Logo
শিরোনাম

নারী কারাগার প্রস্তুত রাখার নির্দেশ আইজি প্রিজনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ ডিসেম্বর 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক। মূলত, গত দুই বছর আগে উদ্বোধন হওয়া বন্দিবিহীন নারী কারাগার পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় খালি পড়ে থাকা নারী কারাগারটি দ্রুত প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেন আইজি প্রিজন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় নারী কারাগার (কেরানীগঞ্জ) পরিদর্শন করেন আইজি প্রিজন।

এ সময় উপস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তাদের খালি পড়ে থাকা নারী কারাগারটি দ্রুত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে বন্দিদের রাখার উপযোগী ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন আইজি প্রিজন।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ ও জেলার মাহবুবুল ইসলাম।

আইজি প্রিজনের নারী কারাগার পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার মাহাবুবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নারী কারাগারটি গত দুই বছর আগে উদ্বোধন হলেও বন্দিদের রাখার নির্দেশনা ছিল না। এখন দ্রুত সেটাকে পরিষ্কার করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন আইজি প্রিজন স্যার। নির্দেশনা অনুযায়ী ধোয়া-মোছার কাজ চলছে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

আগামী ৮ মে থেকে অনুষ্ঠেয় সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

গত ২৫ মার্চের পর সোমবারই প্রথম বৈঠক করে স্থায়ী কমিটি। এতে উপজেলা নির্বাচন, ঢাকায় ইসরায়েল থেকে বিমান আসাসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন বিএনপির নেতারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সব জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনি প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না বলে মনে করে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সব ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


আরও খবর



বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রাজধানীর বঙ্গবাজারে বহুতল নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করে সিটি করপোরেশন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের সামনের অংশে একটি ভেকু দিয়ে বাঁশের কাঠামো সরিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থেকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সেখানে উপস্থিত থেকে মোবাইলে উচ্ছেদের দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ।

এর আগে, রবিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বঙ্গবাজারের অবৈধ অস্থায়ী দোকানগুলো ভেঙে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। সংস্থাটির সম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।


আরও খবর

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




ছাত্র রাজনীতি ইস্যুতে উত্তপ্ত বুয়েট ক্যাম্পাস ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু :

বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ প্রত্যক্ষ করে  আমার মানসপটে ভেসে উঠছে  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুঃসহ স্মৃতি।   আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।  ইসলামি সম্মেলন সংস্হা (ওআইসি'র) আর্থিক সহযোযিতায়  বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার সন্নিকটে  গাজীপুরের বোর্ড বাজারে (বর্তমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে  বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং  আমি ছিলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয় আশির দশকে  যেখানে ছাত্র  ভর্তির  নুন্যতম যোগ্যতা ছিল  ৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ অন্তত  একটিতে প্রথম বিভাগ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে  ভর্তির আবেদনই করা যেত নাা। সে সময় বুয়েট এবং  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও ভর্তির নুন্যতম যোগ্যতা ছিল ৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ এসএসসি এবং  এইচএসসিতে দ্ধীতিয় বিভাগ থাকলেই বুয়েট কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সুযোগ ছিল কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি অথবা এইচএসসি'র যে কোন একটিতে প্রথম বিভাগ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনই করা,যেতো না। সুতরাং  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন  দেশের সেরা ছাত্ররাই  শুধু ভর্তির সুযোগ পেতো।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ভর্তি ফরমের সাথে আরেকটি ফরমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি করব না মর্মে আমাদের কাছে থেকে একটি অঙ্গীকারনামা নেওয়া হতো। সে ফরমে ছাত্রদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরকেও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেওয়া হতো। তখন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে  ছাত্র ভর্তি করা হতো না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের কিছু অদ্ভুত কালাকানুন দেখে আমরা অবাক হয়েছিলাম। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে  ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার নামে প্রকারন্তে ধর্মান্ধ,উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তাদের অপরাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে। রাজনীতি বন্ধের নামে জামাত-শিবিরকে মসজিদ কেন্দ্রিক রাজনীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ, ছাত্রী ও অমুসলিমদের ভর্তি নিষিদ্ধ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ, বিশেষ বিশেষ  দিবসে ছাত্রদের পায়জামা পাঞ্জাবি পরিধান বাধ্যতামুলক করা প্রভৃতি। এসবই করা হয়েছিল ধর্মান্ধ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য । আমরা ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষের এসব কালাকানুন বাতিল করতে বাধ্য করেছিলাম। কর্তৃপক্ষের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলাম। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ডিপার্টমেন্ট চালু,ছাত্রী ও অমুসলিম শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করতে বাধ্য করেছিলাম। অবশ্য এজন্য আমাদের চরম মুল্য দিতে হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের কয়েকজনকে  বহিষ্কার করা হয়েছিল। ডজন ডজন মামলায় চরম হয়রানি ও কারাভোগ করতে হয়েছিল। শুধু তাই নয় অন্তত তিনবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে  আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের  মুক্ত জ্ঞান চর্চার অন্যতম বিদ্যাপিঠে পরিণত হয়েছে। 

বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ দেখে আজ থেকে প্রায় চার দশক  আগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদীদের সেই অপতৎপরতার কথা মনে পড়ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সেই  কুট কৌশলের সাথে আজকের  বুয়েট কতৃপক্ষের অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। বুয়েট  বাংলাদেশের মেধাবীদের চারণভূমি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতাদের গৌরবোজ্জল ভূমি রয়েছে। মহান ভাষা আন্দোলন  থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং  তৎপরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এদেশের ছাত্র আন্দোলনের স্বর্ণোজ্জল ইতিহাস রয়েছে। এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই বর্তমান ছাত্র রাজনীতি তার জৌলুশ হারিয়েছে। ছাত্রনেতাদের কিছু  নেতিবাচক কর্মকান্ড ছাত্ররাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করেছে। এখন মেধাবি ও দেশপ্রেমিক  ছাত্রনেতাদের  সম্পৃক্ত করে ছাত্ররাজনীতিকে  গৌরবোজ্জ্বল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে মুক্ত জ্ঞান চর্চার সুযোগ করে দেওয়া প্রয়োজন। তবে এটাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে ছাত্ররাজনীতির নামে বুয়েটে আর যেন কোন মায়ের কোল খালি না হয়।


আরও খবর



লাইলাতুল কদর তালাশ করি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আজ ২০ রমজান। একুশতম রাত। সম্ভাব্য লাইলাতুল কদর। যে রাত হাজার মাসের চেয়ে দামি। এই এক রাতে ইবাদত-বন্দেগি করলে আল্লাহ এক হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগির সওয়াব দেবেন। আসলে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক সৌন্দর্যে ফুলের চেয়েও অধিক শোভায় তিনি যে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, সে মানুষ জাহান্নামের আগুনে পুড়ে ছাই হোক, তা কি তিনি চাইতে পারেন? তিনি কখনোই এমনটি চান না। সে জন্য তিনি এমন কিছু বিশেষ সময় বরাদ্দ করেছেন, যে সময়ে বান্দা ক্ষমা চাইলে, তার পাহাড়সম গুনাহখাতাও মাফ করে দেবেন। লাইলাতুল কদর তেমনই এক মহিমান্বিত রাত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, লাইলাতুল কদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (সুরা কদর, আয়াত : ৩)

এ রাতে অঝোরধারায় বর্ষিত হয় আল্লাহর অপার রহমত। শান্তির পতাকাবাহী অগণন ফেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসেন রহমতের পেয়ালা নিয়ে। লাইলাতুল কদর এমনই মহিমান্বিত রাত, যে রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। পবিত্র কোরআনেরই একটি সুরার নাম রয়েছে সুরা কদর। তাফসিরের কিতাবে এ সুরার পটভূমিকায় বলা হয়েছে, একবার মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) কয়েকজন সাহাবিদের কাছে বনি ইসরাইলের কতিপয় লোক সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন যে, তারা দীর্ঘ হায়াত লাভ করার কারণে অধিক ইবাদত করেছেন। দীর্ঘ এ হায়াতে আল্লাহ নাখোশ হন, এমন একটি কাজও তারা করেননি।

নবী (সা.)-এর পবিত্র জবান থেকে এ কথা শোনার পর উপস্থিত সাহাবিরা এ বলে আফসোস করেন, আমরাও যদি তাদের মতো দীর্ঘ হায়াত পেতাম, তাহলে ইবাদত-বন্দেগিতে তাদের সঙ্গে এগিয়ে থাকতাম।

সাহাবিদের এ আফসোস লাঘবের জন্যই আল্লাহ তায়ালা জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে খুশির সংবাদ দিয়ে সুরা কদর নাজিল করেন। সেই খুশির সংবাদটি হলো- লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর। অর্থাৎ হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাত। হাদিসে বলা হয়েছে, যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও, তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থাক। অন্য এক হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, যদি কেউ ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে লাইলাতুল কদর ইবাদতের মাধ্যমে কাটায়, তাহলে তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৭২)

মহিমান্বিত এ রাত রমজানের শেষ দশকের কোনো এক বেজোড় রাতে হবে। হাদিসে এ বেজোড় রাতগুলোয় কদর তালাশের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নবী (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলোয় লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস : ১০১৭)

একটি মাত্র রাত, হাজার মাসের চেয়েও দামি। যা ৮৩ বছর চার মাসের সমান। এমন একটি রাতের জন্যে মাত্র পাঁচটি রাত জাগতে পারব না? এ পাঁচটি রাত ইবাদত বন্দেগীর দ্বারা অতিবাহিত করতে পারলেই হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগির সওয়াব পেয়ে যাব। দুনিয়াবী কত কাজে আমরা রাত জাগি। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে, ফেসবুকে চ্যাট করে বহু রাত কাটিয়ে দিই আমরা। অথচ কদরের এমন ফজিলত জানার পরও মাত্র পাঁচটি রাত জাগতে পারি না। এ পাঁচটি রাতে ইবাদত করতে চাই না। আমরা যদি নিয়ত সহিহ করে এ পাঁচটি রাত জাগি, তাহলে প্রতিটি রাতের বিনিময়েই আল্লাহ কদরের সওয়াব দিতে পারেন। নবী (সা.) তো বলেছেনই, মানুষ যা নিয়ত করে, রব তাকে সেই অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। (বুখারি, হাদিস ১)


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রণীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ দিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১র ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতি বর্হিভূত এবং গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন।

 এই অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজাজামানকে স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর হয়ে ওঠে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দুঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, সরকারের প্রতিনিধিগণ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

নবজাত রাষ্ট্রের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের লক্ষে অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।

 এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বরাবরের মতো স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার সাথে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে স্মরণ ও পালন করবে।


আরও খবর