Logo
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দুই থেকে তিন মাস লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসব উদ্যোগের ফলে আগামী জুন নাগাদ গড় মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ৭ শতাংশে নেমে আসবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার তুলনা করেন, এটি ঠিক নয়। তবে দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১২টি পুরোপুরি কার্যকর, বাকিগুলো খুঁড়িয়ে চলছে। এটিও বুঝতে হবে। তিনি বলেন, চালসহ বিভিন্ন দরকারি পণ্যের সরবরাহ এখন থেকে আর কমতে দেওয়া হবে না। চাল, ডাল, সারসহ এ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি করা হচ্ছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, মার্চে সংশোধিত বাজেটে ভ্যাট পর্যালোচনা করা হবে। এ সময় ফল আমদানিকারকদের দাবি অনুযায়ী ফলের বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে না। আন্দোলন করলে করুক। কিছুই করার নেই।


আরও খবর



একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

একটা পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। অথচ তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সোমবার (৩ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার কোনো চিন্তাভাবনা ছিল না হঠাৎ করে একটা সরকারের প্রধান হবো। এবং সেই দেশ এমন যেখানে সব তছনছ হয়ে গেছে। কোনো জিনিস আর ঠিকমতো কাজ করছে না। যা কিছু আছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হবে। আমার প্রথম চেষ্টা ছিল সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আসল চেহারাটা বের করে আনা। মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করে আনা।

তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অর্থনীতি সহজ করেছি। দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জন করেছি। এটাতো পরিষ্কার- সারা দুনিয়ায় আমরা আস্থা স্থাপন করতে পেরেছি। দেশের মানুষেরও আমাদের ওপর আস্থা আছে। আমাদের মধ্যে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিছু ভালো করেছে, কিছু ভালো করতে পারেনি। এটা হতে পারে। এটা আমিতো অস্বীকার করছি না।

ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, নতুন দলকে সরকার কোনো সহায়তা করে না। যে রাজনীতি করতে চায়, সে নিজেই ইস্তফা দিয়ে চলে গেছে। তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি ছিল সরকারের ভেতরে। যিনি রাজনীতি করতে মন স্থির করেছেন, তিনি ইস্তফা দিয়ে সরকার থেকে চলে গেছেন। উনি প্রাইভেট সিটিজেনশিপে রাজনীতি করবেন, কার বাধা দেওয়ার কী আছে?

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হয় নাই। আমি যেভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছি আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা এত বেশি এবং ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের এত ক্লোজ সম্পর্ক, সেটা থেকে আমরা বিচ্যুত হতে পারবো না।

তিনি বলেন, মাঝখানে কিছু কিছু দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, আমি বলেছি মেঘ দেখা দিয়েছে। এই মেঘগুলো মোটামুটি এসেছে অপপ্রচার থেকে। অপপ্রচারের সূত্র কারা সেটা অন্যরা বিচার করবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।

ড. ইউনূস বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রাইম মিনিস্টার মোদির সঙ্গে আমার প্রথম সপ্তাহেই কথাবার্তা হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সবাই মিলে যা ঠিক করবে আমরা তাই করবো। তবে, আমরা সব ভাই ভাই। আমাদেরকে এই দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে। যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিৎ, তার বিচার হতে হবে। এটুকুই শুধু।


আরও খবর



ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ নির্দেশনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল বাড়ানোসহ ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জিয়াউল হক মীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করাসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো—

১. ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে দেশব্যাপী সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে।

২. চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ দেশের অন্যান্য বড় বড় শহর ও বন্দরে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল বাড়াতে হবে।

8. গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের মালিক পক্ষ অর্থাৎ বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং শিল্প পুলিশ একত্রে বসে ঈদের পূর্বেই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, বোনাস ইত্যাদি পরিশোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫. সাধারণ জনগণের ঈদ উপলক্ষে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে হবে। মার্কেটগুলোতে বিশেষ রাত্রিকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল মার্কেট সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ নিশ্চিতকল্পে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, লঞ্চ/ফেরিঘাটে অনিয়ম ও অবৈধ সিরিয়াল প্রদানের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করা, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করা এবং পরিবহনে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৭. ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে যথাযথ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে যানজট নিরসনে ইটিসিসহ (Electronic Toll Collection) দ্রুত টোল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯. যানজট নিরসনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক চিহ্নিত ১৫৫ স্পটে আইপি/সিসি ক্যামেরা স্থাপনপূর্বক ঈদুল ফিতরের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময় মনিটরিং জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনে অধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা যেতে পারে;

১০. যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ঈদের পূর্বের সাত দিন ও পরের সাত দিন সুনির্দিষ্ট পূর্ব তথ্য ব্যতীত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সড়কের ওপরে মোটরযান তথা যানবাহন থামানো যাবে না;

১১. অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন ব্যতীত স্থলবন্দর ও নৌবন্দরসহ যেকোনও জায়গা থেকে ছেড়ে আসা নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ও লম্বা যানবাহনসমূহ ঈদের পূর্বের তিন দিন এবং পরের তিন দিন যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে বা নৌ-রুটে ফেরি পারাপার করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

১২. ঈদের আগে ও পরে পাঁচ দিন করে নদীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে;

১৩. বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও নৌ-পথে আকস্মিক দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ পরিচালনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম, রেসকিউ বোট, ডুবুরি, অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদিসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ডের সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে;

১৪. দুর্ঘটনা কবলিত অথবা রাস্তা/ব্রিজে কোনও গাড়ি নষ্ট হলে দ্রুত দুর্ঘটনা কবলিত/অকেজো গাড়ি অপসারণ/রেকারিং করে পার্শ্ববর্তী খালি জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে। যমুনা ও পদ্মা সেতুসহ যানজট প্রবণ এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক রেকারের ব্যবস্থা রাখতে হবে;

১৫. ঈদের সময় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অধিদফতর এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক কন্ট্রোলরুম স্থাপন করতে হবে। সকল কন্ট্রোল রুমকে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ০১৩২০০০১২২৩-নম্বরে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।

এছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের সংযোগ স্থাপনপূর্বক সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় সমন্বয় জোরদার করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা রাখা বা না খেয়ে থাকাকে মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় অটোফেজি বলে। ২০১৬ সালে জাপানের ডাক্তার ওশিনরি ওসুমি এটি আবিষ্কার করে নোবেল পুরস্কার জয় করেন এবং এরপরে থেকে বিশ্বের বহু মানুষ অটোফেজি করতে শুরু করেন।

Autophagy কি?

আমাদের শরীরের কোষগুলো বাইরে থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় একে অটোফেজি বলা হয়।

একটু সহজভাবে বলি- আমাদের ঘরে যেমন ডাস্টবিন থাকে, আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে। যেখানে শরীরের অপ্রয়োজনীয় বর্জ জমা হয়। আমাদের খাদ্যাভাস এবং লাইফ স্টাইলের জন্য শরীরের কোষ থেকে ওই বর্জগুলো সাধারণত পরিস্কার করা হয় না। ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের সৃষ্টি হয়। ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতন অনেক বড় বড় রোগের

শুরু হয় ওই কোষের ডাস্টবিন থেকে।

আমরা যখন রোজা রাখি বা খালি পেটে থাকি, তখন শরীরের কোষগুলো পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে ডাস্টবিনে মুখ দেয়। অর্থাৎ বর্জগুলো খেয়ে ফেলে। এতে আমাদের শরীর অনেক জটিল কঠিন রোগ থেকে রেহাই পায়। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি।

জাপানের বিজ্ঞানী ওশিনরি ওসুমি আবিষ্কার করেন- একজন মানুষ বছরে অন্তত একমাস রোজা রাখলে বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে নিম্নলিখিত উপকারগুলো হয়-

১| দেহের সেল বা কোষ পরিস্কার হয়।

২| ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়।

৩| পাকস্থলীর প্রদাহ সেরে যায়।

৪| ব্রেইনের কার্যকরীতা বাড়ে।

৫| শরীর নিজেই নিজেকে মেরামত করে, (Autophazy)

৬| ডায়াবেটিস ভালো হয়।

৭| বার্ধক্য দেরিতে আসে।

৮| স্থূলতা দূর হয়।

৯| দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রমজান মাসে সবগুলো রোজা রাখার তৌফিক দান করুক, আমিন।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মত শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। 

আজ ২৫ শে মার্চ (সোমবার) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদকে সভাপতি এবং সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাকসুদুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।


মাভাবিপ্রবি শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র সংগঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টামণ্ডলীর সর্বসম্মতিতে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উপদেষ্টা হিসাবে রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সাহা, এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়, সিপিএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, মো: আওরঙ্গজেব আকন্দ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল হালিম, সহকারী রেজিস্ট্রার আজাদ খান ভাসানী।


সংগঠনের বাকি সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান সাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোছা. সুখী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক চৌধুরী, মো. আশরাফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান রাব্বি, আশরাফুল আলম হৃদয়, কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল মিয়া, উপ-কোষাধ্যক্ষ 

মো. সজিব শেখ, দপ্তর সম্পাদক এস. এম. জাহিদ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সমাপ্তী খান, গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. হৃদয় হোসাইন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. নাজমুল হাসান ভূঁইয়া, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবিদ ফেরদৌস মিয়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নাইস আক্তার সারা, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকমিজানুর রহমান ইমন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শুভ, কার্যনির্বাহী সদস্য, তুষার আহমেদ,অনিক ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান রাকিব, ইসরাত জাহান এ্যাথি, ইসরাত জাহান ঈশা, সাদিয়া জান্নাত, সিদ্দিক আল ছোয়াদ, মো. নাঈম ইসলাম, নুসরাত জাহান অর্পি, তাসনিম খান অয়োমী, সিফাত,নাসিমুল হাসনাত চৌধুরী আকিব, আমজাদ হোসেন, জিসান রহমান, ফারিয়া আক্তার, মো. ইমরান হোসেন, নোমান হাসান।


সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি তৌকির আহমেদ বলেন, "আজ শহিদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি এর নির্বাহী কমিটি (২০২৪-২৫) এর যাত্রা শুরু হলো। এ কমিটি করার পিছনে আমাদের সম্মানিত উপদেষ্টা স্যারদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। ২০২৪ এর ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ আমাদের সংগঠনের উদ্ধোধনী যাত্রা শুরু করেছিলাম। প্রথম কমিটি আহ্বায়ক কমিটি করে যাত্রা শুরু করেছিলাম। বর্তমানে সংগঠনের পূর্ণ রূপ দিতে এবং নতুন নেতৃত্ব বের করে আনার জন্য এই নির্বাহী কমিটির প্রয়োজন। আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা করা। সকলের মাঝে ইতিহাসে ঘটে যাওয়া শহিদদের ঘটনা নিরপেক্ষ ভাবে বিশ্লেষণ ও সঠিক তথ্য প্রচার করা। সত্যনিষ্ঠ গবেষণা ও আলোচনার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাসের জ্ঞান বিস্তার করা। ইতিহাস ও সংগ্রামের শিক্ষাকে আধুনিক সমাজে স্থান দেয়া। আমি চাই, এ সংগঠন আজকের পর থেকে এভাবে ধারাবাহিকভাবে ধারা অব্যাহত রাখুক। সকল সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধির চর্চায় এগিয়ে যাক।"

প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদুল হাসান বলেন, "জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সত্যকে জানা এবং সত্যকে জানানোই আমাদের লক্ষ্য। এর দ্বারা সবার মাঝে যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করবে তা ভবিষ্যৎ সংগ্রামের জন্য উৎসাহ যোগাবে ইন শাহ আল্লাহ।

প্রসঙ্গত জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব, সংগ্রাম” এই মূলনীতিকে সামনে রেখে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে “শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র, মাভাবিপ্রবি”র অফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয়েছে।"


আরও খবর



তীব্র খাদ্য ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহ তহবিলে তীব্র ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলছে, দ্রুত তহবিল পাওয়া না গেলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মাসিক রেশনের পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমাতে হবে। ০৭ মার্চ ঢাকা থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএফপি এ সতর্কতা জারি করে।

আগামী এপ্রিল মাসে পূর্ণ রেশন বজায় রাখার জন্য জরুরিভাবে ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দরকার বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। সংস্থাটির মতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

সংস্থাটি জানায়, রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশনের জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ বর্তমানে সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার। জরুরি নতুন তহবিল না পেলে তা প্রায় অর্ধেক করে ছয় মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে হবে। আর এটা ঘটবে এমন সময় যখন রমজানের শেষের দিকে তাঁরা ঈদ উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী সংকটগুলোর মধ্যে একটি অভিহিত করে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির পরিচালক ডম স্ক্যাল্পেলি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য সহায়তায় যেকোনো হ্রাস তাদের ক্ষুধার গভীরে ঠেলে দেবে এবং বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।’

এর আগে ২০২৩ সালে তহবিলের তীব্র সীমাবদ্ধতার কারণে ডব্লিউএফপি প্রতি মাসে প্রতি ব্যক্তির রেশন ১২ মার্কিন ডলার থেকে ৮ মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এর পরিণতিতে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দেয়। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির মাত্রার বাড়ে। এরপর তহবিল পাওয়ার পর রেশন বাড়ানো হয়।

স্ক্যালপেল্লি বলেন, এখন আমাদের আগের চেয়ে আরও বেশি করে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। এই পরিবারগুলোর আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। ডব্লিউএফপির খাদ্যসহায়তাই হলো তাদের বাঁচা আর হতাশার মধ্যে পার্থক্য। এ সংকট আরও বাড়তে না দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


আরও খবর