Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জে শ্রমীকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন এমপি মিলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভ্যান শ্রমীক ও মাঝিমাল্লা অসহায় দরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে সংসদ সদস্যের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বাগেরহাট-৪, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন।  

ছোলমবাড়িয়া, ফেরিঘাট, সানকিভাঙ্গা খেয়াঘাটের মাঝি ও বারইখালীর বিভিন্ন স্ট্যান্ডের ভ্যান চালক দেড়শতাধিক শ্রমীকদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান বিপু,  উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মহিদুজ্জামান মহিদ, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. শফিক কাজীসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

 সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সমাজের অসহায় মানুষের কথা সার্বক্ষনিক ভাবেন। তিনি আপনাদের কাছে এ উপহার পাঠিয়েছেন পুনরায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে বিজয় করতে হবে। তাহলেই অসহায় মানুষ ভালো থাকবেন আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলে দোয়া করবেন। 


আরও খবর



হজ্জ যাত্রীদের খরচ সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশীদের হজ্জে গমনের খরচ দেড়গুণ নির্ধারণ করে কোন অপশক্তির পরামর্শে আল্লাহর মেহমান হজ্জযাত্রীদের হজ্জে গমনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে তা দেশবাসী জানতে চায় বলেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। 

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির আজ ১ মার্চ, বুধবার, গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেন, হজ্জ একটি ফরজ ইবাদাত হবার কারণে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছা থাকে চাকরি বা অন্যান্য সার্ভিস শেষে জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে আল্লাহর ঘরে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দিবেন বা দিচ্ছেন। কিন্তু এবছর সরকার যেভাবে হজ্জযাত্রীদের খরচ নির্ধারণ করেছে তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছা ও প্রাক নিবন্ধন করা থাকলেও তাদের পক্ষে হজ্জে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রাক নিবন্ধন করেও অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করার কারণে হজ্জে যেতে পারবেন না বলে এমন হজ্জ যাত্রীরা এখন মনোকষ্টে ভুগছেন।

বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের হজ্জ যাত্রীদের খরচ যেখানে ৪ লাখ টাকা, আর ডলারের উচ্চ মূল্যে সংকটে থাকার পরও পাকিস্তানের হজ্জ যাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা হলেও বাংলাদেশের হজ্জ যাত্রীদের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মেনে নেবার মতো নয়। ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের হজ্জ যাত্রীদের খরচ দেড়গুণ বেশী কেন? দেশের জনগণ সরকারের কাছে জানতে চায়। 

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, বাংলাদেশের হজ্জ যাত্রীদের খরচ ভারত ও পাকিস্তানের ন্যায় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে হজ্জ ফ্লাইট খালি না এনে সৌদি প্রবাসীদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে ন্যায্য খরচে দেশে আনা ও নেয়ার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিতে হবে। হজ্জ যাত্রা যেহেতু ইবাদাত তাই এই খরচ এর মধ্যে কোন ট্যাক্স না রেখে ট্যাক্সমুক্ত রাখতে হবে। 

তিনি বলেন, ধর্মীয় ইবাদাত হজ্জ, রমজান মাস ও কুরবানীর সময়ে যেভাবে মূল্য বৃদ্ধি হয় তা দুঃখজনক। এক্ষেত্রে সরকার আগে থেকে সেনাবাহিনী বা অন্য কোন সংস্থাকে দায়িত্ব দিলে মার্কেট পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হবে না।


আরও খবর



নওগাঁয় কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে নওগাঁয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

বুধবার ১৫মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের বাজার রোডে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক নওগাঁ শাখা কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাকাবের নওগাঁ জোনের জোনাল ব্যবস্থাপক মোঃ নবিউল করিম। 

রাকাবের নওগাঁ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক চিত্তরঞ্জন বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে রাকাবের জোনাল কার্যালয়ের মূখ্য কর্মকর্তা মীর আহম্মদ আলী, কর্মকর্তা জীবন মজুমদার সহ রাকাবের অন্যান্য কর্মকর্তাগন বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১৯৮৬ সালের ৫৮ নং অধ্যাদেশ বলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) তদানিন্তন রাজশাহী প্রশাসনিক বিভাগে অবস্থিত। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখা সমূহের দায় ও সম্পদ নিয়ে ১৯৮৭ সালের ১৫ মার্চ কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ৩৮৩ টি শাখা নিয়ে ব্যাংকের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। রাকাব দেশের একমাত্র বিশেষায়িত রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংক যার প্রধান কার্যালয় ঢাকার বাহিরে রাজশাহীতে অবস্থিত।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এ ব্যাংকের মূল লক্ষ্য দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি কাজের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরন অথ্যাৎ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগেকৃষকদের মাঝে প্রয়োজনে কৃষি ঋন বিতরন করে কৃষির উন্নয়ন করা। ৩০টি শাখা নিয়ে রাকাব নওগাঁ জোন। এ জোনের বার্ষিক ঋন বিতরণ লক্ষামাত্র দুইশত ৩৩.৭৫ কোটি। কৃষি ও পল্লী ঋন বিতরণের পাশাপাশি ডাল, তৈলবীজ ও মসলা জাতীয় ফসলের ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদে ঋন, সরকার ঘোষিত কৃষি খাতে প্রনোদনা ঋন এবং সিএমএসএমইসহ অন্যান্য খাতে ঋন বিতরণ করা হচ্ছে।

এছাড়াও বিএফটিএন, আরটিজিএস, এ চালান, রেমিট্যান্সসহ ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়। 

আলোচনা অনুষ্ঠানের পরে প্রধান অতিথি ব্যাংকের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ও গ্রাহকদের নিয়ে কেক কাটেন।


আরও খবর



মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই, ২ জন গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজীহাট-মহাদেবপুর সড়কে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চোখমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই এর ঘটনায় জড়ীত দু'জনকে গ্রেফতার পূর্বক ছিনতাইকৃত টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এব্যাপারে সোমবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক এসব তথ্য জানান। 

এর আগে শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে জড়ীতদের গ্রেফতার করেন পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার কাশাবাড়িয়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম এর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও তেঘরবিশা এলাকার মাহাতাব উদ্দিন এর ছেলে লিমন হোসেন মিন্টু (৩৩)। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা দস্যু দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে, জেলা পুলিশ সুপার জানান, গত ১৬ মার্চ আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যক্তি নজিপুর ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজ মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজী-মহাদেবপুর রাস্তার বেলট মোড় 'ব্রীজ' এলাকায় পৌছালে এসময় অপর দুটি মোটরসাইকেলে যোগে আসা অজ্ঞাত ৪ জন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মোটরসাইকেল এর গতিরোধ পূর্বক চোখেমুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার ব্যাগে ও পকেটে থাকা নগদ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত ৪ জন ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় টাকার মালিক মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ঘটনাটি উদর্ঘাটন ও টাকা উদ্ধার সহ জড়ীতদের গ্রেফতার এর জন্য পুলিশ একটি অভিযান পরিচালনা টিম গঠন করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ছিনতাই হওয়া টাকা দিয়ে ক্রয় করা স্বর্ণের চেন, দুল, ফ্রিজ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের দ্রুত অভিযান এবং ছিনতাইকারী চক্রে জড়ীতদের গ্রেফতার পূর্বক নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় সহ মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তথা অভিযানিক পুলিশ টিমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।


আরও খবর



প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চলছে আওয়ামী লীগে

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২১জন দেখেছেন

Image

জহিরুল কবির আমজাদ: রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রধান ইস্যু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গত ডিসেম্বর থেকে কার্যত নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আসন্ন নির্বাচনে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি নাএখনো পরিস্কার নয়, তবে ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আগামী নির্বাচনে কাদের কপালে জুটবে নৌকার মনোনয়ন তা নিয়ে দলটির মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে। আবার বর্তমান এমপি হয়েও ব্যর্থতার কারণে নৌকা থেকে কারা ছিটকে পড়তে পারেন, তা নিয়েও চলছে জল্পনাকল্পনা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে দলের হাইকমান্ড যোগ্য প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে মূলত দুভাবে তালিকা করা হচ্ছে। প্রথমে এমপিদের ওপর জরিপ চালানো হচ্ছে। যে সব এমপি বিতর্কিত, তাদের স্থলে কাদের মনোনয়ন দেওয়া যেতে পারে, সেই তালিকাও করা হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে এক আসনে কয়েকজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এ ধরনের কাজে যুক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িতে থাকায় মাঝে মধ্যে আলোচনায় আসছেন তাদের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমান এমপিদের মধ্যে কাদের সন্তানরা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, কোন দেশে অবস্থান করছেন, সেসব বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে আলাপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, প্রকাশ্যে কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য যথাযত প্রস্তুতি রয়েছে দলের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলনের পর আমরা নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমে গেছি। তৃণমূল পর্যায়েও আমরা কাজ শুরু করেছি। দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে আমরা বিগত সময়ের মতো বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যাদের জনপ্রিয়তা আছে, এলাকায় যাদের গ্রহণযোগ্যতা ভালো, তাদের ওপর দল আস্থা রাখবে।

আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের সম্পাদক নেতারা জানান, প্রার্থীর পাশাপশি দলীয়ভাবেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। দল ও সহযোগী সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত সুসংগঠিত করার পাশাপাশি নির্বাচনকেন্দ্রিক কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছে দলটি। তৃণমূলের সব পর্যায়ে ভোটের আমেজ তৈরি করতে কাজ করছের দলের নেতারা। নিজ দলের নেতাদের সক্রিয় করতে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্তরা মাঠে অবস্থান করছেন। নিজ নিজ কর্মসূচির পাশাপাশি বিরোধী দলের কর্মসূচির দিকেও নজর রাখছেন ক্ষমতাসীনরা। কর্মসূচির পাশাপাশি মাঠে মিছিল, মিটিং কিংবা জনসভা ছাড়াও ভেতরে ভেতরে দলকে গুছিয়ে নিচ্ছেন দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।

জানা যায়, আগামী নির্বাচনে কারা দলীয় প্রার্থী হবেন তা নিয়েও কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত একাদশ জাতীয় সংসদের এমপিদের আমলনামা নিয়েই কাজ চলছে। সরকারের বিশেষ ৩টি সংস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এমপিদের সার্বিক কর্মকাণ্ড। আগামী নির্বাচনে যাদের ওপর আস্থা রাখা যায় তাদের তালিকা আলাদাভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন, তাদেরও তালিকা তৈরি করছে দলটি। এখানেই শেষ নয়, বিতর্কের কারণে যারা বাদ পড়তে পারেন তাদের আসনে বিকল্প প্রার্থীও খুঁজে দেখা হচ্ছে।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সংসদ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জনগণ যাদের চায় তাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিংবা অনেক ক্ষমতাধর মনে করা কেউই মনোনয়ন পাবেন না- তা পরিষ্কার করেই বলছি আমি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধিকাংশ সংসদ সদস্য নির্বাচনী আসনে নিয়মিত আসেন না। বেশির ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন তারা। ফলে স্থানীয় ভোটাররা তাদের জনপ্রতিনিধিদের কাছে পান না। অন্যদিকে, পারিবারিক দ্বন্দ্বে যারা সামাজিক মর্যাদা খুইয়েছেন; ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাদের আপত্তিকর ক্লিপ নেতিবাচকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তাদের বিষয়ও গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এ ধরণের সংসদ সদস্যদের বিষয়ে এবার কঠোর হবে দলের হাইকমান্ড।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, প্রতি ছয় মাস পরপর সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে তদন্ত করা হয়। সেই রিপোর্ট দলের হাইকমান্ডের কাছে রয়েছে। অতীতের কর্মযজ্ঞ আর জনসম্পৃক্ততাই আগামীর নৌকার টিকিট। আর যারা মাঠে যাননি, ভোটারদের খোঁজখবর নেননি, তারা এবার ছিটকে পড়বেন।

যে নেতাকর্মীরা দলের সুনাম নষ্ট করছেন, তারা কখনো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দলকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আওয়ামী লীগের নামে অপকর্ম করবেন না। যারাই অপকর্ম করছে তাদের এসিআর কিন্তু নেত্রীর কাছে জমা আছে। শেখ হাসিনার কাছে নমিনেশন চাইবেন, হিসাব আছে।

 


আরও খবর



ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজ হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

ঢাকার তেজগাঁওয়ের স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়াকে (৪৭) হত্যার ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের নারীসহ পাঁচজন জড়িত ছিলেন। এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জানা যায়, সমকামী ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজকে হত্যা করেছে তারা।

এর আগে ৭ মার্চ সন্তানদের স্কুল থেকে বাসায় দিয়ে কাজে বেরিয়ে নিখোঁজ হন স্থপতি ইমতিয়াজ। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও স্বামীকে না পেয়ে কলাবাগান থানায় জিডি করেন ইমতিয়াজের অসহায় স্ত্রী স্থপতি ফাহমিদা।

গণমাধ্যমে কান্নারত কণ্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, আমাদের তো কোনো শত্রু নেই! তাহলে শত্রুহীন লোকটাকে এভাবে খুন করল কারা?

ওদিকে সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। স্বামী ঘরে ফেরে না। যতক্ষণে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান মিলল, ততক্ষণে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়ে গেছেন ইমতিয়াজ। কিন্তু থানায় জিডি থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হলো কী করে? ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ নিয়ে ৮ মার্চ তার স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পরদিন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ইমতিয়াজের লাশ উদ্ধার হয়। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি। বেসরকারি একটি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনরা।

ডিবি পুলিশ জানায়, সমকামী ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তিন সন্তানের জনক ইমতিয়াজের পরিচয় হয় আলিফ নামের এক তরুণের সঙ্গে। তার ডাকে ৭ মার্চ দুপুরে ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাসায় যান তিনি। বাসাটি ছিল আরাফাত ও তার তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গী মেঘের। সেখানে পূর্ব-পরিকল্পনা মতো ইমতিয়াজের ওপর হামলে পড়ে আরাফত, মেঘ এবং মুন্না। আটকে রেখে অর্থ দাবি করলে ইমতিয়াজ দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে বেদম মারধর এবং অত্যাচারের শিকার হয়ে একপর্যায়ে মারা যান ইমতিয়াজ।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা সমকামী এবং হিজড়া সদস্য। তারা একটি গে চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে পূর্ব থেকে সমকামী বিভিন্ন লোকজনকে রুম ডেটের কথা বলে টার্গেট করে বাসায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কায়দায় তাদের ব্লাকমেইল করে টাকাপয়সাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে আসছে।

ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার আলিফের সঙ্গে গে-চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারই সূত্র ধরে গত ৭ মার্চ দুপুরে আলিফকে ইমতিয়াজ ফোন করলে তাকে কলাবাগান থানার ক্রিসেন্ট রোডের আরাফাতের বাসায় যেতে বলা হয়।

ইমতিয়াজ সেখানে গেলে আলিফ তাকে নিয়ে রুমের ভেতর আপত্তিকর অবস্থায় থাকাকালীন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আরাফাত, মেঘ, মুন্না ও আনোয়ার রুমে প্রবেশ করে ওই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভিকটিমকে মারধর শুরু করে এবং বড় অঙ্কের অর্থ দাবি করে। ইমতিয়াজ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার বুকে, পিঠে, আঘাতসহ প্রচণ্ড মারধর করে। যার কারণে ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়।

ঘটনা ধামাচাপা দিতে মগবাজার থেকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে আসে মেঘ। আরাফাত ডেকে আনে আনোয়ারকে। ইমতিয়াজের লাশ পেছনে ঢুকিয়ে সুবিধাজনক একটি স্থান খুঁজতে থাকে তারা। একসময় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানা এলাকার কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশে ঝোপে লাশটি ফেলে যে যার মতো গা ঢাকা দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

ডিবির তেজগাঁও বিভাগের নেতৃত্বে টানা অপারেশনে গ্রেপ্তার হয় মেঘ, আনোয়ার ও মুন্না। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। তবে আরাফাত আর আলিফ পালিয়ে গেছে ভারতে। চক্রটি এভাবে ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

 


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩