Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

মোরেলগঞ্জে মানব সেবায় এতিম মিসকিন কল্যাণ সংস্থা ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাগেরহটের মোরেলগঞ্জে মানব সেবায় অসহায় এতিম মিসকিন ও প্রতিবন্ধীদের পাশে দাড়িয়েছে “এতিম মিসকিন কল্যাণ সংস্থা’।

এ সংস্থাটি ২০১৭ সাল থেকে সংস্থার সভাপতি হাসানুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম মোল্লার, দপ্তর সম্পাদক আলী ইমাম তপুসহ এ কমিটির সদস্যরা নিজেদের আর্থিক সহায়তায় ও বিদেশে কর্মরত অবস্থানকারি মানুষের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

এতিম মিসকিন অসচ্ছলদের দেওয়া হয় একবেলা দুপুরের খাবার। মাসের প্রথম সপ্তাহের শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বারইখালীর মোল্লা মার্কেটে প্রায় ২ থেকে আড়াই শ’ নারী-পুরুষ অসচ্ছল প্রতিবন্ধী অসহায়কে বিশেষ আয়োজনে দুপুরের খাবার খাসির বিরানী পরিবেশন করে থাকে। খাবার পরিবেশনে অর্ভ্যাথনা বিষয়টিও ব্যাতিক্রমী।


খাবার শেষে একাধিক এতিমরা বলেন, এ সমাজের বিত্তবানরা প্রতিনিয়ত ভাল মন্দ খেয়ে তাদের যে খাবার অপচয় হচ্ছে তা আমরা চোখেও দেখিনা। বছরে একবার দামি বড় মাছ ও  মাংস কেনার আর্থিক সচ্ছলতা আমাদের নেই। তারপরেও এরকম একটি আয়োজন যুবকদেরকে আল্লাহর কাছে দোয়া করি। তারা আমাদের একবেলা ভাল খাবার দিতে পারায়।    

  সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম মোল্লার বলেন, মানবসেবায় এলাকার এ সংস্কাটি প্রাথমিকভাবে ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও এর পরিধি অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। সমাজের অসচ্ছল, এতিমদের শুধু একবেলা খাবার নয়, চিকিৎসা, শিক্ষার ব্যবস্থাও গ্রহন করা হচ্ছে। একবেলা নয় প্রতিনিয়ত এ অসহায়দের খাবার দিতে পারলে নিজেকে আত্ম তুষ্টু মনে হতো। সমাজে বিত্তবানদের এ সংস্কার পাশে দাড়াবার আহবানও জানান তিনি। 


আরও খবর



রোজায় স্কুল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ চেম্বারেও বহাল

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। পাশাপাশি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আপিল বিভাগে নিয়মিত শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। পরে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

চেম্বার আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ থাকবে। আর পুরো রমজান স্কুল বন্ধ থাকবে কি না সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আপিল বিভাগ।

এর আগে রোববার (১০ মার্চ) পুরো রমজান মাসে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

তবে এদিনই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করার জন্য।

তার আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল।

রিটকারীর পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ গণমাধ্যমকে জানান, রমজানে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং হাইস্কুল ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন দুইমাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়।

রিটে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রমজান মাসে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।


আরও খবর



ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন,স্টাফ রিপোর্টার :

ঢাকার ধামরাইয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

গত রাত মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) ভোরে সেহরি রান্নার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন নান্নু মিয়া (৬০), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৮), একমাত্র কন্যা সাথী আক্তার (২১) ও ছেলে সোহাগ মিয়া (১৮)। বর্তমানে সকলেই শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আহত নান্নু মিয়া উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা ইব্রাহিম হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। নান্নু মিয়া ইব্রাহিম হোসেনের ৪ তলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন।

জানা যায়, ভোর রাতে নান্নু মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম সেহরি রান্নার সময় ঘরে জমানো গ্যাসে অটো সুইচ দিলেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই সাথে তিনটি কক্ষের সব পুড়ে যায় এবং ঘরে নান্নু মিয়াসহ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকারে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনসহ প্রতিবেশীরা নান্নাু মিয়া ও তার স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে উদ্ধার করে অতিদ্রুত ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ইমারজেন্সিতে দ্বায়িত্বে থাকা চিকিৎসক দ্রুত তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানায়, সেহরির সময় হঠাৎ করে বাড়ির মালিক ইব্রাহিম হোসেনের ঢাক চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। পরে এগিয়ে দেখি তার বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়া নান্নু মিয়ার কক্ষে আগুন লেগেছে। পরে সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ইসলামপুর সরকারি হাসাপাতালে নিলে সেখান থেকে আবার তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকেই স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই পরিবারে লাইন গ্যাস ও সিলিন্ডার গ্যাস দুটোই আছে। তবে গ্যাসের সিলিন্ডার ফাটেনি। ধারনা করা হচ্ছে লাইন গ্যাসের সুইচ খোলা ছিল। সেই গ্যাস ধীরে ধীরে ঘরের ভিতর জমা হয়েছে এবং রান্নার সময় আগুন দেওয়ার সাথে সাথেই তিনটি কক্ষে মালামাল যা ছিল পুড়ে গেছে এবং পরিবারে ৪ জন সদস্য ছিল সবাই মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

অগ্নিদগ্ধদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, আজ সেহরির সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চার জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায়।তাদের কে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



গণমাধ্যমকে মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালী ও মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

চাঁদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডে-এর প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারী, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো: দেলোয়ার হোসেন মজুমদার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুলকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গণমাধ্যম এখন শিল্প। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না। এরকম বাস্তবতায় সরকার গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী অবস্থায় মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত। সে ক্ষেত্রে সরকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে একই ধরনের সহযোগিতা চায়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম শিল্পকে আরো শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর জন্য আমরা চেষ্টা করতে পারি। গণমাধ্যম কিভাবে সরকার বা কর্তৃপক্ষের জন্য সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে জবাবদিহি আনতে পারে, এমনকি সমালোচনা করতে পারে, সে কাজগুলোও আমরা করতে পারি।

তিনি এ সময় আরো বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলা আনার একটি দাবি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকতাকে এভাবে উন্মুক্ত ও অবারিত করেছেন, এমনভাবে স্বাধীনতা দিয়েছেন সেটা নিয়ন্ত্রণের কথা এখন সাংবাদিকরাই বলছেন। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। তবে যেকোনো পেশায় কিছু অপেশাদার মানুষ চলে আসে। সেসব ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু শৃঙ্খলা আনার প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এই শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করে। গণমাধ্যম সেক্টরে সরকার যা কিছু করবে তা এর সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক দিক আছে। বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান করা না গেলে গণমাধ্যম অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে। এজন্য কোনো গণমাধ্যমকে আমরা যদি সরকারি বিজ্ঞাপন বা ক্রোড়পত্রের উপর নির্ভরশীল করতে চাই, তাহলে সেটি দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকা মুশকিল হবে। এক্ষেত্রে সংবাদপত্রকে আরো উদ্ভাবনী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, সৃজনশীলতা আনতে হবে কিভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছানো যায়, কিভাবে সফল হওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের সাথে নিয়েই সরকার গুজব ও অপতথ্যকে মোকাবেলা করতে চায়। গণতন্ত্রকে সফল করার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি। তবে অপতথ্য ও গুজবের বিস্তার গণতন্ত্রকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তেমনি গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।


আরও খবর



নতুন দামে সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল। প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৩ টাকা। আর খোলাসয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়। এছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ৮০০ টাকা।

শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, রমজানের বাইরেও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের টার্গেট রমজানে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে না হয়। তেলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর চিঠি দিয়েছি যার প্রভাব রমজানে পড়বে। খেজুর প্রায় ১০ প্রকার রয়েছে। ব্যবসায়ীদের একমাস সময় দিয়েছি দাম কমানোর। বস্তায় আসা জায়েদি খেজুর রবিবার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আশা করছি এরপর দাম কমে আসবে অর্থাৎ এই সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ খুচরা ও পাইকারী মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




৩৮ দিন কারাবাসের পরেও চাকরি বহাল, গণপিটিশনে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ে ৩৮ দিন কারাবাস করেও চাকরি বহাল থাকায় স্থানীয়দের গণপিটিশনে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে স্থানীয়রা ডেপুটি স্পিকারের সুপারিশসহ গণপিটিশন দায়ের করেন।

বুধবার (২০ মার্চ) দিনভর তদন্ত করেন তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায়।

অভিযোগে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুর্গাপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলে সরকার। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের সহায়তা করতে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়। গত ২০১১ সালের মে মাসে আদিতমারী উপজেলায় যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত রয়েছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক। তিনি যোগদানের পরে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে খুলে বসেন নিজস্ব চেম্বার। মেয়ের নামে গড়ে তুলেন তানিশা মেডিকেল সেন্টার।

অভিযোগ উঠে, হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসলে তাদেরকে নিজেস্ব চেম্বারে ডাকেন স্যাকমো ওমর ফারুক। চেম্বারে রোগী ভিড়াতে রয়েছে বিশাল দালাল চক্র। দালাল চক্র নির্ধারীত বখসিসে রোগীদের পাঠান এবং পেশি শক্তি দিয়ে স্যাকমো ওমর ফারুককে পাহারা দেন। গত ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্যাকমো ওমর ফারুকের নিজেস্ব চেম্বার তানিশা মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে নানান অনিয়মের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ স্যাকমো ওমর ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেন সাজাপ্রাপ্ত স্যাকমো ওমর ফারুক। আদালত ৩৮ দিনের কারাবাসকে সাজা হিসেবে গণ্য করে আপিল মঞ্জুর করেন। এরপর এ দুই রায়ের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল (নং ৪৫/২০১৭) করেন তিনি। সেখানে আপিল না মঞ্জুর করে আগের রায় বহাল করেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন নং ১৬১৪/২০১৭ দায়ের করেন স্যাকমো ওমর ফারুক। যা একক বেঞ্চে খালাস পান তিনি। মামলা থেকে খালাস পেয়ে পুনরায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। স্বাস্থ্য বিভাগে বিশাল ক্ষমতাধর এ স্যাকমো মুহুর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল কিছু ম্যানেজ করে বরখাস্তাদেশ বাতিল করে নেন। একই সাথে ৩৮ দিন কারাবাস করা সময়ের বেতন ভাতাদিও উত্তোলন করেন তিনি।

বরখাস্তাদেশ বাতিল করে নিয়ে পুনরায় বেস্ট পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে তিনি চালু করেছেন তার পুর্বের ব্যবসা। স্খানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও তাকে বদলি করাতে পারেনি। ক্ষমতার প্রভাবে সকলকে ম্যানেজ করে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। একই কর্মস্থলে যুগপুর্তি হলেও বদলি করাতে পারেননি কেউ।

অবশেষে স্থানীয়রা স্যাকমো ওমর ফারুকের নানান অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচিকিৎসার চিত্র তুলে ধরে তার বদলি দাবি করে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে গণপিটিশন দায়ের করেন। সেই গণপিটিশনে বদলির সুপারিশ করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামছুল হক টুকু। অপশেষে সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পড়েন সিভিল সার্জনের গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত টিম। বুধবার দিনভর বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলেন তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায়।

তদন্ত টিমের সামনে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে তার নিজেস্ব দালালদের বুধবার দিনভর হাসপাতাল চত্ত্বরে বসিয়ে রাখেন স্যাকমো ওমর ফারুক। তদন্ত টিম যাতে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে না পারে এবং সাধারণ মানুষ দালালদের ভয়ে তদন্ত টিমকে স্যাকমোর বিরুদ্ধে কোন তথ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠছে । সব মিলে এ অভিযোগও খেয়ে ফেলতে উপর মহলকে ম্যানেজে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে স্থানীয়দের দাবি।

এতবড় সাজা ভোগ করেও একই স্টেশনে বহাল রয়েছেন দেশে দ্বিতীয় এমন কোন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী নেই বলেও মন্তব্য করে ভাদাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, তদন্ত টিম আসবে জেনে তদন্ত টিমের সামনে দালালদের রেখেছিলেন স্যাকমো ওমর ফারুক। হাসপাতাল চত্তর ছিল স্যাকমোর দালালে ভরা। সাধারণ মানুষ ভিড়তে পারেনি তদন্ত টিমের সামনে।

অভিযুক্ত স্যাকমো ওমর ফারুক বলেন, বিগত সময়েও আমার বিরুদ্ধে এমন বে নামি অভিযোগ করেছিল। তখনও কিছু করতে পারেনি এখনও পারবে না। তাই তদন্ত টিমের সামনেই আসেনি অভিযোগকারীরা।

তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায় বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সিভিল সার্জন মহোদয়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা তদন্ত করছি। স্যাকমোর মামলা ও রায়ের বিষয়টি আদালতের কাগজেই প্রমাণিত। দীর্ঘ এক যুগ একই স্টেশনে থাকা স্যাকমোকে বদলি করাতে গণপিটিশনে ডেপুটি স্পিকার সুপারিশ রয়েছে। যা আরও ভাবিয়ে তুলছে। আমরা সব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’


আরও খবর