Logo
শিরোনাম

ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৭

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস-সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার আলালপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- ফুলপুর উপজেলার চর আশাবট গ্রামের বাবলু (৫৫), তার স্ত্রী শীলা (৪০) ও ছেলে সাদমান (১০)।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত বাকি চারজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতদের মধ্যে একজন সিএনজির চালক বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ফুলপুর থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাস অটোরিকশাটিকে মুখোমুখি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজির চালকসহ সবার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুল খালেক বলেন, অটোরিকশাটি ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। এ সময় তারাকান্দাগামী একটি মাহেন্দ্রকে যাত্রীবাহী অটোরিকশাটি পাশ কাটিয়ে ওভারটেক করতে গিয়ে হঠাৎ দ্রুতগামী বাসের মুখোমুখি পড়ে যায়। এরপর বাসটি প্রায় ৩০ গজ সামনে গিয়ে ব্রেক করে। এতে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশায় থাকা সবার মৃত্যু হয়।

এদিকে শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এই দুর্ঘটনায় দুই পাশের অসংখ্য যান আটকা পড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সড়কের যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বতর্মানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।


আরও খবর



ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, অনেক প্রাণহানির শঙ্কা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

দেশজুড়ে চৈত্রের তীব্র গরমে নাজেহাল জনজীবন। এরই মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এই দাবদাহের মাঝে আশার আলো হিসেবে এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি প্রত্যাশা করছে দেশবাসী।

কিন্তু আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এক দুঃসংবাদ দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি এই ঝড়ে প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

২০ মার্চ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ২২ ও ২৩ মার্চ সারাদেশের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি অতিক্রম করতে পারে। বিশেষ করে ২৩ মার্চ ঝড়টি তেঁতুলিয়া দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে টেকনাফ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২৩ মার্চ ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও প্রবল কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত বয়ে যেতে পারে। এর ফলে বজ্রপাতে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এই গবেষক বলেন, হিমাগারের সামনে অপেক্ষারত আলু চাষিদের উৎপাদিত আলু দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মানুষের শর্করার চাহিদা পূরণে আলু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাই এটি সঠিক সময়ে সংরক্ষণ করা দরকার।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের ১২টি অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। এসব অঞ্চলের মধ্যে রয়েছেরাজশাহী, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেট।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এসব অঞ্চলে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দেশের আবহাওয়ার এমন রূপ দেখে সাধারণ মানুষ এখন একদিকে গরম থেকে মুক্তির জন্য বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকলেও, অন্যদিকে শক্তিশালী কালবৈশাখীর সম্ভাবনায় শঙ্কিত।


আরও খবর



শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ফাল্গুনের শেষ দিকে এসে বেড়েছে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি, এবং তাপমাত্রার পারদও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদফতর চলতি মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি তীব্র কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহের মতো বিপজ্জনক আবহাওয়া পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন মাসে অন্তত ৮ দিন বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে এবং ২ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, মার্চ থেকে মে মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হওয়া সাধারণ ঘটনা হবে, তবে এগুলোর তীব্রতা এবং ঘণত্ব কখনও বেশি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, এই সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি বিপদের আশঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য। ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে, তবে তীব্র ঝড়, বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই তিন মাসে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ৪ থেকে ৭টি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই তাপপ্রবাহগুলোর তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যা মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়। তবে, কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে পরিচিত।

এছাড়া, কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে আসা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাতাসের গতিবেগও ভয়াবহ হতে পারে, যা স্থানীয়ভাবে বৃক্ষপতন এবং তীব্র বৃষ্টির সৃষ্টি করতে পারে। এসব আবহাওয়ার কারণে কৃষি, সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পরিবহন ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর



তুরস্কে এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উত্তাল তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

গত ১৯ মার্চ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে তুরস্কের পুলিশ। এরপরই রাজধানী ইস্তানবুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১৩ সালের পর তুরস্কে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন। সেবার বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।

বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ইস্তানবুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জনসমাগমের ওপর পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, শুক্রবার ইস্তানবুলে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমিরেও বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের কঠোর অবস্থানের তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই এরদোয়ানের শাসনকে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ বলে অভিহিত করে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

বিক্ষোভের কারণ কী?

সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে। ফলে দেশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ অভিবাসনের চিন্তা করছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই অর্থনৈতিক দুরবস্থাই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।

২০২৩ সালে পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ সুযোগ পেলে তুরস্ক ছাড়তে চান।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ঠিকভাবে কার্যকর নেই। অন্যদিকে, ইমামোলুর বক্তব্যে তারা আশার আলো দেখছেন। তাই তার গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে।

বিরোধী নেতাদের ধরপাকড়

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

সমালোচকদের দাবি, ২০২৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিরোধী দলীয় নেতাদের দমন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইস্তানবুলের মেয়রসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ইমামোলু তুরস্কের জনপ্রিয় বিরোধী নেতা এবং এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে অযোগ্য করতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

তুরস্কের আইন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকা আবশ্যক।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ

ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেছেন, “ইমামোলুর গ্রেপ্তার ও তার সনদ বাতিল গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।”

তবে প্রশাসন এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, তুরস্কের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন।

দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যম জুমহুরিয়েত-এর খবরে বলা হয়েছে, ইমামোলুকে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, “দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে কেউ বিক্ষোভ করলে তা সহ্য করা হবে না। আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করা হবে।”

তিনি বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে’ জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন।

নতুন কৌশলে বিরোধীরা

ইমামোলুকে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কয়েক দিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিরোধী দলের নেতা ওজগুর ওজেল দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “সাংবিধানিকভাবে ইমামোলুকে হারাতে না পেরে আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

তবে ইমামোলুর গ্রেফতার সত্ত্বেও প্রাথমিক নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।

বিক্ষোভ দমনে প্রশাসনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ

বিশ্লেষকদের ধারণা, তুরস্ক সরকার ইমামোলুকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে তার স্থানে ট্রাস্টি নিয়োগ করতে পারে।

এর কারণ, তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্ররা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে। প্রশাসন যদি ইমামোলুকে এই সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দাবি করে, তাহলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, বিরোধীরা জানিয়েছেন, ৬ এপ্রিল একটি বাহ্যিক কংগ্রেস ঘোষণা করা হবে। সেখানে নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনার ঘোষণা আসতে পারে।


আরও খবর

হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫




ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মা খাদিজা (রাঃ) অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় খানকা শরীফে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, বরুড়া আয়োজিত ইফতার ও মিলাদ মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেন,"প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সততায় মুগ্ধ হয়ে হযরত মা খাদিজা (রাঃ) তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি। নবুয়্যতপ্রাপ্তি ও ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে দুর্গম ও কণ্টকময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, সে কঠিন মুহূর্তে তিনি সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে সবসময় মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে ছিলেন। উঁচু হেরা পাহাড়ের গুহার সেই বন্ধুর পথ তিনি প্রতিদিন পাড়ি দিতেন শুধুমাত্র রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি তার অসীম ভালোবাসার জন্য।"


সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী আরো বলেন,"বিশেষত, ইসলামের বাণী প্রচারের সূচনালগ্নে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)  যখন কাফিরদের অত্যাচার ও বিদ্বেষের  তীরের আঘাতে জর্জরিত, তখন প্রেরণার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিলেন মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ)। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি আত্নত্যাগের জন্যই তিনি লাভ করেছেন, 'উম্মুল মু'মিনীন' বা 'বিশ্বাসীদের মা' এর মহৎ মর্যাদা। তিনি নিজের সব ধন-সম্পদ ইসলামের প্রচারের লক্ষ্যে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কদম মুবারকে উৎসর্গ করেন। এত ধনী পরিবারের সন্তান হয়েও মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং ইসলামের জন্য তিনি রাজত্ব ছেড়ে দারিদ্র্যকে আলিঙ্গন করেছেন। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাত্র ২৩ বছরে তৎকালীন বর্বর আরব জাতিকে ইসলামি চেতনায় উজ্জীবিত একটি মানবিক জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন অগণিত ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে। ১৪০০ বছর আগে তিনি যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, আজও তার অনুসরণে বিশ্ববাসী পাচ্ছে মুক্তির দিশা। আজ ইসলামের পতাকা বিশ্বের কোণে কোণে পৌঁছে গিয়েছে। আর এ অনন্য সফলতার পেছনে হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) এর অবদান অনস্বীকার্য। তার জীবনাদর্শ থেকে আমরা প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও ইসলামের প্রতি আমাদের ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত তার যেমন শিক্ষা পাই, তেমনি আদর্শ মা এবং দাম্পত্য জীবনকেও রঙিনভাবে সাঁজাতে পারি। যে দিক থেকেই বিশ্লেষণ করা হোক না কেন, হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দেদীপ্যমান নিদর্শন আমাদের মাঝে রেখে গেছেন।

মাহ্ফিলে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের খলিফাবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ এবং হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



৪০ দিনের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আজ (২ মার্চ) থেকে এ ছুটি শুরু, আগামী ৮ এপ্রিল খুলবে এসব প্রতিষ্ঠান। এ ছুটি সরকারি ও বেসরকারি সব পর্যায়ে স্কুলের জন্য প্রযোজ্য।

শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান মাস, শুভ দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবেকদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি ২ মার্চ শুরু হবে। ছুটি শেষ হবে ৮ এপ্রিল। পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে ২ মার্চ। ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুক্র ও শনিবারের ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সর্বশেষ ক্লাস হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। সে হিসাবে টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, ছুটির ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। চলতি বছরের রমজান, ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার ছুটি মিলে যাওয়ায় লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানে টানা দুই মাস ১০ দিন ছুটি থাকবে।


আরও খবর