Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জে খালে বাঁধ দেওয়ায় ৬শ’ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। শত শত কৃষকের এখন ৬শ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সোমবার সকালে ওই মাঠে বাঁধটি অপসারনের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন তারা। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামজুড়ে চিংড়াখালী বলেশ্বর নদীর প্রবাহমান তালতলা খালের প্রশাখা কুমারখালী খাল। এ খালটির একদিকে পলিপড়ে ভরাট হয়ে গেছে। অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহের পূর্বে ওই গ্রামের মিন্টু হাওলাদার ব্যক্তিসার্থে খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। যে কারনে কুমারখালী, বৌলপুর, কিছমত বৌলপুর এ ৩টি মৌজায় বোরো ধানের প্রায় ১ হাজার বিঘার বড় ফসলের মাঠে পানি প্রবেশে বাঁধা হওয়ায় পুরো মাঠ ফেটে এখন চৌচির হয়ে পড়েছে। এতে ৩ গ্রামের ৮ শতাধিক কৃষক এখন তাদের জমিতে পানি তুলতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বোরো ধানের বীজতলা মরে যাওয়ার সম্ভাবনায় আতংকে রয়েছে তারা। মাঠের মধ্যে বিভিন্নস্থানে বোরো বীজ হলুদ রং ধারন করে শুকিয়ে যাচ্ছে বীজতলা। হাজার হাজার টাকা ব্যায় করে কৃষক তাদের বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবে কিনা এ নিয়ে শংশয় রয়েছেন তারা। ওই ফসলী মাঠের জমির মালিক আব্দুর রহিম ফকির, নোমান খন্দকার, শহিদ ফকির, বাবু হাওলাদার, মারুফ শিকদার, ছালাম ফকির, সাইদ ফকির, শহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান সহ একাধিক কৃষকরা বলেন, বছরে শুধুমাত্র বোরো ধানের ফসল ফলায় তারা। যা থেকে চাহিদা মিটিয়ে ৫০ থেকে ৫৫ মন ধান বাজারে ধান বিক্রি করে পুরো বছর পরিবারের সংসার চলে তাদের। কৃষকের বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয়েছে ২০/২৫ হাজার টাকা। এখন বাঁধের কারনে প্রথম গোনে মাঠে পানি তুলতে পারেনি। এ গোনেও যদি পানি তুলতে না পারে তাহলে আর ফসল হবে না। রেকর্ডীয় খাল কিভাবে বাঁধ দিয়ে এ ভোগান্তি করেছে আমাদের। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করেও কোন সমাধান হয়নি। এ বিষয়ে মিন্টু হাওলাদার বলেন, ৪ বছর ধরে আমার জমি থেকে পানি তুলেছে। রেকর্ডীয় খালটি উত্তর পাসে। এ বছর আর পানি তুলতে দিবো না। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী জানান, বোরো মৌসুমে কৃষক মাঠে পানি দিতে না পারলে বীজতলা সম্পূন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফসল হবে না। ওই গ্রামের বিষয়টি তিনি অবহিত নন। তবে, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠানো হবে। বৃদ্ধমান সমস্যার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



"হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) মানুষের অন্তর জয় করেছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,"সুফিরা জ্ঞানের গরিমা দিয়ে নয় ; তাদের সুন্দর ব্যবহার, চরিত্র, নম্রতা, বিনয় ও হেকমতের মাধ্যমে মানুষের অন্তর জয় করতে পেরেছেন বলেই, কোটি কোটি মানুষ তাদের মাধ্যমে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছে। অন্য ধর্মের মানুষরা পবিত্র কুরআন বা ইসলাম সম্পর্কে জানতো না ; কিন্তু সুফিদের প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে তারাও সুফিদের জীবনাচরণ ও ধর্মকে গ্রহণ করেছিলো। যুগে যুগে সুফিদের মাধ্যমেই ইসলামের খেদমত হয়েছে। সুফিরা অন্ধকার হৃদয়কে আলোকিত করতে পারেন। কারণ তারা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত। বাহ্যিক জ্ঞানের চেয়ে অপ্রকাশ্য জ্ঞান অনেক বেশি মহিমান্বিত। সুফিরা সেই জ্ঞানে জ্ঞানী। হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) ছিলেন বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুফি। সমগ্র বিশ্বে যেমন তার সম্মান মর্যাদার সাথে বিচরণ ছিলো, তেমনি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে তিনি আল্লাহ্ ও নবীপ্রেমের ঢেউ তুলেছেন। অভাবী, অসহায়, দরিদ্র মানুষকে তিনি পরম মমতায় বুকে জড়িয়েছেন। তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনেছেন।

স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসাই ছিলো তার দর্শন। এভাবে তিনি মানুষের অন্তর জয় করেছেন বলেই তার হাতে হাত রেখে হাজারো মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আবার অজস্র প্রাণে তিনি নবীপ্রেমের আলো জ্বেলেছেন। মানবতার জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। ইসলাম, সুফিবাদ, তরিকা ও মানবতায় তার অনন্য অবদানের জন্যই তিনি মহাকালকে জয় করতে পেরেছেন।"

২৯শে মার্চ, ২০২৪ মিরপুর-১ মাইজভাণ্ডার মইনীয়া খানকাহ্ শরীফে হুযুর গাউসুল ওয়ারা, হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সুফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রিয় নবিজী, (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার বংশধরগণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে ফিলিস্তিনের জনগণসহ দেশ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়।


আরও খবর



শ্রীনগরে চাঁদাবাজি মামলায় রাসেল গ্রেফতার রাকিবসহ অন্যান্যরা পলাতক

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চাঁদাবাজি মামলার আসামী রাসেল মোড়ল(৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২নং আসামী রাকিব, অমিত খান,ইব্রাহীমসহ অন্যান্যরা পলাতক রয়েছে।

বুধবার সকালে শ্রীনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এলাকায় থেকে শ্রীনগর থানা পুলিশ রাসেল মোড়লকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন। এসময় ঐ মামলারন অন্যান্য আসামীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেল মোড়ল উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি স্বাগতমপাড়া এলাকার ইয়াছিন মোড়লের ছেলে। পলাত আসামী রাকিব শ্রীনগর ইউনিয়নের হরপাড়া এলাকার ইদ্রিসের ছেলে,অমিত খান রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের দক্ষিন রাঢ়ীখাল এলাকার মৃত মোতালেব খানের ছেলে বর্তমানের শ্রীনগর গোল্ডেনসিটি এলাকার ভাড়াটিয়া ও ইব্রাহী সেলামতি স্বাগতমপাড়ার আব্দুল আলীর ছেলে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদীনি মাহমুদা আক্তার এর স্বামী ফরিদুল জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়াতে থাকেন। গ্রেফতার আসামী রাসেল মোড়লসহ রাকিব,অমিত খান ও ইব্রাহীমগং সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ, ভুমিদুস্য প্রকৃতির লোক হওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বাদীনি স্বামী বিদেশে থাকায় আসামীগণ তার বাড়িতে গিয়ে বলে এলাকায় শান্তিতে থাকতে হ়লে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তানা হলে শান্তিতে থাকতে দিবে না বলে হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ঘটনার দিন গত ৩০শে মার্চ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আসামীগণসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০জন হাতে রামদা, শাবল, বটি, কোদাল ইত্যাদি নিয়ে বাদীনির বসত বাড়িতে গিয়ে চাঁদার টাকার জন্য বাদীনিকে গালিগারাজ শুরু করে। বাদীনি দক্ষিন ভিটির ঘর হতে বের হয়ে আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় আসামী রাকিব তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথার কোপ মেরে মারাত্বক আহত করে। এক পর্যায়ে বাদীনির পড়নের কাপড় দিয়ে তার হাতমুখ বেধে রেখে ঘরে থাকা আলমারী, সুকেস, ওয়ারড্রপ ও ৩ ভরি স্বর্ণালকারসহ বাদীনির উত্তর ভিটির একটি দেড়তলা টিনের বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়।  পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় বাদীনিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বাদীনি সুস্থ্য হয়ে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দিলে শ্রীনগর থানার মামলা নং-১৮(৫)২৪ রুজু হয়। 

মামলা তদন্তকারী অফিসার শ্রীনগর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আরিফুল ইসলাম বলেন, মামলার ১নং আসামী রাসেল মোড়লকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রাকিব, অমিত খানসহ অন্যান্য পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



আবারও রেকর্ড গড়লো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা।

শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৭৭০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা। যা ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

এদিকে, বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। প্রতিবেদন লেখার সময় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ২০ ডলারে। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম একদিনে ৩৮ দশমিক ৫০ ডলার বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে বিশ্ববাজারে কেনাবেচা চলছে।


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রোকসানা মনোয়ার :  অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন। এর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৫৪ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে ।

সম্প্রতি প্রকাশিত ফায়ার সার্ভিসের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

এদিকে চট্টগ্রামের বিএম ডিপো কিংবা বনানীর এফআর টাওয়ার, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ও নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এখনও সবার মনে দাগ কাটে। এসব ঘটনায় হতাহতের পরিবারগুলো এখনও লাল আগুনের নীল কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিবছরই ঢাকাসহ সারা দেশে এমন অগ্নিকাণ্ডে হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরও কার্যকর উদ্যোগ নেন না সংশ্লিষ্টরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও টনক নড়ে না তাদের। বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কেউ মাথাও ঘামান না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ৫ হাজার ৮৬৯টি ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। এতে ২ হাজার ২২৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৬৭১টি এবং ১ হাজার ৬০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। একই সঙ্গে অগ্নিনিরাপত্তায় ৩ হাজার ৯৬টি ভবনে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। চট্টগ্রামে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে ৫৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ভবনে। এ ছাড়া বরিশালে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, খুলনায় ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রংপুরে ২৪ শতাংশ, সিলেটে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ১৬২টি ভবন পরিদর্শন করে ৬৩৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। যার মধ্যে ১৩৬টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৯৯টি ঝুঁকিপূর্ণ। আর ৫২৭টি ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা সন্তোষজনক।

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজার ৬৭৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৯১০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। এ এলাকায় অতিঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৪৬৩টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শন করা ভবনগুলোর তথ্যানুযায়ী, বরিশালে ৬৯২টি ভবন পরিদর্শন করে ২০৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খুলনায় ৪১০টি ভবন পরিদর্শন করে ১৭০টি, রাজশাহীতে ৯৩৫টি ভবন পরিদর্শন করে ১৪০টি, রংপুরে ৫১২টি ভবন পরিদর্শন করে ১২৩টি, সিলেটে ১৭২টি ভবন পরিদর্শন করে ৩৪টি এবং ময়মনসিংহে ৩০৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৬টি ভবন অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শনের সময় ভবনের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভবনগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এর আগে ঢাকায় বড় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ২০১৭ সালে ভবনগুলোর ওপর বিশেষ জরিপ চালায় ফায়ার সার্ভিস। হাসপাতাল, মার্কেট, আবাসিক হোটেল ও উঁচু ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় ঢাকার অধিকাংশ ভবনই অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ওই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার ৯৬ শতাংশ বিপণিবিতান, ৯৮ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৯৮ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কর্তৃপক্ষ কেউই আমলে নেয় না। ফায়ার সার্ভিসের কাছে আইনি ক্ষমতা না থাকায় কোনো ধরনের ব্যবস্থাও নিতে পারে না তারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপরেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে মালিকদের চিঠি দেই। আমাদের কাজ সমস্যা চিহ্নিত করা, মানুষকে সচেতন করা।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বল প্রয়োগ করা আমাদের কাজ নয়। যারা মানছে না আমরা তাদেরও চিহ্নিত করি। আইন প্রয়োগ করার জন্য অন্য সংস্থা রয়েছে।

জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তার সঙ্গে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। এসব সেবা-সংস্থার মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের ঘাটতি আছে। যথাযথ সমন্বয় ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় অনেকেই অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন। তবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের কঠোর হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সংস্থাগুলোর মধ্যেও অনেক সময় ভীতি কাজ করে। কেননা বহুতল ভবনগুলোর মালিক সবাই প্রভাবশালী। কখন কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে কী হয়ে যায়, তাদের ভেতর এমন এক ধরনের চাপ কাজ করে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘সরকারি ভবনের চেয়ে ব্যাক্তিমালিকানাধীন ভবনে অগ্নি ঝুঁকি বেশি। সরকারি ভবনগুলোতে অনেকাংশেই অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা থাকে। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবন মালিকদের নিজ থেকে উদ্যোগী হতে হবে। তারা নিজেরা ভবনের অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা নিশ্চিত না করলে ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সংস্থাগুলোকে জননিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসেরর অবশ্যই করণীয় আছে। ভবন নির্মাণের আগে তারা সার্টিফিকেট দেয়। অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হলে ভবনের অনুমোদন হওয়ার কথা না। যারা ফায়ার সেফটি ছাড়া ভবন নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্যদিকে গত বছরের ৪ জুন চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ৫১ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। একই বছর ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭০ জন আহত হন। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন মানুষ প্রাণ হারান।

ফায়ার সার্ভিসের ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সালে সারা দেশে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন ১৩ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৯ টাকা। আর উদ্ধার করা মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ টাকা। এ ছাড়া ৯ হাজার ৫১৭টি অগ্নিকাণ্ডের অপারেশনে যাওয়ার আগে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন ও নারী ১৩ জন। অগ্নিনির্বাপণে গিয়ে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়, নদীপথসহ পুকুর ও ডোবায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিসে কল আসে ১ হাজার ৫৫৬টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৩৮ জন। আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যাদের সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ৫১৪টি দুর্ঘটনার কবল থেকে ৫৩০টি পশুপাখি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১১ হাজার ৯১১টি অন্যান্য দুর্ঘটনায় আহত হন ১৩ হাজার ১৬৮ জন। আর নিহত ২ হাজার ৫২২ জন। এসব দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন কর্মীও আহত হয়েছেন।

সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এ ছাড়া বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ, চুলা থেকে ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ অজ্ঞাত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ।


আরও খবর

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24

খরচ কমলো হজ প্যাকেজের

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রাজধানীর বঙ্গবাজারে বহুতল নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করে সিটি করপোরেশন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের সামনের অংশে একটি ভেকু দিয়ে বাঁশের কাঠামো সরিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থেকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সেখানে উপস্থিত থেকে মোবাইলে উচ্ছেদের দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ।

এর আগে, রবিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বঙ্গবাজারের অবৈধ অস্থায়ী দোকানগুলো ভেঙে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। সংস্থাটির সম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।


আরও খবর

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪