Logo
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে চারতলা ভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস ডেস্ক:


নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা আড়িয়াবো এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের চারতলা বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।



বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের আরেক পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।



এটিইউয়ের ধারণা, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার-আল ইসলামের তিন-চারজন সদস্য ভবনের তিনতলায় অবস্থান করছে।


অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিট ঢাকার পুলিশ সুপার (অপারেশন) সানোয়ার হোসেন জানান, গত ৫ জুন নরসিংদী থেকে ১ জন জঙ্গি আটক করা হয়। গতকাল সোমবার (১ জুলাই) কক্সবাজার থেকে ১ নারীকে আটক করা হয়। 



তার দেওয়া তথ্য মতে, রূপগঞ্জে বরপা আড়িয়াবো এলাকায় সৌদি প্রবাসী জাকিরের চারতলা বাড়িতে একাধিক জঙ্গি থাকার কথা রয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। 


সেজন্য মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পুরো বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভিতরে তল্লাশি চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।



আরও খবর



ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা ইসরায়েলের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানে লাগাতার সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। রাজধানী তেহরানে একের পর এক হামলার পর এবার দেশটির রাডার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ইরানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে নতুন দফার হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে রাডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট ছিল তাদের মূল টার্গেট।

এরই মধ্যে তেহরানজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নতুন করে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে তেহরানে। রয়টার্স জানায়, রাজধানীর আকাশে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুলির আওয়াজও শোনা যাচ্ছে। ফলে গোটা শহরে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ইসরায়েলের এই টানা হামলায় ইরানের সামরিক ও বিজ্ঞানী মহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

এছাড়া, ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেয়দুন আব্বাসি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন আরেক বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচিও। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম।


আরও খবর



এই তথ্যগুলো জানা বিশেষ জরুরী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক এক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন এই বলে- যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছিলো। তাদের সরল জবাব ছিলো;

“আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো, যে একজন ভালো মুসলমান কখনোই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।আমাদের এসব উশৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে, যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে। তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী।

আজ কেন যেন মনে হয় টিক্কা খান এবং নিয়াজীরা একাত্তরে হেরে গেলেও আসলে জিতে গেছে। আজ রাস্তা-ঘাটে পাকিস্তানীদের অসংখ্য সমর্থক পাওয়া যায়, যারা চিৎকার করে স্লোগান তোলে ম্যারি মি আফ্রিদি, অনলাইনে পুরান ঘটনা ভুলে গিয়ে পাকিস্তানীদের শীতল ঘৃণার পরিবর্তে উষ্ণ ভালোবাসা দেবার পরামর্শ দেন কিছু আধুনিক তরুণ, অযুতনিযুত শহীদের কবরের উপর দাঁড়িয়ে। তাদের দৃষ্টিতে ইকবালের কাছে রবীন্দ্রনাথ কিছুই না, পাকিস্তানী জাল ব্যান্ডের গানের কাছে সোনার বাংলা ক্ষ্যাতফসল, ইসলামাবাদ বা করাচীর সৌন্দর্যের কাছে বান্দরবান বা রাঙ্গামাটি বোগাস, লাহোর বা করাচীর কামিজ পড়া একজন সাদা চামড়ার মেয়ের তুলনায় বাঙ্গালী নারীরা এসব তরুণদের কাছে নিতান্তই নীরস।

 মনেপ্রাণে পাকিস্তানী এসব তরুণেরা কি জানে একাত্তরের মার্চে মিরপুরের সেই বীভৎসতার কথা বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে এনেছিল পাকিস্তানীরা, কাপড় খুলতে বলেছিল সবাইকে? রাজি না হওয়ায় বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তানী নারীদের দেখে কামোত্তেজিত এসব তরুণেরা কি জানে, একাত্তরে বাঙ্গালী নারীদের পাকিস্তানী সেনারা ধরে এনে কি পৌশাচিক নির্যাতন করতো? রাজারবাগে পুলিশ লাইনে ধরে আনা বাঙ্গালী নারীদের উপর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ত ওরা, ধর্ষণ করতে করতে হঠাৎ ছুরি দিয়ে স্তন কেটে, পশ্চাৎদেশের মাংস কেটে, যোনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে সম্পূর্ণ ছুরি চালিয়ে দিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়তো ওরা, মাঝে মাঝে বন্দুকের নল, বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে যোনি থেকে গলা পর্যন্ত চিরে ফেলতো, তারপর এ সকল মেয়ের লাশ অন্যান্য মেয়েদের সম্মুখে ছুরি দিয়ে কেটে কুচি কুচি করে বস্তার মধ্যে ভরে বাইরে ফেলে দিত। আর ছোট ছোট বালিকাদের যখন ধর্ষনে সুবিধা করতে পারতো না, তখন ওদের অসার রক্তাক্ত দেহ বাইরে এনে দুজন দু পা দু দিকে টেনে ধরে চড়চড়িয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিত। এরা কি জানে, ধর্ষণের তীব্রতায় জেনারেল নিয়াজি শেষ পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছিল,

“It is not uncommon in history when a battle has been lost because troops were over indulgent in loot and rape.”

এই তরুণেরা কেমব্রিজ আর অক্সফোর্ডের পাকিস্তানীদের দেখে অবাক হয়, গর্ববোধ করে। অথচ এরা ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীকে চেনে না। ইংল্যান্ডের এডিনবার্গ থেকে কার্ডিওলজিতে এমআরসিপি ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৬২ সালে! ডা. রাব্বী মেডিসিনে নোবেল পেতে পারতেন! মনে হচ্ছে আবেগে একটু বেশি বলছি? ‘A case of congenital hyperbilirubinaemia (DUBIN-JOHNSON SYNDROME) in Pakistan’ এই টাইটেলে ‘Journal o Tropical Med Hyg.’ নামক বিখ্যাত জার্নালে সেই ১৯৬৪ সালেই পাবলিশ করেছেন ডঃ রাব্বী! ‘Spirometry in tropical pulmonary eosinophilia’ নামে আরেকটা ফাইন্ডিংস ছাপা হয়েছিল ব্রিটিশ জার্নাল ‘অফ দা ডিসিস অফ চেস্ট’-এ ১৯৭০ সালে! একাত্তরের নয় মাস গোপনে হাজারো মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা করার অপরাধে এই ফজলে রাব্বীকে ১৪ই ডিসেম্বর তুলে নিয়ে গিয়েছিল আলবদর আর পাকিস্তানীরা। তাকে কীভাবে মারা হয়েছিল জানেন? হাত-পা আর চোখ বেঁধে ব্রাশফায়ার করে খুবলে তুলে নিয়েছিল তার হার্টটা। কার্ডিওলজিস্ট ছিলেন কিনা, একটু রসিকতা করা আর কি!

ঠিক যেভাবে আরেক বিশ্ববিখ্যাত চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ আবদুল আলীম চৌধুরীর চোখ দুটো উপড়ে নিয়েছিল নরপিশাচগুলো! শহীদুল্লাহ কায়সার, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, হুমায়ূন কবীর (ইংরেজি সাহিত্য), রাশিদুল হাসান (ইংরেজি সাহিত্য), সাজিদুল হাসান (পদার্থবিদ্যা), ফজলুর রহমান খান (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), এন এম মনিরুজ্জামান (পরিসংখ্যান)– একাত্তরের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর নরপিশাচরা এমন ৯৯১ জন শিক্ষাবীদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলীকে উলঙ্গ করে, চোখ বেঁধে, বেয়নেটে খুচিয়ে খুচিয়ে, মলদারে লাঠি ঢুকিয়ে মেরে ফেলেছিলো। এই তথ্যগুলো অবশ্য বাংলাদেশ নিবাসী এইসব আধুনিক পাকিমনাদের মনে কোন ছাপ ফেলে না। তারা বরং এক হাতে তালি বাজে না টাইপের ইঙ্গিত দিয়ে বোঝাতে চান একাত্তরে বাঙ্গালীদেরও দোষ ছিল, ইনফ্যাক্ট সবচেয়ে বেশি।

২৪ বছর ধরে বাঙ্গালীদের পায়ের তলে রেখে একটু পিষলোই বা শোষণই করলো! তাই বলে পাকিস্তান ভেঙ্গে বের হয়ে যাইতে হবে? সালে মছুয়া বাঙ্গাল! হারামজাদে! পৃথিবীর কোন মানুষ যদি ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার তিনবেলা ননস্টপ গ্রেনেড খাওয়া পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে, তাহলে ধরে নিতে হবে সেই মানুষের মানসিক সমস্যা আছে। একমাত্র বদ্ধ উন্মাদ ছাড়া পাকিস্তানকে কোন নিম্নশ্রেণীর পশুও পছন্দ করার কথা না। কারণ তারা যে নির্মম হত্যাজজ্ঞ চালিয়েছিলো এই দেশে, সেটা হার মানিয়ে ছিলো হিটলার, মুসলিনি, গেস্টেপোদেরও।

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড অনুসারে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মমতম গণহত্যাটি হয়েছিলো বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের হাতে। ওরা পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের পুরস্কারটা পাকিস্তানকে দেয়। যদি গিনেস জানতো সেই নিপীড়িত জাতির মানুষরাই এখনো পাকিস্তানের জন্য হেগেমুতে আস্ফালন করে, শহীদের রক্তে পাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের উপর চালানো বর্বরতার কথা ভুলে যেতে আহ্বান জানায়, ক্ষমা চাওয়া তো দূরে থাক, আজো চিৎকার করে গণহত্যা অস্বীকারকারী পাকিস্তানীদের ভাই হিশেবে বুকে টেনে নিতে চায়, তাহলে হয়তো আমাদেরও একটা পুরস্কার দিতো। শ্রেষ্ঠতম বেহায়া, নির্লজ্জ, চুতিয়া জাতির পুরস্কার।

তো এই জমিনের আলো হাওয়ায় বেড়ে উঠে যারা মনেপ্রাণে এখনো পাকিস্তানকে ভালোবাসেন, বিন্দুমাত্র আত্মসম্মানবোধ থাকলে, পেয়ারা পাকিস্তানের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে, জানের প্রতি বিন্দুমাত্র মায়া থাকলে তাদের অবিলম্বে পাকিস্তান চলে যাওয়া উচিৎ। যদি কেউ পাকিস্তানকে ভালোবাসার একশো একটা কারণ দেখায়, আমরা তাকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলার ৩০ লাখ কারণ দেখাতে পারবো। একটা-দুইটা না, ত্রিইইইইইইশ লাখ!

(সংগৃহীত)


আরও খবর

অভিজাতরা কেন সালাফি হচ্ছে

শুক্রবার ২০ জুন ২০25




সাংবাদিক বনাম সেনাবাহিনী একাদশ ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

শনিবার সকালে যাত্রাবাড়ী ওয়াপদা কলোনী মাঠে যাত্রাবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের আয়োজনে এই ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। 

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে যাত্রাবাড়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্প একাদশ। নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১৭৪ রান করেন তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাংবাদিক একাদশ ৬৫ রান করলে বৃষ্টি হওয়ায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়ার। পরে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ শামসুজ্জামান, ক্যাপ্টেন আরিফ মইন,ওয়ারেন্ট অফিসার মোশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার  সাংবাদিকবৃন্দ। 

সেনাবাহিনী ক্রিকেট একাদশের অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুজ্জামান ও সাংবাদিক ক্রিকেট একাদশের অধিনায়ক ছিলেন দীপ্ত টিভির রিপোর্টার সোহাগ আহমেদ, আনন্দ টিভি সিটি রিপোর্টার মনির হোসেন, আর টিভি সিটি রিপোর্টার রায়হান আহমেদ, যুগান্তরে যাত্রাবাড়ী প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, নয়া দিগন্তর আকাশ শিকদার, এশিয়ান টিভি রিপোর্টার শাহিন আহমেদ, সহ অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির শীর্ষে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল) মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস (OTEXA) এই তথ্য জানিয়েছে। তাদের সর্বশেষ হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬২১ কোটি ৮০ লাখ) ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৫ শতাংশ বেশি।

চীন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ—এই তিন দেশ মূলত মার্কিন বাজারে বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। ভিয়েতনাম এ বছর ৫০৮ কোটি ৯১ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। বছরে প্রবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীন থেকে পোশাক আমদানি হয়েছে ৪৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের। প্রবৃদ্ধি মাত্র শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ।

তবে প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে উজ্জ্বল। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২৯৮ কোটি ৩১ লাখ ডলারের পোশাক। প্রবৃদ্ধির হার ২৯.৩৩ শতাংশ—যা ভিয়েতনামের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

রপ্তানি প্রবৃদ্ধির তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০.৩০ শতাংশ। এরপর রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (১৫.৬০ শতাংশ), পাকিস্তান (১৯.৭৯ শতাংশ) এবং কম্বোডিয়া (১৯.৫৭ শতাংশ)।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে এমন প্রবৃদ্ধির পেছনে আছে কয়েকটি কারণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—নিয়মিত উৎপাদন, প্রতিযোগিতামূলক দাম, এবং গুণগতমান রক্ষা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের এই সাফল্য বাজারের চাহিদা, মান বজায় রাখা এবং দাম নিয়ে কৌশলগত সিদ্ধান্তের ফল। তবে এই ধারা বজায় রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শুধু স্বল্পমেয়াদি সুবিধায় নির্ভর করলে ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস (জুলাই) থেকে মাসিক ভাতা পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি বলেছেন, মাসিক ভাতার পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘আহত যোদ্ধারা’ আজীবন সরকারি মেডিকেল হাসপাতালগুলোতে বিনা খরচে চিকিৎসা পাবেন।

২৩ জুন সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে ৫৪ বছর লেগেছে। কিন্তু আমরা (বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) মাত্র সাত-আট মাসের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শহীদ যোদ্ধা ও আহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করে ফেলেছি। এটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ। আগামীতেও আহত যোদ্ধারা যাতে নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি বা ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেন, সেভাবে তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টা জানান, জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য ইতোমধ্যে আলাদা অধিদফতর স্থাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০ম তলায় এ অধিদফতরের জন্য ২০ জন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে অধিদফতর থেকে জুলাই যোদ্ধাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, জুলাই যোদ্ধারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশ আজীবন তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। এ দেশের সরকার ও জনগণ তাদের ত্যাগের মর্যাদাকে সমুন্নত রেখে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।

ফারুক-ই-আজম আরো বলেন, শহীদদের অনেকেরই হয়তোবা খোঁজ আমরা রাখি নাই বা রাখতে পারিনি। তবে গণঅভ্যুত্থানের এতোদিন পরেও যদি কেউ অধিদফতরে এসে অভিযোগ করে যে, তার কোনো স্বজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। তার সন্ধান তিনি চান। সেক্ষেত্রে যাদেরকে গণকবর দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে হলেও তাদের আবেদনের বিষয়ে সরকার আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে। তাদের জন্য সরকারের আন্তরিকতার কমতি থাকবে না।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক ভাতা পাবেন। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের 'জুলাই শহীদ' এবং আহতদের ' জুলাই যোদ্ধা' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আহত জুলাই যোদ্ধারা ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’ এই তিন ক্যাটাগরিতে মাসিক ভাতা পাবেন। ক্যাটাগরি ‘এ’ মাসে ২০ হাজার টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরি মাসে ১৫ হাজার এবং ‘ক্যাটাগরি’ ক্যাটাগরি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। সে অনুযায়ী সনদ ও পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, গেজেট আকারে ৮৩৪ জন ‘জুলাই শহীদের’ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রত্যেক জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। আর বাকি ২০ লাখ টাকা দেওয়া হবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্থাৎ আগামী জুলাই মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। তাছাড়া শহীদ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হবে। শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে।

তিনি বলেন, আহত জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে যারা চিকিৎসা নেওয়ার পরও অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবন যাপন করতে পারছেন না, যেমন যার দুটি চোখই অন্ধ হয়ে গেছে। অথবা এমন অঙ্গহানি হয়েছে যার কারণে তার পক্ষে একা একা চলাফেরা করা অসম্ভব, তারা ‘এ’ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত হবেন। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৪৯৩ জন। তারা এককালীন ৫ লাখ টাকাসহ মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। যার মধ্যে ২ লাখ টাকা তারা ইতোমধ্যে পেয়েছেন। বাকি ৩ লাখ টাকা আগামী জুলাই মাসে পাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা ও উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা, কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা, পরিচয়পত্র পাবেন। গুরুতর আহত ৭ জনকে ইতোমধ্যে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। অনেককে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

‘ক্যাটাগরি- বি’ তে রয়েছেন ৯০৮ জন। যারা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, কিন্তু অন্যের সহায়তা ছাড়া মোটামুটি চলাফেরা করতে পারেন, যেমন যাদের এক চোখ বা এক পা নষ্ট হয়ে গেছে বা এমন অঙ্গহানি হয়েছে যে, তারা একা মোটামুটি চলতে ফিরতে পারেন। অর্থাৎ চিকিৎসার পর অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবনযাপনে সক্ষম যোদ্ধারা আছেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। তাঁরা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। আর আগামী মাসে বাকি ২ লাখ টাকা পাবেন। তাছাড়া এই ‘বি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধারা ১৫ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। সাথে প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মসংস্থানে চাকরি ও পরিচয়পত্র পাবেন।

চিকিৎসার পর বর্তমানে যারা সুস্থ তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বাসসকে বলেন, ১০ হাজার ৬৪২ জন ‘জুলাই যোদ্ধাকে’ এই ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। এছাড়া আগামী মাস থেকে ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। সাথে পাচ্ছেন পুনর্বাসন সুবিধা এবং পরিচয়পত্র।

উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৫ আগস্টকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় দিবস হিসাবে আগামীতে এই দিবসকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পালন করা হবে।

তিনি বলেন, ৮৩৪ শহীদ পরিবারের মধ্যে ১৩৪ জনের পরিবারকে ওয়ারিশ জটিলতার কারণে পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। তাও অতি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন। আহত যোদ্ধাদের তালিকায় যে সব ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সেটারও সমাধান করা হচ্ছে। সূত্র: বাসস


আরও খবর