Logo
শিরোনাম

নিত্যপণ্যে নাভিশ্বাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ক্রমশ বেড়েই চলেছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, ছোলাসহ নিত্যপণ্যের দাম। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।

যেসব পণ্যের দাম কমেছে সেগুলো বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে, বাজারে শীতকালীন সবজি পর্যাপ্ত এসেছে। দামও গত দুই সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম। তবে কেজিপ্রতি ৫০ টাকার কমে মিলছে না কোনো সবজি। যা আগে ছিলো ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় আমদানি ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেও পেঁয়াজের দাম ছিলো ৬০ টাকা। এখন ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রসুন ও আদার দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে।

প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, সপ্তাহ খানেক আগে এর দাম ছিলো ৬০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে যা ছিলো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে যা ছিলো ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। চলতি মাসের শুরুতে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিলো ১৮০ থেকে ১৯০ বা তারও বেশি দামে। সেই হিসেবে এই মাংসের দাম কমেছে ১০ টাকা। অন্যদিকে, বাজারে কমতে শুরু করেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিলো ৫০ টাকা।

বাজারে মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। প্রতি কেজি সাধারণ মানের পাইজাম বা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫২ থেকে ৫৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চাল কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে।

এছাড়া প্যাকেট আটায় ৪ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় ঠেকেছে। প্যাকেট ময়দায় দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৮০ টাকা হয়েছে। খোলা আটা কেনা যাচ্ছে ৬৫ টাকায়, আর ময়দা ৭৫ টাকায়।

এছাড়া ১৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দামে। কোথাও কোথাও কিছুটা কম দামে ১১৫ টাকায় চিনি বিক্রি করতে দেখা গেছে।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




টানা ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ |

Image

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কয়েকটি বিভাগে টানা পাঁচদিন বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার সংস্থাটির দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো / হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো / হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো / হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




দুই সপ্তাহে এল ১৪ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে প্রায় ১১৫ কোটি (১১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে জুন মাসের ১৪ দিন পর্যন্ত মোট ২৮ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৩০২ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স।

প্রতি ঈদের আগেই প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠায়। ঈদুল ফিতরের আগে রোজার শুরু থেকে বেশি বেশি প্রবাসী আয় পাঠান প্রবাসীরা। ঈদুল ফিতরের পর প্রবাসী আয় কিছুটা কমে। পরের মাসেই আবার আগের বাড়তি ধারাতে ফিরে যায়। একইভাবে ঈদুল আজহার আগে বেশি রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, আবার ঈদের পরে তা কিছুটা কমে। সে হিসাবে এবার কিছুটা কমেছে। জুনের শেষের দিকে আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার , আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়া‌রি‌তে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এবং সবশেষ মে মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




পবিত্র কুরআন মাজীদে স্পষ্টভাবে কিছু ধ্বংসের ঘোষণা দেয়া হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ |

Image

১।ধ্বংস প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর জন্য'। (সুরা জাসিয়াহ-৭)


২।ধ্বংস তার যে (মানুষের) পিছনে অপবাদ রটায়'। (সুরাহ হুমাযাহ- ১)


৩।ধ্বংস তার যে (মানুষকে) সামনে অপমানিত করে'। (সুরাহ হুমাযাহ: ১)


৪।ধ্বংস তার যে সম্পদ জমা করে এবং তা গুনে গুনে রাখে'। (সুরাহ হুমাযাহ : ১-২)


৫।ধ্বংস তাদের যাদের অন্তর আল্লাহর স্মরণ হতে কঠোর হয়ে গেছে'। (সুরা যুমার: ২২)



৬।ধ্বংস সে সব নামাজীর যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন'। (সুরা মাউন: ৪)


৭।ধ্বংস তাদের যারা পরিমাপে কম দেয়'। (সুরাহ মুতাফফিন: ১)


৮।ধ্বংস ঐ সকল মিথ্যারোপকারীর যারা কিয়ামতকে অস্বীকার করে'। (সুরাহ মুতাফফিন: ১০-১১)


৯।ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং সামান্য মূল্য লাভের জন্য বলে এটা আল্লাহর নিকট হতে'। (সূরা আল-বাকারাহ: ৭৯)


১০।ধ্বংস ও কঠিন শাস্থি ঐ সকল কাফিরদের জন্য নির্দিষ্ট যারা পরকালের তুলনায় দুনিয়াকে অগ্রাধিকার দেয় এবং আল্লাহর পথ হতে লোকদেরকে বাঁধা প্রদান করে'। (সুরা ইবরাহিম:২-৩)


১১।ধ্বংস ঐ সকল লোকদের যারা আল্লাহ সম্পর্কে অযথা মিথ্যা কথা বানায়'। (সুরাহ আম্বিয়া: ১৮)


১২।ধ্বংস ঐ সকল কাফিরদের যারা ধারনা করে আসমান, যমীন ও এর মাঝে যা কিছু আছে, আল্লাহ সেগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেছেন'। (সুরাহ ছোয়াদ: ২৭)


১৩।ধ্বংস তাদের যারা আল্লাহর সাথে শরীক করে'। (সুরাহ হা-মীম সেজদাহ-৬)


১৪। ধ্বংস সেই জাতির জন্য যারা নিজেদের নবীকে অস্বীকার করেছে (সূরা আশ-শু'আরা:১৩৯)


আরও খবর



৩৮ বছর বয়সে বোয়িং ৭৭৭–৩০০ইআর-এর ক্যাপ্টেন শারহান

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

এ বি এম রওশন কবীর : মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ)

ইঞ্জিন হয়তো একটি বিমানের হৃদয়, কিন্তু সত্যিকারের আত্মা হলো পাইলট নিজেই।—ওয়াল্টার র‍্যালে

এই কথাগুলো একেবারে মিলে যায় ক্যাপ্টেন শারহান আলীর অসাধারণ যাত্রার সঙ্গে। আকাশে ওড়ার স্বপ্ন নিয়ে শুরু করা সেই পথচলা আজ পৌঁছেছে এক গৌরবময় অধ্যায়ে। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে তিনি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন—বাংলাদেশে সবচেয়ে কম বয়সে এই মর্যাদাপূর্ণ পদের অধিকারী। তার এই সাফল্য শুধু একজন পাইলটের অর্জন নয়, এটি আমাদের এভিয়েশন ইতিহাসে এক সাহসী এবং প্রেরণাদায়ক অধ্যায়।

এভিয়েশন শুধু একটি শিল্প নয়, এটি সাহসী স্বপ্নগুলোর বাস্তব প্রতিচ্ছবি। ক্যাপ্টেন শারহানের জন্য এই যাত্রা শুরু হয়েছিল ঐতিহ্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার মিশেলে। আকাশের সঙ্গে তার এই গভীর সম্পর্ক জন্ম নেয় এক চিরন্তন উত্তরাধিকার থেকে—দাদার পর বাবা, আর এবার তিনিও। আকাশকে জয় করার ইচ্ছা শুধু রক্তে পাওয়া নয়, বরং তার নিজের অদম্য ইচ্ছা ও স্বপ্নও তাকে তাড়িয়ে নিয়ে গেছে আরও উচ্চতায়, আরও দূরে।

১৯৮৬ সালের ২৯ জুলাই জন্ম নেওয়া ক্যাপ্টেন শারহানের ককপিটে পৌঁছানোর পথ শুধু হাজার হাজার ঘণ্টার আকাশে ওড়ার অভিজ্ঞতা আর কঠোর প্রশিক্ষণেই গড়া নয়—এর পেছনে রয়েছে এক গর্বিত পারিবারিক ঐতিহ্য, যা গভীরভাবে এভিয়েশনের সঙ্গে জড়িত। তিনি একজন তৃতীয় প্রজন্মের পাইলট। তাঁর দাদা ক্যাপ্টেন সিকান্দার আলী ছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন, যিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হন। তাঁর বাবা, ক্যাপ্টেন শোয়েব আলী, নিরলস নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ ক্যাপ্টেন শারহান সেই গৌরবময় উত্তরাধিকার বয়ে নিয়ে চলেছেন দৃপ্ত পায়ে।

ক্যাপ্টেন শারহানের আকাশপথে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবে, যেখানে তিনি সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (CAAB) অধীনে CPL ও ATPL লাইসেন্স অর্জন করেন। এখন পর্যন্ত তাঁর নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ৯,৩০০ ঘণ্টারও বেশি ফ্লাইট অভিজ্ঞতা। তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে Dash-8, Fokker-28, Airbus-310 এবং Boeing 737 ও 777—এইসব আধুনিক বিমান পরিচালনার দক্ষতা। ২০০৮ সালে একটি প্রাইভেট এয়ারলাইন্সে পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। আর মাত্র ২৪ বছর বয়সে, মাত্র ৫০০ ঘণ্টার ফ্লাইট সময় নিয়ে তিনি যোগ দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে—যেখান থেকে শুরু হয় এক অনন্য উত্থানের গল্প।

চ্যালেঞ্জ এসেছে বারবার, কিন্তু প্রত্যেকটিকে জয় করেই সামনে এগিয়েছেন ক্যাপ্টেন শারহান। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি পান শারহান, যদিও বৈশ্বিক মহামারির ধাক্কা না থাকলে এই অর্জন আরও আগে আসতে পারত। আর ৩৮ বছর বয়সে বোয়িং ৭৭৭-এর ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি শুধু নিজের ক্যারিয়ারেই নয়, বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসেও স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছেন।

তাঁর ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য অধ্যায়গুলো সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। বোয়িং ৭৭৭-এ ফার্স্ট অফিসার হিসেবে ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনা, ভিয়েতনাম থেকে মিশর পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার টানা ফেরি ফ্লাইট সফলভাবে সম্পন্ন করা, কিংবা সিত্রাং ও রেমাল-এর মতো ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও সাহসিকতার সঙ্গে উড়োজাহাজ পরিচালনা—প্রতিটি অভিজ্ঞতা তাঁর দক্ষতা, শৃঙ্খলা ও অধ্যবসায়ের উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। প্রতিটি ফ্লাইটই যেন তাঁর পাইলট জীবনের মাইলফলক, যেখানে ফুটে ওঠে কঠোর প্রশিক্ষণ আর নিখুঁত পেশাদারিত্বের ছাপ।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭–৩০০ইআর-এর ক্যাপ্টেন হিসেবে ক্যাপ্টেন শারহানের প্রথম যাত্রা শুধু এয়ারলাইন্সের জন্য নয়, বরং পুরো জাতি এবং আন্তর্জাতিক এভিয়েশন জগতের জন্যও এক গর্বের মুহূর্ত। এই অর্জন আগামীর স্বপ্নদ্রষ্টা পাইলটদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়—স্বপ্ন দেখো বড় করে, পরিশ্রম করো নিষ্ঠার সঙ্গে, আর সুযোগ আসলে আত্মবিশ্বাসের ডানায় ভর করে আকাশ ছুঁয়ে ফেলো।

তার গল্প বাংলাদেশে বিশেষ করে তরুণ স্বপ্নদ্রষ্টাদের জন্য এক বিশাল আশা এবং প্রেরণার উৎস, যারা হয়তো ভাবতে পারেন এমন উচ্চতা তাদের জন্য অসম্ভব। তিনি প্রমাণ করেছেন, আকাশ আর সীমা নয়—এটি শুধু শুরু।

যখন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন করছে, তখন একযোগে তারা তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে—একটি ভবিষ্যতের জন্য যা গড়ে উঠবে উৎকর্ষ, নতুনত্ব, এবং সুযোগের উপর। ক্যাপ্টেন শারহান আলীর যাত্রা শুধু ব্যক্তিগত বিজয় নয়; এটি দেশের সাহস, দূরদৃষ্টি এবং ধৈর্যের এক জাতীয় প্রতীক।

আসুন এই গল্প হোক আরও অনেক উৎকর্ষতার অধ্যায়ের সূচনা।

লেখক : মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ)


আরও খবর

অভিজাতরা কেন সালাফি হচ্ছে

শুক্রবার ২০ জুন ২০25




সরকারি বিনিয়োগে সুশাসন জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ আর্থিক পরিষেবার দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সরকারি বিনিয়োগে সুশাসন জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি তিনটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত: জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং নৈতিক সুশাসন। এগুলো কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়, বরং বাস্তব প্রয়োজন। মূল্যায়ন, নিরীক্ষা এবং অনুশীলন হলো সেই সব মাধ্যম, যা এ স্তম্ভগুলো নির্মাণে সহায়তা করে। এগুলো আমাদের নীতিমালা ও প্রকল্পগুলোকে কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে জনগণের জন্য বাস্তব ও দৃশ্যমান উপকারে পরিণত করে।

অর্থ উপদেষ্টা রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নের রূপান্তর: মূল্যায়ন, নিরীক্ষা ও নৈতিকতার মাধ্যমে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) স্বাধীন মূল্যায়ন অফিস (আইইও) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ এবং সম্মতি ও তদন্ত বিভাগ যৌথভাবে উচ্চ পর্যায়ের সেমিনারটি আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির অগ্রাধিকার অর্জনের মূল স্তম্ভ হিসেবে উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে জবাবদিহিতা, মূল্যায়ন এবং সততা স্থাপনের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

সেমিনারে এনডিবির টেকসই উন্নয়নের কৌশল হিসেবে মূল্যায়ন, নিরীক্ষা এবং কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থার একীভূত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয়। এতে ১৫০-এর বেশি অংশগ্রহণকারী, যার মধ্যে ছিলেন উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাতের নেতৃবৃন্দ। এটি উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে এশিয়া, জেইসি এবং এফএন্ডএফ-এর অতিরিক্ত সচিব ও উইং প্রধান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং এনডিবি-র স্বাধীন মূল্যায়ন অফিসের (আইইও) মহাপরিচালক আশ্বিনী কে. মুথু সূচনা বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, এনডিবি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার বিশেষজ্ঞ ও অংশীদারদের উপস্থিতি সংলাপ ও জ্ঞান বিনিময়ের জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, বৈশ্বিক সেরা চর্চাগুলো আমাদের প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করতে হবে। আশ্বিনী কে. মুথু বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে এনডিবি আগ্রহী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ‘জাতীয় প্রকল্প মূল্যায়ন নীতি’ প্রণয়নের পথে রয়েছে। এ নীতিমালা চূড়ান্ত করতে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

একদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে উন্নয়ন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দের মূল প্রবন্ধ তুলে ধরা হয়।

সেমিনারটি বাংলাদেশ ও এনডিবির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ ২০২১ সালে এনডিবির সদস্য হয়, যা ছিল প্রথম কোনো নন-ব্রিকস দেশ। অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী উদ্যোগকে সামনে রেখে এ দিনের আলোচনায় সুশাসন, মূল্যায়নযোগ্যতা ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে, এনডিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্য এবং এসডিজির প্রতিশ্রুতির সহায়তায় অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫