নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ঃ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ৯ বছর বয়সী এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ফতুল্লায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়প এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
আড়াইহাজার উপজেলার নয় বছর বয়সী ওই শিশু ছনপাড়া এলাকার একটি মাদ্রাসা ছাত্রী। প্রাইভেট পড়ার জন্য একই এলাকার রফিকুলের বাড়িতে আল মাহি নামের এক যুবকের কাছে প্রাইভেট পড়তে ভর্তি করানো হয়। ওই শিশুর সাথে প্রাইভেট পড়তো আছলাম নামের এক ছাত্র। শিক্ষক ও ছাত্র প্রায় সময় মেয়েটিকে শারীরিক নির্যাতন সহ ধর্ষণের চেষ্টা করতো। এক পর্যায়ে ২৯ জুন রাতে আটটার দিকে শিশুটি পড়তে গেলে আল মাহি ও আছলাম পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষন করে। পরে তাকে কোরআন শরীফ ছুয়ে কসম দেয় ঘটনা কাউকে না জানাতে। রাতে বাড়ি গিয় মেয়েটি তার মাকে সব খুলে বলে। পরে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত আজিজুল হক জানান,
আড়াইহাজার উপজেলার ছনপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে প্রাইভেট শিক্ষক আল মাহি (২২) ও তার ছাত্র একই এলাকার আঃ রশিদের ছেলে মো. আছলাম (১৮)কে আসামী করে শিশুটির পরিবার থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
অপরদিকে ফতুল্লার পাগলা পশ্চিম দেল পাড়া এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিগত পাঁচ বছর ধরে বাদীর মেয়ে তাঁর বোনের বাড়ী ফতুল্লার পশ্চিম দেলপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছে। পাশের বাড়ির আওলাদ হোসেনের পুত্র ইমরুল (১৮) প্রায় সময়ই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া সহ কু- প্রস্তাব দিতো। এক পর্যায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। শুক্রবার রাত নয়টার বাসায় কিশোরীকে একা পেয়ে ইমরুল কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। ##