Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জে ইচ্ছামাফিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

এম. পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইচ্ছামাফিক স্কুলে যাচ্ছেন ৩ শিক্ষক। সরকারি নির্দেশনা সময়সূচির কোন তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছায় স্কুলে হাজিরা দিয়ে দিন পার করছেন। সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের কর্মকর্তার নেই তদারকি। স্কুল ভবনে প্রাক-প্রাথমিকের একই শিক্ষার্থীরা গণশিক্ষাকেন্দ্রে পাঠদান নিতে দেখা গেছে।

রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, উপজেলার মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ১১৯ নং মধ্য বিশারীঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সময়সূচি সকাল ৯টায় থেকে ৪ টা পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষকের উপস্থিতির কথা থাকলেও চিত্র রয়েছে ভিন্ন। শিক্ষার্থীরা হৈ-চৈ করে বাহিরে সময় পার করছেন। বিদ্যালয়ে কর্মরত ৬ জন শিক্ষক থাকলেও প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার, সহকারি শিক্ষক ইসরাত জাহান ও স্বপ্না রানী দাস যথাসময়ে উপস্থিত হলেও সহকারি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি, মো. অহিদুর রহমান ও বৃত্তি রানী বল ৩ শিক্ষক পর্যায়ক্রমে ঘন্টাব্যাপী ব্যবধানে বিদ্যালয়ে হাজিরা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন প্রতিদিন ক্লাশ বসছে ১০ টায়। প্রধান শিক্ষক বলছেন সোয়া ৯টায়। নির্দিষ্ট সময়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেনীকক্ষে ২-৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও অন্য একটি শ্রেনীকক্ষ দেখা গেছে ফাঁকা। বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৮৫ জন।


শিক্ষার মানন্নোয়নে সরকারিভাবে উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপের টাকা, রুটিন ম্যানটেনেন্সসহ বিভিন্ন বরাদ্দ পেলেও সে অর্থ বরাদ্দ যথাযথ ব্যয় না করারও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম ব্যবহৃত ল্যাপটবটি রয়েছে সহকারি শিক্ষক অহিদুর রহমানের বাড়িতে। প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসি অভিযোগ তুলেছেন এ বিদ্যালয়ের ২য় তলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গনশিক্ষা কেন্দ্রের ক্লাশ চলছে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে তার শিক্ষার্থীরা। ওই শিশুদের পাঠদান শেষ হয় ১০ টায়। তারপরে শুরু হয় প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাশ এ কারনেই তিনি দেরি করে আসেন বিদ্যালয়ে। প্রাক ও গনশিক্ষা কেন্দ্রের একই ছাত্রের বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে বলেও সুরহা হয়নি বলে অভিযোগ ওই সহকারি শিক্ষকের। বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ঝুলানো থাকলেও নেই কার্যক্রম। ক্রয়কৃত মেশিনের অর্থ গেছে ভেস্তে।

এ সর্ম্পকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ে নিয়মিত সোয়া ৯টায় ক্লাশ শুরু হয়।  শিশু শিক্ষার্থীরা ভুল করে ১০ টার কথা বলেছেন। আজ একটু দেরি হয়েছে। পরবর্তীতে এ রকম থাকবে না। তার প্রাকের শিক্ষার্থীদের গনশিক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র দেখানো হয়েছে সে বিষয়টিও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন খান বলেন, সরকারি নির্দেশনা সময়সূচি না মেনে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিলম্বের হাজিরা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 


আরও খবর



বাগেরহাট-৪, আসনে নৌকার মাঝি বদিউজ্জামান সোহাগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৪, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার মাঝি হলেন বংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগ। রোববার বিকেলে আনুষ্ঠানিক দলীয় ঘোষনার পরপরই মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থনকারীরা দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে নৌকায় ভোট চেয়ে আনন্দ উল্লাসে করে পরে দলীয় কার্যালয়ে নেতা কর্মীরা একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করেন।

এ আনন্দ মিছিলে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বারইখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান নাহার, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ওয়ালিউর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. ওবায়দুল ইসলাম টিটু, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেন রাজ্জাক,

এসএম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বায়েজিদ শিকদার, সাধারণ সম্পাদক নেয়ামুল ইসলাম নাইম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, বাগেরহাট-৪ আসনে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগকে দলীয়ভাবে মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ডের সঠিক সিদ্বান্তের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা বলেন তরুণ সমাজের জয় হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার তরুনদের নেতৃত্বে এগিয়ে নিতে হবে দেশকে। আগামী ৭জানুয়ারী শুভদিন নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগকে বিজয়ী করার আহব্বান জানান। 


আরও খবর



নওগাঁয় ৬টি আসনের বিপরীতে ৫৫ জন দাখিল করলেন মনোনয়ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর ৬ টি আসনের বিপরীতে অর্ধশতাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার ছিল আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। নওগাঁ জেলার মোট ৬ টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ৫৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সরকার দল ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী ২৪ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩১ জন প্রার্থী সহ মোট ৫৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আবার অনেক প্রার্থীই নিজ নিজ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

তবে কোন প্রার্থীর ক্ষেত্রেই নির্বাচনী আচরন বিধি মানা হয়নি। এক এক প্রার্থীর সাথে সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক ছিলো সফর সঙ্গী। এতে করে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি নির্বাচনী আচরবিধিকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিশেষ করে সরকার দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের সাথে দলে দলে আসা নেতা কর্মীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। ফলে শুরুতেই সরকার দলীয় প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্বাচনী আচরন বিধি মেনে চলা নিয়ে সাধারণ মানুষ ও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এছাড়া তফসিল ঘোষনার পর নির্বাচনী আচরন বিধি অনুসারে প্রার্থীদের বিভিন্ন পোস্টার ও সাইনবোর্ড নিজ নিজ এলাকা থেকে নিজ উদ্দ্যোগে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা থাকলেও অনেকেই তা পালন করেননি। এছাড়া এই বিধি অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইনী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ কিংবা দায়িত্বরত দপ্তর গুলোর কর্মকর্তাদের কোন অভিযানও দৃশ্যমান নয়।      

নওগাঁ-১

(সাপাহার-পোরশা-নিয়ামতপুর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত ও নৌকা প্রতিক এর প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, জাতীয় পার্টির মোঃ আকবর আলী কালু, জাকের পার্টির মোহাম্মদ আলী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খালেকুজ্জামান তোতা, মোঃ মাজেদ আলী ও সোহরাব হোসেন তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।  

নওগাঁ-২ 

(পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত ও নৌকা প্রতিক এর প্রার্থী, বর্তমান এমপি এ্যাড. শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির মোঃ তেফাজ্জল হোসেন, জাকের পার্টির এস জে এম আর ফারুক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আখতারুল আলম, মেজবাহুল আলম, আজিজার রহমান, আমিনুল হক, আইয়ুব হোসেন ও কাজল চন্দ্র দাস তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতিক এর প্রার্থী সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বর্তমান এমপি মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার, সাবেক এমপি সদ্য প্রয়াত আকরাম হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী মাহফুজা আকরাম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মাসুদ রানা, এনপিপি'র স্বপন কুমার দাস, বিএনএফ-এর জাবেদ আলী, জাকের পার্টির আলাল হোসেন, তৃনমুল বিএনপি'র সোহেল কবির চৌধুরী সহ ডিএম মাহবুবুল মান্নাফ, শামিমুর রহমান এবং ফিরোজ হোসেন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

 নওগাঁ-৪ 

(মান্দা) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত ও নৌকা প্রতিক এর প্রার্থী এ্যাড. নাহিদ মোরশেদ বাবু, বর্তমান এমপি ও সাবেক মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, এস এম ব্রহানী সুলতান মাহমুদ গামা, জাতীয় পার্টির মোঃ আলতাফ হোসেন, জাকের পার্টির মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর আব্দুর রহমান এবং স্বতন্ত্র হিসেবে মোঃ আব্দুস সামাদ, কামাল পারভেজ, আফজাল হোসেন, মোঃ জিয়াউল হক তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।    

নওগাঁ-৫

নওগাঁ (সদর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত ও নৌকা প্রতিক এর প্রার্থী  বর্তমান এমপি ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জাতীয় পার্টির ইফতারুল ইসলাম বকুল, এনপিপি'র খন্দকার আমিনুর রহমান ফ্রবেল, জাকের পার্টির মশিউর রহমান, জাসদের আজাদ হোসেন মুরাদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নওগাঁ পৌর আ’লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষান এবং সাবেক এমপি ও জেলা আ’লীগের সভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মালেক তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। 

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল, জাতীয় পার্টির আবু বেলাল হোসেন জুয়েল, এনপিপির খন্দকার ইন্তেখাব আলম, তৃনমূল বিএনপির পিকে আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেস আব্দুস সাত্তার, জাকের পার্টির রবি রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, তরুনদের আইডল এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন, শাহজালাল উদ্দিন, ড. জাহেদুল ইসলাম জাহিদ,  এম এ রতন ও নাহিদ ইসলাম বিপ্লব তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।


আরও খবর



যাত্রীবাহী বাস খাদে, মেয়ের বাড়ি যাওয়া হলো না বাবার.

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ওভারটেক করার সময় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জৈনপুর পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বৃদ্ধ পথচারীকে চাপা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৪ জন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুর রব বেপারী গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। 

আহতদের মধ্যে মাহবুব (৩৫), মহসিন (৪৫) ও বাবুল মিয়াকে (৫৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

দুর্ঘটনার বিষয়ে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, কুমিল্লা থেকে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে জৈনপুর পরিবহনের একটি বাস ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে ভাটেরচর এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক বৃদ্ধকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহত আব্দুর রব বেপারীর ছেলে বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আজ সকালে বাবা আমার বোন নাছিমাকে দেখতে পার্শ্ববর্তী গ্রাম মধ্যে ভাটেরচর গ্রামে যাচ্ছিলেন। তিনি ভাটেরচর আকিজ পেপার মিলের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা মারা যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রকিবুল হাসান বলেন, ‘মাহবুব এবং মহসিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘নিহতের লাশ বর্তমানে গজারিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বাসটির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



সন্ধ্যায় ঘোষণা হতে পারে তফসিল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে বুধবার বিকেল ৫টায় কমিশনের সভা ডাকা হয়েছে।

১৪ নভেম্বর কমিশনের অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠকে ওইদিন বৈঠকের পর তফসিলের ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

কমিশন সভার সিদ্ধান্তের পর আগামীকালই (বুধবার) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে তিনি এই তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।

এর আগে, সোমবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বুধবারের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

তিনি বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে, এটা ইসি থেকে আগেই বলা হয়েছিল। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে, তাই আপনারা অপেক্ষা করুন।


আরও খবর



আইকনিক রেলস্টেশনের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি নির্মিত দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১১ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শেষে শিশুদের সঙ্গে ছবি তুলেন। এরপরই মঞ্চে উঠে বসেন। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।

উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর রামু থেকে হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছে সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মহেশখালীর মাতারবাড়ি। নির্মাণাধীন ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটসহ, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।

সেখানে এ উপলক্ষ্যে জনসভারও আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীনরা। স্থানীয়দের তাই বহুমাত্রিক উচ্ছ্বাস দিনটিকে ঘিরে। রেলসেবা সম্প্রসারণ, বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ একগুচ্ছ কৌশলগত প্রকল্পের উদ্বোধনে পাল্টে যাবে পুরো এলাকার প্রতিচ্ছবি। প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

যা আছে আইকনিক রেলস্টেশনে : কক্সবাজার সৈকতের কাছে ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় নির্মিত হয়েছে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ছয়তলাবিশিষ্ট আইকনিক রেলস্টেশন। ২৯ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের রেলস্টেশনটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

নতুন এই রেলস্টেশনে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্ন কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুবিধা। দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আইকনিক রেলস্টেশনে আরও আছে ডাকঘর, কনভেনশন সেন্টার, তথ্যকেন্দ্র, এটিএম বুথ ও প্রার্থনার স্থান।

চোখধাঁধানো আইকনিক এ স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ; ছাদের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা ব্যবহার করতে হবে না বাড়তি আলো। আর আধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে গ্রিন স্টেশন। একই সঙ্গে সুবিশাল চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা থেকে নামতে হবে ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে। আর আসার যাত্রীরা বের হবেন নিচ থেকে। যার জন্য প্রস্তুত চারটি চলন্ত সিঁড়ি। স্টেশনের ভেতরেই রয়েছে সাতটি টিকিট কাউন্টার। আর চাইলেই নির্দিষ্ট লকারে ব্যাগ রেখে পর্যটকরা ঘুরে আসতে পারবেন পুরো শহর।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এসি বার্থ শ্রেণির জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৬ টাকা। শোভন চেয়ারের জন্য ২০৫ টাকা, এসি চেয়ারের জন্য ৩৮৬ টাকা এবং এসি সিটের জন্য ৪৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, লোকাল ট্রেনের জন্য (দ্বিতীয় সাধারণ শ্রেণির আসন) চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া ধরা হয়েছে ৫৫ টাকা। মেইল ট্রেনের জন্য ৭০ টাকা। এ ছাড়া কমিউটার ট্রেনে করে গেলে দিতে হবে ৮৫ টাকা।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের দূরত্ব ৫৫১ কিলোমিটার। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এ পথে নন-এসি অর্থাৎ শোভন চেয়ারে ৫১৫ ও এসি সিটে ৯৮৪ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি সিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভাড়া হবে ১ হাজার ১৩২ টাকা। ভ্যাটসহ এসি কেবিনে ১ হাজার ৩৬৩ ও এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ২ হাজার ৩৬ টাকা। কিন্তু এখনই এ পথের ভাড়া চূড়ান্ত করেনি রেলওয়ে।

১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৯টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট ও ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। আর লেভেল ক্রসিং করা হয়েছে ৯৬টি।

উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।

এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করে।


আরও খবর