Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

মুখ ধোওয়ার যেসব ভুলে ত্বক নষ্ট হয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মুখের ত্বক উজ্জ্বল আর তরতাজা রাখতে সবার আগে প্রয়োজন সঠিকভাবে মুখ ধোওয়া। এতে ত্বকের ভেতরে থাকা ময়লা, তেল সব বের হয়ে যাবে। কিন্তু অনেকেই মুখ ধোওয়ার সঠিক পদ্ধতি জানেন না।

রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পদ্ধতি মেনে মুখ না ধুলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই মুখ পরিষ্কার করার সময় হামেশাই কয়েকটি ভুল করে থাকেন , যা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যেমন-

গরম পানি ব্যবহার করা : অনেকেই গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে থাকেন। কিন্তু গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়। ফলে ত্বকে রুক্ষ-শুষ্কভাব, জ্বালা এবং লালচেভাব দেখা দিতে পারে। তবে একেবারে হালকা গরম বা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।

ভেজা ওয়াইপস ব্যবহার করা: খুব তাড়াতাড়ি মুখ পরিষ্কার করতে অনেকেই ভেজা ওয়াইপস ব্যবহার করেন। অনেকে মেকআপ তুলতেও এই টিস্যু ব্যবহার করেন। কিন্তু ভেজা ওয়াইপসে নানা ধরনের রাসায়নিক থাকে। যার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হয়। এগুলি ব্যবহার করলে ত্বকে জ্বালা হতে পারে। তাছাড়া, ভেজা ওয়াইপস ত্বকের সব ময়লা, তেল অপসারণ করতে পারে না।

সাবান বা ভুল ক্লিনজার ব্যবহার করা: ত্বকের ধরণ অনুযায়ী উপযুক্ত ফেসওয়াশ বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে ত্বকের জ্বালা, চুলকানি, লালচেভাব দেখা দিতে পারে। শুষ্ক, তৈলাক্ত, কম্বিনেশন বা সেনসিটিভ, আপনার ত্বক যে রকম, সেই হিসেবে ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার কিনুন।

নোংরা হাত বা তোয়ালে ব্যবহার করা: মুখ ধোওয়ার আগে হাত ধোয়াটা খুব জরুরি। কারণ হাতে থাকা জীবাণু ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। নোংরা হাতে মুখ ধোওয়া বা মুখ মোছার জন্য নোংরা তোয়ালে ব্যবহার করলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া, ময়লা জমা হতে পারে। যার ফলে ব্রণ, পিম্পল এবং সংক্রমণ হতে পারে। তাই হাত ভালো করে ধুয়ে তবেই মুখে স্পর্শ করুন। পাশাপাশি মুখ মোছার জন্য পরিষ্কার তোয়ালে বা ফ্রেশ টিস্যু ব্যবহার করুন।

খুব জোরে জোরে স্ক্রাব করা: স্ক্রাবার বা ওয়াশক্লথ দিয়ে খুব জোরে জোরে মুখ ঘষলে ত্বকে জ্বালা, লালচেভাব হতে পারে। মুখ ধোওয়ার সময় হাতের তালু বা আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো করে, বৃত্তাকার গতিতে মুখে স্ক্রাব করুন। মুখ ভালো করে ধোওয়া ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার লাগানোর পর মুখ খুব ভালো ভাবে পানি দিয়ে ধোওয়া উচিত। তা না হলে মুখে ক্লিনজারের অবশিষ্টাংশ লেগে থাকতে পারে। এটি ত্বকের ছিদ্র আটকে জ্বালা এবং ব্রণ হতে পারে।


আরও খবর

বালুচরে শীতের পাঞ্জাবি-কটি

বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23




বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দর ঘিরে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র। মাঝেমধ্যে এসব চক্রের দুয়েকজন পাচারকারী ধরা পড়লেও বরাবরই অধরা রয়ে যাচ্ছে চক্রের সঙ্গে জড়িত হোতারা। অভিযোগ উঠেছে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আড়ালে স্বর্ণ পাচার করছেন শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তা পাস গলায় ঝুলিয়ে পেশাদার চোরাকারবারিদের সঙ্গে জড়িত। ফলে মামলা তদন্তে কাস্টমস ও এপিবিএনের দেওয়া আসামির বাইরে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। এতেও বরাবরের মতো আড়ালেই থাকছে হোতারা।

জানা যায়, গত শনিবার বিমানবন্দরে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০টি স্বর্ণবারসহ নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের কর্মীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএনের সদস্যরা। এ ঘটনায় এপিবিএন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালান আইনে মামলা করে। এ ছাড়া একই দিন বিমানবন্দরে চোরাচালান চক্রের আরো ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটির হেফাজত থেকে জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের পাউডার, স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার। এ ঘটনায় ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বাদী হয়ে চক্রটির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।

দুই মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি হলো নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের গাড়িচালক মো. হেলাল, রিসিভার কামাল হোসেন এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, নাঈম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, গত রবিবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের তোলা হয়। এ সময় শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালাত। বিমানবন্দর থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। স্বর্ণ পাচারে বিমানবন্দরের কোনো সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্য দিনের মতো ডিউটিতে আসেন। এরপর অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হন। এপিবিএন ও এনএসআইয়ের গোয়েন্দারা তাকে নজরদারিতে রাখেন। হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। পরে বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে তাদের গতিরোধ করেন এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা। এ সময় তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে কতটি চালান ধরা পড়ে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এটা সঠিকভাবে বলা কঠিন। তবে মাসে গড়ে ৫-৬টি চালান ধরা পড়ার রেকর্ড রয়েছে।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণসহ দুবাইফেরত যাত্রী এম মাসুদ ইমামকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। রাত পৌনে ১১টায় দুবাই থেকে ঢাকায় আসা ওই যাত্রীকে ১০ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে যুক্ত হওয়ার পর বিমান থেকে আটক করা হয়। জব্দ স্বর্ণগুলোর বাজারমূল্য ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। গত ২০ ডিসেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নারী যাত্রীর ব্যাগ থেকে স্বর্ণের ৬৯টি বার ও ১টি স্বর্ণের চেইন জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এর আগে ৮ ডিসেম্বর শাহজালালে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা মূল্যের ৪৯টি স্বর্ণের বারসহ এক যাত্রীকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ওই যাত্রীর নাম ফজলে রাব্বী। তিনি দুবাই থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। এর আগে স্বর্ণের বড় একটি চালান ধরা হয় গত বছরের জুলাই মাসে। সেই সময় বিমানের সিটের নিচ থেকে প্রায় ২৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারা জানান, একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইটে অভিযান চালানো হয়। ফ্লাইটটির ১১টি আসনের নিচে নীল রঙের স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৯৮টি ডিম্বাকৃতির স্বর্ণের পেস্ট পাওয়া যায়। সেই সময় জব্ধ করা স্বর্ণের মালিক পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোর উপশহর এলাকায় একটি প্রাইভেট কার থেকে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের অভিযানে স্বর্ণের বারসহ আটক পাচারকারী দুই ব্যক্তির নাম শহিদুল্লাহ ও সুমন। তাদের দুজনের বাড়ি শার্শা উপজেলায়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে ঢাকা থেকে বেনাপোল সীমান্তের উদ্দেশে একটি প্রাইভেট কারে স্বর্ণের চালান নিয়ে আসছে। এমন সংবাদে উপশহর এলাকায় ডিবি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওঁত পেতে ছিলেন। সন্দেহজনক প্রাইভেট কার নিউমার্কেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ গতিরোধ করে। গাড়িতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে গাড়িতে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন আকৃতির ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৮৩ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে অংশ নেয় শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টমস হাউস, বিজিবি ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন। গত বছরের ১২ জুন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডাস্টবিন থেকে ৭ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। আটক করা হয় এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসা বারগুলো প্রধানত শাহজালাল ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। যেসব বাংলাদেশি স্বর্ণ বহন করেন দুবাই থেকেই তাদের ও তাদের একজন স্বজনের ফোন নম্বর, পাসপোর্টের কপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, এনআইডির ফটোকপি রেখে দেওয়া হয়। প্রবাসীরা প্লেন থেকে নামার পর প্রথমে যান কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাউন্টারে। সেখানে গিয়ে বারের ট্যাক্স দিয়ে রসিদ নেন। বার বৈধ করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশি ডিলারের প্রতিনিধি বিমানবন্দরের আশপাশ থেকে রসিদসহ স্বর্ণ বুঝে নেন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মতে, বিদেশ থেকে স্বর্ণ দেশে আসার পর মূলত দুটি জায়গায় যায়। প্রথমত, বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এটা কিনে নেন। দ্বিতীয়ত, ভারতে পাচার করা হয়। বিশ্বে স্বর্ণের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বর্ণের চোরাচালান আটক করেছিলেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের কার্গো হোল্ড থেকে ১২৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছর বিমানের ১০ কর্মীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ১০ বছরেও এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। আসামিরাও জামিনে রয়েছেন। ২০১৪ সালেও বিমানের এক ফ্লাইটের টয়লেটে লুকিয়ে রাখা ১০৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এটা ছিল জব্দ হওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণের চালান। এ ঘটনার ৩ বছর পর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ডিবি। তবে এখনো শাস্তি হয়নি কারো। শুধু এ দুটি নয়, নিম্ন আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় স্বর্ণ জব্দের ঘটনায় ১৮৭ মামলা আদালতে বিচারাধীন।

চলতি বছর ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণের চোরাচালান ধরা পড়ে। এ চালানে প্রায় ৪ কেজি ৫৪০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৬০ টাকা। জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ খান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শুধু যাত্রী বহন করে। কিন্তু স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হলে যারা চেকিং করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। এয়ারলাইন্সে কাজ করা কর্মীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ২০ থেকে ৩০টি সংস্থা কাজ করে। এখানে যে চুরি করে, সে চুরিই করবে। তাকে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

 


আরও খবর



নওগাঁয় চোরাই অটোভ্যান উদ্ধার সহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ জন আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অটোভ্যান চুরির সাথে জড়ীত আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ জন সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই একটি অটোভ্যান উদ্ধার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। শনিবার বিকেল ৩ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন চোর চক্রের সদস্যদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, মহাদেবপুর থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত চৌকশ পুলিশ টিম শুক্রবার দিবাগত রাতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা অটোভ্যান চোর দলের সক্রিয় সদস্য বদলগাছী উপজেলা কুশারমুড়ি গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম (৫৩), তার ছেলে আশিকুর রহমান (২১) ও পত্নীতলা উপজেলার মধইল বটতলা গ্রামের হাসু মন্ডলের ছেলে, বর্তমানে বদলগাছীর বালুভরা দোনাইল গ্রামের আবুল হোসেন (৪৭) কে আটক করেন। অভিযান কালে আটককৃতদের কাছ থেকে একটি চোরাই অটোভ্যান উদ্ধার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলেও জানান অফিসার ইনচার্জ। উল্লেখ্য যে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ ইউপির বাগডোব বাজার মসজিদের কাছ থেকে অটো চার্জার ভ্যান চুরি হয়। এ বিষয়ে রামচরণপুর গ্রামের মৃত মজিদুর মন্ডলের ছেলে এলিছ মন্ডল আজ্ঞাতনামা আসামী করে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। 


আরও খবর



মে মাসে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার উত্তরাঞ্চলে চলমান সংঘাতের মধ্যে আটকা পড়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার উত্তরে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হতে পারে।

সোমবার (১৮ মার্চ) ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকিশেন (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১১ লাখ হয়েছে। যা গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে পূর্বাভাস রয়েছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। একইসঙ্গে তিনি দেশটির বিরুদ্ধে অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্রাসেলসে গাজায় মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত একটি সম্মেলনের উদ্বোধনের সময় বোরেল বলেছিলেন, গাজায় আমরা আর দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নেই। আমরা এখন দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছি যা হাজার হাজার মানুষকে প্রভাবিত করছে।

৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে গাজায় দীর্ঘ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের ওইদিনের হামলায় প্রায় ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা। ওই হামলার জবাবে গাজায় ওইদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৩১ হাজার ৭২৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন।

 


আরও খবর



গাজায় ত্রাণ চাইতে আসা মানুষের ওপর হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ চাইতে আসা মানুষের ওপরও গুলি করেছে ইসরায়েলের সেনারা। ইসরায়েল বলছে, বেশির ভাগই ভিড়ের মধ্যে পদলিত হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু ওই ঘটনায় আহতদের নিরীক্ষা করে দেখা গেছে- তাদের মধ্যে ৮০ ভাগই গুলিতে জখম হয়েছেন। গতকাল এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ সর্বত্রই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এবার ত্রাণের আশায় যেসব মানুষ এসেছিল, তাদেরও গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচার চেয়েছে জাতিসংঘ। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর গুলির ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৭৫০ জন। আল-আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সালহা এপিকে বলেছেন, ১৭৬ জন আহতের মধ্যে ১৪২ জনেরই গুলি লেগেছে। এর মধ্যে বাকি ৩৪ জন পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন। তবে নিহতদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি। কেননা, মরদেহগুলো গণনার জন্য সরকার পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রমজানের আগেই যুদ্ধবিরতি : আসন্ন রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি শুক্রবার এই আশাবাদ জানিয়েছেন। একই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আন্তর্জাতিক জোট আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে তুরস্কে রয়েছেন শৌকরি। সেখানে এক ভাষণে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি যে এই যুদ্ধের সব পক্ষ, অর্থাৎ আমরা সবাই ইতোমধ্যে সমঝোতার একটি পয়েন্টে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করছি, রমজানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি হস্তান্তর শুরু হবে।

ইসরায়েলের হামলায় ৭ জিম্মি নিহত : গাজা উপত্যকায় অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এই নিহতদের মধ্যে ৪ জন ইসরায়েলি এবং ৩ জন বিদেশি নাগরিক। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা উবাইদা। কিন্তু উপত্যকার কোন এলাকায় এই ৭ জিম্মি নিহত হয়েছেন, তা বলেননি তিনি।

গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলবে যুক্তরাষ্ট্র : ইসরায়েলের নির্বিচার চলমান গণহত্যার মধ্যে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা গাজাবাসীর জন্য বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার গাজা সিটির কাছে ত্রাণের জন্য ভিড় করা শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পরদিন শুক্রবার বাইডেন এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে। এদিকে ত্রাণ সংস্থা অক্সফাম বলেছে, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ ফেলার বিষয়টি অক্সফাম সমর্থন করে না, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাদের বিবেকের দায় থেকে মুক্তি দিতে কাজ করবে, যাদের নীতি গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে অবদান রাখছে। এর পরিবর্তে ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা উচিত বলে মনে করে সংস্থাটি।


আরও খবর



শিশুদের কে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে মায়েরা সর্বক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার: 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী 

এমপি,নারীদেরকে সংসার সমাজে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণসহ সর্বক্ষেত্রে কৌশলী হয়ে সেবামূলক কাজে অগ্রসর হওয়ার উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের রুপকল্প বাস্তবায়নের আলোকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনকে বেগবান করতে সন্তানদেরকে স্মার্ট শিশু হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুরা যাতে আনন্দের সাথে লেখাপড়া করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

রবিবার (১০ মার্চ) সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সুনামগঞ্জ জেলার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করণে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ ও মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছা: নুরজাহান খাতুন,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা,পরিচালক ড.নুরুল আমিন চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিন,জেলা পুলিশ সুপার এহসান শাহ,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহনলাল দাস,সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল হেলাল,দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর সম্পাদক পংকজ দে,আরটিভির জেলা প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার,সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি হিমাদ্রি শেখর ভদ্র মিঠু,শিক্ষক নেতা বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও হারুনুর রশীদসহ জেলার ১২ উপজেলার মা অভিভাবক প্রতিনিধিবর্গরা।

সভায় সুনামগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক বাউল আল হেলাল সুনামগঞ্জের ৫ প্রধান লোককবির মধ্যমণি গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) রচিত “শিক্ষার গুনে শ্রেষ্ট জ্ঞানী হয়ে গেছে অনেকজন শিক্ষার গুনে ভূমন্ডলে ধন্য হয় মানবজীবন”গানটি পরিবেশন করে মাতৃশিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করার জন্য আলোকপাত করেন। ১২ উপজেলার মা অভিভাবকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন,মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে মত বিনিময়ের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার সকল বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের লক্ষ্যেই আমি সুনামগঞ্জ জেলায় প্রথম সফর করছি। প্রধানমন্ত্রী হাওরাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ দেশের পশ্চাৎপদ সকল জনপদের কথা অবগত আছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা প্রাথমিক শিক্ষার সকল স্তরের দীর্ঘদিনের সমস্যা পর্যায়ক্রমে নিরসন করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। তিনি বলেন,দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপন,হাওরভাতা চালু,টিফিন প্রদান,দূর্ঘম এলাকার জন্য শিক্ষকদের আবাসন,বদলী ও নিয়োগ সহজীকরন,শিক্ষার্থীদের জন্য ইঞ্জিনবোট প্রদানসহ সকল সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর