Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার বিকেল পৌনে ৪টায় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি ভবনটি উদ্বোধন করেন। 

স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান,  জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত চারতলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি রবিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে আবারো নৌকার মাঝি হলেন দীপংকর তালুদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

উচিংছা রাখাইন রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় এক ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ডিঙ্গিয়ে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি হলেন চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দীপংকর তালুকদার। এ নিয়ে টানা ৬বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তিনি। ২৯৯নং পার্বত্য রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনের জন্য রোববার দুপুরে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙ্গামাটি ২৯৯ একটি সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীক চেয়ে দীপংকর তালুকদারসহ ১০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেলেন দীপংকর তালুকদার।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ দীপংকর তালুকদার এমপি বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যর দায়িত্ব পালন করছেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনসহ বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা যখন সারাদেশে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ চলছিল; সেসময় পাহাড়ের রাজনীতির মাঠেও নানা ধরনের গুজব উঠে। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমাসহ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দীন, বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য সমরেশ দেওয়ান, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমর কুমার দে এবং রাঙ্গামাটির সাবেক সিভিল সার্জন অবসরপ্রাপ্ত ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী ঢাকার কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে রাঙ্গামাটির ২৯৯ আসনে আওয়ামীলীগের পক্ষে এমপি পদে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নৌকার মাঝি হতে দলীয় টিকিট পেলেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এই ধারাবাহিকতায় আবারো প্রমাণিত হলো পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনে দীপংকর তালুকদারের কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামীলীগের হয়ে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে থেকে টানা ছয়বার অংশ নিয়ে চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দীপংকর তালুকদার। এর মধ্যে বিএনপি এবং অনিবন্ধিত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রার্থী একবার করে বিজয়ী হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দীপংকর তালুকদার ১৯৫২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মাান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজনীতির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করে আসছেন। ৭৫’এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে যে কজন নেতা এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল, দীপংকর তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৬৯ ও ১৯৮৭ এর গণঅভূত্থানে অংশগ্রহণ করে তিনি দু’বার কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ১৯৭২-৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্র সংসদের সদস্য এবং ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩-৭৪ সালে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ইংরেজি বিভাগীয় সমিতির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৬ সালে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আবার কারারুদ্ধ হন তিনি। ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে তিনি পরপর দুইবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এখন পর্যন্ত তিনি দলের নেতাকর্মীদের সমর্থনে সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে রাঙ্গামাটির ২৯৯ আসন থেকে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ১৯৯৬ সালের বাংলাদেশ শিক্ষা কমিটি, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় সংসদ হাউস কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। ২০০৯ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখার উদ্যোগে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ ০৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১ ঘটিকায়  মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের হরতাল, অবরোধ, সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তারুণ্যের অগ্রযাত্রা রোধ, শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে এই মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি ৩য় একাডেমিক ভবন থেকে সন্তোষ বাজার প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবিরসহ  অনান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাভাবিপ্রবি শাখার সভাপতি মানিক শীল বলেন, "ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, বোমা ফুটবেই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেই খারাপ পরিস্থিতি থেকে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে  ছাত্রসমাজকে  অস্ত্রের পরিবর্তে কলম তুলে দিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পেয়েছি। আজকে যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা গবেষণা উদ্ভাবন প্রযুক্তিতে এগিয়ে, দেশ যখন বিশ্বে উন্নয়নে রোল মডেল ঠিক তখনই বিএনপি জামাত শিবির হরতাল অবরোধ দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। আমরা ছাত্রলীগ সারা বাংলার ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে তাদের কে দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে রাজপথে প্রস্তুত রয়েছি ৷"

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাভাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবির বলেন,  " বাংলাদেশের জনগণ স্মার্ট রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, তারা কোন প্রকার স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতির সাথে জড়াতে চায় না, বাংলার জনগণ বিএনপি জামায়াতের মতো জ্বালও পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাসী কোন সন্ত্রাসী দলের উপর আস্থা রাখে না। এদেশের সাধারণ মানুষ বিএনপি জামায়াতয়ের দেয়া অবরোধ প্রত্যাখ্যান  করে স্বাভাবিক চলাচল অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লাখো নেতা কর্মী বরাবরের মতো সাধারণ মানুষের পাশে আছে এবং বিএনপি জামায়াতের সকল নৈরাজ্যকে রুখে দিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় সোচ্চার আছে, থাকবে।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




দেশে প্রতিদিন নিউমোনিয়ায় ৬৫ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশ্বজুড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের জন্য অত্যন্ত জটিল সমস্যা নিউমোনিয়া। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আর বাংলাদেশে প্রতি বছর নিউমোনিয়ায় ২৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়।

এমন প্রেক্ষাপটে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করুন, প্রতিটি প্রশ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে রবিবার (১২ নভেম্বর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সব হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও লাং ফাউন্ডেশন সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দশক ধরে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর প্রথম কারণ নিউমোনিয়া। আর বায়ুদূষণের কারণে এই রোগে আক্রান্তের হার শহরে বসবাসকারী ও গরিবদের তুলনামূলক বেশি। তবে শহর ও গ্রাম উভয় জায়গায় বেশি মারা যাচ্ছে অক্সিজেনের অভাবে।

দেশে শীতকালে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। তবে শিশুর জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে নিউমোনিয়ার আশঙ্কা ১৫ শতাংশ কমে যায়। আর ঘরের বাতাসের গুণগতমান উন্নত করে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমানো সম্ভব।

বারডেম হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, নিউমোনিয়ার শুরুতে কাশি হয়; যা সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এ থেকে শ্বাসকষ্ট এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

শিশু বিশেজ্ঞরা বলছেন, শিশুর শ্বাসকষ্ট, জ্বর-কাঁশি, শ্বাসের সময় বুক ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ। শীতকালে এই রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মায়েদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ সারাদেশে ২১ প্রার্থীকে শো'কজ করেছে ইসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ ২১ জন প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

আজ শুক্রবারের মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সাংবাদিকদের হেনস্তা, অস্ত্রধারী ব্যক্তিকে নিয়ে শোডাউন, মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোসহ বিভিন্ন কারণে বৃহস্পতিবার ২১ প্রার্থীকে শোকজ করেছে কমিশন।

শোকজ লেটার পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে আছেন- বর্তমান ৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। তারা হলেন-নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী নাটোর-৩ আসনের প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শোকজ পেয়েছেন সাবেক ২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও। তারা হলেন- সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও নরসিংদী-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

এদিকে আলোচিত ক্রিকেটার মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসানকেও শোকজ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ ছাড়া শোকজ খেয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদ, ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

 সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিব্বুর রহমান, রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তুষার কান্তি মণ্ডল, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ার হোসেন খান, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু।

এদের মধ্যে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে অস্ত্রধারীসহ শোডাউন দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার কারণে।

 সাকিব আল হাসানকে শোকজ দেয়া হয়েছে বড় গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে ঢোকা এবং নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে। আর চট্টগ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে কারণ দর্শানো হয় এক সাংবাদিককে হেনস্তা এবং অন্য সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলার অভিযোগে।

আচরণবিধি ভাঙার কারণে আরও অনেক প্রার্থীকে শোকজ দেয়া হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বিএনপি এলে তফসিল পুনর্নির্ধারণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, বিএনপি একটা বড় দল, নির্বাচনের বাইরে আছে। তারা যদি অংশগ্রহণ করে, তফসিল পেছানোর সুযোগ রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব এলে বিবেচনায় নেওয়া যাবে। তফসিল পুনর্নির্ধারণ করা হবে।

২৪ নভেম্বর মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজের মুন হলে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইসি কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় আমন্ত্রণ জানালে ২৬টি দল আসে, ১৮টি দল আসে না। কারা নির্বাচনে এলো আর কারা এলো না, এটা তাদের দলীয় ব্যাপার। এজন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ এর মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন করার। ভোটাররা ভোট দিতে এলেই নির্বাচন সফল হবে।

ভোটারের অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটে জনগণ যদি যোগ দেয় তবে সেটাই অংশগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, না করা তো আমার ওপর নির্ভর করে না। দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।

নির্বাচনের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি। ওই সময়ে অনলাইন, আইপি টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন অপপ্রচার চালানো না হয়, সেদিকে সাংবাদিকদের নজর রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আনিছুর রহমান। বলেন, আগামী নির্বাচনে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে, যা আগে ছিল না। ভোটের দিন নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক থাকবে, তবে গুজব ছড়ানো থেকে সাবধান থাকতে হবে। যদিও মূলধারার গণমাধ্যম এসব করে না।

সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবী চন্দ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. উর্মি বিনতে সালাম প্রমুখ।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩