Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জে আহম্মদিয়া মাদ্রাসায় গোপনে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৮৪জন দেখেছেন

Image

এম. পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ বাগেরহাট:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি দাখিল মাদরাসায় গোপনে শিক্ষক, কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক মাদরাসা সুপার। ঘোলাটে পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে মাদরাসাটির শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। দু’পক্ষের কঠোর অবস্থান ও উত্তেজনায় প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পঞ্চকরণ ইউনিয়নের আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার ৩ টি শূণ্যপদে জনবল নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, খারইখালী আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসাটিতে আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অনেকে ৫০০ টাকার অফেরৎযোগ্য পোষ্টাল অর্ডারসহ আবেদন করেন। কিন্তু কাউকে ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকা হয়নি। পরে ২০২২ সালে ২ অক্টোবর আবারও সহকারি সুপার, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

২য় দফার ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ১৭ ফেব্রæয়ারি মাদরাসার খাতাপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী বলইবুনিয়া ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগবোর্ড বসিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, সহকারি সুপার পদে মিজানুর রহমান, আয়া পদে তামান্না আক্তার ও নিরাপত্তাকর্মী পদে আল মামুন। পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগবোর্ড বসিয়ে এই নিয়োগ দেওয়ার খবর জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়দের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কারনে নিয়োগের ১৫ দিন পরে ওই ৩ জন মাদরাসায় যোগদান করতে পারেননি।

মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, টাকার বিনিময়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় গিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন অবৈধ নিয়োগ কেউ মেনে নেবেনা। প্রয়োজনে আন্দোলন ও আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে বলেও বৃহস্পতিবার মাদরাসার অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

আয়া পদে চাকুরির জন্য আবেদনকারি পারভিন বেগমের স্বামী পলাশ শেখ বলেন, ‘আমার নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আমার স্ত্রীকে চাকুরি দেয়নি। বেশী টাকা পেয়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় বোর্ড বসিয়ে তামান্নাকে চাকুরি দিয়েছে’।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ, কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি ইয়াকুব আলী কাজী, সহকারি শিক্ষক আনন্দ মোহন, মাহবুব আলম, মো. আবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব খান, দাতা সদস্য পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, ইউপি সদস্য শাহিন হাওলাদার বলেন, এখানে কমিটি গঠন হয়েছে গোপনে। শিক্ষক, কর্মচারি নিয়োগও হয়েছে গোপনে। এসব মেনে নিয়ে আমরা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হতে দেবনা। এ নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে, কিছু ঝামেলা থাকার কারনে নিয়োগপ্রাপ্তরা এখনো যোগদান করতে পারেনি। স্থানীয় কিছু লোক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ তুলছে। এসব ঠিক হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, ‘আমি এখানে নতুন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বসানো আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার নিয়োগবোর্ড়ে আমি ছিলাম। পরে কিছু সমস্যার কথা শুনেছি। তাই আপাতত ওই নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। 


আরও খবর



নওগাঁয় ইরো-বোরো ধান চাষে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ,ধানের মূল্য বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

শস্য-ভান্ডার নামে সারা দেশে পরিচিত উত্তরাঞ্চল এর নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলায় এবার ইরি-বোরো ধান উৎপাদন (চাষে) খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। ধান চাষি কৃষকরা বলছেন, বিগত ধান চাষের মৌসম থেকে এবার চলতি ইরি-বোরো ধান চাষে দ্বিগুণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দিন মজুর ও ধানের চারা রোপন কাজের শ্রমিকের মূল্য যেমন বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ তেমনি বাজারে ডিজেল এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি চাষের খরচও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ, এছাড়া সার এর মূল্য কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে পানি সেচ মূল্য, বীজ, কীটনাশক সহ কৃষি শ্রমিকের মজুরি। যার ফলে বিগত বছরের থেকে এবার প্রতি বিঘা ইরি-বোরো ধান চাষে ৪-৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। একই সাথে কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান - কাটা মাড়াই এর শুরু থেকেই বাজারে প্রতি মণ ধান সর্বনিন্ম ১৫-১৬ শ’ টাকা দরে যদি বিক্রি করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তারা কিছুটা লাভমান হতে পারেন। এরনিচে কম মূল্যে বিক্রি করলে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বেন।

তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বর্গাচাষিরা। ইউরিয়া সার, শ্রমিক, চাষের খরচ সহ পানি সেচ বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়ায় জেলায় এবার গত বছরের চেয়ে ৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে করতে হচ্ছে কৃষকদের। 

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নওগাঁ জেলার সদর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মান্দা, বদলগাছী, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭শ' ৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পরিমাণ জমিতে ধান চাষে পানি সেচ ও সার বাবদ খরচ হবে ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গত বছর এক লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদে সার ও সেচে খরচ হয়েছিল ২১৩ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা। চলতি বছর এ বাড়তি খরচ প্রান্তিক চাষি (কৃষকদের) জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা সার, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে এনে ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছেন কৃষকরা।

নওগাঁ জেলার পল্লী গ্রামের মাঠ গুলোতে এবার চিকন ধান জিরাশাইল, কাটারিভোগ, সম্পা কাটারি, ব্রি-২৮, ২৯, ৮১, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতে সবুজের সমারোহ নজর কাড়ব যে কারো মনে। ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন মন্ডল, খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বাবু সহ বেশ কয়েক জন কৃষক জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবার ইরি-বোরো ধান চাষে খরচ অনেক বেড়েছে। তারা বলেন, শ্রমিকের খরচ, পানি সেচ খরচ ও ডিজেল এর মূল্য রাড়ানোর ফলে জমি চাষ খরচ সহ কিটনাশকের মূল্যও ব্যাপক বৃদ্ধি হওয়ায় চলতি ইরিবোরো ধান চাষে বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ বৃদ্ধি হয়েছে, এজন্য বাজারে ধানের মূল্য ও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকরা। অপরদিকে আত্রাই উপজেলার দমদমা গ্রামের পোস্ট মাস্টার আব্দুল লতিফ চাকরির পাশাপাশি কৃষি কাজও করেন। এবার তিনি সারে ৪ বিঘা জমিতে ইরো বোরো ধান লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে কীটনাশকের দাম, জমি চাষ, ধানের চারা লাগানো, নিড়ানিসহ বিভিন্ন খরচ গত বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে। প্রতি মণ ধান ১৫শ' টাকা থেকে ১৬' টাকায় বিক্রি করা না গেলে ধানে লোকসান গুণতে হবে।

বদলগাছী উপজেলার চাংলা গ্রামের কৃসক ওয়াহেদ আলী এবার সারে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ইরি বোরো ধান রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, গতবছর ধানের চারা রোপণ ৭০০-৮০০ টাকা বিঘা হিসেবে শ্রমিকের মজুরি ছিল। এবার তা বেড়ে ১৫০০ টাকা দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া একজন শ্রমিক এক বেলা খাওয়া দিয়ে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৬-১৭ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধান পাবো ২০ মণ। এর মধ্যে জমির মালিককে প্রতি বিঘাতে ৭ মণ করে ধান দিতে হবে। ৭ মন ধান দেওয়ার পর বিঘাতে ১৩ বা ১৪ মন ধান পাবো, তাহলে ধান চাষ করে কী লাভ হবে। এবার ধানের মন বিগত বছরের থেকে ৩০০-৪০০ টাকা বেশি না করা হলে আমরা ক্ষতির মুখে পড়বো।

রানীনগর উপজেলার মিরাট গ্রামের ধান চাষি কৃষক শুকবর আলী বলেন, এবছর ধার-দেনা করে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বিঘা বোরো আবাদের শুরুতেই খরচ বেড়েছে ২হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিকের মজুরি গত বছর ছিল ৩শ' টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫শ' থেকে সারে ৫শ' টাকায়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচ ও জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করায় খরচ বেড়েছে। এই ধার-দেনার টাকায় ধান কাটার পরেই তা বিক্রি করতে হয়। তখন (ধান-কাটা মাড়াই এর) সময় আবার ধানের দামও পাওয়া যায় না। ধান ঘরে তোলার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। শ্রমিকদেরকে বেশি টাকা দিয়ে ধান কাটাতে হয়। তাই এবার ধানের দাম না বাড়লে ধান চাষি কৃষকরা মাঠে মারা যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একে এম মঞ্জুরে মাওলা জানান, ইতিমধ্যেই জেলায় মতভাগ আবাদি ধান চাষের জমিতে ধান রোপন সম্পূর্ণ করেছেন কৃষকরা। এখন ধান নিরানি, কিটনাশক, সেচ সহ ধান ক্ষেতের পরিচর্যা নিয়ে ব্যাস্ত কৃষকরা। তবে এখন পর্যন্ত জমিতে ইরি বোরো পরিবেশ ভালো রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি আরো বলেন, এবছর বিদ্যুৎ খরচ ও সেচ খরচ বেড়েছে, বেড়েছে শ্রমিকের মূল্যও। আর যেকোনো বিষয়ে উৎপাদন খরচ বাড়লে সেটি শেষ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে বেড়ে যায়। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করার সময় বর্তমান বাজার দরের সমন্বয় করবেন। তবে বাজারে ধানের দামও ভালো পাবেন কৃষকরা এবং কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এই কৃষি কর্মকর্তার।


আরও খবর



সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

সোমবার ২০ মার্চ সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর আয়োজনে ও  সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আবু সায়েম এর সার্বিক তত্তাবধানে সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দিন ব্যাপি 

ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এউপলক্ষে আয়োজীত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক তরফদার। 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় সংসদ-৪৮, নওগাঁ-৩, মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান, মহাদেবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ ভদ্র ও মহাদেবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এর একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ ফরিদুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষা অফিসার (অবঃ)  এস এম আফাজ উদ্দিন, শিক্ষক (অবঃ) আব্দুস সামাদ তরফদার সহ সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সুধীজন সহ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।  

ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় (বিভিন্ন খেলায়) অংশ গ্রহনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিকেল ৩ টায় পরুস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এরপর সারে ৩ টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গান, নৃত্য, কৌতুক পরিবেশন করেন ঐ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিকেল সারে ৬টা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক সহ এলাকার হাজারো নারী, পুরুষ ও শিশুরা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।


আরও খবর



সরকারের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫জন দেখেছেন

Image

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও সময়োচিত সংস্কার পদক্ষেপগ্রহণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ। সংবাদ সংস্থাটির বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন সরকার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সংবাদ সংস্থাটি এক নিবন্ধে লিখেছে,  (শেখ হাসিনা) টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পুরো তহবিল পেতে আরো সংস্কার করতে হবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সম্ভাব্য জয়ী হওয়ার কারণ এটা নয় যে, যে তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন।

নিবন্ধে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বিজয়ের কারণ কেবলমাত্র তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছে বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন-এটা নয়, বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার সাফল্যের কারণেই এটা ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার  দেশটির সময়োপযোগী সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির পটভূমিতে ব্লুমবার্গ দুটি উপ-শিরোনামসহ বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফ-ম্যান্ডেটেড রিগর উইল পে অফ ইন পোলসশিরোনামের এই নিবন্ধটি প্রকাশ করে। 

এতে বলা হয়, পুরো তহবিল পেতে শেখ হাসিনাকে আরও সংস্কার করতে হবে। নির্বাচনে তিনি টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্যালট বাক্সে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারি দলের নেতারা প্রায়শই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে সম্মত সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মতো নন।

এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে যেখানে পাকিস্তান এখনও জ্বালানি ভর্তুকি নিয়ে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচন বিলম্বিত করেছে, কারণ, তারা গত সপ্তাহে আইএমএফ তহবিল পেতে কর এবং সুদের হার বাড়িয়েছে।

গত জুলাই মাসে আইএমএফের সহায়তা চাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে সর্বশেষ ছিল বাংলাদেশ। দেশটি দ্রুত জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির পর প্রথম ঋণ অনুমোদন পেয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিতে কোনো কুণ্ঠা বোধ করেননি।

 খবর বাসস

 

 


আরও খবর

ঈদের বাজারেও চড়া দাম

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩

ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা

বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩




নওগাঁয় এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবকের আত্নহত্যা, মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত যুবক হলেন, নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরের তুলাপট্টীর কাপড়-বেডিং ব্যবসায়ী রতন ভগত যুবক ছেলে আশীষ ভগত (৩১)।

নিহতের পরিবার সহ স্থানিয় সুত্র জানায়, পারিবারিক কলহের কারনে আশীষ ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুর ১২টারদিকে তার শয়ন নিজ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টারদিকে পরিবারের লোকজন দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য তাকে ডাকতে গিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখতে পান। এক পর্যায়ে বেঁচে আছে মনে করে (বাড়ি) পরিবারের লোকজন তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামালে ততক্ষনে তার মৃত্যু হয়। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে সাপাহার থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করেছেন। যুবকের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে সাপাহার থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।


আরও খবর



ব্রহ্মপুত্রে অষ্টমী স্নান আজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ বুধবার।

প্রশাসনসহ বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে এই স্নান উৎসবকে সফল করতে নেওয়া হয়েছে নানা ধরনের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্নান উৎসবে আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। তারা বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। শুক্লা তিথি অনুযায়ী বুধবার ভোর ৪টা থেকে ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই দেড় ঘণ্টা উত্তম সময় স্নানের। আর উত্তম লগ্ন সকাল ৯টা ৯ মিনিট ২৩ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা ৯ মিনিট ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত। সেই সঙ্গে আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়িহাটে মেলা বসবে।

মেলা উদযাপন কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় থাকা তপন কুমার বর্মন বলেন, স্নানের এই দিনটি ১২ বছর পর পর আসে। এটাকে বলে বুধে অষ্টমী।

মেলা উদযাপন কমিটি জানিয়েছে, এ বছর বুধবার স্নান উৎসবের তারিখ হওয়ায় বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম হবে। স্নান উৎসবের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে থানাহাট ইউনিয়নের রমনা ঘাট উত্তর দিক থেকে শুরু করে রাজারভিটা ভায়া রুকুনুদ্দৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত। মেলা স্থানে পুণ্যার্থীদের পোশাক পরিবর্তনের বুথ রয়েছে ৩৮টি। সেইসঙ্গে মেলায় পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য বেসরকারি ৭টি সংস্থা ৩৫টি অস্থায়ীভাবে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এছাড়াও মেলা সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্কুল, মাদরাসা খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ উৎসবে ২ থেকে ৩ স্তরে জেলা উপজেলার প্রায় ৯০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আতিকুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবার স্নান উৎসবে জেলা উপজেলা মিলে ২ থেকে ৩ স্তরে ৯০ জন পুলিশ সদস্য মাঠে থেকে কাজ করে যাবেন। সেই সঙ্গে যানজট নিরসনে কাজ করতে ট্রাফিক পুলিশও মাঠে থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, সরকারিভাবে অষ্টমীর স্নান মেলার স্থানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ স্থাপন, পোশাক পরিবর্তনের বুথ রয়েছে ৩৮টি। শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক থাকছেন এই উৎসবে।

 


আরও খবর