Logo
শিরোনাম

মুক্তিযোদ্ধা ও গরীব অসহায়দের চিকিৎসায় কোনো ফি নেন না ডা. এজাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

সদরুল আইনঃ

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সিংহভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ডা. এজাজ। 


তার নাম মনে হলেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে হাসিখুশি সাবলীল এক গুণী অভিনেতার মুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


 আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবেও পরিচিত।



মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময়ই রংপুর বেতারে নিয়মিত সংবাদ পাঠ করতেন, অংশ নিতেন রেডিওর নাটকে। চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনার বরাতে হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান। এখন অবসর। এই অবসরে অভিনয় আর পুরোপুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডা. এজাজুল হক এজাজ।


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমি হয়তো সবক্ষেত্রে সবার সহায়তা করতে পারি না। কারণ আমি তো সব ধরনের বিশেষজ্ঞ নই। তারপরেও যারা আমার কাছে আসেন, আমি তাদের সেই মতো হাসপাতালে স্থানান্তর করি।


 এরপর তার যেন খরচ কম হয়, ওই হাসপাতালে বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর আমি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ফি নিই না। কারণ তাদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের সেবা করতে পারাটাও সৌভাগ্যের।



একটা হাসপাতাল তৈরি করার স্বপ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে গরিব রোগীদের বিনে পয়সায় চিকিৎসা হবে। ধরেন, কথার কথা আমি যদি কোনোভাবে ৫০ কোটি টাকা পেয়ে যাই-তাহলে আমি কিন্তু কানাডা বা দুবাইয়ে বাড়ি কিনব না। এমন অভিলাষ আমার নেই। 


আমি সেই টাকা দিয়ে একটা হাসপাতাল করব। কিছুদিন আগে এক অর্থবান ভদ্রলোক এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন একটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করবেন, আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। 


আমি বললাম আমার একটা শর্ত আছে, ওই হাসপাতালে একটা কর্নার করতে হবে যেখানে গরিব রোগীরা বিনে পয়সায়, বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। ওই ভদ্রলোক আর যোগাযোগ করেননি।


গাজীপুর চৌরাস্তায় রয়েছে এজাজ সেন্টার।সেখানে নিয়মিত রুগি দেখেন তিনি।নামমাত্র ফি নেন এই বরেন্য চিকিৎসক।তার ব্যবস্থাপত্রেও থাকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা ঔষধের নাম।অমায়িক আচরনের এই মানুষটি তার শিল্পী সত্ত্বা দিয়েই শুধু নয় চিকিৎসক হিসেবেও নাম কুড়িয়েছেন গাজীপুরসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত জনপদে।




আরও খবর



অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সহায়তায় পাশে দাঁড়ালেন সমাজকর্মী ও শিক্ষকবৃন্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী সমাজকর্মী মোঃ ইউসুফ আলী দেওয়ান তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভবেরচর ইউনিয়নের স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী দুরূহ ব্যাধিতে আক্রান্ত স্বর্ণা আক্তারের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার দীর্ঘদিন পেপটিক আলসার রোগে অসুস্থতায় ভুগছে। এতে করে একাধারে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পারিবারিক অসচ্ছলতায় কারনে তার চিকিৎসা ব্যয়ভার চালানো তার পরিবারের পক্ষে অত্যান্ত কষ্টকর বলে জানা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, অপরিমিত চিকিৎসায় ফলে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর স্বর্ণা'র রোগ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। 

 বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের সাধারন সম্পাদক, সমাজকর্মী ইঞ্জি. সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল এর বরাতে শিক্ষার্থীর ব্যাধির ভয়াবহতার খবর পেয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থী স্বর্ণাকে দেখতে ছুটে আসেন সমাজ সেবক মোঃ ইউসুফ আলী দেওয়ান। তার সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে অসুস্থ  শিক্ষার্থী স্বর্ণাকে দেখতে আরও ছুটে আসেন ভবেরচর ইউনিয়ন এর মানবিক সকল শিক্ষকবৃন্দ।

 শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন (ইংরেজি), সহকারি শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল (একাউন্টটিং), সহকারি শিক্ষক শাহাদাত হোসেন সরকার (ব্যবস্থাপনা), ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক  মনিরুজ্জামান লিটন।

এসময় উপস্থিত সকল শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য, সমাজকর্মী, মানবিক নেতৃবৃন্দ সকলেই অসুস্থ শিক্ষার্থী স্বর্ণা'র আরোগ্য কামনা করে। সে যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার ক্লাস কার্যক্রমে ফিরে পারে এমনটাই সকলে প্রত্যাশা করেন।


আরও খবর



আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফিরেছে ঝালকাঠির গামছার ঐতিহ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

শত বছরের প্রচলিত হাতে ঘুরানো তাঁতের চাকার বদলে এবার দেশে এসেছে আধুনিক মেশিন কোরিয়ার থেকে দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর জেলার এ প্রাচীন শিল্পটি ঘুরে দাঁড়ানোয় নতুন উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।ফলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফিরেছে ঝালকাঠির গামছার ঐতিহ্য। এতে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি মিটছে চাহিদাও।

ঝালকাঠির সারাদেশে যেসব পণ্যে সুনাম আছে তার মধ্যে গামছা অন্যতম। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও সমাদৃত এ ঐতিহ্যবাহী তাঁতের গামছা। ৪০ বছর আগে শুরু হওয়া এ শিল্প এখনো টিকে আছে আজও।

ঝালকাঠির গনি মিয়ার গামছা সারাদেশেই একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তবে সেই গনি মিয়া এখন আর নেই। গনি মিয়ার মৃত্যুর পরে তার ছেলে নাসির উদ্দিন কয়েকবছর তাঁতে গামছা বুনে প্রতিষ্ঠানটি ধরে রাখছিলেন।

বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে নাসির উদ্দিন পৈত্রিক পেশার হাল ছেড়ে দেন। এক পর্যায়ে ওই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন গনি মিয়ার ভাইয়ের ছেলে খোকন মিয়া। এতদিন গামছা হাতে বোনা হতো। যার কারণে চাহিদা বেশি থাকলেও উৎপাদন হতো কম। এছাড়া হাতে বোনা তাঁতের সংখ্যাও এখন অনেক কম। হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার ধরে রেখেছে পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য।পপরিস্থিতিতে আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে গামছা শিল্প।

গামছা তৈরিতে আধুনিকতার ছোঁয়া এনেছে ঐতিহ্যবাহী গনি মিয়ার গামছা। প্রায় ৩/৪ বছর ধরে আধুনিক মেশিনে প্রস্তুত হচ্ছে গামছা।

পশ্চিম ঝালকাঠির কীর্ত্তীপাশা সড়কের রামনগরে গিয়ে দেখা যায়, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে গামছা তৈরি করছেন কারিগররা। প্রতিদিন এখন কারখানায় ২৫০টি গামছা উৎপাদন হচ্ছে।

কারিগররা জানান, ঝালকাঠির গামছা যাচ্ছে চট্টগ্রাম, নরসিংদী, চাঁদপুর, বরগুনা ও পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঝালকাঠির এ ঐতিহ্যবাহী গামছা দেশি-বিদেশি অতিথিদেরও দেওয়া হয় উপহার কিংবা উপঢৌকন হিসেবে। গামছা তৈরির কাঁচামাল আনা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। নিজস্ব ডিজাইনাররা কারাখানায় বসেই ডিজাইন করছে বাহারি রঙের গামছার।

স্থানীয় ফয়সাল সঙ্গে কথা হলে , শৈশবে দেখেছি বাসন্ডা গ্রামে ঘরে ঘরে তাঁতে শাড়ি লুঙ্গি আর গামছা বোনা হতো। শতাধিক কারিগর পরিবারের প্রধান আয় ছিল এ শিল্প। তাঁতের খট খট শব্দে দিন-রাত মুখরিত ছিল। তবে তা এখন অতীত স্মৃতি। মাত্র দু-তিনটি পরিবার কেবল গামছা তৈরি করে বাপদাদার পেশা টিকিয়ে রেখেছে। দুই যুগে ধীরে ধীরে তাঁত বোনাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঝালকাঠির গামছা শিল্প। 

উদ্যোক্তা খোকন হোসেন বলেন, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় এ মেশিনে এখন প্রতিদিন কারখানায় ২৫০ গামছা উৎপাদন হচ্ছে খুব সহজেই। আর তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

পাকা রঙ এবং টেকসইসহ গুণগতমানে ঝালকাঠির গামছা দেশ সেরা দাবি করে উদ্যোক্তা খোকন আরও বলেন, দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এখানকার এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৮৫ টাকায় বিক্রি হয়।

ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. আল-আমীন বলেন , জেলার এ ঐতিহ্যবাহী শিল্পটি একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছিল। নতুন করে আধুনিক মেশিনের যাত্রায় তা আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আসলে মেশিনে উৎপাদন লাভজনক হয় ও সময় বাঁচায়। স্থানীয় এই প্রাচীন শিল্পটির প্রসারে উদ্যোক্তা ও কারিগরদের প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।


আরও খবর



এবার অভিনেতা, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিনেতা, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, শিক্ষকসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে ১৪ জন অভিনেতা রয়েছেন। তারা হলেন মামুনুর রশীদ, চঞ্চল চৌধুরী, রিয়াজ, ফেরদৌস, আশনা হাবীব ভাবনা, সাজু খাদেম, জায়েদ খান, রোকেয়া প্রাচী, মেহের আফরোজ শাওন, অরুনা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, শমী কায়সার ও সোহানা সাবা।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গত বুধবার মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শাহবাগ থানার ওসি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী আলমগীর হোসেন।

গত ২০ মার্চ ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার আবেদন করেন এম এ হাশেম রাজু। তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের বাংলাদেশ বিষয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন।

মামলায় আসামি করা রয়েছে সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক আবেদ খান, সমকালের সাবেক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান মোজাম্মেল হক, সাংবাদিক মুন্নি সাহা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা, মাসুদা ভাট্টি ও ফারজানা রুপাকে।

এ ছাড়া মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আক্তারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হারুন অর রশীদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববদ্যিালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল মান্নান, নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম ওয়াহিদুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও নগরবিদ নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম, অধ্যাপক মিহির লাল সাহা এবং অধ্যাপক ও লেখক জাফর ইকবালকে আসামি করা হয়েছে।



আরও খবর



ঢাকায় ফিরে বাবার বাড়িতে উঠবেন জোবাইদা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে শাশুড়ি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরবেন তিনি।দেশে ফিরে জোবাইদা রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসায় উঠবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন গণমাধ্যমকে জানান, জোবাইদা রহমান ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসা মাহবুব ভবনে উঠবেন। বাড়ির ছোট মেয়ের আগমন উপলক্ষে বাসার সাজসজ্জা, নিরাপত্তাব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস, জেনারেটর স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রস্তুতির কাজ চলছে।

আতিকুর রহমান রুমন বলেন, জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাসার ভেতরে এবং বাইরে নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক করা হয়েছে। বাসার চারপাশে দেয়ালের ওপরে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্য ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।

রুমন বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, নিরাপত্তার নামে এমন কিছু না করতে, যেন প্রতিবেশীদের কোনো অসুবিধা হয়; যাতে মানুষজনকে ডিস্টার্ব না করা হয়। জোবাইদা রহমানের জন্য আলাদা গাড়ি ও তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত ৩০ মে বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে গানম্যান, পুলিশ প্রটেকশন, বাসায় পুলিশ পাহারা, আর্চওয়ে বসানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা এরই মধ্যে এই বাসভবন দেখে করণীয় ঠিক করে গেছেন বলে জানান রুমন।

মাহবুব ভবন এ এখন থাকেন মাহবুব আলী খানের স্ত্রী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু এবং বড় মেয়ে শাহীনা জামান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু কয়েক দিন আগে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।


আরও খবর



মাদ্রাসা পাস করে ডাক্তারি করতেন রেজাউল

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

বরিশালে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন রেজাউল করিম। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

আজ উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা গ্রামে রেজাউল করিমের মায়ের দোয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলাম খান।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চিকিৎসক পরিচয়ে রেজাউল করিম জটিল সব রোগের চিকিৎসা দেন এবং সার্জারিও করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক রোগী ও নার্সকে যৌন হয়রানি, মারধর, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। রেজাউল করিম নিজেকে কখনো সাংবাদিক পরিচয়, আবার কখনও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক, ঢাকা ও বরিশাল শহর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার মালিক ও প্রকাশক হিসেবেও পরিচয় দিতেন। তিনি উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামে গড়ে তুলেন মায়ের দোয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ওই সেন্টারে বসেই বছরের পর বছর গ্রামের রোগীদের অপচিকিৎসা করছেন। তার অপচিকিৎসায় বহু রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব বরণের অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ওই ক্লিনিকে রোগীদের ভর্তির পরে চিকিৎসা প্রদান বা জটিল অপারেশন করার তথ্য ডায়েরি বা রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন না রেজাউল করিম। এতে তার কাজের কোনো প্রমাণ থাকে না। রোগীদেরকেও কোনো প্রমাণপত্র দেওয়া হয় না। এ ছাড়া তার সনদপত্রে লেখা-চার্টার অব অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব ইন্দো অ্যালোপ্যাথি অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন। কিন্তু অনুসন্ধান করে এই নামে সনদপত্র প্রদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. মাইনুল ইসলাম খান বলেন তিনি ভারতের একটি সনদপত্র দেখান। এটার কোনো বৈধতা নেই। তার যেহেতু এমবিবিএসের সনদ নেই, তাই তার দেখানো এসব ডিগ্রির কোনো দাম নেই। তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র একটি অভিযান পরিচালনা করেন রেজাউল করিমকে বিভিন্ন ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।


আরও খবর