বুলবুল আহমেদ সোহেল :
নারায়ণগঞ্জে মাদক কারবারি জাকিরের বদলে অন্য একজন সাজা খাটতে গিয়ে কারাগারে শনাক্ত হওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে শুনানী শেষে আসামী জাকির ও ভূয়া আাসমী জুয়েলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, নারায়ণনারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ২০১৭ সালের একটি মাদক মামলায় ৬ মাসের সাজা হয় আসামী জাকিরের। ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের পর চলতি বছরের ১০ আগষ্ট তার বিরুদ্ধে আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার আগে জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক থাকে জাকির। রায় ঘোষনার পর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এ প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর জুয়েল নামের ব্যাক্তি নিজেকে জাকির দাবি করে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে। আত্মসমর্পণের পর আসামীর পক্ষ জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। মূল আসামী জাকিরের পরিবর্তে জুয়েল কারাগারে রয়েছে জানতে পেরে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতেকে ব্যাপারটি অবগত করেন।
মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী হলো, জাকির ওরফে সোহেল ওরফে গাজী । সে বন্দর উপজেলার নূরবাগ এলাকার সামেদ মিয়ার ছেলে। তার পরিবর্ততে আসামী হয়ে কারাভোগ করতে যায় জুয়েল। সে উপজেলার নবীগঞ্জের আলাউদ্দিনের ছেলে।স্থানীয়দের দাবি, জাকির ও জুয়েল পূর্ব পরিচিত। জুয়েল বিভিন্ন মামলায় এর আগে একাধিবার জেল খেটেছেন। অর্থের বিনিময়ে এমনটা করেছে সে।
বুধবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে, তাদের বিরুদ্ধে যোগসাজসে প্রতারণা ও মিথ্যে সাক্ষী দেয়ার অপরাধে দুইজনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন সহকারী ব্যাঞ্চকে। তবে মাদক মামলায় জুয়েলকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
অন্যের মাদক মামলায় আত্মসমর্পণ ও জুয়েলের জামিন আবেদন করেছিলেন আইনজীবীর রোকেয়া সুলতানা। বুধবারের শুনানিতে স্বশরীরে হাজির হয়ে তিনি ব্যাখা প্রদান করেন ও যাচাই না করে আসামীর পক্ষ নেয়ায় আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতে তাকে মামলার বিষয়ে শর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি তিনি।