Logo
শিরোনাম

নির্বাচন ও রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

গোলাম মাওলা রনি, সাবেক সংসদ সদস্য:

জামাত ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে । ইতিমধ্যে ১০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে যারা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী মহড়া দিচ্ছেন ।

উল্লেখিত কাজটি বিএনপির করা উচিত ছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ! প্রার্থী ঘোষণা করে সংসদীয় আসনের সকল কমিটি বিলুপ্ত করে তা প্রার্থীর অধীন করে দিয়ে নিজ নিজ এলাকার সকল দায় দায়িত্ব প্রার্থীর উপর ছেড়ে দিলে আজকের অবস্থা তৈরি হতোনা । বিএনপি সময় মত সিদ্ধান্ত নিতে পারলে এখন তাদেরকে নির্বাচনের পিছে ঘুরতে হতোনা , উল্টো নির্বাচনই তাদের পিছনে ঘুরতো ! চাঁদাবাজির অভিযোগ অনেক অনেক কম হতো । সারা বাংলাদেশের প্রশাসন তাদের হাতে থাকতো । উল্লেখিত বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের পতনের দলিল ! বিএনপির ম্যাগনাকার্টা শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় লিখেছিলাম ২০২৪ সালের ১৬ই অগাস্ট তারিখে ! সেখানে বিএনপিকে নিয়ে যেসব আশংকা করেছিলাম তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থায় পড়েছে দলটি ! যারা লিখাটি পড়তে চান তাদের জন্য - আ’লীগের পতনের দলিল! বিএনপির ম্যাগনাকার্টা দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১৬ই অগাস্ট, ২০২৪ আওয়ামী লীগের পতন কেন হলো- এমন প্রশ্ন করা হলে আমার মতো মোটা মাথার লোকজন গড়গড় করে কয়েক শ’ কারণ বলে দিতে পারি যা হয়তো তেলাপোকা-টিকটিকিরাও বলতে পারবে। কিন্তু দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে আওয়ামী লীগের পতনের নেপথ্য কারণ বিশ্লেষণ করার জন্য যে জ্ঞান-গরিমা দরকার তা আমার নেই। আমি একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাদা চোখে যা দেখি বা শুনি তা বলি কিংবা লিখি। কিন্তু দার্শনিক হতে হলে কনফুসিয়াস-প্লেটো-এরিস্টটল-সক্রেটিস-ইবনে খালদুনের মতো প্রজ্ঞা থাকতে হবে। আর সেই প্রজ্ঞাবান যেহেতু দেশে নেই; সুতরাং আমি আমার সীমিত জ্ঞান নিয়ে আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে কিছু বলার চেষ্টা করব। আওয়ামী লীগের পতনের একনম্বর কারণ হলো, দলটি তার রাজনৈতিক দর্শন এবং রাজনৈতিক পথ ও মত ত্যাগ করে আমলা-কামলা-ব্যবসায়ী, দেশী-বিদেশী গোয়েন্দাদের কবলে পড়ে নিজের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিল। যেসব পদ-পদবি রাজনৈতিক ইংরেজিতে যার নাম পলিটিক্যাল অফিস, সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দায়িত্ব না দিয়ে কথিত জ্ঞানী-গুণী-পণ্ডিত-সফল ব্যবসায়ী-আমলা প্রমুখদের নিয়োগ দিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে। ফলে পলিটিক্যাল অফিসগুলো প্রাণশূন্য হয়ে পড়েছিল এবং জনগণের সাথে অফিসের কর্তাদের কোনো সংযোগ ছিল না। এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রমুখের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে চমক দেখানোর চেষ্টা করেছে তা বুমেরাং হয়ে ধীরে ধীরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরিণতিতে নিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় ধাপে এসে আওয়ামী লীগ অসৎ ব্যবসায়ী-অসৎ আমলা, তেলবাজ ও ধড়িবাজ সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের জালে আটকা পড়ে যায়। এদের কারণে আওয়ামী লীগের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেতে থাকে- তাদের হেদায়েতের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা ভালো-মন্দের পার্থক্য করা, সঠিক পথ অনুসরণ করা, ভালো মানুষদের সম্মান করে যোগ্য পদে পদায়ন করার প্রয়োজন অনুভব করতে পারেনি। মন্দ লোকের আধিক্য এবং মন্দদের দাপটের কারণে ভালোরা ব্যাকফুটে চলে যায়। ফলে আওয়ামী লীগের কাছে মন্দ কাজ-মন্দ চিন্তা-গুনাহ-ব্যাভিচার-অবিচার ও অনাচার ক্রমেই আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে। তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা-জুলুম-অত্যাচারের মাধ্যমে আনন্দ লাভ, অহমিকা বোধ, দাম্ভিকতা প্রদর্শন এবং দুষ্টের লালন-শিষ্টের দমন-ফ্যাশন বা স্টাইল হয়ে দাঁড়ায়। চোরাকারবারি-লুটেরা-মদ্যপ এবং চরিত্রহীনরা রাষ্ট্রের সম্মান ও মর্যাদাজনক স্থানগুলো দখল করে ফেলে। ফলে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার ওপর মানুষের অভক্তি ও অশ্রদ্ধা দেখা দেয়। রাষ্ট্র পরিচালকরা দিন-দুপুরে লাখ লাখ মানুষের সামনে মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং জনগণের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ না পেয়ে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে অন্যায়-অনিয়ম সরকারি অফিস-আদালত এবং রাষ্ট্র পরিচালক আমলা-কামলাদের ব্যক্তিগত-পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের অলঙ্কারে পরিণত হয়। চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং এই দু’টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল শুরু করে এবং ব্যাপক সফলতা লাভের পর নিজেদের ঘরের শ্রেণীশত্রু চিহ্নিত করে তাদের দুর্বল-অসহায় ও অকার্যকর বানানোর মিশন হাতে নেয়। নিজ দলের যোগ্যতম রাজনৈতিক নেতা, রাজনৈতিক জোটের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার লোকদের নিজেদের শ্রেণীশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে নানা উপায়ে তাদের অপমানিত, লাঞ্ছিত ও পদদলিত করে তাদের বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও ভালো কাজের সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। পঞ্চম ধাপে এসে তারা সবাই মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাদের মানবিক গুণাবলি রহিত হয়ে যায়। নিলর্জ্জতা, বেহায়াপনা ও অহেতুক রঙ্গরস এবং ভয়ানক রাজনৈতিক খেলাধুলা নিত্যদিনের বিনোদনে পরিণত হয়। মধ্যযুগের রক্তপিপাসু জুলুমবাজদের মতো ক্ষমতার চেয়ারগুলো রক্তপিপাসু হয়ে পড়ে। মানুষের মৃত্যু দেখলে তাদের হৃদয় বিগলিত না হয়ে বরং উল্লসিত হতে শুরু করে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক অভিশাপ তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়ে এবং সারা বিশ্বকে অবাক করে বাংলার জমিনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়। আওয়ামী লীগের পতনের উল্লিখিত সাদামাটা কারণগুলো পর্যালোচনা করে আগামী দিনের কর্মপন্থা অবলম্বন করতে না পারলে বিএনপির কপালে আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় দুর্ভোগ-দুর্দশা অনিবার্য হয়ে পড়বে। বিএনপি যদি সতর্ক না হয় এবং অতি দ্রুত ও জরুরিভাবে কার্যকর কিছু উদ্যোগ না নেয় তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ফসল ঘরে তোলা তো দূরের কথা, উল্টো ৫ আগস্ট তাদের কাছে বিগত ওয়ান-ইলেভেনের চেয়েও ভয়াবহ আজাব হিসেবে হাজির হতে পারে। এ জন্যই শিরোনামে আমি আওয়ামী লীগের পতনের দলিলকে বিএনপির জন্য ম্যাগনাকার্টা বা মুক্তির সনদ হিসেবে উল্লেখ করেছি। চলমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিকে এক মুহূর্ত সময় ব্যয় না করে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে : ১. বিএনপির সব পর্যায়ে রাজনৈতিক বিরোধ, অন্তর্দ্বন্দ্ব-হানাহানি তুঙ্গে। বেশির ভাগ নির্বাচনী এলাকায় দুই-তিনটি কমিটি রয়েছে। গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গত পাঁচ বছরে এলাকায় যেতে পারেননি প্রথমত, আওয়ামী লীগের মামলা-হামলার কারণে। দ্বিতীয়ত, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে, এক পক্ষ তার প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য আওয়ামী লীগের গুণ্ডাদের ভাড়া করে অনেক জাতীয় নেতাকে সস্ত্রীক রক্তাক্ত করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে অতীতের সেই বিরোধ কয়েক শ’গুণ বেড়েছে। বিশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা যা শুরু করেছে, তা যদি আর দুই সপ্তাহ চলে তবে জনগণ বলা শুরু করবে যে, আগের জমানা ভালো ছিল। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী অপারেশন ক্লিনহার্টের মতো অভিযান শুরু করলে বিএনপি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে এবং আরেকটি মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। উল্লিখিত অবস্থা মোকাবেলার জন্য বিএনপির উচিত কালবিলম্ব না করে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা। জেলা কমিটিতে জেলার প্রার্থীরা উপদেষ্টা থাকবেন এবং জেলা কমিটি উপদেষ্টাদের পরামর্শে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবেন। নির্বাচনী এলাকার সব কমিটি প্রার্থীর নিয়ন্ত্রণে চলবে। কোনো কমিটি প্রার্থীর কথা না শুনলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সেই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করবেন এবং সেভাবেই নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। ২. যেসব আমলা-কামলা এবং ব্যবসায়ীর কারণে বিএনপির পতন হয়েছিল এবং যেসব নেতার আর্থিক দুর্নীতি সর্বজনবিদিত, যেসব লোক যেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলীয় অফিসগুলোতে ভিড় জমাতে না পারে তা শতভাগ নিশ্চিত না করা গেলে মাইনাস টু থিওরি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বিএনপিকে মনে রাখতে হবে, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হাজার হাজার আমলা-কামলা যারা বিএনপি জমানায় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছিল তারা এক দিনের জন্যও নির্যাতিত বিএনপি নেতাকর্মীদের খোঁজ নেয়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে পরিহার করেছে, না চেনার ভান করেছে- আর কেউ কেউ আওয়ামী আমলাদের চেয়েও বেশি মাত্রায় বিএনপিকে নির্যাতন করেছে। তারা সবাই চাকরি বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগকে সকাল-বিকাল আব্বা ডেকেছে। সুতরাং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেসব পুরোনো দলবাজদের তাড়াতে হবে এবং প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার শপথ নিতে হবে। ৩. বিএনপির মূল শক্তি তার কর্মী-সমর্থক এবং ভোটার, যারা কি না সংসদ সদস্য প্রার্থীর মাধ্যমে দলের নিউক্লিয়াসে যুক্ত থাকে। সুতরাং সংসদীয় পদ্ধতি মেনে সব দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্র্থীকে সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের মর্যাদা সমপর্যায়ের- এই বিশ্বাস ও আস্থা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ধারণ করতে হবে এবং সেভাবেই নিজ দলের প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হলে তৃণমূল বিএনপিতে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। ৪. দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু পদে দ্রুত পরিবর্তন আনা জরুরি। চাটুকার, দুর্নীতিবাজ এবং ইয়েস বস বলা লোকজন দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। ৫. আগামীতে দু’টি সম্ভাবনা মাথায় রেখে এগোতে হবে। প্রথমত আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপট, মাইনাস টু থিওরি বাস্তবায়ন, বিএনপিকে নতুন ফাঁদে ফেলে ক্র্যাকডাউন ইত্যাদির মতো পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হতে পারে। দ্বিতীয়ত, যদি নির্বাচন হয় তবে আওয়ামী লীগসহ, কিংস পার্টি এবং কিংস পার্টির অনুগত ছোট পার্টির যন্ত্রণা মোকাবেলা করতে হবে। দলের ভেতরে-বাইরে যারা বিভিন্ন সময়ে গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেছে ও তাদের টাকা নিয়ে রাজপথে সরকারবিরোধী লম্ফঝম্প করেছে এবং এখনো সব দরবারে বাতি জ্বালানোর চেষ্টা করছে, এদের কাছ থেকে দলকে ১৩৩ মাইল নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

জামাত ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে । ইতিমধ্যে ১০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে যারা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী মহড়া দিচ্ছেন । 

উল্লেখিত কাজটি বিএনপির করা উচিত ছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ! প্রার্থী ঘোষণা করে সংসদীয় আসনের সকল কমিটি বিলুপ্ত করে তা প্রার্থীর অধীন করে দিয়ে নিজ নিজ এলাকার সকল দায় দায়িত্ব প্রার্থীর উপর ছেড়ে দিলে আজকের অবস্থা তৈরি হতোনা । 

বিএনপি সময় মত সিদ্ধান্ত নিতে পারলে এখন তাদেরকে নির্বাচনের পিছে ঘুরতে হতোনা , উল্টো নির্বাচনই তাদের পিছনে ঘুরতো ! চাঁদাবাজির অভিযোগ অনেক অনেক কম হতো । সারা বাংলাদেশের প্রশাসন তাদের হাতে থাকতো । 

উল্লেখিত বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের পতনের দলিল ! বিএনপির ম্যাগনাকার্টা শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় লিখেছিলাম ২০২৪ সালের ১৬ই অগাস্ট তারিখে ! সেখানে বিএনপিকে নিয়ে যেসব আশংকা করেছিলাম তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থায় পড়েছে দলটি !

যারা লিখাটি পড়তে চান তাদের জন্য - 

আ’লীগের পতনের দলিল! বিএনপির ম্যাগনাকার্টা

দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১৬ই অগাস্ট, ২০২৪ 

আওয়ামী লীগের পতন কেন হলো- এমন প্রশ্ন করা হলে আমার মতো মোটা মাথার লোকজন গড়গড় করে কয়েক শ’ কারণ বলে দিতে পারি যা হয়তো তেলাপোকা-টিকটিকিরাও বলতে পারবে। কিন্তু দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে আওয়ামী লীগের পতনের নেপথ্য কারণ বিশ্লেষণ করার জন্য যে জ্ঞান-গরিমা দরকার তা আমার নেই। আমি একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাদা চোখে যা দেখি বা শুনি তা বলি কিংবা লিখি। কিন্তু দার্শনিক হতে হলে কনফুসিয়াস-প্লেটো-এরিস্টটল-সক্রেটিস-ইবনে খালদুনের মতো প্রজ্ঞা থাকতে হবে। আর সেই প্রজ্ঞাবান যেহেতু দেশে নেই; সুতরাং আমি আমার সীমিত জ্ঞান নিয়ে আজকের শিরোনাম প্রসঙ্গে কিছু বলার চেষ্টা করব।


আওয়ামী লীগের পতনের একনম্বর কারণ হলো, দলটি তার রাজনৈতিক দর্শন এবং রাজনৈতিক পথ ও মত ত্যাগ করে আমলা-কামলা-ব্যবসায়ী, দেশী-বিদেশী গোয়েন্দাদের কবলে পড়ে নিজের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিল। যেসব পদ-পদবি রাজনৈতিক ইংরেজিতে যার নাম পলিটিক্যাল অফিস, সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দায়িত্ব না দিয়ে কথিত জ্ঞানী-গুণী-পণ্ডিত-সফল ব্যবসায়ী-আমলা প্রমুখদের নিয়োগ দিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে। ফলে পলিটিক্যাল অফিসগুলো প্রাণশূন্য হয়ে পড়েছিল এবং জনগণের সাথে অফিসের কর্তাদের কোনো সংযোগ ছিল না। এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রমুখের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে চমক দেখানোর চেষ্টা করেছে তা বুমেরাং হয়ে ধীরে ধীরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরিণতিতে নিয়ে এসেছে।


দ্বিতীয় ধাপে এসে আওয়ামী লীগ অসৎ ব্যবসায়ী-অসৎ আমলা, তেলবাজ ও ধড়িবাজ সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের জালে আটকা পড়ে যায়। এদের কারণে আওয়ামী লীগের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেতে থাকে- তাদের হেদায়েতের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা ভালো-মন্দের পার্থক্য করা, সঠিক পথ অনুসরণ করা, ভালো মানুষদের সম্মান করে যোগ্য পদে পদায়ন করার প্রয়োজন অনুভব করতে পারেনি। মন্দ লোকের আধিক্য এবং মন্দদের দাপটের কারণে ভালোরা ব্যাকফুটে চলে যায়। ফলে আওয়ামী লীগের কাছে মন্দ কাজ-মন্দ চিন্তা-গুনাহ-ব্যাভিচার-অবিচার ও অনাচার ক্রমেই আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে।


তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা-জুলুম-অত্যাচারের মাধ্যমে আনন্দ লাভ, অহমিকা বোধ, দাম্ভিকতা প্রদর্শন এবং দুষ্টের লালন-শিষ্টের দমন-ফ্যাশন বা স্টাইল হয়ে দাঁড়ায়। চোরাকারবারি-লুটেরা-মদ্যপ এবং চরিত্রহীনরা রাষ্ট্রের সম্মান ও মর্যাদাজনক স্থানগুলো দখল করে ফেলে। ফলে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার ওপর মানুষের অভক্তি ও অশ্রদ্ধা দেখা দেয়। রাষ্ট্র পরিচালকরা দিন-দুপুরে লাখ লাখ মানুষের সামনে মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং জনগণের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ না পেয়ে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে অন্যায়-অনিয়ম সরকারি অফিস-আদালত এবং রাষ্ট্র পরিচালক আমলা-কামলাদের ব্যক্তিগত-পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের অলঙ্কারে পরিণত হয়।


চতুর্থ ধাপে আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং এই দু’টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল শুরু করে এবং ব্যাপক সফলতা লাভের পর নিজেদের ঘরের শ্রেণীশত্রু চিহ্নিত করে তাদের দুর্বল-অসহায় ও অকার্যকর বানানোর মিশন হাতে নেয়। নিজ দলের যোগ্যতম রাজনৈতিক নেতা, রাজনৈতিক জোটের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার লোকদের নিজেদের শ্রেণীশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে নানা উপায়ে তাদের অপমানিত, লাঞ্ছিত ও পদদলিত করে তাদের বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও ভালো কাজের সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।


পঞ্চম ধাপে এসে তারা সবাই মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাদের মানবিক গুণাবলি রহিত হয়ে যায়। নিলর্জ্জতা, বেহায়াপনা ও অহেতুক রঙ্গরস এবং ভয়ানক রাজনৈতিক খেলাধুলা নিত্যদিনের বিনোদনে পরিণত হয়। মধ্যযুগের রক্তপিপাসু জুলুমবাজদের মতো ক্ষমতার চেয়ারগুলো রক্তপিপাসু হয়ে পড়ে। মানুষের মৃত্যু দেখলে তাদের হৃদয় বিগলিত না হয়ে বরং উল্লসিত হতে শুরু করে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক অভিশাপ তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়ে এবং সারা বিশ্বকে অবাক করে বাংলার জমিনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়।


আওয়ামী লীগের পতনের উল্লিখিত সাদামাটা কারণগুলো পর্যালোচনা করে আগামী দিনের কর্মপন্থা অবলম্বন করতে না পারলে বিএনপির কপালে আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় দুর্ভোগ-দুর্দশা অনিবার্য হয়ে পড়বে। বিএনপি যদি সতর্ক না হয় এবং অতি দ্রুত ও জরুরিভাবে কার্যকর কিছু উদ্যোগ না নেয় তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ফসল ঘরে তোলা তো দূরের কথা, উল্টো ৫ আগস্ট তাদের কাছে বিগত ওয়ান-ইলেভেনের চেয়েও ভয়াবহ আজাব হিসেবে হাজির হতে পারে। এ জন্যই শিরোনামে আমি আওয়ামী লীগের পতনের দলিলকে বিএনপির জন্য ম্যাগনাকার্টা বা মুক্তির সনদ হিসেবে উল্লেখ করেছি। চলমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিকে এক মুহূর্ত সময় ব্যয় না করে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে :


১. বিএনপির সব পর্যায়ে রাজনৈতিক বিরোধ, অন্তর্দ্বন্দ্ব-হানাহানি তুঙ্গে। বেশির ভাগ নির্বাচনী এলাকায় দুই-তিনটি কমিটি রয়েছে। গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গত পাঁচ বছরে এলাকায় যেতে পারেননি প্রথমত, আওয়ামী লীগের মামলা-হামলার কারণে। দ্বিতীয়ত, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে, এক পক্ষ তার প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য আওয়ামী লীগের গুণ্ডাদের ভাড়া করে অনেক জাতীয় নেতাকে সস্ত্রীক রক্তাক্ত করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে অতীতের সেই বিরোধ কয়েক শ’গুণ বেড়েছে। বিশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা যা শুরু করেছে, তা যদি আর দুই সপ্তাহ চলে তবে জনগণ বলা শুরু করবে যে, আগের জমানা ভালো ছিল। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী অপারেশন ক্লিনহার্টের মতো অভিযান শুরু করলে বিএনপি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে এবং আরেকটি মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।

উল্লিখিত অবস্থা মোকাবেলার জন্য বিএনপির উচিত কালবিলম্ব না করে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা। জেলা কমিটিতে জেলার প্রার্থীরা উপদেষ্টা থাকবেন এবং জেলা কমিটি উপদেষ্টাদের পরামর্শে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবেন। নির্বাচনী এলাকার সব কমিটি প্রার্থীর নিয়ন্ত্রণে চলবে। কোনো কমিটি প্রার্থীর কথা না শুনলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সেই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করবেন এবং সেভাবেই নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই।


২. যেসব আমলা-কামলা এবং ব্যবসায়ীর কারণে বিএনপির পতন হয়েছিল এবং যেসব নেতার আর্থিক দুর্নীতি সর্বজনবিদিত, যেসব লোক যেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলীয় অফিসগুলোতে ভিড় জমাতে না পারে তা শতভাগ নিশ্চিত না করা গেলে মাইনাস টু থিওরি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বিএনপিকে মনে রাখতে হবে, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হাজার হাজার আমলা-কামলা যারা বিএনপি জমানায় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছিল তারা এক দিনের জন্যও নির্যাতিত বিএনপি নেতাকর্মীদের খোঁজ নেয়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে পরিহার করেছে, না চেনার ভান করেছে- আর কেউ কেউ আওয়ামী আমলাদের চেয়েও বেশি মাত্রায় বিএনপিকে নির্যাতন করেছে। তারা সবাই চাকরি বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগকে সকাল-বিকাল আব্বা ডেকেছে। সুতরাং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেসব পুরোনো দলবাজদের তাড়াতে হবে এবং প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার শপথ নিতে হবে।


৩. বিএনপির মূল শক্তি তার কর্মী-সমর্থক এবং ভোটার, যারা কি না সংসদ সদস্য প্রার্থীর মাধ্যমে দলের নিউক্লিয়াসে যুক্ত থাকে। সুতরাং সংসদীয় পদ্ধতি মেনে সব দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্র্থীকে সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের মর্যাদা সমপর্যায়ের- এই বিশ্বাস ও আস্থা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ধারণ করতে হবে এবং সেভাবেই নিজ দলের প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হলে তৃণমূল বিএনপিতে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।


৪. দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু পদে দ্রুত পরিবর্তন আনা জরুরি। চাটুকার, দুর্নীতিবাজ এবং ইয়েস বস বলা লোকজন দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না।


৫. আগামীতে দু’টি সম্ভাবনা মাথায় রেখে এগোতে হবে। প্রথমত আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের প্রেক্ষাপট, মাইনাস টু থিওরি বাস্তবায়ন, বিএনপিকে নতুন ফাঁদে ফেলে ক্র্যাকডাউন ইত্যাদির মতো পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হতে পারে। দ্বিতীয়ত, যদি নির্বাচন হয় তবে আওয়ামী লীগসহ, কিংস পার্টি এবং কিংস পার্টির অনুগত ছোট পার্টির যন্ত্রণা মোকাবেলা করতে হবে। দলের ভেতরে-বাইরে যারা বিভিন্ন সময়ে গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেছে ও তাদের টাকা নিয়ে রাজপথে সরকারবিরোধী লম্ফঝম্প করেছে এবং এখনো সব দরবারে বাতি জ্বালানোর চেষ্টা করছে, এদের কাছ থেকে দলকে ১৩৩ মাইল নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।

আগের বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। তার মানে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার কথা বলেন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।

এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। বিনিয়োগের সেই সুযোগ বাংলাদেশও নিতে পারে। অবশ্য বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে যে প্রবৃদ্ধি, তা মূলত দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় বাড়তি ক্রয়াদেশের প্রভাব বলে জানান পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৬০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে চীন। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।


আরও খবর



ফাইল আদান-প্রদানে উইন্ডোজের নতুন ফিচার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

আইফোন ও উইন্ডোজ কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল আদান-প্রদান আরও সহজ হচ্ছে। মাইক্রোসফটের ‘ফোন লিংক’ অ্যাপ ও ‘লিংক টু উইন্ডোজ’ অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি আইফোন থেকে উইন্ডোজ ১১ বা ১০ কম্পিউটারে ফাইল শেয়ার করা সম্ভব হবে। তবে উইন্ডোজ ইনসাইডার্স ব্যবহারকারীদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে নতুন এই ফিচার।

উইন্ডোজ ইনসাইডার্স হলো মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার ও ফিচার পরীক্ষা করার একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। আইফোন ও উইন্ডোজ কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল শেয়ারিং প্রক্রিয়াটি সব সময়ই কিছুটা জটিল ছিল। যারা স্মার্টফোন থেকে পিসিতে বা পিসি থেকে আইফোনে ফাইল পাঠাতে চাইতেন, তাদের নিজের ইমেইলে ফাইলটি পাঠাতে হতো বা ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভের মতো থার্ড পার্টি সার্ভিস ব্যবহার করতে হতো।

২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ডেস্কটপ অ্যাপ হিসেবে চালু হয় মাইক্রোসফটের ‘ফোন লিংক’ অ্যাপটি। সে সময় এটি শুধু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের উইন্ডোজ পিসিতে ফাইল শেয়ার করার সুযোগ দিত।

গত বছর মাইক্রোসফট লিংক টু উইন্ডোজ নামে একটি স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য এই অ্যাপ চালু করেছিল। তবে ফোন লিংকের মাধ্যমে এখনো আইফোনের সঙ্গে ফাইল আদান-প্রদান করা যায় না। এটি আইফোন ব্যবহারকারীদের তাদের ফোনের ইনকামিং কল, মেসেজ এবং কনটাক্টগুলো কম্পিউটারে দেখার সুযোগ দেয়। তবে মাইক্রোসফটের এই ফিচার অ্যাপলের এয়ারড্রপ ফিচারের মতো কাজ করে। এটি কম্পিউটার স্ক্রিনের কোনায় একটি নোটিফিকেশন দেখাবে যে, পিসি কোনো ফাইল গ্রহণ করেছে।

গত অক্টোবর মাসে, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য আরও একটি ফিচার চালু করে মাইক্রোসফট। তাই এখন উইন্ডোজ ১১-এর ‘ক্রস ডিভাইস এক্সপেরিয়েন্স হোস্ট’ ব্যবহার করে পিসি ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফাইল এক্সপ্লোরারে ব্রাউজ এবং ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন। এর জন্য কোনো ক্যাব?ল সংযোগের প্রয়োজন নেই। এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অংশ নয় ফোন লিংক অ্যাপ।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, নতুন এই সুবিধা সব আইফোন মডেলে ব্যবহার করা যাবে না। শুধু আইওএস ১৬ বা তার পরবর্তী সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেমের আইফোন এবং উইন্ডোজ ১০ ও ১১ কম্পিউটারে এটি ব্যবহার করা যাবে। সেই সঙ্গে ফোন লিংক এবং লিংক টু উইন্ডোজ অ্যাপ দুটি যথাক্রমে ১.২৪১১২. ৮৯.০ এবং ১.২৪১১২. ৭৩ সংস্করণে আপডেট করতে হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই সুবিধা আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, অ্যাপলের এয়ারড্রপ সুবিধা ব্যবহার করে আইফোন এবং ম্যাক কম্পিউটারের মধ্যে দ্রুত ফাইল আদান-প্রদান করা যায়। তবে যেসব আইফোন ব্যবহারকারী উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাদের জন্য ফাইল শেয়ারিং প্রক্রিয়া বেশ জটিল হয়ে থাকে।


আরও খবর

দাম কমেছে সব ধরনের ইন্টারনেট

রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫




যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজপথে সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়কে নেমে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেন সাংবাদিকরা। শনিবার ১৫ মার্চ সকাল সারে ১০টায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরে মাছের মোড়ে প্রধান সড়কের উপর আয়োজিত মানববন্ধনে নওগাঁ জেলা সদর, আত্রাই, মান্দা ও মহাদেবপুরের সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, সমাজকর্মী ও নারীনেত্রীসহ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, মহাদেবপুর মডেল প্রেসক্লাব ও মহাদেবপুর দর্পণ পরিবার এর আয়োজন করে।

মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, যায়যায়দিনের সাবেক মহাদেবপুর প্রতিনিধি ও পরীক্ষামূলক সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক কিউ, এম, সাঈদ টিটো এতে সভাপতিত্ব করেন। রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও মহাদেবপুর দর্পণের বার্তা সম্পাদক কাজী সামছুজ্জোহা মিলনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন মহাদেবপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যায়যায়দিনের বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ইউসুফ আলী সুমন।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে যায়যায়দিনের নওগাঁ প্রতিনিধি রুহুল আমিন, আত্রাই প্রতিনিধি ওমর ফারুক, মান্দা প্রতিনিধি মাহবুুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের কার্য-নির্বাহী কমিটির মেম্বার, জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক আজকের বিনোদন পত্রিকা, বিডি টুডেস এর সিনিয়র রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম জিএম মিঠন, দৈনিক নয়া দিগন্তের মহাদেবপুর প্রতিনিধি ও দৈনিক শিক্ষা ডটকমের নওগাঁ প্রতিনিধি অহিদুল ইসলাম, মহাদেবপুর মডেল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সাইফুর রহমান সানি, উপদেষ্টা সামছুজ্জামান বিশ্বাস জামান, মহাদেবপুর দর্পণের প্রকাশক নারীনেত্রী কাজী রওশন জাহান, এনটিভি মাল্টিমিডিয়ার মহাদেবপুর-বদলগাছী প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিঠু, দৈনিক কালবেলার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি বিকাশ চন্দ্র, বার্তা ২৪ এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মেহেদী হাসান অন্তর, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি নাজমুল হক, দৈনিক নতুন দিন পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি রশিদুল ইসলাম রশিদ, দৈনিক ঘোষণার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মহাদেবপুর প্রতিনিধি এম, আর রাজ, দি-হাঙ্গার প্রকেক্টের পিস ফ্যাসিলেটেটর গ্রুপ পিএফজির সাবেক কো-অর্ডিনেটর হারুন অর রশিদ, সদস্য আব্দুর রহিম টুকু, মানবাধিকার কর্মী অসিত দাস, সমাজকর্মী জামিউল ইসলাম বিদ্যুৎ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদৎ হোসেন শান্ত, ছাত্রনেতা মোতালেব, শিক্ষার্থী রিসান আস সামী, কাজী আবু হুরাইরা শিলন প্রমুখ অংশ নেন। 

বক্তারা মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন বাতিল করা ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহি:প্রকাশ বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে যায়যায়দিনের প্রকাশনা অব্যাহত রাখার পূণরাদেশ দেয়া ও প্রধান কার্যালয় অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবি জানান। অন্যথায় আরো বৃহৎ কর্মসূচি দিয়ে সাংবাদিকেরা মাঠে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া দেন বক্তারা।


আরও খবর



কোনো ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বৃষ্টির কল্যাণে পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বাংলাদেশ। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান সমান। তবে রান রেটে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গ্রুপে তৃতীয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এক পয়েন্ট পাওয়ায় স্বস্তি থাকলেও লম্বা সময় পর আইসিসি ইভেন্ট থেকে শূন্য হাতে ফিরছে বাংলাদেশ। অবশ্য সাফল্য বিবেচনায় খালি হাতে ফিরলেও টাকার হিসাবে কোটিপতি তারা।

টুর্নামেন্টে সবমিলিয়ে বাংলাদেশ এখন সাত নম্বরে। তবে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ হেরে গেলে বাংলদেশ আট দলের প্রতিযোগিতা শেষ করবে ৬ নম্বরে থেকে। তাতে করে প্রাইজমানিও খানিকটা বেশি পাবে।

গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পরও বাংলাদেশে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে কোটি টাকা আয় করছে। আইসিসি ঘোষিত প্রাইজমানি অনুযায়ী, সপ্তম ও অষ্টম দল প্রাইজমানি ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর অংশগ্রহণ ফি হিসেবে বাংলাদেশ পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার, যা প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ দলের কোষাগারে ইতোমধ্যে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা চলে এসেছে। টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে যদি ইংল্যান্ড শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে যায়। সেটি হলে বাংলাদেশ ষষ্ঠ স্থান অর্জন করবে, ফলে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারের বদলে শান্তরা পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি।

গতবারের চেয়ে প্রাইজমানি এবার ৩৬ লাখ ডলার বেশি দেওয়া হবে, ৫৩ শতাংশ বেশি।

সব মিলিয়ে প্রাইজমানি ৬৯ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি। ৯ মার্চ ফাইনাল শেষে ট্রফির সঙ্গে চ্যাম্পিয়নরা পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা ২৭ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪২৪ টাকা। রানার্সআপদের ব্যাংকে ঢুকবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার বা সাড়ে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ২৩ হাজার ২১২ টাকা। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া প্রত্যেক দল পাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার (৬ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৬০৬ টাকা) করে।


আরও খবর

আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫




জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ সংগঠনঃ বিএনপি নেতা কাজী শিপন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

 জামায়াতে ইসলামী একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। এখনো এই দলটি নিবন্ধন পায়নি। সকলে এই দলটিকে বয়কট করুন’। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এ ধরণের মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত একটি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন তার বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন। জামায়াতে ইসলামী ধর্মের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে বলেও বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তুলে আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কোন অস্তিত্ব নেই, এটি একটি নিষিদ্ধ সংগঠন।  

দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শহিদুল হক বাবুল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শিকদার ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এফ এম শামীম আহসান, সামাদ হোসেন ফকির, আফজাল জোমাদ্দার, পৌর শ্রমিকদল সভাপতি মাসুদ খান চুন্নু, মজনু মোল্লা, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. ফিরোজ হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক ফকির রাসেল আল ইসলাম। 


আরও খবর