Logo
শিরোনাম

মোটরসাইকেল চালকদের সচেতন করতে পুলিশ সুপার এর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ আগস্ট 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

মোটরসাইকেল চালকদের সচেতন করতে একজন মানবিক ও সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার এর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

''পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে নয়, নিরাপদে বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হেলমেট পড়ুন'' -এমন শ্লোগানে সামনে রেখে হেলমেট পরিহিত মোটরবাইক চালকদের গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন জেলা পুলিশ সুপার।

বুধবার ২৩ আগস্ট দুপুর সারে টারদিকে জামালপুর শহরের ব্যস্ততম এলাকা দয়াময়ী মোড়ে চলাচলকারী মাথায় হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুলের শুভেচ্ছা ও চকোলেট উপহার দিয়ে এই সচেতনতা মূলক কার্যক্রমের সূচনা করেন জামালপুর জেলার সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম মহোদয়।

ট্রাফিক আইন যথাযথ মানা এবং মাথায় হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য মোটরসাইকেল চালকদের আরও সচেতন করতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন জামালপুর জেলা পুলিশ ও জামালপুর ট্রাফিক বিভাগ।

এ সময় জামালপুর শহরের ব্যস্ততম রাস্তা দয়াময়ী মোড় চত্বর এলাকায় মোটরসাইকেল চালকদের থামিয়ে সড়কে চলাচল বিষয়ে সচেতন করাসহ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট পরার অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানান জেলা পুলিশ সুপার। এছাড়াও যে সকল চালকদের হেলমেট ছিল না, তাদেরকে ও চকোলেট দিয়ে সতর্ক করা হয়।

মোটরসাইকেল চালকদের উদ্দেশ্যে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে, এছাড়া পঙ্গু হচ্ছেন অনেকেই এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করে যানবাহন চালানো রাষ্ট্রীয় অপরাধ। এসব দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকরা সবচেয়ে বেশি মারা যায়। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকদের অবশ্যই হেলমেট মাথায় দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। এতে দূর্ঘটনার কবল থেকে মোটরসাইকেল চালকরা সুরক্ষায় থাকবেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে তার পরিবারটি নিরাপদ থাকবে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো ট্রাফিক আইনে বড় অপরাধ। তাই এসব চালকদের সচেতন করতেই পুলিশ মাঠে নেমেছে। এসময় কতিপয় মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তাদেরকে জরিমানা না করে সতর্ক করার পাশাপাশি চকলেট উপহার দেওয়া হয় । এছাড়া চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনা সহ পরামর্শও দেন জেলা পুলিশ সুপার।

জেলা পুলিশ সুপার এর হাত থেকে ফুল ও চকলেট উপহার পাওয়া একজন মোটরসাইকেল চালকরা বলেন, আমি মাথায় হেলমেট পড়েই মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম, পুলিশ থামতে বলায় ভেবেছিলাম কাগজ-পত্র দেখবে, কিন্তু না পুলিশ সুপার এগিয়ে আসলেন এবং নিজ হাতে ফুল ও চকোলেট উপহার দিলেন এসময় আমি অনেক অবাক হয়েছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ বলেও জানান ঐ মোটরসাইকেল আরোহী।


অপর এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমার মাথায় হেলমেট ছিলো না, পুলিশ যখন আমারে থামাইলো এবং বললো হেলমেট নেই কেনো। আমি খুব ভয়ে ছিলাম, না জানি কত জরিমানা হয়। কিন্তুু পুলিশ সুপার সাহেব আমাকে হেলমেট না পড়ার ক্ষতি সহ হেলমেট ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলার পর আইন মানতে বলেছেন এবং সেই সাথে চকলেট উপহার দিয়েছেন। এসময় পুলিশ আমাকে সতর্ক করে বলেছেন, আজ ছাড়লাম, পরে যেন আর ভুল না হয়। হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানো আমাদের জন্যই তো ভালো। জেলা পুলিশ সুপার সহ উপস্থিত পুলিশের এমন ব্যবহারে আমি বিস্মিত হয়েছি। এটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে বলেও জানান তিনি।

এব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম মহোদয় বলেন, চকলেট উপহার দিয়ে সতর্ক করেছি। এটি জামালপুর জেলা পুলিশের একটি চলমান কার্যক্রম। সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে এবং মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট পড়তে উৎসাহ যোগাতে এরকম ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ ভবিষ্যতেও সকল থানা পর্যায়েও অব্যাহত থাকবে। 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ সহ সংবাদকর্মীরা।


আরও খবর



ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দাম বেড়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নতুন মাসের শুরুতে আবারও বাড়ল তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা করা হয়েছে। নতুন এ মূল্য আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।

২ অক্টোবর রাজধানীর কাওরান বাজারে টিসিবি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

এর আগে গত মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ১৪০ টাকা থেকে ১৪৪ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ২৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগস্ট মাসে যার দাম ছিল ১১৪০ টাকা। তারও আগে জুলাই মাসে যার দাম ছিল ৯৯৯ টাকা।

নতুন মাসের শুরুতে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ঘোষণা করবে আজ। সোমবার দুপুর আড়াইটায় নতুন দাম ঘোষণা করবে বিইআরসি।

২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। তবে ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়, আমদানিনির্ভর এই জ্বালানির দাম নির্ধারণে সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে। ফলে সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্যও ওঠানামা করবে। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। সেই ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্বল্প আয়ের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয়ের জন্য পৃথক দুটি দরপত্রের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন তেল) কেনার উদোগ নিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য টিসিবির সয়াবিন তেল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৬ কোটি ৪০ লাখ লিটার। এর বিপরীতে এ পর্যন্ত মোট ৩ কোটি ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হয়েছে। এ অবস্থায় সংস্থার চলমান ক্রয় পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে দুটি প্রথক দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে পুনঃদরপত্রের মাধ্যমে ৮০ লাখ লিটার এবং নতুন একটি দরপত্রের মাধ্যমে আরও ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে।

সূত্র জানায়, দুই লিটার পেট বোতলে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে গত ১৬ আগস্ট স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত পুনঃ দরপত্র (জাতীয়) আহ্বান করা হয় এবং এর বিপরীতে তিনটি দরপত্র জমা পড়ে। তিনটি দরপত্রই রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে মেঘনা এডিবল অয়েলস রিফাইনারি লিমিটেড। অগ্রিম আয়কর, মূসক ও টিসিবির গুদামে পরিবহনসহ প্রতি লিটার সয়াবিনের ক্রয়মূল্য হবে ১৬১ টাকা ৯৪ পয়সা। তবে শুধু তেলের প্রকৃত দর হচ্ছে প্রতি লিটার ১৫৬ টাকা ৭০ পয়সা।

সূত্র জানায়, টিসিবির ক্রয় প্রস্তাবে প্রতি লিটার সয়াবিনের প্রাক্কলিত দর হচ্ছে ১৭১ টাকা ৩২ পয়সা। সে হিসেবে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে প্রস্তাবিত দর প্রতি লিটারে ৯ টাকা ৩৮ পয়সা কম। তবে পর্যালোচনায় দেখা যায়, টিসিবি কর্তৃক স্থানীয় বাজার থেকে কেনা তেলের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর আগে সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা ৩০ পয়সা দরে কেনা হয়েছিল। সে হিসাবে এবার প্রতি লিটারে ১ টাকা ৬৪ পয়সা বেশি পড়ছে। এরও আগে গত ৩০ আগস্ট প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৫৯ টাকা ৮৫ পয়সা দরে কেনা হয়েছিল।

সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের গড় খুচরা মূল্য হচ্ছে ১৭২ টাকা ৫০ পয়সা। সে হিসাবে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে দাম কম পড়ছে ১০ টাকা ৫৬ পয়সা।

জানা গেছে, সয়াবিন তেল সরবরাহের অপর দুটি দরপত্র ছিল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড-এর। এর মধ্যে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড-এর প্রস্তাবিত দর ছিল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা ৭৩ পয়সা এবং সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড-এর প্রস্তাবিত দর ছিল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা ৯০ পয়সা।

সূত্র জানায়, ভোজ্যতেলের বাজার স্বল্পআয়ের মানুষদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য স্বল্প দামে বিক্রি করছে। এরই অংশ হিসেবে স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে আরও ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয় করা হবে।

স্থানীয়ভাবে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে এর মধ্যে সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৫৮.৫৫ টাকা দর উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড প্রতি লিটারের দাম ১৫৮.৮২ টাকা এবং মেঘনা এডিবল অয়েলস রিফাইনারি লিমিটেড প্রতি লিটারের দাম ১৬১.৯৪ টাকা উল্লেখ করে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে সর্বসিনম্ন দরদাতা সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৯ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক কোটি লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে সরকারের মোট ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠান দুটি ২ লিটারের পেট বোতলে এই এক কোটি ৩০ লাখ লিটার তেল টিসিবির গুদামে সরবরাহ করবে।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার। তবে রাখাইনের যে স্থানে রোহিঙ্গারা থাকবে সেখানে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে যেতে দিতে দ্বিধায় নেপিদো। ফলে টেকসই প্রত্যাবাসনে বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন কার্যক্রমকে ধীর গতি দিয়েছে ঢাকা।

চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে নেপিদোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই কিছু রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ব্যাচে দেশটি যাচাইকৃত তিন হাজার রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের রাখাইনে উপস্থিতির বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়। তবে এর প্রেক্ষিতে বৈঠকে কোনো উত্তর দেয়নি মিয়ানমার।

চলতি মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। দলটি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আস্থা ও মনোবল বাড়ানো এবং প্রত্যাবাসনে রাজি করানোর কাজটি করবে। সেই সঙ্গে শেষ মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টিও জড়িত ছিল প্রতিনিধি দলের কার্যক্রমে। তবে বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কিছু বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সেই উত্তরের প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের আসার সম্ভাব্য দিনক্ষণ দেবে ঢাকা।

বিষয়টি বেশ সংবেদনশীল, ফলে বাংলাদেশ খুব সতর্কতার সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঢাকার অন্যমত অগ্রাধিকার, তবে সেই সঙ্গে এটি টেকসই করার দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। তাই রাখাইনে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোসহ মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি নির্বাচন চায় না, উল্লেখ করে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক মেট্রাপলিটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।

এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি কী আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে? প্রধানমন্ত্রী এখন জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, পলাতক আসামি, অর্থ চোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী (তাদের নেতা) এই যদি একটি দলের নেতা হয়-তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে?

তিনি বলেন, তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।

নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে- তারা নৌকায় (আ.লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, নৌকায় (দেশের জনগণ) ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না, এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।

প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সবসময় উজ্জ্বল হয়-তা আপনাদের সকলকে সর্বদা মনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।

নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার করলে তাদের মুখ উন্মোচিত করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।এই চোরচক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নওগাঁয় ডাকাতীর লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার সহ ৯ জন ডাকাত আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ডাকাত চক্রের ৯ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত নগদ টাকা, স্বর্ণলঙ্কার সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার রাতে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে শনিবার দুপুরে ৯ জন ডাকাত সদস্যকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়।

ডাকাত আটকের ঘটনায় শনিবার দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক এর সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফৌজিয়া হাবিব খান, রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

রাণীনগর উপজেলা ও পার্শবর্তী উপজেলায় বেশ কিছু গ্রামে কিছু দিন থেকে মাঝে মধ্যেই অস্ত্রের মূখে বাড়ির মানুষদের জিম্মি করে ডাকাতির সংঘটিত হয়ে আসছিলো। তবে অনেকেই মামলা করতে এগিয়ে আসেননি। 

আটককৃত ৯ জন ডাকাত সদস্য হলেন, রাণীনগর উপজেলার গহেলাপুর মধ্যপাড়ার মোজাম্মেল মন্ডেলের ছেলে মমিন মন্ডল ইদুন (২৬), গহেলাপুর কবিরাজপাড়ার জলিলের ছেলে মাসুদ রানা (২৮), গহেলাপুর হিন্দুপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সরন আলী (২২), গহেলাপুর নিশ্চিন্দাকুড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা (৩২), পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে জাকির হোসেন জেমস (৩৫), বিষ্ণপুর গ্রামের মৃত শামচাঁনের ছেলে ইমদাদুল স্বপন (২৬), জামালের ছেলে মুনছুর মন্ডল (৩২), পশ্চিম চকবলরামপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইমদাদুল হক বুলেট (২৭) এবং পূর্ব বালুভরা গ্রামের মো. মিলনের ছেলে হাফিজার হ্যাপি(২৬)। 

থানা সূত্র জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গহেলাপুর (হিন্দুপাড়া) গ্রামের প্রণব সাহার বাড়িতে একদল ডাকাত সদস্যরা ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী ময়না রাণীর মুখ পেঁচিয়ে এবং গামছা দিয়ে দুই হাত-পা বেঁধে। এরপর দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ ২৬ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক প্রণব সাহা থাকায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় লুণ্ঠিত নগদ ২৬ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, বেশ কিছু দিন থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ডাকাতির সংঘটিত হয়ে আসছিলো। শুক্রবারে গহেলাপুর গ্রামের ঘটনায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের পরামর্শে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় লুণ্ঠিত হওয়া টাকা, মালামাল সহ ডাকাতের পরিবহনের একটি যানবাহন উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপূরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, গ্রেফতার ডাকাত দলের সদস্য মাসুদ রানার নেতৃত্বে এই ডাকাতি ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর