Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জে ৬৫ হাজার টাকাসহ এইচ পি ফাউন্ডেশনের ২ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে 'এইচ পি সামাজিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন' নামে একটি বেসরকারি সংস্থার ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছেন শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে একেএম সাদেকুর রহমান(৪৪) ও মোরেলগঞ্জের উমাজুড়ি গ্রামের মোসলেম মুন্সির ছেলে মো. আ. কাদের মুন্সি(৭০)। 

সোমবার বেলা ১০টার দিকে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন সমাজসেবা দপ্তরের সহকারি পরিদর্শক এসএম সুজন। গতকাল রবিবার বিকেলে মোরেলগঞ্জের বারইখালী গ্রামে সংস্থার পক্ষে সদস্য সংগ্রহ করার সময় এ দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

তারা মোরেলগঞ্জের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর লোকদরেকে লোন, গরুসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলে ৫০০ টাকা করে নিয়ে সদস্য করছিল। 

বারইখালী গ্রামের মো. রফিক তালুকদারকে ৪টি গরু দেওয়ার কথা বলে তার নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে এইচ পি'র ওই দুই মাঠকর্মী। সংস্থাটি খুলনার খালিশপুর এলাকার। যার কোন রেজিষ্ট্রেশন নম্বর নেই।

এ বিষয়ে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, এইচ পি ফাউন্ডেশনের দুই মাঠকর্মীকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতার হওয়া ওই দুই ব্যক্তির নিটক থেকে সদস্য সংগ্রহের ফরম, লিফলেট, নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেলসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। 


আরও খবর



সংবাদ প্রকাশের পর

ব্যানবেইসে'' ভূয়া শিক্ষকের তথ্য দেওয়া সেই প্রধান শিক্ষককে শোকজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বিভিন্ন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর ''ব্যানবেইসে'' ভূয়া শিক্ষকের তথ্য দেওয়া সেই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ করা হয়েছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ বৃহস্পতিবার বিদ্যামাধুরী শিক্ষায়তন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণীকে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ প্রেরণ করেন। পত্র প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয়ে ব্যাকডেটে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে ফারুক হোসেন নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ওই বছরের ৯ জানুয়ারি সরেজমিনে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফারুক হোসেন নামের কোন শিক্ষকের তথ্য পাওয়া যায়নি। এসময় প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণী দাবি করেন তার প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের কোন শিক্ষক নেই। একই দাবি করেছিলেন প্রধান শিক্ষকের স্বামী এবং ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি পরিমল রায়।

সে-সময় ওই বিদ্যালয়ের ব্যানবেইসে শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেন নামের কোন শিক্ষকের তথ্য পাওয়া যায়নি। এর প্রায় দীর্ঘ পৌনে দুই বছর পর প্রতিবেদকের হাতে আসা পরবর্তীতে আপলোডকৃত ব্যানবেইসের তথ্যে দেখা যায় গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে ফারুক হোসেনের নাম। তাকে ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল নিয়োগ দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণীর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে আমি ওই বিদ্যালয়ের ব্যানবেইস এর তথ্যে ফারুক হোসেন নামের একজনের নাম দেখি। যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গত ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল। কিন্তু আমি গত ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি এই উপজেলায় বদলী হয়ে আসি। তখন থেকে এপর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে এই পদে কোন নিয়োগ বোর্ড গঠন করে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি তাই ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেছি।


আরও খবর



এনার্জি ড্রিংকস : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি আড্ডা, পার্টি, পিকনিক কিংবা বাসাবাড়ির যে কোনো অনুষ্ঠানে অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এনার্জি ড্রিংকস ও সফট ড্রিংকস (কোমল পানীয়)। কেউ কেউ ভাত-মাংস, এমনকি পানির মতো গ্রহণ করেন এগুলো। স্কুলের টিফিনে শিশুদের খাবার কিংবা কোমল পানীয় দিয়ে অতিথিকে আপ্যায়ন যেন মানুষের রীতি বা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড়দের জন্য এগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, অথচ শিশুদের ক্ষেত্রে? এটি নিয়ে কেউ কি চিন্তা করেছেন?

এসব পানীয়ের প্রতি আসক্তির বিষয়টি উঠে আসে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপে (২০২২)। সেখানে দেশের ৩০ হাজার ৩৭৫টি পরিবারের কাছ থেকে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। খাদ্য গ্রহণসংক্রান্ত তথ্য নেওয়া হয় ছয় থেকে ২৩ মাস বয়সী দুই হাজার ৫৭৮টি শিশুর কাছ থেকে। জরিপের ফলে উঠে আসে, ৩২ শতাংশ শিশু তথ্য সংগ্রহের আগের দিন কোমল পানীয় পান করেছেন। ৪৯ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত চিনি ও লবণজাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছেন।

গবেষণায় কোমল পানীয়তে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনার্জি ড্রিংকসে এর মাত্রা আরও বেশি। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যাফেইনের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১৪৫ পিপিএম হলেও একটি এনার্জি ড্রিংকসে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে ৩২১.৭ পিপিএম। এ ছাড়া এক বোতল (২৫০ মিলি) কোমল পানীয়তে সিসার মাত্রা মিলেছে যথাক্রমে ০.০৫৩ ও ০.০৪৮ মিলিগ্রাম

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণাতেও কোমল পারীয় ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণায় কোমল পানীয়তে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনার্জি ড্রিংকসে এর মাত্রা আরও বেশি। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যাফেইনের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১৪৫ পিপিএম হলেও একটি এনার্জি ড্রিংকসে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে ৩২১.৭ পিপিএম। এ ছাড়া এক বোতল (২৫০ মিলি) কোমল পানীয়তে সিসার মাত্রা মিলেছে যথাক্রমে ০.০৫৩ ও ০.০৪৮ মিলিগ্রাম।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, নমুনার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পানীয়ের পিএইচ (পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন) ও অ্যাসিটিক মাত্রা আসে ৩-এর নিচে, যা দাঁতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ২৫০ মিলিলিটারের (মিলি) কোমল পানীয়তে চিনির পরিমাণ ২০.৮ থেকে ২৮.৮ গ্রাম এবং এনার্জি ড্রিংকে তা ২২.৬ থেকে ৩৭.০ গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এটি একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা পূরণের সমান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দিনে সর্বোচ্চ চিনি গ্রহণের মাত্রা ২৫ গ্রাম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার পরিমাণ হয় ২৫০ মিলিলিটার (মিলি) ক্যানে অন্তত ৮০ মিলিগ্রাম (মিগ্রা)। যেখানে ৩৩০ মিলির একটি কোকাকোলা ক্যানে এর পরিমাণ থাকে ৩২ মিগ্রা। সেখানে ৬০ মিলির একটি এনার্জি ড্রিংকসের বোতলে ১৬০ মিগ্রা পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগ ও আতঙ্কিত হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।

এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার পরিমাণ হয় ২৫০ মিলিলিটার (মিলি) ক্যানে অন্তত ৮০ মিলিগ্রাম (মিগ্রা)। যেখানে ৩৩০ মিলির একটি কোকাকোলা ক্যানে এর পরিমাণ থাকে ৩২ মিগ্রা। সেখানে ৬০ মিলির একটি এনার্জি ড্রিংকসের বোতলে ১৬০ মিগ্রা পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগ ও আতঙ্কিত হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন  ধরনের কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকস বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু আছে কার্বনেটেড ওয়াটার, কিছু কার্বনেটেড ড্রিংকস ও সফট ড্রিংকস। এগুলোর ক্ষতির মাত্রাও ভিন্ন। এসব পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। চিনির কারণে বাচ্চাদের ওজন দ্রুত বেড়ে যায়।

ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে বাচ্চাসহ বয়স্ক ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়ারেটিকস  দ্রুত বাড়ে। এমনকি কোমল পানীয় বাচ্চাদের মধ্যে এক ধরনের আসক্তিও তৈরি করে। ঠিক তামাকের নিকোটিনের মতো। এ কারণে বাচ্চারা একবার অভ্যস্ত হলে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

কেমিক্যাল-কাঁচামালে নকলের ছড়াছড়ি

ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত যেসব ড্রিংকস বা জুস আছে, সেগুলোতে ফলমূলের ব্যবহার খুবই কম থাকে। ব্যবহার হয় মূলত কেমিক্যাল, সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে চিনি। তাও আসল চিনি নয়। চিনির নামে ফ্রুক্টোজ, যা সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এগুলোতে খুবই উচ্চমাত্রার ক্যালরি থাকে, যা শরীরে মেটাবলিক প্রবলেম (বিপাকীয় সমস্যা) তৈরি করে।

বেশি ক্ষতি শিশু-কিশোরদের

দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ  বলেন, কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসে কোনো পুষ্টিকর উপাদান নেই। বরং দেহের জন্য ক্ষতিকর কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে। বেশকিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, কোমল পানীয় দাঁতের ক্ষয়রোগ সৃষ্টি করে, মাড়ি দুর্বল করে। এমনকি এর প্রভাবে হাড়, পেশি ও লিভারে জটিল রোগ দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় শিশু-কিশোররা।

গবেষকরা বলেন, কোমল পানীয়ের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ক্যাফেইন। এটি অত্যন্ত আসক্তিকর মাদক। এটি শুধু স্নায়ুতন্ত্র নয় দেহকেও কৃত্রিমভাবে উত্তেজিত করে। হৃৎস্পন্দন ও সাময়িক বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়, অবসন্ন ভাব বা ক্লান্তি-শ্রান্তি দূর করে। ছোটরা তাই একবার খেলে আবারও খেতে চায়।


আরও খবর



নাটোর-৪ আসনে আ.লীগের ফরম বিক্রি শুরু সোমবার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নাটোর-৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

প্রার্থীদের আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে নাটোর-৪ আসন শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ অক্টোবর শূন্য এ আসনে ভোটগ্রহণ হবে।


আরও খবর



ভুয়া দলিল তৈরি করলে ৭ বছরের জেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : অন্যের জমি নিজের দখলে রাখা, ভুয়া বা মিথ্যা দলিল তৈরি এবং নিজ মালিকানার বাইরে অন্য কোনো জমির অংশবিশেষ উল্লেখ করে দলিল হস্তান্তরে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা কৃষি ভূমির মালিকানার বিধান রেখে সংসদে আরো একটি বিল পাস হয়েছে।

বিলে বলা হয়, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারো কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিলে সই করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এছাড়া কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজাও হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করার সাজাও একই হবে। প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা ভোগ করতে হবে।

বিলে বলা হয়, সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান বা হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আবাদযোগ্য জমির উপরিস্তর কাটার সাজা সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। নতুন আইনের আওতায় কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে মূল অপরাধীর সমান দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিত করতে এই আইন করা হচ্ছে। নাগরিকরা নিজ নিজ মালিকানাধীন ভূমিতে নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল অধিকারসমূহ নিশ্চিত, ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ও সর্বসাধারণের ব্যবহার প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভূমি সংক্রান্ত কিছু অপরাধের দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ভূমি থেকে বেআইনি দখল, স্থাপনা ব প্রতিবন্ধকতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবৈধভাবে ভরাটকৃত মাটি, বালু, ইত্যাদি অপসারণ করতে এবং ওই ভূমিকে এর আগের শ্রেণি বা প্রকৃতিতে পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সন্নিবেশ করা হয়েছে।

ভূমি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দূর করা এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং মাঠ পর্যায়ের মতামত নেওয়াসহ অংশীজনের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিকানা নয় : ১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে ভূমি সংস্কার বিল-২০২৩ সংসদে পাস হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে গৃহীত হয়। পাস হওয়া বিলে বলা হয়, ৬০ বিঘার বেশি কৃষি ভূমির মালিক বা তার পরিবার হস্তান্তর, উত্তরাধিকার, দান বা অন্য কোনো উপায়ে নতুন কোনো কৃষি ভূমি অর্জন করতে পারবে না। তবে সমবায় সমিতির মাধ্যমে চা, কফি ও রাবার বাগান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম, রফতানমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনটি শিথিল থাকবে। এই আইনে বাস্তুভিটার অধিকার, বর্গাচুক্তি ও উৎপন্ন ফসলের ন্যায্য ভাগের কথাও বলা হয়েছে।


আরও খবর



ইউক্রেন যুদ্ধের আরো বড় প্রভাবের আশঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে যুদ্ধের বড় নেতিবাচক প্রভাব এখনো পড়েনি। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর ইউরোপে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় সংকোচন হয়েছে।

মাঝারি থেকে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আরো বেশি হতে পারে, বিশেষ করে বাস্তব অর্থনীতির ক্ষেত্রে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই প্রভাব প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

গবেষণা অনুসারে, যুদ্ধের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানি। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ না করত তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে দেশটির জিডিপি শূন্য দশমিক সাত শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম থাকত।

 ইতালির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই শতাংশ কম এবং জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি হতো।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধ না হলে সুইজারল্যান্ডের জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।

এই যুদ্ধ আগের যুদ্ধের তুলনায় কাছাকাছি এবং অতীতের তুলনায় শরণার্থী ও অতিরিক্ত সামরিক ব্যয়ের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩