ই ক্ষমতাসীনদের সাথে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এছাড়াও এখানকার রাজনীতির মূল চাবিকাঠি চলে যাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে।সেক্ষত্রে বর্তমান নেতৃত্বকে হয় একলা চলো নীতি গ্রহন করতে হবে,না হয় ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সকল শর্তাবলী মেনে নিতে হবে।বাস্তবতা হল উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

কারন তারা যদি ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের প্রস্তাব মেনে নেয় তবে পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ভর হতে হবে।কাঠের পুতুল হয়ে তাদের কথা মেনে চলতে হবে,যা মানা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

এছাড়া ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য অর্থনৈতিকখাতে যাদেরকে বসানো হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকায় শুরু করতে গেলে অনুসারিদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম হবে এবং রাজনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।দূর্বল হয়ে যাবেন ক্ষমতাসীনরা।ব্যবসায় পরিবর্তন আনতে গেলেই উত্তাল ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে রাজনীতি বর্তমান নেতৃত্বের।সেই ঝুঁকি তারা নেবেন বলে মনে হয় না।

ফলে বর্তমান নেতৃত্ব উপজেলায় তাদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বদলে হারাবেন নিজেদের আধিপত্ত।আর এখান থেকেই সূচনা ঘটবে '২৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তনের পদযাত্রা।

তখনও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বই সফল হবেন।কারন সামনের বছরগুলোতে বর্তমান নেতৃত্ব একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন এবং তারা জনক্ষোভের মুখে পড়বেন,যার আলামত দেখা যাচ্ছে এখনই।

অর্থাৎ সরলরেখায় বললে বলা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারনায় যে মুখগুলো প্রার্থি পরিবর্তনের পক্ষে মঞ্চ ও মাঠ কাঁপিয়েছিলেন তাদের অবস্থানের পরিবর্তন আসন্ন। সেই সব নেতৃত্ব উপজেলায় ক্ষমতাসীন পরিবারের প্রার্থির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করবেন বলে নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কাজেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পরিবার উপজেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।আর উপজেলায় যদি সত্যিই তাদের পরাজয় ঘটে তবে গাজীপুর-৩ আসনে '২৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তন ঘটতে পারে।

এছাড়াও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের চোখে এই আসনের কর্মকান্ড নিয়ে যেসব অভিযোগ জমা হয়েছে তা সুখকর নয়।সেসব অভিযোগ এবং আগামি সাড়ে ৪ বছরে যা যা ঘটবে তাতে জনক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে।

সেসব বিষয়সমুহ কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব আমলে নিলে হয়ত বা '২৯ সালে গাজীপুর-৩ আসনবাসি দেখবেন এমন এক নতুন মুখ,যে মুখ হবেন সম্ভাব্য আলোচিত প্রার্থিদের বাইরের কেউ,এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।কাজেই সাধু সাবধান!


আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম, কাজ বেশি হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম, কাজ বেশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আর এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার ইচ্ছা পূরণ হবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতেন। তিনি দেশ স্বাধীনের পর বেশ কয়েকবারই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন চিকিৎসক নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবা দান করো তাইলে আমি সন্তুষ্ট। তাইলে আমি বুঝবো আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক।

আজকের অনুষ্ঠানের উদাহরণ দেখিয়ে সামন্ত লাল বলেন, আজ সকাল ১০টায় প্রোগ্রাম শুরু করে সকাল ১১টার মাঝেই শেষ করতে চেয়েছি। আমি চাই এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় জড়িতরা আছেন তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে ফিরে যায়। তাই সময়ের মাঝেই শেষ করব।

চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করার শপথ নিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যেন সারাবিশ্বের মানুষ তালি দেয়। তারা যাতে বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি এবং প্রতিমন্ত্রীর একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর আপনারা।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, জাতির পিতা না থাকলে আজকে আমি থাকতাম না। আজকে মন্ত্রী হতে পেরেছি, আপনারা যারা আমার সামনে এসেছেন তারা কেউই এখানে আসতে পারতেন না।

স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মার্চ মাসে আমি থাকতাম ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু লুঙ্গি পড়ে নিচে আসতেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুষ্ঠান ফাইভ স্টারে হবে না জানিয়ে সামন্ত লাল বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এই হলেই আমাদের স্বাস্থ্যখাতের সব কনফারেন্স হবে। কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে আমরা যাব না। এই প্রতিষ্ঠানকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে চাই। এখানেই আমাদের আগামী পাঁচ বছরের যত অনুষ্ঠান আছে সব করব।


আরও খবর