Logo
শিরোনাম
৬শ’ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা

মোরেলগঞ্জে খালে বাঁধ দিয়ে জমিতে পানি তুলতে দিচ্ছে না প্রভাবশালী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। শত শত কৃষকের এখন ৬শ’ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সোমবার সকালে ওই মাঠে বাঁধটি অপসারনের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

 সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছোট কুমারখালী গ্রামজুড়ে চিংড়াখালী বলেশ্বর নদীর প্রবাহমান তালতলা খালের প্রশাখা কুমারখালী খাল। এ খালটির একদিকে পলিপড়ে ভরাট হয়ে গেছে। অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহের পূর্বে ওই গ্রামের মিন্টু হাওলাদার ব্যক্তিসার্থে খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। যে কারনে কুমারখালী, বৌলপুর, কিছমত বৌলপুর এ ৩টি মৌজায় বোরো ধানের প্রায় ১ হাজার বিঘার বড় ফসলের মাঠে পানি প্রবেশে বাঁধা হওয়ায় পুরো মাঠ ফেটে এখন চৌচির হয়ে পড়েছে। এতে ৩ গ্রামের ৮ শতাধিক কৃষক এখন তাদের জমিতে পানি তুলতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বোরো ধানের বীজতলা মরে যাওয়ার সম্ভাবনায় আতংকে রয়েছে তারা। মাঠের মধ্যে বিভিন্নস্থানে বোরো বীজ হলুদ রং ধারন করে শুকিয়ে যাচ্ছে বীজতলা। হাজার হাজার টাকা ব্যায় করে কৃষক তাদের বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবে কিনা এ নিয়ে শংশয় রয়েছেন তারা।


ওই ফসলী মাঠের জমির মালিক আব্দুর রহিম ফকির, নোমান খন্দকার, শহিদ ফকির, বাবু হাওলাদার, মারুফ শিকদার, ছালাম ফকির, সাইদ ফকির, শহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান সহ একাধিক কৃষকরা বলেন, বছরে শুধুমাত্র বোরো ধানের ফসল ফলায় তারা। যা থেকে চাহিদা মিটিয়ে ৫০ থেকে ৫৫ মন ধান বাজারে ধান বিক্রি করে পুরো বছর পরিবারের সংসার চলে তাদের। কৃষকের বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হয়েছে ২০/২৫ হাজার টাকা। এখন বাঁধের কারনে প্রথম গোনে মাঠে পানি তুলতে পারেনি। এ গোনেও যদি পানি তুলতে না পারে তাহলে আর ফসল হবে না।  রেকর্ডীয় খাল কিভাবে বাঁধ দিয়ে এ ভোগান্তি করেছে আমাদের। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করেও কোন সমাধান হয়নি।

এ বিষয়ে মিন্টু হাওলাদার বলেন, ৪ বছর ধরে আমার জমি থেকে পানি তুলেছে। রেকর্ডীয় খালটি উত্তর পাসে। এ বছর আর পানি তুলতে দিবো না।  

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী জানান, বোরো মৌসুমে কৃষক মাঠে পানি দিতে না পারলে বীজতলা সম্পূন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফসল হবে না। ওই গ্রামের বিষয়টি তিনি অবহিত নন। তবে, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠানো হবে। বৃদ্ধমান সমস্যার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


আরও খবর



সুস্বাদু ডিম লাবাবদার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

প্রতিদিনের খাবারে নতুনত্ব আনতে আর পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে ডিম সবচাইতে ভালো একটি রান্নার উপকরণ। ডিম দিয়ে রান্না যেমন সহজ তেমনি ঠিক মত তৈরি করলেই দুর্দান্ত টেস্ট মেলে।

ডিম লাবাবদার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

১. সেদ্ধ ডিম, পেঁয়াজ কুচি ও পেঁয়াজের রিং, টমেটো কুচি, গোটা জিরে, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরে গুঁড়া, গরমমশলা গুঁড়া, টমেটো কেচআপ ,পরিমাণ মত লবন, রান্নার জন্য সরিষার তেল।

দুর্দান্ত স্বাদের ডিম লাবাবদার তৈরির পদ্ধতি

এই রান্নার জন্য সেদ্ধ ডিম লাগবে তাই প্রথমেই ডিম সেদ্ধ করে নিয়ে সেগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে হবে। এরপর ডিমের গায়ে ছুরি দিয়ে চিরে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন টুকরো না হয়ে যায়। এরপর দুভাবে পেঁয়াজ কুচিয়ে নিতে হবে। একটা কুচি করে নিতে হবে। আরেকটা গোল গোল রিং মত করে কেটে নিতে হবে।

এরপর কড়ায় তেল দিয়ে গরম হলে তাতে কিছুটা গোটা জিরে ফোঁড়ন দিতে হবে। ফোঁড়ন দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নেয়ার পর পেঁয়াজ কুচি কড়ায় দিয়ে ভাজতে শুরু করতে হবে।

পেঁয়াজ প্রায় ভাজা হয়ে গেলে টমেটো কুচি, পরিমাণ মত লবন, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরে গুঁড়া দিয়ে সবটাকে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেল আসমানি পানি দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ভালো করে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। এই সময় টমেটো গুলোকে খুন্তি দিয়ে টমেটো চেপে দিতে হবে।

কষানো হয়ে গেলে পেঁয়াজের রিং গুলো হাতে করে ছাড়িয়ে নিয়ে কড়ায় দিয়ে দিতে হবে। আর মশলার সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মশলা মেশানো হয়ে গেলে ১ চামচ মত টমেটো কেচআপ দিয়ে সবটাকে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

এবার কড়ায় সামান্য গৰম মশলা দিয়ে আবারও কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়ে আঁচ একেবারে কমিয়ে চিরে রাখা ডিম কড়ায় দিয়ে ধীরে সুস্থে মশলা মাখিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ সব মশলা মিশিয়ে নেওয়ার পর চাইলে গ্যাস বন্ধ করে নিতে পারেন। নাহলে আরও কিছুটা গ্রেভি করতে পারেন।

গ্রেভির জন্য ডিম দিয়ে মশলা মাখানোর পর আধ কাপ মত পানি দিয়ে ঢাকা দিয়ে কম আঁচেই মিনিট ২-৩ রান্না করে নিলেই তৈরি ডিম লাবাবদার। যেটা একবার খেলেই বারবার খেতে ইচ্ছা করবে।

 

তথ্যসূত্র : রিমিস ড্রিম 


আরও খবর

আদর্শ সবজি সজিনা

শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২

পাহাড়ের টক-মিষ্টি ফল লটকন

বৃহস্পতিবার ০৭ জুলাই ২০২২




কুমিল্লার দেবিদ্বারে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অবরুদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত’র অভিযোগ এনে তাকে ‘অবরুদ্ধ’ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

বুধবার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেবিদ্বার

উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এসময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা প্রধান শিক্ষক ও তাঁর জামাতার

ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।এছাড়াও উত্তেজিত জনতা একটি সিএনজি ও বিদ্যালয়ের

শ্রেণী কক্ষের কয়েকটি দরজা ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে দেবিদ্বার-বিপাড়া (সার্কেল) সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা,

ওসি কমল কৃষ্ণ ধরসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনি উপস্থিত

হয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। রাত ৮টার দিকে

বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি

ছোঁড়ে এতে ২জন গুরুতর আহত হয় আহতদের উদ্ধার করে

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ধামরাইয়ে বাঁশের মই বেয়ে উঠতে হয় চার কোটি টাকার সেতুতে, নেই সংযোগ সড়ক !

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন(স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁয় গাজীখালী খালের উপর সেতু নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়কটি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের। 

খালের পাড়ে নওগাঁ বাজারে রয়েছে নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশরাফ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়। বর্ষা ও বন্যা মৌসুমে খালে পানি থাকায় সেতুটিতে উঠতে হয় বাশেঁর মই দিয়ে। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোন কাজে আসছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গাজীখালী খালের উপর নির্মিত সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও হয়নি দুই পাশের সংযোগ সড়ক। সেতু সংযোগ সড়ক থেকে প্রায় ২০-২৫ ফুট উচু থাকায় কোনো কাজেই আসছে সেতুটি। বাধ্য হয়েই মানুষ বর্ষা ও বন্যা মৌসুমে মই ব্যবহার করে সেতুটিতে উঠছে। আবার খালে পানি যখন কমে যায় সে সময় পারাপারের জন্য বাঁশের সাকোঁ নির্মাণ করে যাতায়াত করে। 

এতে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে- বয়স্ক মানুষসহ শিক্ষার্থীরা। বৃহত্তম ঢাকা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প -৩ এর আওতায় ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গাজীখালী খালের উপর ৪৫ মিটার দির্ঘ্য পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান "মেসার্স জয়েন্ট ব্রিকস ট্রেডার্স। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সেতুটি নির্মাণ সমাপ্তির করার সময় নির্ধারণ করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ২১ লাখ ৫৪ হাজার ২৭১ টাকা।

সুতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমিজুর রহমান রোমা বিডিটুডেসকে জানান, আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সেতুটির কাজটি এনেছি। গত পাঁচ বছর আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না। এরই মধ্যে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমি আবার চেয়ারম্যান হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি, মানুষ যাতায়াত করতে পারে না- এরপর প্রশাসন সেতুটির সংযোগ সড়কে নির্মাণে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

স্থানীয় গ্রামবাসী জানান,খাল পারাপারের জন্য আগে নৌকা ব্যবহার করা হতো। নৌকায় করে ঘর বাড়ির মালামালসহ বাইসাইকেল মোটরসাইকেল পার করা যেতো। সেতু হওয়ার পর সে পারাপারও বন্ধ হয়েছে। এখন খালে পানি থাকলে সেতুটি উঠতে মই ব্যবহার করতে হয়। মালামাল আনতে কয়েক মাইল ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।

ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামানিক বিডিটুডেসকে জানান, নওগাঁ গাজীখালী খালের উপর সেতুটির অ্যাপ্রোচের কাজ (স্কুলের সাইটে) চলমান আছে। এটা এই মুহূর্তে লেয়ার বাই লেয়ার বালি কম্পেকশন করে কাজ হচ্ছে। অপর পাশের ডেন্ডার হয়ে ওয়ার্ক ওয়ার্ডার সম্পূর্ণ হয়েছে টিকাদারকে ফাইল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টিকাদার মালামাল মজিল্যাইশন করে কাজ শুরু করে দিবে।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে এক দিন আসেন ডাক্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) পিরোজপুর :

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ও নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এক দিন আসেন। গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর, অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন মাসে মাত্র চার দিন আসেন।

উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ জনগণের চিকিৎসা সেবায় সরকারি এই হাসপাতালটি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের অভাবে চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার। 

গত বছর আঠারো ডিসেম্বর এখানে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত যোগদানের পরেও তাদের ডিউটি ফাঁকিবাজিতে এবং জিএ মেশিন মেরামতের অভাবে চালু হচ্ছেনা অপারেশন থিয়েটার। 

হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর সপ্তাহে রবিবার আসেন অ্যানেসথেসিয়া ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাসের বেতন নেওয়ার জন্য একবার আসেন। এছাড়া হাসপাতালে যদি কোন ইনেক্সপেকশন থাকে তখন এসে হাজির হন। 

এ বিষয়ে নাক, কান, কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন বলেন, আমি সপ্তাহে বুধবার রোগী দেখি নেছারাবাদে। এছাড়া অন্যান্য দিন বরিশালের ল্যাবএইডে রোগী দেখি।

অনুপস্থিতির ব্যপারে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত বলেন, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন সংযোজন বা মেরামতের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় আমার কোন কাজ নাই। হাসপাতালে গিয়ে অন্যের চেম্বারে বসে থাকতে হয়। ওটি চালু হলেই আমি ওখানে থাকবো। বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকি হাসপাতালে প্রায়ই যাই।

গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ইন্দ্রাণী কর রোগী থাকলে রবি বার আসতে বলে ফোন কল কেটে দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফিরোজ কিবরিয়া জানান, হাসপাতালের জিএ মেশিন চালু হলেই সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার কন্টিনিউ ডিউটি করবেন। প্যাথলজিকাল পরীক্ষা নিরীক্ষা চলমান রয়েছে। ব্যাকের দেওয়া এক্সে মেশিনটি সামান্য মেরামত দরকার। হাসপাতালে কন্টিনিউ হওয়ার ব্যাপারে এই তিন ডাক্তারকে তাগিদ দেবো।


আরও খবর



সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

সৌদি আরবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৭ বাংলাদেশির অবস্থাও গুরুতর। সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটি একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়। বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ১৪ বাংলাদেশিসহ এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।

নিহত বাংলাদেশির হলেন নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের ইস্কান্দারের ছেলে রনি, কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন ও চাঁদপুরের তুষার মজুমদার।

আহত বাংলাদেশিরা হলেন সালাহউদ্দিন, আল আমিন, মিনহাজ, জুয়েল, আফ্রিদি মোল্লা, মো. রিয়াজ, আব্দুল হাই, রানা, মো. সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী, কুদ্দুস, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, ইয়ার হোসাইন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসাইন।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন, যাঁরা ওমরাহ করতে মক্কা যাচ্ছিলেন। আর যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক।


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩