Logo
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানব বন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল ঃ

নারায়নগঞ্জের ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলের নাম পরিবর্তন করে কালেক্টরেট স্কুল নামকরন করার  প্রতিবাদ সহ তিন দফা দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচীতে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষক। 

মানববন্ধনে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানান, নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নানা আবেগ ও স্মৃতি জড়িয়ে আছে জেলার প্রাচীনতম এই স্কুল জুড়ে। স্কুলটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তৎকালীন চিকিৎসক ডা. ক্যাপ্টেন ডাব্লিউ এফ রহমান, সাবেক মহকুমা প্রশাসক  ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নানা অবদান রয়েছে। এছাড়া স্কুলটির শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আয়েশা জালাল। প্রাচীন ভবনটিও এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করছে। এছাড়া প্রাক্তন অনেক শিক্ষার্থী এখনও দেশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পেশায় উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রেখেছেন। 

মানববন্ধনে বক্তাদের অভিযোগ, কারো সাথে আলোচনা না করে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বর্তমান জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ সম্প্রতি ”কালেক্টরেট” শব্দ যুক্ত করে স্কুলটির নাম পাল্টে দিয়েছেন। শহরে সরকারিভাবে পরিচালিত একটি নির্ধারিত কালেক্টরেট স্কুল থাকা সত্বেও ঐতিহ্যবাহি প্রিপারেটরী স্কুলের নামের সাথে কালেক্টরেট শব্দ যুক্ত করা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। পাশাপাশি পুরনো ভবনটিও ভেঙ্গে ফেলার পাঁয়তারা চলছে। জেলা প্রশাসক এককভাবে এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে স্কুলটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আবেগ ও হৃদয়ে আঘাত করেছেন বলে সবাই মনে করছেন। অবিলম্বে নতুন নাম বাদ দিয়ে স্কুলের মূল নাম বহাল রাখাসহ, নতুন ভবনটি প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আয়েশা জালালের নামে নামকরণ ও স্মৃতি বিজরিত পুরনো ভবনটি সংরক্ষণের দাবি জানান প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশেষ ভূমিকা পালনকারি ডা. ক্যাপ্টেন ডাব্লিউ এফ রহমান, এইচ টি ইমাম ও আয়েশা জালালের প্রতিকৃতি স্থাপনেরও দাবি জানানো হয়।

অবিলম্বে এ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসকের প্রতি আহবান জানান স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি জানান,স্কুলের নাম পরিবর্তন করে পুর্বের নাম বহাল না করা হলে  প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




গজারিয়ায় বিদ্যুৎ এর টাওয়ার নির্মাণ বন্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি:

২৫ শে মার্চ সোমবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় টেংগারচর ইউনিয়নের মীরের গাঁও গ্রামে বেলা ৪ ঘটিকার সময় কয়েকশত নারী পুরুষের উপস্থিতিতে অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বন্ধের প্রতিবাদে সভা ও মানববন্ধন করা হয়।

উক্ত প্রতিবাদ সভায় মানববন্ধনের আয়োজককারীরা জানান আমাদের গ্রামের উপর দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে মানা-বে ওয়াটার পার্কের জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ জন্য ৩ ফসলী জমির উপর টাওয়ার নির্মাণের প্রস্তাবনা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ বিভাগ।

আমাদের এই জমিই শেষ সম্বল টাওয়ার নির্মাণ হলে আমাদের কৃষিকাজার করার মত কোন জমি  থাকবে না।

ভাটের চর হতে মীরের গাওয়ের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার উপর দিয়ে লাইনটি নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইতিপূর্বে আমাদের গ্রামের উপর দিয়ে মেঘনা গ্রুপের একটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলে আমাদের কৃষি জমি ও এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই এলাকার উপর দিয়ে আরও একটি লাইন নির্মাণ করলে কৃষি জমি সহ বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্রামবাসীরা আরও জানান এই লাইন বন্ধের বিষয়ে আমরা স্থানীয় কয়েক শত কৃষকের গণস্বাক্ষর দিয়ে সম্মানিত জেলা প্রশাসকের নিকট বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ বন্ধের আবেদন জানাই।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসিম, মহিলা ইউপি সদস্য স্বপ্না আক্তার, নাজমুল হাসান, হাজী জাহাঙ্গীর নক্তি, মামুন নক্তি, আখতার হোসেন, হাজী নাসির উদ্দিন, ইসমাইল প্রধান, হাবিবুর রহমান, বিল্লাল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, আবুল মাস্টার, আব্দুল গাফফার ,দেলোয়ার হোসেন, মুজিবুর রহমান ,নজরুল ইসলাম, নুরুল আমিন, হান্নান ফরাজী সহ ব্যক্তিবর্গ।


আরও খবর



দূষণের কবলে রাজধানীবাসী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সপ্তাহের শুরুতেই দূষণের কবলে পড়েছে রাজধানীর বাসিন্দারা। আজ শনিবার ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ৯টা ৯ মিনিটে ১৮৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে শহরটি।

ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ২১২, ১৮১ ও ১৬৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

সূত্র : ইউএনবি


আরও খবর



তরমুজের ব্যাপক দরপতন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর আড়তে তরমুজ রাখার জায়গা পাচ্ছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এতে বাধ্য হয়ে ট্রাক ও ট্রলারে রেখেই চলছে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা। তবে তরমুজ কেনার পাইকার কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তিন দিন ধরে আড়তে তরমুজের সরবরাহও বেড়ে গেছে। এতে দাম নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে।

সরেজমিনে মুক্তারপুর তরমুজ আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ১২টি আড়তের সামনে তরমুজের স্তূপ। আড়তগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আড়তগুলোর সামনে রয়েছে তরমুজ ভর্তি ১০টি ট্রাক। পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ৬টি ট্রলার ভর্তি তরমুজ। এসব ট্রলার ও ট্রাকে কয়েক লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। রাতে ট্রলার ও ট্রাক থেকে তরমুজ নামাতে দেখা গেলেও তরমুজ কেনার পাইকার তেমন দেখা যায়নি।

আড়তে তরমুজ নিয়ে আসা কৃষক ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪-৫ দিন আগে বরিশাল বিভাগে সামন্য শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হলে তরমুজ সাধরণত নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই কম বেশি ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষক শিলা বৃষ্টির ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে বাজারে প্রচুর পরিমাণ তরমুজের সরবারহ বেড়েছে। যার কারণে দাম অনেক কমে গেছে।

এই আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, চার দিন আগে আমাদের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রতিদিনিই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই নষ্ট হওয়ার ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে এই আড়তে নিয়ে আসছিলাম। দুই দিন ধরে ঘাটে ট্রলার ভিড়িয়ে বসে আছি। বেচাবিক্রি তেমন নেই। আগে যে তরমুজ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন তা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামে তরমুজ বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে।

একই এলাকার অপর চাষি মিজান হাওলাদার বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে জমি থেকে তরমুজ সব তুলে ফেলছি। এখন আড়তে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারছি না। সবকিছুর দাম বেশি। এ বছর তরমুজ লাগানোর মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তরমুজের চারার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই তরমুজের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। যে তরমুজ উৎপাদন করতে আমাদের ১২০-১৫০ টাকা খরচ হয়েছে, এখন তা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাহিন এন্টার প্রাইজের মালিক আলমগীর কবির বলেন, গত শনিবার থেকে তরমুজের দাম অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। কৃষকরা বলছে শিলাবৃষ্টির কারণে তারা তরমুজ জমি হতে তুলে নিয়ে আসছে। আড়তে প্রচুর তরমুজের আমদানি হয়েছে, কিন্তু ক্রেতা আগের চেয়ে কমছে। যার কারণে দাম অনেক কমলেও পাইকাররা সেভাবে আসছে না।

মুক্তারপুর আড়ত সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, তরমুজের অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের তরমুজ আড়তে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৪ দিন আগেও যা ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। শিলাবৃষ্টির কারণে কৃষক সব তরমুজ কেটে একসঙ্গে আড়তে নিয়ে আসছেন, যার কারণ আমরা আড়তে তরমুজের জায়গা দিতে পারছি না। আমার এখানে ১২টি আড়তের প্রত্যেকটি তরমুজে ভরপুর জায়গা দেওয়ার স্থান নেই। তরমুজ প্রচুর থাকলেও সেভাবে পাইকার নেই।

 


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




৩৮ দিন কারাবাসের পরেও চাকরি বহাল, গণপিটিশনে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ে ৩৮ দিন কারাবাস করেও চাকরি বহাল থাকায় স্থানীয়দের গণপিটিশনে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে স্থানীয়রা ডেপুটি স্পিকারের সুপারিশসহ গণপিটিশন দায়ের করেন।

বুধবার (২০ মার্চ) দিনভর তদন্ত করেন তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায়।

অভিযোগে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুর্গাপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলে সরকার। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের সহায়তা করতে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়। গত ২০১১ সালের মে মাসে আদিতমারী উপজেলায় যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত রয়েছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক। তিনি যোগদানের পরে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে খুলে বসেন নিজস্ব চেম্বার। মেয়ের নামে গড়ে তুলেন তানিশা মেডিকেল সেন্টার।

অভিযোগ উঠে, হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসলে তাদেরকে নিজেস্ব চেম্বারে ডাকেন স্যাকমো ওমর ফারুক। চেম্বারে রোগী ভিড়াতে রয়েছে বিশাল দালাল চক্র। দালাল চক্র নির্ধারীত বখসিসে রোগীদের পাঠান এবং পেশি শক্তি দিয়ে স্যাকমো ওমর ফারুককে পাহারা দেন। গত ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্যাকমো ওমর ফারুকের নিজেস্ব চেম্বার তানিশা মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে নানান অনিয়মের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ স্যাকমো ওমর ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেন সাজাপ্রাপ্ত স্যাকমো ওমর ফারুক। আদালত ৩৮ দিনের কারাবাসকে সাজা হিসেবে গণ্য করে আপিল মঞ্জুর করেন। এরপর এ দুই রায়ের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল (নং ৪৫/২০১৭) করেন তিনি। সেখানে আপিল না মঞ্জুর করে আগের রায় বহাল করেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন নং ১৬১৪/২০১৭ দায়ের করেন স্যাকমো ওমর ফারুক। যা একক বেঞ্চে খালাস পান তিনি। মামলা থেকে খালাস পেয়ে পুনরায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। স্বাস্থ্য বিভাগে বিশাল ক্ষমতাধর এ স্যাকমো মুহুর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল কিছু ম্যানেজ করে বরখাস্তাদেশ বাতিল করে নেন। একই সাথে ৩৮ দিন কারাবাস করা সময়ের বেতন ভাতাদিও উত্তোলন করেন তিনি।

বরখাস্তাদেশ বাতিল করে নিয়ে পুনরায় বেস্ট পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে তিনি চালু করেছেন তার পুর্বের ব্যবসা। স্খানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও তাকে বদলি করাতে পারেনি। ক্ষমতার প্রভাবে সকলকে ম্যানেজ করে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। একই কর্মস্থলে যুগপুর্তি হলেও বদলি করাতে পারেননি কেউ।

অবশেষে স্থানীয়রা স্যাকমো ওমর ফারুকের নানান অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচিকিৎসার চিত্র তুলে ধরে তার বদলি দাবি করে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে গণপিটিশন দায়ের করেন। সেই গণপিটিশনে বদলির সুপারিশ করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামছুল হক টুকু। অপশেষে সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পড়েন সিভিল সার্জনের গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত টিম। বুধবার দিনভর বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলেন তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায়।

তদন্ত টিমের সামনে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে তার নিজেস্ব দালালদের বুধবার দিনভর হাসপাতাল চত্ত্বরে বসিয়ে রাখেন স্যাকমো ওমর ফারুক। তদন্ত টিম যাতে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে না পারে এবং সাধারণ মানুষ দালালদের ভয়ে তদন্ত টিমকে স্যাকমোর বিরুদ্ধে কোন তথ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠছে । সব মিলে এ অভিযোগও খেয়ে ফেলতে উপর মহলকে ম্যানেজে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে স্থানীয়দের দাবি।

এতবড় সাজা ভোগ করেও একই স্টেশনে বহাল রয়েছেন দেশে দ্বিতীয় এমন কোন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী নেই বলেও মন্তব্য করে ভাদাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, তদন্ত টিম আসবে জেনে তদন্ত টিমের সামনে দালালদের রেখেছিলেন স্যাকমো ওমর ফারুক। হাসপাতাল চত্তর ছিল স্যাকমোর দালালে ভরা। সাধারণ মানুষ ভিড়তে পারেনি তদন্ত টিমের সামনে।

অভিযুক্ত স্যাকমো ওমর ফারুক বলেন, বিগত সময়েও আমার বিরুদ্ধে এমন বে নামি অভিযোগ করেছিল। তখনও কিছু করতে পারেনি এখনও পারবে না। তাই তদন্ত টিমের সামনেই আসেনি অভিযোগকারীরা।

তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায় বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সিভিল সার্জন মহোদয়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা তদন্ত করছি। স্যাকমোর মামলা ও রায়ের বিষয়টি আদালতের কাগজেই প্রমাণিত। দীর্ঘ এক যুগ একই স্টেশনে থাকা স্যাকমোকে বদলি করাতে গণপিটিশনে ডেপুটি স্পিকার সুপারিশ রয়েছে। যা আরও ভাবিয়ে তুলছে। আমরা সব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’


আরও খবর



আগামী বছর থেকে শনিবার স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়।

এ বছর রমজানে স্কুল ছুটির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল মন্ত্রণালয়। রমজানের আগের দিন তারা আপিল করে বসে। সোমবার বিকেলের দিকে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হয়। শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এএম আমিন উদ্দিন।

এ সময় চেম্বার বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, এই কদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে কী এমন অসুবিধা হবে? পরে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।

 


আরও খবর