Logo
শিরোনাম

নাশকতার চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।

তিনি বলেছেন, হরতালসহ যেকোনো নাশকতা মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগসহ কেউ যদি হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) একুশে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার জানান, ডিএমপির বাইরেও র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা থাকবে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। এবার টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর সড়ক সারাদিনই বন্ধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকাও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ঢাবি এলাকায় মেলাচলাকালীন এক মাস কোন ভারী যানবাহন চলবে না।

এক প্রশ্ন উত্তরে তিনি বলেন, উস্কানিমূলক কোনো বই যেন বইমেলায় না থাকে এর জন্য বাংলা একাডেমিকে বলা হয়েছে।

এসময় সড়কে আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনার।

বিভিন্ন অপরাধে জামিন পাওয়া আসামিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন ঘটনা এখন পর্যন্ত জামিন নিয়ে বের হয়েছে আমরা তাদের খেয়াল রাখব।

নিষিদ্ধ বই মেলায় আসা ও আগামীতে কি ধরনের নিয়ম হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সমন্বয় সভা করেছিলাম, আমরা বাংলা একাডেমির সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি তাদের অনুরোধ করেছি এমন ধরনের বই জন্য স্টলে না আসে। কোনো বইয়ে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কিছু আছে কিনা তা যেন স্ক্রিন করে তারপর মেলার স্টলে তোলা হয়। আমরা আশা করি তারা তাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করবে।

এসময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের আহুত কর্মসূচি নিয়ে কমিশনার বলেন, আমরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছি, তারা এখন কারাগারে আছেন। তারা যদি কর্মসূচি দিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালায় তবে আমরা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে আপাতত দৃষ্টিতে আমরা তেমন কোনো আশঙ্কা দেখছি না।

নগরীতে আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা বড় ভঙ্গুর, নাজুক, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আমি নিজেও কষ্ট পাই। আমি অনেকবার অনুরোধ করেছি, আপনারাও করুন। আপনাদের দাবি থাকলে রাস্তা নয়, ফুটপাতে করুন। বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

এদেশের লোক আমরা। আমরা কারো গায়ে হাত তুলতে চাই না। কাউকে মারতে চাই না। আমি কোনো ব্রিটিশ কমিশনার না। আমার ডানে-বামে আমার সহকর্মীরা ব্রিটিশ না। আমরা ব্রিটিশ থেকে আসি নাই। আমরা কোনোলিয়ান পুলিশ না। আমি ক্রোমোলিয়ন পুলিশ কমিশনারের মতো আচরণ করতে পারব না। আমি আমার লোককে লাঠি দিয়ে পেটাতে চাই না।

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের লাঠিচার্জ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আমার সহকর্মীদের বলেছি টোটালিভাবে কোনো লাঠিচার্জ করা যাবে না। আমি প্রতিদিন আমার লোকজনকে ট্রেইন আপ করছি। তাদের ট্রেইন আপ করা আছে, আমি এদেশের মানুষ, আমি এদেশের মানুষের উপর লাঠিচার্জ করব না।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী বছর থেকে বইমেলায় যেসব বই তোলা হবে সেগুলোর পাণ্ডুলিপি আগেই বাংলা একাডেমির কাছে জমা দিতে হবে বলে এমন প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তারা সেই লেখাগুলো যাচাই-বাছাই করবেন। যাতে এমন কোনো কনটেন্ট বইয়ের স্থান না পায় যেটা আমাদের সোশ্যাল লাইফকে বিতর্কের মাঝে ফেলে। আমাদের দেশদ্রোহী কোনো ধরনের প্রকাশনা যেন না তোলা হয় এটা আমরা অনুরোধ করেছি। বই প্রকাশের আগে পাণ্ডুলিপি তাদের জমা দিতে হবে। তারা অনুমতি দিলে তবেই সেই বই মেলায় উঠবে।


আরও খবর



‘র’ নিষিদ্ধের সুপারিশ মার্কিন ফেডারেল কমিশনের

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)’ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে মার্কিন ফেডারেল সরকার গঠিত কমিশন। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এ সুপারিশ করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দেশটির ফেডারেল সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতে সংখ্যালঘুরা দিন দিন অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছে জানিয়ে ইউএসসিআইআরএফের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিউনিস্টশাসিত ভিয়েতনাম ধর্মীয় বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সেই কারণে ভিয়েতনামকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসেবে তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। চীনকে নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগের কারণে ভারতের মতো ভিয়েতনামের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় দীর্ঘদিন ধরে নয়াদিল্লিকে সহায়ক শক্তি হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন। সে কারণেই ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বরাবরই এড়িয়ে গেছে। তবে এই সংস্থা সুপারিশ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় র-এর ওপর মার্কিন সরকার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না, তা জোর দিয়েই বলা চলে।

২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর ভারতের নজরদারির ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত মৈত্রীর সম্পর্কে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করে। সাবেক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ নেতা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছে। তবে, ভারত বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে আসছে দেশটি।

প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন বলেছে, ‘২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ও বৈষম্য বেড়েই চলেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মুসলিমসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে ও ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।’ গত বছর এপ্রিলে মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, তারা ‘বেশি বেশি সন্তান’ নেয়। এর সঙ্গে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের ভোটের স্বার্থ রয়েছে বলে মোদির অভিযোগ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংস্থাটির প্রতিবেদনে। তবে নয়া দিল্লি এসব প্রতিবেদনকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মোদি বরাবরই ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব অভিযোগের বিপরীতে তার ভাষ্য, তার সরকারের বিদ্যুতায়ন ও ভর্তুকি থেকে সংখ্যালঘুরা ব্যাপকভাবে উপকৃত।

ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি নিখিল যাদব ও র—এর বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের’ সুপারিশ করেছে ইউএসসিআইআরএফ।

মানবাধিকারকর্মীরা বরাবরই ভারতীয় সংখ্যালঘুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরছেন। ভারতে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ছড়াছড়ি, জাতিসংঘের দৃষ্টিতে চরম বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা ক্ষুণ্নকারী আইন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও মুসলমানদের মালিকানাধীন স্থাপনা ভেঙে ফেলার কথা তুলে ধরেছেন তারা।

উল্লেখ্য, ইউএসসিআইআরএফ উভয়দলীয় সরকারি সংস্থা। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং করণীয় সুপারিশ করে। আর ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বরে। সাধারণত বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের তথ্য সরবরাহ করে সংস্থাটি।


আরও খবর



গোলার বাজার টু যাত্রাবাড়ি, বাস সার্ভিসের বৈষম্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক :

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে সকাল ৭টার পর নড়িয়ার গোলার বাজার থেকে প্রতিদিন শুধু মাত্র একটি বাস ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে। এতে আশেপাশের ঢাকাগামী মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফিরে এসেছিল কিন্তু এখানেও নিয়মিত চলছে বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি। আমি এর মধ্যে একদিন সকাল ৬টার পর পরই বাসে গিয়ে উঠলাম যেন সামনের সিট পাওয়া যায়, সে আশায় ঘন্টাখানেক আগেই গেলাম কিন্তু দেখলাম ভিন্ন চিত্র। পুরো বাস ফাঁকা তিনজন যাত্রী দেখতে পেলাম তাও তারা পিছনের সিটে, সামনে সব গুলো ফাঁকা, বসতে চাইলেও বসতে দিলো না জাহাঙ্গীর নামক এক হেলপার নাকি কন্ট্রাকদার বুঝিনি। তবে চেহারা চিনি সব আমলেই দৌরাত্ম্য তার গাড়ি ব্যবসায়। যাইহোক বসতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলে লোক আছে, পিছনে একটা সিট ছিলো কোনরকম বসে পরলাম, অপেক্ষায় ৭.১০ বেজে গেলো, ছবিটি এ সময়েই তোলা। এর মধ্যে অনেক লোক আসলো কিন্তু তাদের ফিরিয়ে দিলো যায়গা নেই বলে। সবাই হতাশ আর মন খারাপ করে চলে গেলো। কেউ কেউ আমার মতোই কারণ জেনে চুপ হয়ে গেলো। ৭ টা ২০ মিনিটে হুট করে দেখি আগে থেকে হাসপাতালের মতো বুকিং দেওয়া লোকজনে বাস ভরে গেলো এবং ছেড়ে গেলো। 

যাইহোক ঘটে যাওয়া বৈষম্য বললাম।  এমন ঘটনায় আমি যা দেখতে পেলাম তা অনেকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। গোলার বাজার, আশেপাশের দুটি ইউনিয়নের মানুষের বসবাস, এখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করে, সবাই সবার পরিচিত কিন্তু বাস সার্ভিস যদি পরিচিতদের মধ্যে ভিআইপি তৈরি করে দেয় সেখানে বিভেদ সৃষ্টি হয়। যারা নিয়মিত ঢাকাগামী তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়, সময় মতো বাসে গিয়ে কেও সিট না পাওয়া কিংবা ফিরিয়ে দেওয়া সেসব মানুষজন আর এ বাসে যাওয়ার জন্য আসবে না তারা পূর্বের হাল ই বেছে নিবে। নিয়মিত যাত্রীবাহী বাস কখনো আগে থেকেই বুকিং হয়ে থাকে না এতে জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার সাধারণ যাত্রী। 

পরিশেষে- যারা এখানকার মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ বাসটি চালু করেছেন তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশাবাদী।  

নিয়ম করা যায়-আগে থেকে কোন বুকিং নয় সময়মতো বাস ছাড়বে সে অনুযায়ী যে যেখানে ফাঁকা পাবে সেখানে বসবে। বাস ভরে গেলো ছেড়ে যাবে। এতে সকলেই সুবিধাভোগ করগে পারবে বৈষম্য দুর হবে।


আরও খবর



গেন্ডারিয়া থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা:  

মামলার ঘটনা অত্র থানাধীন ফজলুল হক মহিলা কলেজে রেলওয়ে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থী কর্তৃক ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায়  অসৎ উপায় অবলম্বন করা দুজনকে গ্রেফতার করেছে গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ ।

এই মামলার এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১জন। আসামীর নিকট থেকে একটি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস উদ্ধার করা হয় এবং আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী আরেকজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই আসামির নিকট থেকেও আরেকটি সেইম ডিভাইস উদ্ধার করা হয় এবং তার মোবাইল থেকে  AAAA নামে একটি whatsapp group এর সন্ধান পাওয়া যায়। যার মেম্বার সংখ্যা ৭ জন। উক্ত AAAA নামের Whatsapp group এর  Admin রাশিদুল আলম পিং জাফর সরকার, সাং তাম্বুলপুর, পীরগাছা, রংপুর| 

গেন্ডারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মনজুরুল হাসান মাসুদ, এসআই/মোঃ তৌফিক আনাম, এএসআই/মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় মতিঝিল দিলকুশা এলাকা হইতে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা ধৃত আসামী  মোঃ রাশেদুল আলম (৪০), পিতা- মোঃ আবু জাফর সরকার, মাতা- মোছাঃ রোকেয়া বেগম, স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম- অজ্ঞাত । (সাং-তাব্বুলপুর) , উপজেলা/থানা- পীরগাছা, জেলা -রংপুর, বাংলাদেশ, বর্তমান ঠিকানা-(সাং- ৩৭/১ সাইকি ভবন বসুন্ধরাগলি, মিরপুর রোড) , উপজেলা/থানা- নিউমার্কেট, জেলা -ঢাকা, বাংলাদেশ এবং তার সহযোগী ও মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), পিতা- মোঃ সাইদুর রহমান, মাতা- মোছাঃ লিপি বেগম, স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম- ভরত খালী, উপজেলা/থানা- সাঘাটা, জেলা –গাইবান্ধাকে ইং-২৮/০২/২০২৫ তারিখ আটক করেন এবং উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে গেন্ডারিয়া থানার ,এফআইআর নং-১৯, তারিখ- ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪; জি আর নং-৪১, তারিখ- ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪; সময়- ১৬.৩০ ঘটিকা ধারা- ২৩ সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩; তৎসহ 9(b) The Public Examinations (Offences) Act, 1980 বিবাদীদ্বয়কে ইং-২৮/০২/২০২৫খ্রিঃ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




অলিগলিতে টহল বাড়ানো হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বললেন, অপরাধ প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা জোরদার করতে মহানগরীর অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে।

রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ফেব্রুয়ারি (২০২৫) মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজানের শুরুতে ছিনতাইয়ের গতি বৃদ্ধি পেলেও পুলিশি তৎপরতায় তা অনেকাংশে কমে এসেছে। তিনি পুলিশের সফলতা ধরে রাখতে আরও আন্তরিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান এবং বলেন, "সহায়ক পুলিশরাও পুলিশের মতো গ্রেফতার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে, থানাগুলো তাদের সহায়তা করবে।"

নগরীর নিরাপত্তা জোরদার নিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, জিডি এন্ট্রির এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রেসপন্স করবে এবং ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাশ রিপোর্ট প্রদান করবে। মহানগরীর অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে। গ্রেফতারি ও সাজা পরোয়ানা কার্যকরে জোর দেওয়া হবে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মহানগরবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষ সতর্কতা

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ছিনতাইকারী গ্রেফতার হওয়ায় মহানগরীর ছিনতাই পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, "ছিনতাইকারীদের কোনও নির্দিষ্ট পেশা নেই, তাই তারা ঈদকে কেন্দ্র করে অপরাধে জড়াতে পারে। বিশেষ করে গাবতলী ও মহাখালী এলাকায় ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বাড়তে পারে, এ বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে।"

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, "ঈদের সময় অনেক বাসা ও মার্কেট খালি থাকবে, বিশেষ করে স্বর্ণের দোকানগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। রাত্রিকালীন টহল বাড়িয়ে চুরির ঘটনা প্রতিরোধ করতে হবে।"

অস্থিরতা ঠেকাতে পুলিশের প্রস্তুতি

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম বলেন, বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু গোষ্ঠী রাস্তায় নেমে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, পুলিশকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

ডিএমপির অপরাধ পর্যালোচনা

সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন, যেখানে ডাকাতি, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনাররা, সহকারী পুলিশ কমিশনাররা ও সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)।

ডিএমপি কমিশনার সকল কর্মকর্তাকে ঈদকে ঘিরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন এবং নগরবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।


আরও খবর



গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বললেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা।দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বানীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণীর শুরুতে তারেক রহমান সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের সংগ্রাম মূখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তারেক রহমান বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে আনন্দোজ্জল মূহুর্তের মধ্যে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে, তাহলো এ দেশের অগণিত দেশপ্রেমিক শহীদের আত্মদান; আমি এ মহান দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অবিস্মরণীয় আত্মদানে অর্জিত হয়েছে দেশমাতৃকার মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সব জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যাদের জীবন মরণ লড়াইয়ে ৯ মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জাতি কখনোই বিস্মৃত হবে না।

আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মানচিত্র। এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণায় সেই মূহুর্তে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই।

বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরী করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা।

তারেক রহমান বাণীতে আরও বলেন, আজকের এই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি আহবান জানাচ্ছি-জাতির সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ‘৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার জন্য। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।


আরও খবর