Logo
শিরোনাম
খাদের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে বিএনপি

নির্বাচনে না আসলে আর উঠতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সোনারগাঁ প্রতিনিধি:  

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, গত ১৩ বছর ধরে আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা আর জ্বালাও-পোড়াও করে বিএনপি এখন খাদের মধ্যে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। কোন রকমে তাদের নাকটা ভেসে আছে। এখনও যদি তারা সঠিক পথে না আসে, নির্বাচনে না আসে, মুক্তিযুদ্ধের-স্বাধীনতার চেতনা-আদর্শের রাজনীতি না করে, তাহলে ভেসে থাকা নাকটাও ডুবে যাবে। আর কোন দিন খাদ থেকে উঠতে পারবে না।

শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। তারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শেষ লড়াই, মরণপণ লড়াই এর হুমকি দিচ্ছেন। আমি বলতে চাই, এখন পর্যন্ত কোন লড়াইয়ে বিএনপি জিততে পারে নাই, ভবিষ্যতেও আর পারবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ লড়াইয়ে কখনও হারে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও হারে না।

বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করুন। এছাড়া, ক্ষমতায় আসার দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নেই।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই দলের খুঁটি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নেতৃত্ব নিয়ে কোন কোন্দল থাকলে তা ভুলে যেতে হবে। দলের আদর্শই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড়। আমাদের শক্তি হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, ত্যাগ ও সাহস। আর দলের নেতৃত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে। এই দুটিকে আঁকড়ে ধরে আমাদের সকল নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। তাহলে কোন শক্তিই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারাতে পারবে না। আবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবে, ইনশাল্লাহ।

 আন্দোলন-সংগ্রামের জন্যও নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, যে কোন পরিস্থিতিতে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হোন। বিএনপি-জামায়াত যদি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাহলে রাজপথে থেকে আমরা তা মোকাবেলা করব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও আমরা সহযোগিতা করব। 

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, সংসদ সদস্য সানজীদা খাতুন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার সহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে শামসুল ইসলাম, সাধা্রন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের নাম ঘোষনা করেন ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম। 


আরও খবর



এই গরমে ট্রাফিক পুলিশের দায়বদ্ধতা

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

গতকাল রাত প্রায় ১০ টা, শাজাহানপুর এর রাজারবাগ মোড়, সামনে সাংবাদিক লেখা এক মোটরসাইকেল সিগন্যাল অমান্য করে যেতে চাচ্ছিল আর তখন তাকে দৌড়ে এসে ২ ট্রাফিক কন্সটেবল আটকালো, সে তখন তার সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে কিন্তু কন্সটেবল তাকে রুল ভায়োলেশন করে যেতে দিবে না। এক পর্যায়ে এক কন্সটেবল তার ইউনিফর্ম টা দেখিয়ে বলছিল “আমি ত এই ইউনিফর্ম পইরা দারাইছি এখানে……” পাশ দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় আমিও একটু দাড়ালাম আর ঐ সাংবাদিক ভাই কে বললাম “ ভাই আইনটা মানেন, কথা শুনেন…” । আমি যে সব আইন মানি তা কিন্তু না কিন্তু ঐ যে, আইন যেহেতু অন্য কারো উপরে প্রয়োগ হচ্ছে তাই আমি একটু কথা শুনানোর চিরাচরিত বাঙালি স্বভাব ছাড়তে পারলাম না যদিও আমার উপরে প্রয়োগ হলে চিরাচরিত সেই বাঙালি নিয়মে বেজার হইতাম …।  

       কথা সেটা না, কথা হচ্ছে, ঐ কন্সটেবল যে ইউনিফর্ম টা যেভাবে অউন করল সেটা ভালো লাগছে কিন্তু আজ (১১-০৫-২০২৫) ছুটির দিনে বাসায় ফ্যান এর নিচে বসেও যখন গরমে অস্থির হচ্ছি তখন ঐ গর্বের ইউনিফর্ম পরে যে ট্রাফিক পুলিশ এখনো রাস্তায় আমাদের মত সুযোগ সন্ধানী চালকদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে সেই ইউনিফর্ম তাকে কতটা সস্তি দিচ্ছে ???

        গরমের সময় ট্রাফিক পুলিশের ড্রেস টা কিছুটা চেঞ্জ করা যায় কিনা সেটা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন মিটিং এ আলোচনা করেছিলাম কিন্তু হয় না,। যারা সিধান্ত নিবেন তারা এসি রুমে বেশী থাকেন বলে এমনটা হতে পারে। তারা লোক্মুখে শুনেন যে অনেক গরম আর মোবাইল এ টেম্পারেচর দেখেন। আর পরিবারকে ফোন দিয়ে বলেন বেশী করে পানি খেতে, ঘরে থাকতে ... 

অনেকের সাথে কথা বলে  আমার কাছে মনে হয়েছে  ট্রাফিক পুলিশদের কাজে ২ টা মেজর সমস্যা হয়:

     ১) তাদের পোশাক মোটা কাপড়ের। সরকার থেকে যে কাপড় দেয়া হয় সেটা কিছুটা মোটা। অনেকেই নিজেরা আলাদা করে কিছুটা পাতলা কাপড় দিয়ে ড্রেস বানায়।

    ২) অফিস ত দূরের কথা ভালো কোন বসার জায়গা, বাথরুম নাই। যা অল্প কিছু আছে সেটা সিনিয়র অফিসার দের জন্য। এবং সেগুলাও সব রস্তার ডিভাইডার এ বা পাশে। যেখানে তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর চাইতে ২/৩ ডিগ্রি বেশী।

       এ ধরনের গরম পড়ে এমন দেশে ট্রাফিক পুলিশের জন্য কিছু ব্যাবস্থা নেয়, যেমন দুবাই এ  ট্রাফিক পুলিশেরা হালকা, বাতাস চলাচলের উপযোগী সুতি কাপড়ের ইউনিফর্ম পরেন, সাথে ক্যাপের নিচে কুলিং ফ্যাব্রিক ব্যবহৃত হয়। রাস্তায় ছোট ছোট শীতল ক্যাবিন আছে, যেখানে পানি ও বিশ্রামের সুবিধা আছে। সিঙ্গাপুরে  হালকা রঙের (সাদা/নীল) ইউনিফর্ম, মাথায় ব্রিমযুক্ত হ্যাট, এবং নির্দিষ্ট স্থানে এয়ার-কুল্ড রেস্ট পয়েন্ট রয়েছে। পাশের দেশ ভারতে কিছু রাজ্যে ট্রাফিক পুলিশের ইউনিফর্মে সুতি কাপড় ও ভেন্টিলেশন সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে,। এছাড়া বিভিন্ন দেশ এমনকি শীতপ্রধান দেশেও আমি দেখেছি যে পুলিশ “ Police” লেখা গেঞ্জি আর প্যান্ট পরে কোমরে লজিস্টিকস বেল্ট পরে কাজ করছে।

        আমার মনে হয় সংস্কার করার সুযোগ যদি চলে গিয়ে না থাকে তাহলে আমরা ভাবতে পারি কিভাবে আরামদায়ক সুতা দিয়ে ইউনিফর্ম বানানো যায় বা গরমের সময় আলাদা ড্রেস কোড হতে পারে। মোটা কাপড়ের বদলে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন, সুতি বা ময়েশ্চার-উইকিং ফ্যাব্রিকের ইউনিফর্ম চালু করা যেতে পারে। এই জায়গায় পুলিশ চাইলে বিভিন্ন গার্মেন্টস এর সাথে কোলাবোরেশন করতে পারে যে তারা নতুন কোন সুতা বা ফ্রেব্রিক বানাতে পারে কিনা। রাস্তার পাশে ছোট শেড/ক্যাবিন বসানো, যেখানে পানি, পাখা ও জরুরি টয়লেট সুবিধা থাকবে। আর  অতিরিক্ত গরমে ডিউটি সময় কমিয়ে ঘনঘন রোটেশন করা।

গতকাল যে পুলিশ ভাই ড্রেস টা দেখিয়ে গর্ব করছিল সেটা যেন তার অসুস্থতার কারন না হয় …। ফিমেল ট্রাফিক পুলিশদের অবস্থা ত আরও মেসারেবল...।

এতটুকু লেখতে ৩ বার পানি খেয়েছি আর এখন ওয়াশরুমে যাব…। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকলে পারতাম ??? পানি কম খেতাম ওয়াশরুমের যাওয়ার ভয়ে, আর  অসুস্থ হতাম… 


আরও খবর



ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের আবারও গোলাগুলি

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে। পাল্টপাল্টি পদক্ষেপে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে এবং এর মধ্যেই সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

এনিয়ে টানা তিনরাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ তরা হলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভি বলছে, পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে রয়েছে। পাকিস্তানি সেনা ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে নিয়মিত গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।

সংবাদমাধ্যমটির দাবি, পাকিস্তানি সেনারা নিয়মিতভাবেই নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। গতকাল রাতেও পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষ থেকে “ছোট অস্ত্রের উসকানিমূলক গুলিবর্ষণের” ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল রাতের মধ্যে পাকিস্তানের সেনা পোস্টগুলো তুতমারিগালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীতে কোনো উসকানি ছাড়াই ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে। আমাদের সেনারা যথাযথভাবে এর জবাব দিয়েছে।

এ নিয়ে গত তিন রাতের মধ্যে তৃতীয়বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটল। এর আগে দুই দেশই পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় যার মধ্যে— ভিসা বাতিল, দূতাবাস থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার এবং একমাত্র বাণিজ্য পথ ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপও রয়েছে।


আরও খবর



করিডোর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, করিডোর নিয়ে নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এই সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন দেয়া। জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘সরকারের গুরু দায়িত্ব এ দেশের মানুষের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া। যদি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি আরও বলেন, ‘দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফেরাতে নির্বাচন প্রয়োজন।

মানবিক করিডোর নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘করিডোর নিয়ে নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এই সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন দেয়া।’


আরও খবর



রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় রায় ৮ মে

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

২০০১ সালে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর রায়ের জন্য আাগামী ৮ মে দিন রেখেছেন হাইকোর্ট ।

বুধবার এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।


আরও খবর



কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। ৫ আগস্টের পর একটি মহল হয়রানির উদ্দেশ্যে মূল আসামির সঙ্গে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামি করছে। এ বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।

সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকসহ বিভিন্নজনের নামে মিথ্যা মামলা হচ্ছে’— এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমাদের শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে। সবাই নিজের হাতে লিখে নিয়ে আসেন। যখন একজন বাদী নিয়ে আসেন তখন সেটি আমাদের মামলা হিসেবে রুজু করতে হয়। তখন এটা সত্য না মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ নেই। অভিযোগ যেটা দেয়, সেটা আমার নিতে হয়। এরপর তদন্তে গিয়ে আমি দেখি আসলে কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা। সত্য অংশটুকুই আমরা তদন্তে উঠিয়ে নিয়ে আদালতের কাছে পাঠাই। এই অপরাধটা হয়েছে।

বাহারুল আলম বলেন, এখন যেটা ৫ আগস্টের পরে দেখা গেছে অনেকে অসৎ উদ্দেশ্যে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য, হয়রানি করার জন্য, ভয় দেখানোর জন্য। অপরাধটা হয়তো করেছেন ৫ কিংবা ১০ জন, ওখানে আরো ৩০০ জনের নাম দিয়ে মামলা করা হচ্ছে এবং গতকালও একটা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে নিশ্চিত করতে পারি শুরু থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমি নিজে বলেছি এবং পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই নির্দেশ পেয়েছেন কোনো নিরীহ মানুষকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, হয়রানি করা না হয়। তদন্তে শুধু যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে, তার বেলাতেই আমরা ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট চাইব। তার বিরুদ্ধেই আমরা গ্রেপ্তার কার্যক্রম চালাব।


আরও খবর