Logo
শিরোনাম
অডিও রেকর্ড সহ এসপি'র কাছে আলামত

নারীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলেন চারঘাট থানার ওসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

মাদক ব্যবসা করার জন্য এক নারীর কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ এর পরিদর্শককে বদলির জন্য আরো ২ লাখ, মোট ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার ''আলাপ-চারিতার'' ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিও রেকর্ড সহ এক নারীর অভিযোগ। 

অবশেষে রাজশাহীর চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম কে সাময়িক প্রত্যাহার সহ ঘটনাটি তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্বামী জেল-হাজতে রয়েছে সেই সুযোগে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সহ কয়েক জন ঐ নারীর কাছে চাঁদা দাবী করেছেন এমন অভিযোগ নিয়ে ভিকটিম নারী (২৮) চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম এর অফিসে যাওয়ার পর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম ঐ নারীকে তার কোয়াটারে ডেকে নিয়ে ''মাদক ব্যবসা করার জন্য ৫ লাখ এবং ঐ নারীর স্বামীকে গোয়েন্দা শাখার যে কর্মকর্তার নের্তৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই কর্মকর্তাকে বদলী করার জন্য আরো ২ লাখ  টাকা দাবি করেন ওসি। এছাড়াও ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিওতে নারীর সুন্দর চেহারা নিয়ে ও আলাপ-চারিতায় মন্তব্য করেন ওসি। 

ঘটনাটি প্রকাশের পরই গত শনিবার রাতেই চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে প্রত্যাহার করে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয় বলে নিশ্চিত করেন রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম। তিনি বলেন, জেলা পুলিশ সুপার জনাব সাইফুর রহমান মহোদয় ঐ রাতেই চারঘাট থানার ওসি কে থানা থেকে প্রত্যাহার পূর্বক পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার আদেশ দেন।গত শনিবার ঐ নারী (২৮)

 ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর আলাপ-চারিতার অডিও রেকর্ড সহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তার কোয়ার্টার এর কক্ষে ঐ নারীকে ডেকে নিয়ে মাদক ব্যবসা করার জন্য ৫ লাখ দাবি করে অবাধে মাদকের কারবার করতে দিবেন সহ মাদকের মামলায় ঐ নারীর স্বামীকে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি'র) যে কর্মকর্তা গ্রেফতার করেছেন তাকে বদলী করার জন্য আরো ২ লাখ টাকা মোট ৭ লাখ টাকা চান ওসি। এসময় আলাপ-চারিতায় ঐ নারীর রুপ (সুন্দর চেহারা) নিয়েও কথা বলেন তিনি। অডিও রেকর্ড তথা

ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর থেকে বিশেষ করে চারঘাট থানা এলাকা জুড়ে লোকজনের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

তবে সর্বশেষ মঙ্গলবার একটি সুত্র জানায়, ঐ নারীর স্বামী পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আর সোর্স হিসেবে কাজ করার সুবাদে মাদকের সাথে জড়ীত হয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন পূর্বে ডিবি পুলিশ নারীর স্বামীকে মাদক সহ গ্রেফতার পূর্বক মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে জেল-হাজতে প্রেরন করেন। তবে ঐ নারীর স্বামী গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন বলেও জানিয়েছেন সুত্র। 

ঘটনা যেটিই হোক না কেন, ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিও এর বিষয়টি সহ সম্পূর্ণ ঘটনাটি'র সত্য রহস্য উদঘার্টন পূর্বক জড়ীতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল সহ সাধারন লোকজন।


আরও খবর



রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে কিম

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

উত্তর কোরিয়ার একটি ট্রেন রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এতে সম্ভবত রয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে এই যাত্রা করছেন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম।

অজ্ঞাত দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে চোসুন ইলবো সংবাদপত্র জানিয়েছে যে, ট্রেনটি সম্ভবত রোববার সন্ধ্যায় উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং ছেড়েছে এবং মঙ্গলবার দুপুরের আগে কিম-পুতিনের বৈঠক হতে পারে।

ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি ও অন্যান্য কিছু গণমাধ্যমও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস এ বিষয়টি নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।

মার্কিন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া তাদের নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করছে, যা এই মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা দুই দেশ একে অপরের সহযোগিতা প্রসারিত করবে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, পুতিন উত্তর কোরিয়ার আর্টিলারি এবং অন্যান্য গোলাবারুদের আরও সরবরাহ সুরক্ষিত করার দিকে মনোনিবেশ করতে পারেন। যাতে ড্রেনিং রিজার্ভ রিফিল করা যায় এবং ইউক্রেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের উদ্বেগের মধ্যে আলোচনার জন্য পশ্চিমাদের উপর আরও চাপ দেওয়া যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এর জন্য কিম রাশিয়ার কাছে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, পারমাণবিক সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন এবং সামরিক পুনরুদ্ধার উপগ্রহের সাথে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় শক্তি, খাদ্য সহায়তা এবং উন্নত অস্ত্র প্রযুক্তি চাইতে পারেন।

পশ্চিমাদের উদ্বেগ রয়েছে যে, সম্ভাব্য রাশিয়ান প্রযুক্তি স্থানান্তর কিমের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকিকে বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

সূত্র: এপি


আরও খবর



ফেঁসে যাচ্ছেন সানজিদাসহ ৫ জন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মারধরের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, প্রথমে তদন্ত শেষ করতে না পারায় আমরা সময় নিয়েছিলাম। দায়ী ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনার তদন্তে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া সব কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যার যতটুকু দায়-দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্টতা ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কার কার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবো।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ওই দিন রাতে এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান তিনি। যেখানে তাদের পেটানো হয়। এই ঘটনায় সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সানজিদার ভাষ্যমতে তার বুকে ব্যথা হওয়ায় তিনি তার ঊর্ধ্বতন স্যার এডিসি হারুনকে ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। বারডেম হাসপাতালটি ওই এলাকায় হওয়ায় স্যার রমনা থানার ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল নেন। শনিবার সন্ধ্যায় সময় মতো চিকিৎসক না পেয়ে তিনি হারুন স্যারকে হাসপাতালে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে তার স্বামী (মামুন) গিয়ে হারুন স্যারকে মারধর করেন। ওই সময় স্বামীর সঙ্গে আসা আরও দুইজন হামলায় অংশ নেয় এবং ঘটনার ভিডিও করতে থাকে। তখন তিনি ইটিটি কক্ষে ছিলেন।

ওই ঘটনার পর এডিসি হারুন ফোর্স নিয়ে মামুন ও ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকেও থানায় ডেকে নেন। এরপর ওই দুই ছাত্রনেতার উপর নির্যাতন চালানো হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) গোলাম মোস্তফাকে ডিএমপির সংরক্ষণ দপ্তরে বদলি করা হয়।

এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দফতরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

এই তদন্ত কমিটির ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তদন্ত শেষ করতে না পারায় ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও পাঁচ দিন সময় চায় কমিটি। পরে তাদের পাঁচ দিন সময় দেয়া হয়। সোমবার পাঁচ দিন সময় শেষ হয়েছে।

ঘটনার আলামত পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি বলছে, বারডেম হাসপাতালে স্ত্রী সানজিদা গিয়েছে জেনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে হাসপাতালে যান মামুন। সেখানে গিয়ে দেখা হয় এডিসি হারুনের সঙ্গে। পরে হাতাহাতিতে জড়ায় দুই পক্ষ। এক পর্যায়ে হারুন ও সানজিদা ঢুকে পড়ে হাসপাতালের ইটিটি রুমে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করে হারুন ও তার সহযোগীরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেসন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়েছে। এতে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হবে। আজ (মঙ্গলবার) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে সাগর উড়াও নামে এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে একই গ্রামের মৎস্য চাষি একটি পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর গ্রামে।

নিহত সাগর উড়াও মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর আদিবাসীপাড়া গ্রামের 

অনিল উড়াও এর ছেলে।

নিহতের স্বজন ও স্থানিয় সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টারদিকে চেরাগপুর মোড় থেকে পুকুরে মোটর সেট করে পানি সেচ দেওয়ার কথা বলে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যান চেরাগপুর ফকিরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলী মন্ডল এর ছেলে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন (৩৮)। পরেদিন শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে চেরাগপুর গ্রামের মোড়ের পার্শ্বে অপর একটি পুকুরের পানিতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখতে পান স্থানিয়রা। মহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে পুকুর পাড়ে লোকজন ভীর জমান। খবর দেওয়া হয় থানা পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্র মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহায়তায় পুকুরের পানি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করার পর মৃতদেহটি সাগর উড়াও এর বলে সনাক্ত করেন স্বজনরা। ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানান ওসি। খবর পেয়ে মহাদেবপুর (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন পুলিশ।

স্থানিয়রা ও থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুঃ ৮ টারদিকে

মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন তার মাছ চাষের পুকুরের পানি বিদ্যুৎ চালিত মোটর দিয়ে সেচ দিবেন জানিয়ে গ্রামের মোড় থেকে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরের দিন শুক্রবার মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন এর পুকুরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পদ্দপুকুর নামক অপর একটি পুকুর থেকে পিঠের নিচে কোমরের কাছে বিশাল ক্ষত অবস্থায় সাগর উড়াও এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকার ঘটনাটি থানা পুলিশকে স্থানিয়রা অবগত করলে সাথে সাথে পুলিশ প্রথমে বেলাল হোসেন এর মাছ চাষকৃত পুকুরে গিয়ে পানি সেচ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্থানিয়দের উপস্থিতিতে বেলাল হোসেন এর বাড়ি থেকে পুকুরে পানি সেচ কাজে ব্যবহারীত কাঁদা-মাটি মাখা বিদ্যুতের তার উদ্ধার করেন। পুকুরের পানি সেচ দিতে  অবৈধ্যভাবে নিজ বাড়ি থেকে তার টেনে পুকুরে নিয়ে মোটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় সেখানে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে সাগর উড়াও এর মৃত্যু হয়েছে এবং সু-চতুর মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন নিজেকে ঘটনার দায় থেকে রক্ষা করতে তার পুকুর পাড় থেকে মৃতদেহটি রাতের কোন এক সময় তুলে এনে পার্শ্বের অপর এক জনের পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার পর সে ও তার পরিবারের লোকজন গাঁ-ঢাকা দিয়েছেন বলেই স্থানিয় লোকজন বলাবলি করছেন।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এঘটনায় আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে। 


আরও খবর



বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমল ২ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে আসার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার (১৯৮ কোটি) বা প্রায় ২ বিলিয়ন কমে গেছে।

২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে,  (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ডলার। এর আগে গত ২৩ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৩২ কোটি ডলার।

এছাড়া নিট রিজার্ভ এক দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার কমে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে নেমেছে। এক মাস আগে অর্থাৎ ২৩ আগস্ট নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩১৬ কোটি ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে বকেয়া ঋণ পরিশোধ ও আমদানি দেনা মেটানোর কারণে রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার দিতে হচ্ছে। এতেও রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে একাধিক উদ্যোগ নেওয়ার পরও মূলত রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতির কারণে রিজার্ভ কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে জুলাই-আগস্ট মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ব্যয় পরিশোধে ১৩১ কোটি ডলার দিতে হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে এসেছে।

প্রতি মাসে গড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৩ মাসের মতো আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার শর্ত অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রাখতে হবে।

ব্যাংকাররা জানান, ডলারের আন্তপ্রবাহের চেয়ে বহিঃপ্রবাহ বেশি হচ্ছে। আবার রেকর্ড পরিমাণ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে গেলেও সেই তুলনায় রেমিট্যান্স আসছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তিন মাস আগে প্রবাসীরা গড়ে দৈনিক ৭ কোটি ডলারের বেশি পাঠালেও চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত তিন মাসের (১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর) ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৫ কোটি ২৭ লাখ ডলার করে। অর্থাৎ প্রবাসীরা চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। আর জুলাইয়ের প্রথম তিন সপ্তাহে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে পৌনে ৭ কোটি ডলার করে। তার আগের মাস জুনে প্রবাসীরা প্রতিদিন পাঠিয়েছিলেন গড়ে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার করে। ওই মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগস্ট মাসে প্রবাসীরা দেশে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৬৯৬ কোটি ডলার। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ছিল ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত এক বছরের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৯৬৩ কোটি ডলার।

রফতানি আয় আগের চেয়ে কমে যাওয়াকে অনেকেই রিজার্ভ কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে রফতানি আয় ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বাড়লেও আগস্টে পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা।

ডলারের বাজারে অস্থিরতা : এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলারের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকে চাহিদার তুলনায় ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে বেশি দামে ডলার কিনে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছে বিক্রি করছে।

রফতানি ও প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রের ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমদানিকারকদের কাছে এখন ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে কিছু ব্যাংক প্রতি ডলারে ১১৪-১১৫ টাকা দাম নিচ্ছে। কারণ, প্রবাসী ও রফতানি আয় কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। না হলে ঋণপত্র খুলতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না ব্যাংকগুলো।

এই ঘটনায় বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধানকে জরিমানা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বাফেদার বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে গিয়ে অনেকে ডলার কেনাবেচা করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানছে না। তিনি বলেন, বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান দায় এড়াতে পারেন না। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ব্যাংকগুলো যাতে ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা না করে, সে জন্য ব্যাংক মালিকদের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জবাবে ব্যাংক-মালিকরা বলেছেন, ডলারের দাম কিছুটা বাড়ানো হলে তাতে সংকট কমতে পারে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতাদের সঙ্গে ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র জানায়, সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে ডলারের বাজার পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ও ব্যাংকের সার্বিক তারল্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। সভায় বলা হয়, ডলারের সংকট এখন কমে এসেছে। সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই কোনও ব্যাংক যাতে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় বিএবির পক্ষ থেকে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আপত্তি জানায়। অবশ্য হুন্ডি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন ব্যাংক মালিকরা। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো হলে হুন্ডিতে ডলারের দাম আরও বাড়বে।

 


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




জামালপুর-১ আসনে নৌকার হাল ধরতে চান নূর মোহাম্মদ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন জামালপুর-১। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকার হাল ধরতে চান বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক নূর মোহাম্মদ। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি। নূর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সমাজসেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। 

জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরেশোরে প্রচার প্রচারনায় নেমেছেন নৌকা প্রত্যাশী নূর মোহাম্মদ। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ দুই উপজেলাতেই প্রচারনা চালাচ্ছেন। গণসংযোগ,পথসভা এবং ব্যাপক শোডাউন করছেন জেলা আওয়ামীলীগের এই নেতা। 

সোমবার বিকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা,পাথরেরচর,ডিগ্রিরচর,কাউনিয়ারচর এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন তিনি। গণসংযোগ কালে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন চিত্র জনগনের মাঝে তুলে ধরছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন  ধনাঢ্য ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ। 

গণসংযোগ কালে অন্যান্যের মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিটলার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালাল, আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুর রহমান খুদু,মনিরুজ্জামান মনির, নজরুল ইসলাম, কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান জুবায়ের হিটলার,সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ,নিলক্ষিয়া ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জাল হোসেন মিস্টার, বগারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, যুবলীগ নেতা মারুফ সিদ্দিকী,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সাইদুর রহমান লাল,সাবেক সাধারন সম্পাদক হাছানুজ্জামান সজিব,উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজন মিয়া,যুগ্ন আহবায়ক শোয়েব আল হাসান স্বজল ,কিয়ামত উল্লাহ কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান আরিফসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন,জামালপুর-১ আসন তথা দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ। এই আসনে তার জনপ্রিয়তার ধারের কাছেও নেই কেউ। তৃনমূল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের আশা ভরসার প্রতীক জননেতা নূর মোহাম্মদ। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নূর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি তৃনমুলের। আমরা আশাবাদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাছাই বাছাই করে এই আসনে জনপ্রিয় মুখ নূর মোহাম্মদকে নৌকা দিয়ে আমাদের মাঝে পাঠাবেন। নৌকার পালে হাওয়া লাগাতে নূর মোহাম্মদের বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।  

এ ব্যাপারে মনোনয়ন প্রত্যাশী নূর মোহাম্মদ বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। চাওয়া পাওয়ার আশায় রাজনীতি করি না। মানুষের বিপদে আপদে সামর্থ্যনুযায়ী পাশে থাকি সব সময়। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। একাধিবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষেই মাঠে থেকেছি,দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নৌকার জয় নিশ্চিত করেছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই,একটাই চাওয়া নৌকার জয়,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়। নৌকার জয় নিশ্চিত করতে ও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে তৃনমূল আওয়ামীলীগ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নৌকার জয় নিশ্চিত করে এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারবো বলে মনে করি।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩