Logo
শিরোনাম

নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশ্বমানের সেবা ও প্রিয় স্বজনদের কাছে পেয়ে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দ্রুতই উন্নতি হচ্ছে। তিনি এখন নিজে থেকে সামান্য হাঁটতেও পারছেন।

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো। তিনি আজ একা একা হাঁটতেও পেরেছেন।

এনামুল হক চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে থেকেও খালেদা জিয়া দেশের খোঁজখবর নিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, বর্তমান অবস্থা কী?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ম্যাডাম যথেষ্ট ভালো আছেন। আজ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি তাকে দেখে গেছেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে আজ ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। বলতে পারি তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।

এদিকে, অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে আসেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে স্বাগত জানাতে তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন।

এরপর যখন হুইল চেয়ারে করে মা খালেদা জিয়া ছেলের কাছে যান, তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান তারেক রহমান। মুহূর্তেই সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

পরে বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এর আগে, উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতারা তাকে বিদায় জানান।


আরও খবর



শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে মাইজভান্ডারী দর্শন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল আধ্যাত্মিক সাধক, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ও মাইজভান্ডারী তারিকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী, গাউছুল আজম হযরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ১১৯ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ শুক্রবার বাংলা ১০ই মাঘ (২৪ জানুয়ারি) লাখো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন ধ্বনিতে আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর এই মহান অলির ওফাত দিবসের স্মরণে ১০ মাঘ বংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বহু দেশ হতে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরক্ত আশেকের সমাগমে মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শুক্রবার বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পমাল্য অর্পন, খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির আজকার, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, বিকালে হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা, মিলাদ কিয়াম, ছেমা মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও ভোর রাতে আখেরী মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারীর ইমামতিত্বে লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে পবিত্র জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জুমা পরবর্তী আগত লাখো ভক্ত জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে তিনি বলেন, ১৯ শতকে হযরত গাউসুল আযম শাহ্সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' এর প্রবর্তন করেন, যা বাংলার ভূখণ্ডে প্রবর্তিত একমাত্র তরিকা। আজ এ তরিকা পৃথিবীজুড়ে একটি সমাদৃত তরিকায় পরিণত হয়েছে, যার কোটি কোটি অনুসারী রয়েছেন। মানবপ্রেম, সাম্য, মানবতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বৈষম্যহীনতা এ তরিকার মূলমন্ত্র। এ তরিকা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে গ্রহণ করতে পারে। মানব অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জাগ্রত করতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রিয় নবি (দ.)'র প্রকৃত আদর্শের অনুসরণে সুফিবাদের মূলধারা এ দরবার শরীফের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হচ্ছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি সংগ্রামে এ দেশের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, জুলুমের বিরুদ্ধে এ দরবার শরীফ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অবদান রেখে আসছে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান বিশ্বে দেশে দেশে যুদ্ধ-সংঘাত, ধর্মবিদ্বেষ, বর্ণবৈষম্য, ইসলামোফোবিয়া, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার চরম আকার ধারণ করেছে। এ অশান্ত পরিস্থিতিতে হুযুর গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র মহৎ আদর্শ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা, মানুষে মানুষে ভাতৃত্ববোধ, সমতা সৃষ্টির শিক্ষা  মাইজভাণ্ডার শরীফ দিয়ে আসছে, তাই মাইজভান্ডারী দর্শনই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে। ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ওরশে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে থাকা–খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হযরত গাউছুল আজম শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) জীবনী, শান–মান সম্বলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আগত দেশ বিদেশের আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, পার্কিং, নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আনজুমান-এ রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ্ আলম অভি, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী মোঃ হোসেনসহ অন্যান্যরা। মাহফিলে হযরত বাবাভাণ্ডারীর (ক.) জীবন, কর্ম ওদর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন,  ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী  বিল্লাহ আল আজহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমীন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নাজের হোসাইন, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভাণ্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী মাইজভান্ডারী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।


আরও খবর



দাবানলে পুড়ে যেতে পারে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উল্টো দাবানলের আগুনে নতুন নতুন এলাকা পুড়ছে। এর মধ্যে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাসে দেওয়ায় নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় পূর্বাভাসে আরও তীব্র বাতাসের প্রভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং এর আশপাশে এখনও জ্বলন্ত ভয়াবহ দাবানল আরও তীব্র হতে পারে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্যালিসেডস এবং ইটনের প্রধান দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হচ্ছে। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাউন্টির ফায়ার প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোন বাসিন্দাদের যেকোনো সময় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মেনে চলতে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেছেন যে এই দাবানল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।

ঝড়ো বাতাসের হুমকির মুখে লাল পতাকা সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা, যা সাধারণত ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ জারি করা হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র বলেছেন,ঝড়ো বাতাস ফিরে আসার আগেই জরুরি সব প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কর্মীরা পুরোপুরি ভাল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ৯২ হাজারের বেশি মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮৯ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা।

ঝড়ো বাতাসের কারণে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়লে তা বিপর্যয়কর হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে গোটা লস এঞ্জেলসই দাবানলের হুমকির মুখে পড়েছে।

পাসাডেনার দমকল বিভাগের প্রধান চাদ অগাস্টিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা হয়ত আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছি। কারণ মঙ্গলবার বাতাসের গতি সর্বোচ্চ হতে পারে।’

এরই মধ্যে আগুনে সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নিউসম এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্থনি বলেন, ফিরে আসার পূর্বাভাস থাকা ঝড়ো বাতাসে আর্দ্রতা খুবই কম থাকায় লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে অনেক বেশি।

লস এঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি আগুন নেভানোর কাজে সহায়তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডের আরও সদস্য চেয়েছেন। চারশ’সদস্য এর মধ্যেই কাজ করছে।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে আক্রান্ত এলাকায় কারফিউ বলবৎ আছে বলে কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে জানানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন উইলিয়ামস কারফিউ পালনের জন্য বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উইলিয়ামসন আরও বলেন, পুলিশ কারফিউ ‘কঠোরভাবে প্রয়োগ’ করছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে যারা এটি লঙ্ঘন করবে তাদের এক হাজার ডলার জরিমানা অথবা জেল হতে পারে।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানী শনিআখড়ায় প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। দীর্ঘ চার ঘন্টা সড়ক অবরোধে সব ধরনের সড়ক পরিবহন যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়ক জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে  পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাসের পরে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। 

নিহত মিনহাজের পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  সাকরাইন উড়াতে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসলে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে ছুরিকাঘাত করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে পথচারীদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। তিনি বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর গ্রামে। মিনহাজ বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। 

কদমতলীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। তার বাবা হাফেজ কারী মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জানায়,নিহত মিনহাজ তাদের সহপাঠী ছিলেন। আগষ্টে ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরকার পরিবর্তনের পরে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত থেকে চাঁদা নেয় মাহফুজ গংরা। কয়েকদিন আগে চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় হত্যাকারীদের সাথে বিবাধ হয় মিনহাজের। পরে অভিযুক্ত মাহফুজসহ করেকজন তাকে হুমকী দেয়। এর পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।

যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওয়ারী জোনের ডিসিসহ  উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা। এসময় তারা হত্যা কারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা কথা বলেন। এ হত্যার ঘটনায় বুধবার নিহতর ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০৬।


আরও খবর

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে চার কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা এসব প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রতিবেদন জমা দেওয়া কমিশনগুলো হলো- ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

এসব কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি মাসেই এ আলোচনা শুরু হতে পারে। সংস্কার প্রস্তাব এবং এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য হলে সংলাপ থেকে একটি রূপরেখা আসতে পারে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




চলমান সংস্কার কাজের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ছয় মাসে বারবার যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে সেটা হলো- কবে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। শুরু থেকেই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে। সরকারের কাছে নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপও দাবি করেছে। সরকার স্পষ্ট করে তারিখ ঘোষণা না করলেও দুটি সময়সীমার কথা জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, চলমান সংস্কার কাজের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক পরিসরে সংস্কার চাইলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আর সংক্ষিপ্ত সংস্কার চাইলে ২০২৫ সালের মধ্যে ত্রয়োদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার চাপ অব্যাহত রয়েছে। এমনকি দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ন্যূনতম সংস্কার শেষে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলোর এই চাপের মধ্যে অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছরের মধ্যেই নির্বাচন করার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সম্প্রতি একটি বিদেশি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে পারে। সেই ইঙ্গিত আরও জোরালো হলো সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পর। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা তাদের আশ্বস্ত করেছেন।

ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সঙ্গে যারা আছেন তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অতি দ্রুত তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেনও- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন।

ফখরুল বলেন, আমরা আশা করব, জনগণের যে প্রত্যাশা আছে, একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন তিনি। সেটার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

এদিকে একই দিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে সরকারের আপত্তি নেই।

শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় নির্বাচন দ্রুত চায় বিএনপি। নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি। সরকারের পরিকল্পনা, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ নাগাদ নির্বাচন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেসময় নির্বাচন চায় তখনই নির্বাচন হবে।

নির্বাচন কমিশনও ডিসেম্বরে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সোমবার মানিকগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্ততি নেওয়ার কথা বলেছেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কমিশনের কাছে ভালো নির্বাচন না করার কোনো বিকল্প নেই। দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক নেতারাসহ বিভিন্ন মহলের সহায়তা দরকার। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে জাতীয় নির্বাচন হয়, সে লক্ষে প্রস্ততি নিচ্ছে কমিশন। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সবার চাহিদা অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করতেই হবে, পেছনে ফেরার সুযোগ নেই।

তবে ডিসেম্বর মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের অংশ এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইনের সংশোধনের কারণে আটকে আছে যাবতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি। কেননা এই দুটি আইনে কী কী সংশোধন আনা হবে—সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা ছাড়া কমিশনকে কোনো ধরনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি।

এছাড়া এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রায় ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন যারা ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি ভোটারযোগ্য হবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোট হলে তারা ভোট দিতে পারবেন না। এটাকে একটি জটিলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন আগামী বছরের জানুয়ারিতেও হতে পারে।

এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কার্যক্রমের কারণে প্রস্তুতিতে আমরা আটকে আছি। এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। দুটি আইন সংশোধন হবে নাকি বিদ্যমান আইনে কার্যক্রম শুরু করব সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। এ বিষয়ে সময়ক্ষেপণ হলে প্রস্তুতিতে আমরা পিছিয়ে যাব। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে।

এদিকে বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করলেও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলো ততটা তাড়াহুড়োর পক্ষে না। তারা বলছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক। এক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হলেও মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে দলগুলো। যদিও বড় দল হিসেবে বিএনপির চাওয়াই বেশি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫