Logo
শিরোনাম

নানা সমস্যায় জর্জরিত মাভাবিপ্রবি ভেটেরিনারি অনুষদ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image


মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি ) ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এনিমেল সায়েন্স  অনুষদটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।চলতি বছরের ১ লা ফেব্রুয়ারি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগের সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাভাবিপ্রবি অনুষদ হিসেবে যুক্ত করা হয়। 

বর্তমানে মাভাবিপ্রবির এ অনুষদটিতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত দুটি ব্যাচে  ১০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র এগারো জন যারা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে কর্মরত আছেন। নেই কোন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক। খেলার মাঠ অনুপোযোগী, বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা, বৈদ্যুতিক বাল্ব সমস্যা, বৈদ্যুতিক বিভ্রাট, জিমনেসিয়ামে সরঞ্জাম নেই, কম্পিউটারের স্বল্পতা (১৪টি কম্পিউটার), পাঠাগারে বইয়ের স্বল্পতা (৮৪৩টি বই), মেডিকেল সেন্টার ডাক্তার নেই ও মসজিদে মুয়াজ্জিন নেই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং থেকে ৩৬ জন কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে আসেন না বললেই চলে। ফলে ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বলে কিছু নেই। বিশ^মানের ‘ডিভিএম’ (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে ল্যাবগুলোতে আনা হয় অনেক দামি রাসায়নিক ও যন্ত্রপাতি। কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন মাহমুদ বলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরও দীর্ঘ নয় মাসেও সংকট সমাধান না হওয়ায় আমরা শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার আশংকা করছি। ভেটেরিনারি মেডিসিনের মতো টেকনিকাল বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে অপর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে, যা মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি অন্তরায়। অন্যদিকে ল্যাবগুলোতে ব্যাবহারযোগ্য পর্যাপ্ত ল্যাব ইক্যুইপমেন্ট না থাকার কারণে আমরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ইতোমধ্যে করোনাসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের দীর্ঘ ৩ বছরের সেশনজটে পড়তে হয়েছে। এ সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি। আমরা মাননীয় উপাচার্য স্যারের নিকট সকল সমস্যা সমাধানের আবেদন করছি।

প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার বলেন, এই অনুষদের মেডিকেল সেন্টারে কোনো ডাক্তার নেই। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাকে দূরবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় এবং এক্ষেত্রে মেডিকেল সেন্টারে কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কোনো বাসের ব্যাবস্থা নেই। এখানে এনিমেল সেড থাকলেও শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত প্রাণি নেই। চলমান সংকট সমাধানের মাধ্যমে তীব্র সেশনজট কমিয়ে আনতে (৪ থেকে ৫ মাসে সেমিস্টার) উপাচার্যের নিকট অনুরোধ করছি।

মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১১ জানুয়ারি ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিয়েছেন আপনারা একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের বেশ কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি আকারে নিতে চাই তাহলে আমাকে একাডেমিক কাউন্সিলে পাস করাতে হবে, এটি কি ফ্যাকাল্টি হবে সেটা পাস করাতে হবে, কি কারিকুলাম হবে, পাস করাতে হবে, এটি নিয়ে একটি অর্ডিন্যান্স করতে হবে।

ক্ষথীদের ক্লাস শেষ পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেখলাম এখানের সিলেবাস শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোকে, সেই অর্ডিন্যান্সের ভিত্তি‌ করে ক্লাসও হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্ধতি ভিন্ন রকমের। দুটার মধ্যে সমন্বয় করে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিলাম। এই প্রতিষ্ঠানটি যদি পুরোপুরি আমাদের হস্তান্তর করা না করা হয় তাহলে আমরা যেটুকু এগিয়ে গিয়েছি এবং যে পরীক্ষাগুলো নেয়ার চেষ্টা করতেছি এই পরীক্ষাগুলো নেয়ার পরপরই আমাদের এক্টিভিটিস বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আগাতে পারবো না। এই ক্যাম্পাসটি পরিচালনা করতে বাজেট ঘাটতি রয়েছে। যে কয়জন শিক্ষক তা খুবই কম। শিক্ষক কমপক্ষে ৪০ জন লাগবে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষক বিভিন্ন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন এবং বড় অর্থ ব্যয় করেছেন সেই অর্থটা কাজে লাগানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পশু পালন মন্ত্রণালয়, সর্বোপরি ইউজিসি কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব আমরা যে বাজেট সাবমিট করেছি বাজেট পাস করে পুরোপুরি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি।

এই বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুর রহিম বলেন, কলেজের যেসকল সমস্যা ছিল সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



নওগাঁ-৬ এমপি হেলালের হাতেই নৌকার বৈঠা দিলেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল। রবিবার ২৬ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে চ‚ড়ান্তভাবে জানান দিয়েছেন নৌকার মাঝির নাম। এমপি হেলালের নাম ঘোষণা হওয়ার পরপরই নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এর আগে গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন কে হচ্ছে গুরুত্বপ‚র্ণ এই আসনের নৌকার মাঝি। 

তপশিল ঘোষণা হওয়ার পর শুরু হয়েছিল মনোনয়ন ফরম দেওয়ার লড়াই। ফলে এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১০জন। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত রবিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে এমপি হেলালের নাম ঘোষণা দেন। বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলালের হাতেই নৌকার বৈঠা তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য নাম প্রকাশ হওয়ার পরপরই ধন্যবাদ দিতেও ভ‚লেননি এমপি হেলাল।

নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে সর্বশেষ আসন নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) এটি। জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬। এ আসনটি জাতীয় সংসদের ৫১ নম্বর নির্বাচনী এলাকা। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৩লক্ষ ১৯হাজার৩৩৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ ১লক্ষ৬১হাজার৭৭ জন, নারী ১লক্ষ৫৮হাজার২৭১ জন এবং হিজড়া ২জন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন তৎকালীন ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত নেতা ইসরাফিল আলম। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আবারও আসনটি দখলে রাখেন ইসরাফিল আলম। গত ২০২০ সালের ২৭জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইসরাফিল আলম। এরপর উপনির্বাচনে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলালকে নৌকার মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। উপ-নির্বাচনে বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল জয়ী হওয়ার পর সাংগঠনিকভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা ও বিভিন্ন উন্নয়নম‚ল কাজের জন্য তিনি আবারও পেয়েছেন বলে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী মনে করছেন। 

এমপি হেলাল বলেন, গত উপ-নির্বাচনে ৩৪ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এ আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়ে সংসদে গিয়েছিলাম। এমপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ধরে রেখেছি। আবারও এ আসনটি তাকে উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমি আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্যায় অবিচার দ‚র করে সাম্যের সমাজ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, সিইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এবং আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



সর্বোচ্চ দামে রেমিট্যান্সের ডলার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকার আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয় সম্প্রতি এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো বাড়তি আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দেয় তবে ব্যাংকের প্রণোদনা দেয়া বাধ্যতামূলক না এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দাম কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দর দেয়া যাবে না

ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

প্রায় দুই বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে এই সংকট সমাধানে নানা উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪৫০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে সরকারের বিদেশি কেনাকাটার দায়ও পরিশোধ করা হচ্ছে এর ফলে রিজার্ভে ধারাবাহিক পতন অব্যাহত রয়েছে

এর আগে গত সেপ্টেম্বর এবিবি বাফেদা প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে রপ্তানি রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে রেমিট্যান্সে ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে প্রণোদনা দিতে পারবে বলে জানানো হয়। তবে বেশিরভাগ ব্যাংক দরে ডলার পাচ্ছে না। এখন ১২২ টাকা থেকে ১২৪ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে অনেক ব্যাংক

যদিও দুর্নীতি বিদেশে টাকা পাচারের কারণে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। এছাড়া অস্বাভাবিক মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত ডলার কিনে মজুদ করে রাখছেন। এর ফলে ডলার সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা

এদিকে কমতে থাকা রিজার্ভ থেকে আর কোন খাতে বিনিয়োগ করবেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তিনি বলেন, এখন থেকে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে দেশের অভ্যন্তরে আর ডলার বিনিয়োগ করা হবে না। যেসব খাতে রিজার্ভ বিনিয়োগ করা হয় তাও কমিয়ে আনা হবে। ইতিমধ্যে সাড়ে বিলিয়নের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সাড়ে তিন বিলিয়ন করা হয়েছে। পায়রা বন্দরের ঋণ আদায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন ডলার আসবে। তখন রিজার্ভ বাড়বে

অস্বাভাবিক মুনাফা লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত ডলার মজুদ করে রাখছে প্রতিদিন টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্যে হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড খোলাবাজারে ডলারের দাম এরই মধ্যে ১২১ টাকা ছাড়িয়ে গেছে আর সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় ডলার কিনছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সবচেয়ে বেশি দরে ডলার কেনা হচ্ছে


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




ইতালিতে শ্রমিক আমদানি, ২ ডিসেম্বর 'ক্লিক ডে'

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার :

ইতালির যর্জা মেলোনি সরকার আগামী ৩ বছরে ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক আমদানির ঘোষনা দিয়েছে। ২০২৩ সালে ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার শ্রমিক আমদানি করা হবে। 

এ বিষয়ক সরকারি গেজেটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১ লাখ ৩৬ হাজার শ্রমিক আমদানির জন্যে ডিসেম্বরের ২, ৪ এবং ৮ তারিখ থেকে আবেদন জমা নেয়া শুরু হবে। আবেদন ফর্ম ইতমধ্যে মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

২ ডিসেম্বর স্থায়ী শ্রমিক বা নন সিজন্যাল শ্রমিকের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। এই ক্যাটাগরিতে ৫২ হাজার শ্রমিককে ভিসা দেয়া হবে। ৪ তারিখ গৃহকাজের জন্যে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এতে বেবি এবং বয়স্ক সিটিংসহ প্রায় ১০ হাজার ভিসা দেয়া হবে। ৮ ডিসেম্বর তারিখে সিজন্যাল ক্যাটাগরির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং ৮২ হাজার ভিসা দেয়া হবে।

আবেদন গ্রহণ শুরুর দিনকে ইতালিতে 'ক্লিক ডে' বলা হয়। সুতরাং ২০২৩ সালের ক্লিক ডে হলো- ২, ৪ এবং ৮ ডিসেম্বর। 

এছাড়া সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে ২০২৪ সালের ১ লাখ ৫১ হাজার শ্রমিকের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের ক্লিক ডে- ৫,৭ এবং ১২ ফেব্রুয়ারী।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

কোনো শ্রমিক সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। শ্রমিকের পক্ষে নিয়োগদাতা অনলাইনে নির্দিষ্ট ফর্ম পুরণ করে আবেদন করবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিগত দিনের ট্যাক্স প্রদান নিয়মিত এবং গৃহ মালিকদের নির্দিষ্ট অংকের বার্ষিক আয় থাকতে হবে। নিজের বাড়ি বা ভাড়া বাড়ির কন্ট্রাক থাকতে হবে। ইতালিয় ডকুমেন্ট 'কার্তা দি সোজর্ণ'ধারী অভিবাসীরাও শ্রমিক আমদানি করতে পারবেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা গৃহ কাজের জন্যে।

নিয়োগপ্রাপ্ত হতে কী যোগ্যতা লাগবে?

বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। অন্তত ২ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট থাকতে হবে। যারা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন তাদের কর্মদক্ষতার প্রমাণাদি থাকতে হবে। শিক্ষাগত কোনো সনদ প্রয়োজন হবে না।

কত খরচ হবে?

আবেদন করতে শ্রমিকের খরচ হওয়ার সুযোগ নেই। আবেদনকারী বা নিয়োগদাতার খরচ হয় ১৬ ইউরো। অর্থাৎ আবেদনের সঙ্গে ১৬ ইউরো মূল্যের একটি ডাকটিকেট (মার্কা দা বোল্লো্) সংযোগ করতে হয়। এর বাইরে আবেদন ফর্ম পুরণ করতে যদি কোনো হেল্প ডেক্সের সহযোগীতা নেয়া হয়, সেখানে এক থেকে দেড়শ ইউরো খরচ হতে পারে। কিন্তু একজন শ্রমিক যেহেতু সরাসরি আবেদন করতে পারেন না বা বাংলাদেশে বসে ইতালিয় নিয়োগদাতা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব প্রায়, মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায় একজন 'মধ্যস্বত্বভোগী'। মূলত শ্রমিকের কাছ থেকে সে'ই মোটা অংকের অর্থ নেয়। যা ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড়ায়।

কত টাকা আয় করা যাবে?

যারা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তারা নিয়োগের স্তর বুঝে পারিশ্রমিক পাবেন, যা মাসিক ১৫শ থেকে ২৫শ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। যারা অদক্ষ বা মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, তারা মাসে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। যদি নিয়োগদাতার সঙ্গে থাকা-খাওয়ার চুক্তি থাকে তবে আয়ের বড় অংশ সঞ্চয় করা যায়, অন্যথায় এতে বড় একটা অংশ বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ একজন মৌসুমী শ্রমিক যদি ইতালি আসতে ৬ লাখ টাকা খরচ করনে, তা কোনো ভাবেই এক সিজনে (৯ মাস) সঞ্চয় করা সম্ভব হয় না।

কতদিন ইতালিতে থাকা ও কাজ করা যাবে?

যারা নন সিজন্যার শ্রমিক হিসেবে আসেন তাদের ইতালিয় ডকুমেন্ট (পেরমেচ্ছো দি সোজর্ণ) নবায়ন করা হয় সাধারণত ২ বছর অন্তর। যারা অদক্ষ বা সিজন্যাল ভিসায় আসবেন তারা সর্বোচ্চ ৯ মাসের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। ৯ মাস পর অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।

বাংলাদেশের জন্যে কী কোটা আছে?

অতীতে বাংলাদেশের জন্যে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের কোটা বেধে দেয়া হলেও এখন কোনো কোটা নেই। মেলোনি সরকার দেশ ভিত্তিক কোটা পদ্ধুতি উঠিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশসহ কোনো দেশের জন্যেই নির্দিষ্ট কোনো কোটা নেই।

আবেদনের শেষ তারিখ কবে?

অতীতে আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ উল্লেখ থাকলেও এবার সরকারি গেজেটে কোনো তরিখ উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ ২০২৩ সালের মোট ১ লাখ ৩৬ হাজারের কোটা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ চলবে। তবে সাধারণত ক্লিক ডে'র প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই কোটা পুরণ হয়ে যায়।

আবেদন করলেই কী ইতালিতে যাওয়া যাবে? 

প্রতিটা আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। আবেদনের সকল শর্ত ঠিক থাকলে এবং কোটার আওতায় থাকলে ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে 'নূল্যা-ওস্তা' (ভিসার অনুমোদনপত্র) বা এনওসি দেয়া হবে নিয়োগদাতার কাছে। নিয়োগদাতা সেটা পাঠাবেন শ্রমিকের কাছে। শ্রমিক সেটা জমা দিয়ে ঢাকার ইতালিয় দূতাবাস বা ভিসা এজেন্সিতে ভিসার জন্যে আবেদন করবেন। সাধারণত নূল্যা-ওস্তায় কোনো অসঙ্গতি না থাকলে ভিসা রিফিউজ করা হয় না। অতীতে দালাল চক্র নকল নূল্যা-ওস্তা দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করার খবর ইতালিয় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।

সিজন্যাল এবং নন সিজন্যাল ভিসার পার্থক্য কী?

সিজন্যাল ভিসা বা স্পন্সর হলো মৌসুমি শ্রমিকদের জন্যে। গৃষ্মের সময়ে ইতালির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিজন্যাল শ্রমিক দরকার হয়। যেমন, পর্যটক নির্ভর ব্যবসা, কৃষি কাজ, ইত্যাদী। এসব কাজের জন্যে প্রতি বছর ইতালিতে ৬ থেকে ৯ মাসের জন্যে সিজন্যাল শ্রমিক আমদানি করা হয়। এই ক্যাটাগরির ভিসাকে স্তাজোনালে বা সিজন্যাল ভিসা বলে। বাংলাদেশে অনেকে এটাকে 'কৃষি ভিসা' নামে জানে।

৬ থেকে ৯ মাসের সিজন্যাল ভিসায় যারা ইতালিতে আসেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হলে বাধ্যতামূলক তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়। না গেলে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে গণ্য হয় এবং দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হয়। ইতালিতে অবৈধ অভিবাসীরা রেগলার কোনো চাকরি পায় না। পুলিশের চোখ এড়িয়ে হকারি করে জীবন নির্বাহ করতে হয়।

নন সিজন্যাল ভিসা বা 'সুবোরদিনাতো' হলো স্থায়ী শ্রমিকের ভিসা। এই ক্যাটাগরিতে একজন শ্রমিক ইচ্ছা করলে সারাজীবন ইতালিতে থাকতে পারবে, যদি বিশেষ কোনো অপরাধে না জড়ায়। কল-কারখানা, হোটেল-রেষ্ট্ররেন্ট, গৃহ শ্রমিক, নার্স, বেবি সিটার, ইলেট্রিশিয়ান, বাস-ট্রাক ড্রাইভার, মেকানিক, খাদ্য প্রস্তুত এবং সরবরাহ, ভবর নির্মান, জাহাজ নির্মান, টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকদের জন্যে এই ভিসা দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স ইতালিতে অনুমোদিত না হওয়ায়, ড্রাইভার পদে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ পাওয়া যাবে না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশের ড্রাইভংলাইন্স ইতালিতে অনুমোদিত, ওইসব দেশের প্রবাসীরা আবেদন করতে পারবেন।

ইতালি এখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও অনুকুল একটা দেশ। ২০২২-২৩ সালে ইতালির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করতে বাংলাদেশি ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেয়া হয়েছে। এর জন্যে ইতালিয় বিশ্ববিদ্যায়লগুলোয় যোগাযোগ করতে হবে। সহজ স্কলারশিপসহ কম খরচে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইতালি এখন এশিয়ানদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় দেশ।

উল্লেখ্য, ইতালিতে সাধারণ বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশ সুনাম আছে। নিয়োগদাতারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের পছন্দ করেন। ২০২২-২৩ সালের এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে ভিসা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



কিশোরগঞ্জে নিহত ২, পুলিশসহ আহত ২০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৩ দিনের অবরোধ শুরুর প্রথম দিন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে ১ জন নিহত হয়েছেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে ২ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- বড় ছয়সূতি ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা শেফায়েত উল্লাহ (২০) ও একই ইউনিয়নের কৃষকদল সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩০)।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বলেন, অবরোধের প্রথম দিনে মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে ছয়সূতি ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নিয়ে উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়ামাত্র আগে থেকে অবস্থান নেওয়া পুলিশ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ২০ থেকে ২৫ জন আহত হন।

পুলিশের দাবি, মিছিলকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আগে পুলিশের ওপর হামলা করেন। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ পাশের একটি বাড়িতে অবস্থান নেয়। সেখানে গিয়েও বিএনপির কর্মীরা হামলা করেন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিছিলকারীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, মিছিলকারীরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালান। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের অনেকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমার জানামতে এ ঘটনায় একজন মারা গেছেন। তবে সেটি গুলিতে, নাকি অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন, তা নিশ্চিত নয়।


আরও খবর



বিভিন্ন জেলায় ১১ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চাঁদপুর, ঢাকা, বগুড়া, সিলেট, নোয়াখালী, গাজীপুর চট্টগ্রামে যানবাহনে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা

চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোট-বড় অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৮টার পর মহাসড়কের ঘোষেরহাট পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে

পুলিশ জানায়, দুর্বৃত্তদের হামলায় গাড়িচালক যাত্রী মিলিয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি

ঘটনার পর চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার পর অনেকক্ষণ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে পুলিশ পাশাপাশি ছাত্রলীগ কর্মীরা অবস্থান করছেন। তবে জনমনে আতঙ্ক কাটেনি

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি কারা, কীভাবে ঘটাল সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। হামলার পর চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

এদিকে ঢাকার দোহার বাজারে রাত ১০টার দিকে একটি ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এই তথ্য জাননো হয়েছে

ফায়ার সার্ভিস জানায়, দোহার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পুলিশ তাদেরকে নিরাপত্তা দিচ্ছে

সিলেটে বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে শাহপরানের দাসপাড়ায় লেগুনায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌঁছায়। আগুন নেভানোর কাজ করে সিলেট সেনানিবাস ফায়ার স্টেশনের ইউনিট

বগুড়া সদরের শাকপালায় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে একটি কনটেইনারবাহী লরিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুন নেভায় বগুড়া ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট

লরিচালক বদিউল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে চট্টগ্রাম থেকে কনটেইনার নিয়ে তামাক আনতে রংপুর যাচ্ছিলাম বিএডিসি অফিসের সামনে প্রায় ১০০ মানুষ মশাল মিছিল নিয়ে এসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে লরি থামালে তারা মশাল দিয়ে লরিতে অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়

নোয়াখালীতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১০টি কাভার্ড ভ্যান সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল হক রনি

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হসান রাজীব বলেন, চৌমুহনী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কে সেনবাগ উপজেলার সামিরমুনসিরহাটে টায়ারে আগুন দিয়ে অবরোধ তৈরি করেছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা

চট্টগ্রামে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে খুলশীর ওয়াসার মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে পার্কিং করা দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট সেখানে গেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে

গাজীপুরে একটি বাস, একটি পিকআপ রেললাইনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে পৃথক স্থানে ঘটনা ঘটে। পুলিশ স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে সেটি তদন্ত করে বের করা হবে। বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩