Logo
শিরোনাম

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান আহম্মেদের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শাহেদ হোসেন রানা,রামগড় :

পার্বত্য খাগড়াছড়ির জেলার রামগড়ে ১৯৭১ সালে পার্বত্য অঞ্চলে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক মরহুম সুলতান আহম্মেদ এর ২৭তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫শে জুন) সকাল ১০টায় রামগড় পৌরসভার মাষ্টার পাড়াস্থ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মরহুম সুলতান আহম্মেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত ও দোয়া-মাহফিলের মাধ্যমে সুলতান স্মৃতি সংসদ, রামগড় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন দিবসটি পালন করে।

পার্বত্য অঞ্চলের ত্যাগী এই আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘ-সময় রামগড় মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।


এছাড়াও ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে গঠিত ১নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তাঁর অনন্য ভূমিকা ছিল, পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে বার্ধক্যজনিত রোগে সুলতান আহমদ মারা যান। সুলতান নানা নামে পরিচিত নির্লোভ, ত্যাগী এই আওয়ামী লীগ নেতা আগামী প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় হিসেবে বেঁচে থাকবে এই প্রত্যাশা সুশীল সমাজের।


এসময় রামগড় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মরহুম সুলতান আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রামগড় পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল আলম কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম আলমগীর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন বাদশা, ৪নং মাষ্টারপাড়া পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, প্রদেশ ত্রিপুরা, ২নং জগন্নাথপাড়া ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর শ্যামল ত্রিপুরা, সাবেক পৌর কাউন্সিলর বিষ্ণু দত্ত,  উপজেলা যুবলীগ নেতা, রুবেল বড়ুয়া, খাজা নাজিম উদ্দীন, সুমন বড়ুয়া, সুমন ত্রিপুরা, রামগড় মাদ্রাসা ছাত্রলীগ সভাপতি মো.মুজিবুর রহমান প্রমূখ।


আরও খবর



বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা’ স্থগিত করল সৌদি আরব

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 |

Image

ভারত, পাকিস্তান এবং মিশরসহ ১৪টি দেশের জন্য ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা কোটা ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে সৌদি সরকার। ওমরাহ, ব্যবসা এবং পারিবারিক ভিজিট ভিসার মতো আরও বেশ কয়েকটি ভিসা বিভাগও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। রিয়াদ থেকে এক প্রতিবেদনে এএফপি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সৌদি আরব ১৪টি দেশের নাগরিকের জন্য ‘ব্লক ওয়ার্ক ভিসা কোটা’ উল্লেখযোগ্যভাবে সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে অসংখ্য বিদেশি কর্মী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসন্ন হজ মৌসুমের সমাপ্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সিদ্ধান্তটি রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ পরিচালনা এবং ব্যস্ত সময়ে নিয়ন্ত্রক সম্মতি নিশ্চিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।

ভারতীয় এবং অন্যান্য ১৩ দেশের জন্য নতুন কোনো ওয়ার্ক ভিসা নেই। এ নতুন নিয়ম যেসব দেশের জন্য প্রযোজ্য সেগুলো হলো: ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন ও মরক্কো।

সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জারি করেছে, যা ২০২৫ সালের জুনের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

ব্লক ওয়ার্ক ভিসা হলো একটি পূর্ব-অনুমোদিত কোটা যা সৌদি নিয়োগকর্তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যক বিদেশি নাগরিক নিয়োগের অনুমতি দেয়। একবার একটি কোটা অনুমোদিত হলে, কোম্পানিগুলো তাদের নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য ওয়ার্ক এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। একে গ্রুপ ভিসাও বলা হয়।


আরও খবর



করোনার প্রকোপ, ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের সতর্কতা জারি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন স্থানে ওমিক্রনের একটি নতুন এক ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে চলতি মাসের ৪ জুনে রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে। 

এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই করতে দেখা গেছে। 

ভারত ফেরত যাত্রী হরি দাস বলেন, ১০ দিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।

ভারত ফেরত যাত্রী মনিকা রানী বলেন, ১ মাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, দেশটির কিছু স্থানে ওমিক্রনের নতুন এক ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত সকল যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন, যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপসর্গ পাওয়া যায়, তাহলে যেন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়।


আরও খবর



দুই সপ্তাহে এল ১৪ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে প্রায় ১১৫ কোটি (১১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে জুন মাসের ১৪ দিন পর্যন্ত মোট ২৮ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৩০২ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স।

প্রতি ঈদের আগেই প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠায়। ঈদুল ফিতরের আগে রোজার শুরু থেকে বেশি বেশি প্রবাসী আয় পাঠান প্রবাসীরা। ঈদুল ফিতরের পর প্রবাসী আয় কিছুটা কমে। পরের মাসেই আবার আগের বাড়তি ধারাতে ফিরে যায়। একইভাবে ঈদুল আজহার আগে বেশি রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, আবার ঈদের পরে তা কিছুটা কমে। সে হিসাবে এবার কিছুটা কমেছে। জুনের শেষের দিকে আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার , আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়া‌রি‌তে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এবং সবশেষ মে মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




রিজার্ভ ছাড়াল ২৬ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক থাকায় বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট মজুদ বা রিজার্ভ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শেষ তথ্য অনুযায়ী (৪ জুন) পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মোট বা গ্রোস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২০ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৬ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ‌্য জানিয়েছেন।

মুখপাত্র জানান, রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনে চাপ কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরও ডলারের দাম ১২৩ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। একই সঙ্গে এখন অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছে, যার ফলে পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।

এর আগে ৬ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ ও এপ্রিলের আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৮৮৩ বিলিয়ন (১৮৮ কোটি ৩০ লাখ) মার্কিন ডলার পরিশোধ করার পর মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়নে নেমে যায়। বিপিএম-৬ কমে ২০ বিলিয়নে নামে।

তারও আগে ৪ মে মোট রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ বা প্রকৃত রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




সৃষ্ট সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক লন্ডন বৈঠকের ভেতর দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে সৃষ্ট দূরত্বের অবসান ঘটেছে। এ ছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিশ্চয়তাও কেটে গেছে। ফলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্রে ফেরার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কোনো অবস্থায় হাতছাড়া করতে চায় না দলটি। এই অবস্থায় নির্বাচন পিছিয়ে যায় বা সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়- এমন কোনো কার্যক্রম না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এই বৈঠকে গত ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একান্ত বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে তাদের একান্ত আলোচনায় কী কী বিষয় স্থান পেয়েছে,

তা তারেক রহমানের কাছে দুই নেতা জানতে চান। কিন্তু লন্ডন বৈঠকের আগে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল তারেক রহমান যেন একান্ত বৈঠকের বিষয়ে শেয়ার না করেন তা অন্য নেতারা উল্লেখ করেন। এই অবস্থায় তারেক রহমান বলেছেন, লন্ডনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা আমাদের হাতছাড়া করা যাবে না। তখন বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্য টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন জানান। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, লন্ডন বৈঠককে আমরা এখনও ইতিবাচক মনে করছি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, সাংগঠনিক কর্মকা- আরও ত্বরান্বিত করা, নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাজকে এগিয়ে নেওয়া- এগুলোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হওয়ায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। ওই বৈঠকে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে আস্থার সঞ্চার করেছেন বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তারা আরও মনে করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা ও দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন লন্ডন বৈঠকে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ ইস্যুতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের আন্দোলনের বিষয়টি ভালোভাবে নেননি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তারা মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠকের পর ইশরাক হোসেনের এই আন্দোলন থেকে সরে আসা উচিত, আন্দোলন বন্ধ করা উচিত। কারণ লন্ডন বৈঠকের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট ও অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার পাশাপাশি এক ধরনের স্বস্তিও ফিরে এসেছে জনমনে। একই সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কিছুদিন ধরে চলা বিএনপির টানাপড়েনেরও অবসান ঘটেছে। এমন অবস্থায় ইশরাকের শপথ ইস্যুতে আন্দোলন চলতে থাকলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে। তা ছাড়া সিটি করপোরেশনের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তাই সব দিক বিবেচনায় আন্দোলন থেকে এখন ইশরাকের সরে যাওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এটা (শপথ ইস্যুতে আন্দোলন) বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত না। ইশরাক ঢাকাবাসীকে নিয়ে এটা করছে। বিএনপির মধ্যে এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তা দেখতে হবে। সরকার যদি নির্বাচন বিষয়ে তার কথা না রাখে তাহলে তো বহু আন্দোলন করা যাবে। আমরা শেষ পর্যন্ত সরকারের অবস্থান ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই।

বৈঠকে আরও অংশ নেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫