Logo
শিরোনাম

নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনে স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা):

নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে নেত্রকোনার সাংবাদিকরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া পৌরসভার সামনের সড়কে এই অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।


প্রেসক্লাবের বাইরে থাকা নানা অপকর্মে অভিযুক্ত নামধারী সংবাদকর্মীরা মামলা করায়। আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে প্রথম দিন অনিদির্ষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করা হয়। প্রথম দিনের ন্যায় আজ দ্বিতীয় দিনেও সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা পালন করছেন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।


জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পালের সভাপতিত্বে প্রহসনের রায় দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচারকের অপসারণ দাবী করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা বলেন, আদালত থেকে রায় ঘোষণা হবার আগে থেকেই নির্বাচন স্থগিতাদেশ হবার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায় এতে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় এটা ষড়যন্ত্রমূলক ও পূর্ব পরিকল্পিত। যে কারণে সাংবাদিকরা এই রায়কে প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করেন।


কাজেই এই প্রহসনের রায়কে অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করে দ্রুত সময়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবী জানানো হয়। তারা আরও বলেন প্রেসক্লাবের সদস্যও নয় এমন ব্যক্তি আবার সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মামলা করার এখতিয়ার বহির্ভূত মামলায় কি করে এমন রায় দেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিকসহ সূধী সমাজে। এতে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ বক্তব্য রাখার পাশাপাশি আগামী দিনে পুরো শহর অচল করে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।


উল্লেখ্য, মামলা দায়ের কারি ব্যক্তি নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলেও গঠনতন্ত্র মোতাবেক যোগ্যতা না থাকায় তার সদস্যপদ প্রদান করা হয়নি। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের বাহিরে কখন কোনো সদস্য পদ দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ম অনুসারে ওই ব্যক্তি সদস্য পায়নি।


যে কারণে প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এবং নির্বাচন বানচালের জন্য ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করলে ২২ মার্চ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. আরিফুল ইসলাম নির্বাচনের আগেরদিন ২১ মার্চ বিকাল সাড়ে চারটায় এই প্রহসনের রায় প্রদান করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় দেড় কেজি গাঁজাসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | ৯৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ মাদক কারবারি দম্পতি ফরহাদ হোসেন (৩৪) ও তার স্ত্রী মনি আক্তার (২৫) কে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃত স্বামী-স্ত্রীকে সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজাতে পাঠানো হয়।

নওগাঁর রাণীনগর থানা পুলিশ রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে গাঁজাসহ তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন। 

গাঁজাসহ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, আটককৃত মাদক কারবারি স্বামী-স্ত্রীর বাড়ি রাণীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামে।

তিনি আরো জানান, আটককৃত স্বামী-স্ত্রী নিজ বাড়িতে মাদক বেচা-কেনা করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে থানার এসআই কল্লোল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি ফরহাদ ও তার স্ত্রী মনিকে আটক করা হয়। আটককালে তাদের হেফাজতে বাড়িতে রাখা দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন পুলিশ। আটককৃত দুইজনের বিরুদ্ধে রাতেই থানায় মাদক মামলা রুজু করা হয়। সোমবার দুপুরে তাদের দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এ কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

আশকোনা হজ অফিস ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে হজ ফ্লাইট। হজচুক্তি অনুযায়ী এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন।

আশকোনা হজ ক্যাম্প, হজ এজেন্সি হাব ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এবার হজ পালনে যাবেন সরকারি-বেসরকারিভাবে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯১ জন বাংলাদেশি। ৪০ হজযাত্রীর জন্য থাকছেন একজন গাইড।

হজ ক্যাম্পের আইটি সেকশন ও কয়েকটি হজ ট্রাভেল এজেন্সির মালিক জানান, এবার ৬০৩টি হজ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে ১ লাখ ১০ হাজার ৪১৭ জন (নন-ব্যালটি) হজে যাচ্ছেন। আর সরকারিভাবে যাচ্ছেন (ব্যালটি) ১০ হাজার ৭৪ জন। এসব হজযাত্রীর খোঁজখবর নিতে ৬০৩টি ট্রাভেল এজেন্সির ৬০৩ জন মালিক বা প্রতিনিধি সৌদি আরব যাচ্ছেন।

আগামী ২০ মে দিনগত রাত পৌঁনে ৩টায় প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবে যাবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




এক সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে সিলগালা

ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন ১৭তলা ভবন ডি-ব্লকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি বিভাগের মধ্যে অনেক বিভাগও এ ভবনেই। অথচ ভবনটি রয়েছে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড ঝুঁকিতে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুটি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবন এক সপ্তাহের মধ্যে সিলগালা করার নির্দেশনা দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পরে ভবনগুলো ভেঙে ফেলতেও বলা হয়েছে। রাজউক থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্স প্রদানের জন্য ঢাকায় ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর) প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর আইপিজিএমআরকে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল সংসদীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রূপান্তর করা হয়। আইপিজিএমআর থেকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. তাহির। ওই সময় ডি-ব্লক নির্মাণ করা হয় এবং এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ছিলেন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী হুমায়ুন কবির।

জানা গেছে, বর্তমানে বিএসএমএমইউতে ৫৬ বিভাগের অধীন ১ হাজার ৯০৪ শয্যা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৯টি ভবন। এ ছাড়া গত বছর সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল নামে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিএসএমএমইউর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভবন ডি-ব্লক। ১৭তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠান ও রাজউকের যৌথ গবেষণায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভবনটি ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। গত ১২ মার্চ বিএসএমএমইউর ভিসির কাছে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন জাহানের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন কারিগরি কমিটির গবেষণাকালে ৪২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। তাই কারিগরি কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিএসএমএমইউর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি ভবন আগামী সাত দিনের মধ্যে সিলগালা করে দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি অতিব গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠির বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মো. মোবারক হোসেন বলেন, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টে দেখা গেছে, রাজউকের আওতাধীন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ২২৯টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৪২টি ভবন রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়, যেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। আর ১৮৭টি ভবন কম ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোকে রেক্ট্রোফাইটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে। এসব ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা বাইরের প্রকৌশলীদের নিয়ে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন ভবনটি ঠিক আছে। এটি কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হলো, তা জানতে রাজউককে চিঠি দিয়েছি। রাজউক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভবনটিতে অনেক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এত যন্ত্রপাতিসহ একটি ভবন ভেঙে ফেলা সহজ নয়। রাজউক যদি বুয়েটের টিম দিয়ে ফের পরীক্ষার কথা বলে থাকে, তাহলে আমরা পরীক্ষা করাব। তারপরই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, ১৭ তলা বিশিষ্ট ডি-ব্লক নামের ভবনটি নতুন হলেও নকশা অনুযায়ী হয়নি। ভবনটির ভেতরে অপ্রশস্ত করিডোর, জরুরি নির্গমন না থাকা, লিফট স্থাপনও সঠিকভাবে হয়নি। ভবনটি চরম অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ভবনটি গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মাণ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছে। আমরা বলেছি, ভবনটি বিধিবিধান মেনে নির্মাণ হয়নি। এখন তারা যদি আমাদের গবেষণা রিপোর্ট মানতে না চায়, তাহলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মাধ্যমে ফের পরীক্ষা করাতে পারে। সে সুযোগ তো তাদের আছে। ভবনটি এখনই ভেঙে ফেলত হবে, এমন নয়। তবে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ভবনটি খালি করে সিলগালা করা উচিত।

গবেষণা দলের একজন সদস্য বলেন, ১৭ তলা ভবনটি একবারে নির্মাণ করা হয়নি। প্রথমে কয়েকতলা নির্মাণ করা হয়েছে। এর কয়েক বছর পর আবার কয়েক তলা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশা অনুযায়ী গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবনটি নির্মাণ করে। ভবনটিতে দুটি ফায়ার এক্সিট রাখার দরকার হলেও একটিও রাখা হয়নি। ভবনের ভেতরের করিডোর একেবারে চিকন। সিঁড়ি দুটি এমনভাবে করা হয়েছে, আগুন লাগলে মানুষ সেগুলো দিয়ে বের হতে পারবে না। ভবনটি একটি বাক্সের মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে। কত সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, সে তথ্যও পাওয়া যায়নি। এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হাজারো মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

রাজউকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্লান (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আওতাধীন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের ভবনের ঝুঁকি নিরূপণ করতে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প : রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গবেষণার দায়িত্বে ছিল জেভি অব এনকেওয়াই (তুর্কি)। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ঢাকার শেলটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ডিএমডিপি এলাকার ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের রেপিড ভিজ্যুয়াল অ্যাসেসমেন্ট (আরভিএ) এবং প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) করে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণ করে। গবেষণাকালে ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর কম ঝুঁকির তালিকায় আছে ১৮৭ ভবন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য প্রতিবেদন আকারে রাজউকে দাখিল করা হয়েছে।

রাজউকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গবেষণা প্রতিবেদনে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ৪২টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদরাসা বোর্ডের একটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি ভবন। এ ছাড়া প্রতিবেদনে সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৮৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রেক্ট্রোফাইটিং করে মজবুত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের চারটি, মাদরাসা বোর্ডের ছয়টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




নওগাঁয় র‍্যাব সেজে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে প্রতারক চক্রের ৩ জন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে র‍্যাব সেজে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ চাঁদাবাজকে আটক করেছে র‍্যাব। আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের সালেহ মাহামুদের ছেলে সুলতান মাহামুদ (৩১), মহাদেবপুর উপজেলার কালুশহর গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে এলিট কবির (২৩) ও ময়েজ উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে সানোয়ার হোসেন (৩৪)।

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জানান, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলামেরর নেতৃত্বে বুধবার ভোর পৌনে ৪ টার দিকে থানার কেশাইল এলাকা থেকে নগদ ২৭ হাজার ৫৫০ টাকা ও কালো রংয়ের মোটর সাইকেলসহ র‌্যাব পরিচয়ে গভীর রাতে চাদাবাজী করতে গেলে এলাকার সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজী চক্রের মূলহোতাসহ ওই ৩ জনকে আটক করা হয়।

র‍্যাব আরও জানান যে, মূলহোতা এলিট কবির অবৈধ আর্থিক সুযোগ সুবিধা গ্রহনের জন্য ভুয়া র‌্যাব পরিচয় ব্যবহার করত এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় লোকজনের কাছে নিজেকে র‌্যাব সদস্য হিসেবে হাতকড়া প্রদর্শন করে মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করত। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনগণ ও র‌্যাবের অপারেশনাল দলের সামনে তারা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদেরকে ভূয়া র‌্যাব সদস্য পরিচয়ে মানুষের নিকট হতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে।

পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বদলগাছী থানায় মামলা দায়ের করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ননএমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৩৪০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে তার নিজ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে "চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়" নামের একটি নন এমপিও বিদ্যালয়ের নামে পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ঐ প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করে বলেন, নন এমপিওভুক্ত ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কোঠা পূরণ করতে এই অনিয়ম করছেন তারা।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার মধ্যে একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এজন্য এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হয়। ২০২৩ সালে ঐ বিদ্যালয়ের ১১৭ জন পরীক্ষার্থী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তার প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩/১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত (নন এমপিওভুক্ত) চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করেন। তিনি বছরের পর বছর ধরে এই অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে ও জানান তারা। অনুসন্ধানে দেখা যায়  চলতি ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ঐ বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঐ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১০৪ জন বাকি ১৩ জন শিক্ষার্থীদেরকে না জানিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে ফরম করিয়ে পরীক্ষা দেওয়াচ্ছেন। সেই ১৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ জন বিজ্ঞান বিভাগের আর ৮ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগের। বিজ্ঞান বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীরা হলেন, মরিয়ম আক্তার, উর্মিলা, সীমা খাতুন, হিরা এবং সাহরিয়া আর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলেন, হাফিজা আক্তার, ইসরাত জাহান ইভা, সুমি আক্তার, তাসমিন, রাজিয়া সুলতানা রিয়া, রাজ্জুমা এবং নাহিদা আক্তার। এর মধ্যে হাফিজা আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলীসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করায় তাকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। এজন্য হাফিজা আক্তারের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কয়েকজন পরীক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অত্র বিদ্যালয়ে আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে লেখাপড়া করেছি। করোনাকালীন সময়ে জিএসসি পরীক্ষায় আমরা সকলে অটোপাস করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে কোন সনদপত্র দেয়া হয়নি। এবারের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলাম। ঐ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আমাদের ১৩ জন শিক্ষার্থীদের কাউকে উপবৃত্তির টাকাও দেয়া হয়নি। আমার মত আরো ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য স্কুলে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমাদের ১৩ জন ছাত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেসব বিষয়ে আমরা কেউ জানতাম না। পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে আমরা জানতে পারি চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে গোটগাড়ি শহীদ মামুন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের ১১২ নং রুমে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।আর বাকি ১০৪ জন এই স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে মান্দার প্রসাদপুরে “মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ" কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, তারা জেএসসি পরীক্ষাও ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে দিয়েছে। ঐ পরীক্ষার্থীরা কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে এবং ক্লাস করেছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে সাক্ষাত করতে বলেন।

চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী আপনার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিচ্ছে কি না সেটা জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রতিষ্ঠানে অনেকে লেখাপড়া করে গ্রামের প্রতিষ্ঠানের নামে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাতে সমস্যা কি?

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। স্বীকৃতি প্রাপ্ত এক স্কুলের শিক্ষার্থীকে অন্য কোনো স্কুলের শিক্ষার্থী হিসাবে দেখিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। এরপরেও যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে 


আরও খবর