Logo
শিরোনাম

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে এক দিন আসেন ডাক্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) পিরোজপুর :

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ও নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এক দিন আসেন। গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর, অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন মাসে মাত্র চার দিন আসেন।

উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ জনগণের চিকিৎসা সেবায় সরকারি এই হাসপাতালটি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের অভাবে চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার। 

গত বছর আঠারো ডিসেম্বর এখানে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত যোগদানের পরেও তাদের ডিউটি ফাঁকিবাজিতে এবং জিএ মেশিন মেরামতের অভাবে চালু হচ্ছেনা অপারেশন থিয়েটার। 

হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর সপ্তাহে রবিবার আসেন অ্যানেসথেসিয়া ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাসের বেতন নেওয়ার জন্য একবার আসেন। এছাড়া হাসপাতালে যদি কোন ইনেক্সপেকশন থাকে তখন এসে হাজির হন। 

এ বিষয়ে নাক, কান, কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন বলেন, আমি সপ্তাহে বুধবার রোগী দেখি নেছারাবাদে। এছাড়া অন্যান্য দিন বরিশালের ল্যাবএইডে রোগী দেখি।

অনুপস্থিতির ব্যপারে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত বলেন, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন সংযোজন বা মেরামতের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় আমার কোন কাজ নাই। হাসপাতালে গিয়ে অন্যের চেম্বারে বসে থাকতে হয়। ওটি চালু হলেই আমি ওখানে থাকবো। বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকি হাসপাতালে প্রায়ই যাই।

গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ইন্দ্রাণী কর রোগী থাকলে রবি বার আসতে বলে ফোন কল কেটে দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফিরোজ কিবরিয়া জানান, হাসপাতালের জিএ মেশিন চালু হলেই সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার কন্টিনিউ ডিউটি করবেন। প্যাথলজিকাল পরীক্ষা নিরীক্ষা চলমান রয়েছে। ব্যাকের দেওয়া এক্সে মেশিনটি সামান্য মেরামত দরকার। হাসপাতালে কন্টিনিউ হওয়ার ব্যাপারে এই তিন ডাক্তারকে তাগিদ দেবো।


আরও খবর



বিনিয়োগকারীদের ৩০০% নগদ লভ্যাংশ দেবে ওয়ালটন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। অর্থাৎ সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি ৩০ টাকা লভ্যাংশ বাবাদ এ মুনাফা দেওয়া হবে। জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পূর্ব ঘোষিত পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

একই সভায় উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের শেয়ার প্রতি ৯ টাকা করে মুনাফা দেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

বিদায়ী বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা। সেখান থেকে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০ টাকা আর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯ টাকা করে মুনাফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগের বছর ২০২২ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। সে বছর শেয়ার সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগের বছর ২০২১ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।

পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ডিজিটাল মাধ্যমে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ অক্টোবর।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১১১ টাকা ৮৪ পয়সা। যা আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৭ টাকা ৯১ পয়সা।

২০২০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ‍্যা ৩০ কোটি ২৯লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। বৃহস্পতিবার সেই শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায়।


আরও খবর



চুরির অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন' সেই যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু (৩৬) কে দিন-দুপুরে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন (মারপিট) করায় দীর্ঘ ২৫ দিন হাসপাতাল বেডে যন্ত্রনায় ছটফট করে অবশেষে মৃত্যু হয়েছে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টুর। 

নিহত লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর বাজার এর পার্শ্ববর্তী ভীমপুর ভেবরী পাড়া গ্রামের মৃত মিরাজ মোল্লার ছেলে। 

নিহতের পরিবার ও স্থানিয়রা জানান, সরস্বতীপুর বাজার এর পার্শ্ববর্তী ভীমপুর ভেবরী পাড়া গ্রামের মৃত মিরাজ মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু ছোট থাকতেই তার মা ও বাবার মৃত্যু হয়। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু বাসের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এরিমাঝে সরস্বতীপুর বাজার দীঘির পাড়ে অবৈধ্য ভাবে গড়ে তোলা (পুরাতন যানবাহন) ভাঙ্গার কারখানা মালিক একই গ্রামের মামুন লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু কে তার কারখানাতে শ্রমিক হিসেবে কাজে নেয়। এক পর্যায়ে কারখানাতে কাজ করতে না চাওয়ায় কারখানা মালিক মামুন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরিমাঝে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু কারখানাতে কাজ করা বন্ধ করেন। ঘটনার দিন গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টারদিকে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু তার শ্রমের পাওনা টাকা নিতে ঐ কারখানাতে গেলে সে সময় কারকানা মালিক মামুন আলী সরদার এর নের্তৃত্বে সাইদুল দেওয়ান, দুলাল দেওয়ান ও রামিম দেওয়ান সহ কয়েকজন লিটন মোল্লা ভুট্টুকে প্রথমে ভাংরি কারখানার ভেতর আটক করে রেখে অমানবিক নির্যার্তন চালান। এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্য সেখান সাইদুর দেওয়ান এর বাড়িতে নিয়ে আবারো অমানবিক নির্যাতন ( মারপিট) করাকালে বাজারের ব্যবসায়ী ওতার স্বজনরা ঘটনাটি জানতে পেরে সেখান থেকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় লিটন মোল্লা ভুট্টুকে উদ্ধার পূর্বক দ্রুত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঐ দিনই দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বগুড়াতে রেফার্ড করেন। স্বজনরা ঐ রাতেই তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান এবং সরস্বতীপুর বাজারের দোকানী, (বয়লার) ধান চাতাল মালিক ও গ্রামের লোকজন চাঁদা টাকা তুলে তার চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন। এরি মাঝে অবস্থা সংকট জনক হওয়ায় চিকিৎসক সাথে থাকা স্বজনদের বলেন, এরোগীর অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ সময়ের অপেক্ষা এজন্য বাসায় নেওয়া ভালো বলে গত সোমবার সন্ধার দিকে ছাড়পত্র দিলে স্বজনরা তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার মাত্র কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে বুধবার পূর্বরাত ২টারদিকে দীর্ঘ ২৬ দিন মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটপট বা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে লিটন মোল্লা ভুট্টুর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলে ঐ দিন সন্ধায় দাফন সম্পূর্ণ করা হয় বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজন সহ স্থানিয়রা।

নিহত ভুট্টুর বোন মাবিয়া সুলতানা সুলতানা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর মামুন সরদার তার সহযোগীরা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ভাইকে আটক রেখে অমানবিক নির্যাতন করেন। পরে স্থানিয় বাজারের ও গ্রামের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে দীর্ঘ ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু অর্থাভাবে তাকে ঢাকা নিতে না পেরে ঐদিন তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পর তার মৃত্যু হয়। নিহত ভুট্টুর স্ত্রী জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজন এর আর্থিক সহযোগিতায় দীর্ঘ ২৬ দিন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও শেষ পর্যন্ত অর্থাভাবে তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে না পেরে বাড়িতে নিয়ে এসে রাখি। কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে বুধবার রাত ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, ভুট্টুকে মারপিটের ঘটনার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর তার চাচা মান্নান মোল্লা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



টেকসই রেটিংয়ে শীর্ষ পুরস্কার জিতল সিটি ব্যাংক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সাসটেইনেবিলিটি রেটিং’-এ আবারও শীর্ষ পুরস্কার জিতে নিয়েছে সিটি ব্যাংক। এ নিয়ে ব্যাংকটি টানা তৃতীয়বারের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শীর্ষ টেকসই ব্যাংকের পুরস্কার জিতল। সিটি ব্যাংক ২০২২ সালের কার্যক্রমের ভিত্তিতে ‘সাসটেইনেবিলিটি রেটিং’-এ শীর্ষ ব্যাংক হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক মোঃ খুরশীদ আলম ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মূলত পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই মান যাচাই করে থাকে। এগুলো হলো- টেকসই অর্থায়ন সূচক, পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে অর্থায়ন, সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম এবং মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমের টেকসই সক্ষমতা ও ব্যাংকিং সেবার পরিধি বা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি।  


আরও খবর



আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হবে ২ নভেম্বর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এবার এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগামী ২ নভেম্বর চূড়ান্ত করা হবে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি। ভোটার তালিকা চূড়ান্তের পরেই ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, মাঠ কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যারা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করবেন তাদেরও আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরপরই মাঠ কর্মকর্তাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কাজে হাত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে কর্মকর্তাদের।

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা বা থানা ভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার জন্য পাঠানো হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। এরপর উপজেলা বা থানা ভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। সবশেষে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে ২ নভেম্বর।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রার্থীদের কাছে সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে একটি অঙ্কের টাকা পরিশোধ করে আসনভিত্তিক ওই সিডি গ্রহণ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। যেই সিডির ভিত্তিতেই প্রার্থীরা জানতে পারবেন কে তার ভোটার।

গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে সময় দেওয়া হয়েছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর। আর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।

সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যা জানা যাবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর।

খসড়া তালিকা অনুযায়ী, এবার ৪২ হাজার ৪০০ টির মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। আর ভোটকক্ষ হতে পারে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোট ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিলের পর আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



শিক্ষায় ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে ব্যয়ের জন্য ৩০০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কোভিড অতিমারিতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, সশরীরে ও অনলাইন পাঠদানের মিশ্র পদ্ধতির প্রাপ্যতা নিশ্চিতে, শিখনফলের মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনতে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার।

বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড ওয়াশিংটনের সময় শুক্রবার বাংলাদেশের জন্য এ অর্থের অনুমোদন দেয়। লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন (এলএআইএসই) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালে এ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান কার্যালয়ের প্রধান আবদোলায়ে সেক বলেছেন, নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা আনয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু কোভিডকালে দীর্ঘ মেয়াদে স্কুল বন্ধ থাকায় অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে-শিশুদের বিরাট অংশ স্কুল ছেড়েই দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবসময় পাশে থাকবে।

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে, সুদবিহীন ও স্বল্প শর্তে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এখনো বাংলাদেশের ৫৬টি প্রকল্প চালু রয়েছে, যার অর্থের পরিমাণ ১৬ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার।


আরও খবর