Logo
শিরোনাম

মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি ::



নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ জসিম নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায়পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের বারাহীনগর গ্রামের পাইকের বাড়ির মৃত মোস্তফা সর্দারের ছেলে মো.লোকমান (৫৫) ও একই ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির শেখ আব্দুল আজিজের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রাব্বি ওরফে শেখ রাব্বি (২৪।  

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সোনাইমুড়ী ও চাঁদপুর থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত মো. জসিম উদ্দিন (৩৫) উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির মনু মিয়ার ছেলে। গত সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া গ্রামের সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ আসামি রাব্বির বরাত দিয়ে জানায়, দেড় মাস আগে আসামি সায়মনের একটি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ মোটরসাইকেল ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ভিকটিম মৃত জসিম উদ্দিন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে জসিম সায়মনের মোটরসাইকেল ও মোবাইল দিয়ে দেওয়ার শর্তে ত্রিশ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার পরেও মোটরসাইকেল ও মোবাইল না দিলে সায়মন গোপনে জসিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পুলিশ আরও জানায়, গত ১৪ জুলাই মামলার ১ নং আসামি সায়মন তার অজ্ঞাত দুই বন্ধুসহ একটি মোটরসাইকেল যোগে জসিমের বাড়িতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও টাকা প্রদানের বিষয় নিয়ে তাকে হত্যার হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। ঘটনার দিন ১৫ জুলাই দুপুর ৩টার দিকে ভিকটিম জসিম হঠাৎ তার নিজ বসতঘরে এলে সায়মনকে কল করে জসিমের বাড়িতে আসার সংবাদটি জানায় রাব্বি। এর কিছুক্ষণ পরেই সায়মন একটি মোটরসাইকেল যোগে আরো ২ জনকে নিয়ে জসিমের বাড়িতে যায়। এরমধ্যে সায়মনের বাবা গ্রেপ্তারকৃত আসামি লোকমান অন্য একটি মোটরসাইকেলে ভিকটিম জসিমের বাড়ির সামনে যায়। হঠাৎ বাড়ির ভেতরে গুলির শব্দ হয়। তারপর আসামি সায়মন তার অজ্ঞাত ২ বন্ধুসহ দৌঁড়ে এসে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
রাব্বি আরো জানায়, সে ২০ হাজার টাকার প্রলোভনে সায়মনের বড় ভাই দুলালের কথা মতো সায়মনকে ভিকটিম জসিম উদ্দিনের বাড়িতে আসার খবর জানায়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, মামলা দায়েরের ১২ ঘন্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যা মামলার এজাহারামীয় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে ১৬৪ ধারায় আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।      


আরও খবর



ঈদের জামায়াতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ মাঠ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতের আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫,০০০ মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া, মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে:

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থা: মুসল্লিদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস: জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে।

বিকল্প ব্যবস্থা: বৃষ্টি বা প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাননীয় প্রশাসক ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।”

পরিশেষে, তিনি আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সবার ইবাদত কবুল হওয়ার প্রার্থনা করেন।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




মার্চে ৪৪২ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের মার্চ মাসে ২৪৮ জন কন্যা ও ১৯৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন কন্যাসহ ১৬৩ জন। তার মধ্যে ১৮ জন কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ২ জন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ২ জন কন্যা ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ জন কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদনে (মার্চ) এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন পাঠায় মহিলা পরিষদ।

মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতি মাসে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১২ জন কন্যাসহ ১৬ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৮ জন, এর মধ্যে ৬ জন কন্যা। বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাসহ ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ছাড়া গত মাসে ৯ জন কন্যাসহ ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২ জন কন্যাসহ ১৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নারী ও কন্যা পাচারের শিকার হয়েছেন ২১ জন, এর মধ্যে ১০ জন কন্যা। ১ জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন, এর মধ্যে ২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মার্চ মাসে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ১৭ জন, এর মধ্যে ২ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ জন। ২ জন গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে ১টি। ৬ জন কন্যাসহ ৮ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। এছাড়া ২ জন কন্যাসহ ১১ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছে। ৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৩টি। এছাড়া ৪ জন কন্যাসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।


আরও খবর



অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে ঝুঁকি বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

২০২২ সালে সারা বিশ্বে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৩০ লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংখ্যা আগের তুলনায় অন্তত দশ গুণ বেশি। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ও পরে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহারের কারণে এ পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা বলছেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা এএমআর আজ আর শুধু চিকিৎসাবিদ্যার সংকট নয়, এটি হয়ে উঠেছে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ।

অস্ট্রেলিয়ার মুরডক চিলড্রেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ক্লিনটন হেলথ অ্যাকসেস ইনিশিয়েটিভের যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিশুরা এ সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গবেষকরা একে বলছেন, শিশুদের জন্য চুপিসারে এগিয়ে আসা এক বৈশ্বিক বিপর্যয়। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজেস জার্নালে।

এএমআর বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তখনই তৈরি হয়, যখন সংক্রমণ সৃষ্টি করা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই একে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অন্যতম বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে এ প্রভাব এতটা ভয়াবহ হবে, তা এতদিন স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯-২১ সালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওয়াচ অ্যান্টিবায়োটিকস-এর ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেড়েছে ১৬০ শতাংশ আর আফ্রিকায় ১২৬ শতাংশ। এগুলো এমন ওষুধ, যেগুলো সাধারণত গুরুতর সংক্রমণের জন্য রাখা হয়, যাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া যায়।

আরো ভয়াবহ হলো রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিকস, যেগুলো একেবারে শেষ ভরসা হিসেবে ব্যবহার হয়। এর ব্যবহার ৪৫ শতাংশ বেড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আফ্রিকায় বেড়েছে ১২৫ শতাংশ।

গবেষকরা বলছেন, এ প্রবণতা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতেই বহু সংক্রমণের আর কোনো কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি থাকবে না। তারা মনে করছেন, কভিড-১৯ মহামারীর সময় অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত এবং ভুল ব্যবহার এ পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করেছে। ভাইরাস সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলেও বহু ক্ষেত্রেই সেগুলো ব্যবহার হয়েছে প্রতিষেধক হিসেবে।

গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর হার্ব হারওয়েল বলেন, ‘‌এটি একটি বৈশ্বিক সংকট, যা সবাইকে প্রভাবিত করছে। এককভাবে এর সমাধান করা সম্ভব নয়। অ্যান্টিবায়োটিক শুধু চিকিৎসায় নয়খাদ্য, পরিবেশ এমনকি পশু পালনেও ব্যবহার হয়, ফলে এদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বেড়ে যায়।

কিংস কলেজ লন্ডনের মাইক্রোবায়োলজির জ্যেষ্ঠ লেকচারার ডা. লিন্ডসে এডওয়ার্ডস বলেন, ‘‌এ গবেষণার ফলাফল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে শিশুস্বাস্থ্যে গত কয়েক দশকের অগ্রগতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এ সংকট মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞরা টিকাদান, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকা গ্রহণের মাধ্যমে ৪০-৫০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকিৎসকদের সঠিক নির্দেশনা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিশ্চিত করাও জরুরি।

খবর বিবিসি।


আরও খবর



ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় সরকার ব্যর্থ

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে গাজা ও রাফায় বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের সমস্ত পণ্য বর্জন করব, তার মানে এই না আমরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করব। গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এখানে সরকাররে ব্যর্থতা লক্ষণীয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয়। তাদের উচিত ছিল, আগে থেকে এখানে সতর্কতা অবলম্বন করা। তাহলে বাংলাদেশকে আজ এই বদনাম নিতে হতো না।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত সকল রাষ্ট্রে গমনের’ কথাটি সরিয়ে দিয়েছিল। অথচ তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য মায়াকান্নাও করেছিল। তারা আড়িপাতার যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক দলের বিরুদ্ধে যে নির্যাতনের সূচনা করেছিল, সেই যন্ত্র পেগাসাস ইসরায়েল থেকে কিনেছিল।

সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার মানুষ ইসরায়েলের গণহত্যায় নিহত হয়েছে। যারা অপুষ্টিতে ভুগে নিহত হয়েছে, যারা চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে, তাদেরকেও এই গণহত্যার শিকার হিসেবে গণ্য করতে হবে।

ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে সামনে বিএনপির পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে অতি দ্রুত সারাদেশে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় গণহত্যা দেখেও যেসব রাষ্ট্র নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, তাদেরকে ধিক্কার জানাই। মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন হওয়ার পরও অনেক মানবাধিকার সংগঠন কিছুই করছেন না। গাজায় লাখো মানুষকে নির্বিচার হত্যা করার পরও জাতিসংঘ কিছুই করছে না। যেখানে ইসরায়েলের পণ্য থাকবে, সেখানেই বয়কট করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ইসরায়েলের নৃশংসতাকে ব্যাখ্যা করা যায়, এমন কোনো শব্দ নেই। ২০২৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত তারা ৫১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। এর বিরুদ্ধে সারাবিশ্বের ছাত্রজনতা এরই মধ্যে রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে শামিল হয়েছেন।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় সম্প্রতি পাঁচ বাংলাদেশিসহ চার শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান ছাত্রদল সভাপতি। এছাড়াও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি সমাবেশ থেকে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার নিন্দা জানান তিনি।

তিনি বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সরকারের এত এত বড় ব্যর্থতা মেনে নেওয়া যায় না। এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে মুসলিম সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন সংশোধনের ওয়াকফ বিল পাসের নিন্দা জানান তিনি এবং দ্রুত এটি বাতিল করার দাবি জানান।


আরও খবর



ঢাকায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি, কিউলেক্সের যন্ত্রণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শুকনো মৌসুমেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি, স্থাপনায় পাওয়া যাচ্ছে এইডিস মশার লার্ভা, মিলছে পূর্ণ বয়স্ক মশাও।এ বছর প্রথম তিন মাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা মাথায় রেখে বর্ষার আগেই এইডিস মশার এই উপস্থিতিকে আশঙ্কাজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এজন্য মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ঢাকার মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ২৪ মার্চ গিয়ে দেখা যায়, মশার ওষুধ ছিটাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিল তিনজনের একটি দল। তাদের দুজন বিভিন্ন জায়গায় মশার লার্ভা খুঁজছিলেন, একজন ছিটাচ্ছিলেন ওষুধ।

তাদের মধ্যে যে দুজন লার্ভা খুঁজছিলেন তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগারের কর্মী। অন্যজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের মশক নিয়ন্ত্রণকর্মী।

মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার এই নগর সংস্থাটি নিয়মিত বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে, এজন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে তাদের।

দলটির সঙ্গে লালকুঠির প্রথম কলোনির ১৫টি বাসায় গিয়ে ফেলে রাখা কলসি, পানি জমিয়ে রাখার ড্রাম এবং পানির মিটারে এইডিস মশার লার্ভা দেখা গেছে। ওইসব বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, বেশিরভাগ পাত্রেই লার্ভা জমেছে তাদের অসচেতনতায়।

কলোনির একটি টিনশেড বাসায় থাকা বটগাছের নিচে একটি কলসি রাখা। দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় ওই কলসিতে পানি জমে আছে। আর তাতে জমে জন্মেছে এইডিস মশার লার্ভা।

সে বাসার একজন ভাড়াটিয়া বলেন, বাড়িওয়ালা বটগাছের নিচে ওই কলসি রেখেছেন। পরিষ্কার করা হয়নি হয়তো, এ কারণে মশা ডিম পাড়ছে হয়তো।

ওই কলোনির আরেকটি বাড়িতে পানি রাখার দুইটি ড্রামে এইডিস মশার লার্ভা পান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে আসা এই কর্মীরা। ওই বাড়ির মালিকের মেয়ে ডায়না আক্তার বলছিলেন, এলাকার লাইনে ঠিকমত পানি আসে না। এজন্য পানি জমিয়ে রাখতে হয়।

রাত ৩টা-৪টার দিকে পানি আাসে। প্রতিদিন বালতিতে পানি ভরি, থালাবাসন ধোয়ার কাজে তা ব্যবহার করি। পানি তো ঢাকনা দিয়ে রাখি। এরপরও মশা সেখানে ডিম পাড়ল কীভাবে বুঝতে পারছি না। ঢাকনা দিয়ে রাখলেও লার্ভা পাওয়া যায়

প্রথম কলোনির ২২৭/ডি নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির উঠানে রাখা একটি বড় বালতিতে পানি জমানো। পানি জমে আছে আরেকটি ছোট বালতিতেও। পরীক্ষা করে দুটি বালতিতেই এইডিস মশার লার্ভা পান জরিপে আসা কর্মীরা।

যাদের ঘরের বালতিতে লার্ভা পাওয়া গেছে তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি।

ওই বাড়ির আরেকটি বাসার বাসিন্দা হেনা বেগম বলেন, আমাদের বাসায় কোনো মোটর নাই, এজন্য টেনে পানি আনা যায় না। সাপ্লাইয়ের যে পানি আসে তা বালতিতে জমাইয়া রাখতে হয়। এ কারণে মনে হয় মশা ডিম পাড়ছে।

ওই এলাকায় মশার উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে মো. তরিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, বাসায় প্রচুর মশা। রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। মশার কয়েল জ্বালাই, মশারি টানাই, তাও কামড়ায়, বেশি কামড়ায় বাচ্চাদের।

মশার গতিপ্রকৃতি, প্রজাতি বৈচিত্র, মৌসুমী অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ডিএনসিসি। মশা ধরার জন্য পাঁচটি অঞ্চলে ফাঁদ পাতা হয়েছে, যাকে ডিএনসিসি বলছে সেনটিনাল সাইট। একটি সাইটে লাইট ট্র্যাপ,এইডিস এক্স স্মার্ট ট্র্যাপ ও গ্র্যাভিড ট্র্যাপ- এই তিন ধরনের ফাঁদ থাকে।

লাইট ট্র্যাপে সব ধরনের পূর্ণবয়স্ক মশা ধরা হয়। এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে পূর্ণবয়স্ক এইডিস মশা এবং গ্র্যাভিড ট্র্যাপে এইডিস মশা ডিম পাড়ে, সেখান থেকে লার্ভা হয়।

প্রতি সাতদিন পর পর এসব ফাঁদ পরীক্ষা করা হয়। ফাঁদে পাওয়া মশার সংখ্যা গণনা করে ওই এলাকায় মশার উপস্থিতির একটি ধারণা নেওয়া হয়।

মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ডিএনসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারেও এই ফাঁদ বসানো হয়েছে।

২৪ মার্চ কমিউনিটি সেন্টারের ওই ফাঁদে মশা দেখতে যান মশক নিয়ন্ত্রণকর্মীরা। লাইট ট্র্যাপে শত শত মশা মরে আছে। আর এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে দুটি পূর্ণ বয়স্ক মশা পাওয়া গেছে। তবে গ্র্যাভিড ট্র্যাপে কোনো লার্ভা পাওয়া যায়নি। ফাঁদে কতগুলো মশা পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি তারা। তবে তারা জানান, সংখ্যাটি অনেক।

পরিস্থিতি কেমন

সোমবার লালকুঠি এলাকার প্রথম কলোনির ১৫টি বাড়ি পরিদর্শন করে পাঁচটি বাড়িতে ছয়টি পাত্রে মশার লার্ভা পান ডিএনসিসির কর্মীরা। হিসাব করে দেখা গেছে, এতে ওই এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ ও হাউজ ইনডেক্স ৩৩ দাঁড়ায়।

কোনো এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ ও হাউজ ইনডেক্স ১০ এর বেশি হলে সেখানে মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি আছে বলে ধরে নেন কীটতত্ত্ববিদরা।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ বলেন, এটা খুবই হাইলি উপস্থিতি। সামনে বর্ষায় মশা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। গত বছর চিকুনগুনিয়ায় অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এবারও ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ডিএনসিসির সঙ্গে চুক্তির থাকায় তারা জরিপের কোনো তথ্য দিতে পারবেন না। তথ্যের জন্য ডিএনসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে কবিরুল বাশার বলেন, এখন বৃষ্টি নাই, এখন যদি ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ হয় বৃষ্টির সময় সেটা ৮০ হয়ে যাবে। মানে মশার উপস্থিতি থাকবে আশঙ্কাজনক।

এ কারণে বছরের শুরুতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই যদি আমরা এইডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তাহলে বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব কম হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী দাবি করেন, গত দেড় মাস ধরে এইডিস এবং কিউলেক্স- দুই ধরনের মশার উপস্থিতিই কমেছে। এ কারণে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও কমেছে।

কিছু কিছু পকেট এলাকায় বিশেষ করে উত্তরার কিছু এলাকায় কিউলেক্স মশা কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তারপরও মানুষের অসচেতনতায় কিছু এলাকায় মশা জন্মাচ্ছে। অনেক বাড়িতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কর্মীদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না, সেখানে ওষুধ দিবে কীভাবে?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া রোগীসহ চার মাসে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০২। তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০২৪ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের।

যন্ত্রণা দিচ্ছে কিউলেক্স মশা

ঢাকায় শীতের পর থেকে শুরু হয়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তারা অভিযোগ করেছেন, এই মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা।

ডোবা-নালা পরিষ্কার না করা এবং মশার ওষুধ না ছিটানোর কারণে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

ঢাকার ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভাসানটেক বস্তির মাঝখানের ঝিলটি কচুরিপানায় ভর্তি। এই জলাধার পরিষ্কার করা হয় না। তাই বদ্ধ পানিতে কিউলেক্স মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।

ভাসানটেক বস্তির বাসিন্দা আহমেদ আলী বলেন, বিকাল থাইকা মশার অত্যাচার শুরু হয়। কোনো জায়গায় দাঁড়ানোর উপায় থাকে না। সারাক্ষণ কানের কাছে ভনভন করে।

মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকার গৃহিনী জেমমিন আক্তার বলেন, বিকেলেই বাসায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিই। রাতে ঘুমানোর আগে কয়েল নিভিয়ে মশার টানিয়ে নিই। কিন্তু তারপরও মশার হাত থেকে বাঁচার উপায় থাকে না। কোনো কারণে বাইরে বের হলেই ভেতরে মশা ঢুকে যায়। বাচ্চাটাকে কামড়ায় বেশি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশার উপস্থিতি নিয়ে কোনো জরিপ করছে না। এ কারণে ওই এলাকায় বর্তমানে মশার পরিস্থিতি কী তা বোঝার উপায় নেই।

তবে গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জরিপের ফলে দক্ষিণ সিটিতে মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

সে জরিপ অনুযায়ী, তখন দুই সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের ৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ড ছিল ৩৫টি; বাকি ২১টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)।

আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী প্রস্তুতি জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, কিউলেক্স মশার উপদ্রব কমে এসেছে। আর সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছি। মশার ওষুধ ছিটানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি আমরা মানুষকে সচেতন করব।


আরও খবর