Logo
শিরোনাম

নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

 ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ১২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে।

লন্ডনে হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রা বিরতির পর ফ্লাইটি স্থানীয় সময় ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ৫০ মিনিট) নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিনের উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় যোগ দেবেন। তিনি ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজেও প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন।

সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সরকারপ্রধানের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করবেন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে তার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বক্তব্যে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যখাতে সাফল্য বিষয়ের ওপর আলোকপাত করবেন।

তিনি বলেন, পাশাপাশি, বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসবে। পাশাপাশি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সাধারণ বিতর্ক পর্ব চলাকালীন বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের সভায় প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে অবস্থান করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে (ওয়াশিংটন সময়) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।

বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ভারত-কানাডার উত্তেজনা তুঙ্গে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বড় ধরনের কূটনৈতিক বিরোধের মধ্যেই এবার কানাডায় ভারতীয় সব ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এমন পদক্ষেপের ফলে ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান বিরোধ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রক্রিয়াগত কারণ দেখিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভারতের সব ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে কানাডা সরকার।

ভিসা আবেদন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বিএলএস ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে দেয়া এক পোস্টেও বলা হয়েছে, প্রক্রিয়াগত কারণে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কানাডায় ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত থাকবে।

এদিকে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই কানাডায় আরেক শিখ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় সুখদুল সিং নামে খালিস্তানপন্থি ওই নেতা নিহত হন। তিনি সুখা দুনেকি নামেও পরিচিত।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। সুখদুল সিং কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি কানাডার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালিস্তানি সন্ত্রাসী সুখদুল সিং নিজ দলের প্রতিপক্ষের সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। তিনি ভারতের পাঞ্জাবের জেলা শহর মোগার ক্যাটাগরি এ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন, যিনি ২০১৭ সালে জাল পাসপোর্টে কানাডায় পালিয়ে যান।

খালিস্তানপন্থি নেতা অর্শদীপ দাল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন সুখদুল সিং। এছাড়া বুধবার ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা এনআইএ খালিস্তান এবং কানাডার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪৩ জন গ্যাংস্টারের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানেও নাম রয়েছে সুখদুল সিংয়ের।

শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত ও কানাডার প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের মধ্যেই আরেক শিখ নেতাকে হত্যার এই ঘটনা ঘটল। এর ফলে দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এরইমধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

চলতি বছরের জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন হারদীপ সিং নিজ্জার। ভারতে শিখদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবির আন্দোলনের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হারদ্বীপ।


আরও খবর



ইউক্রেন যুদ্ধের আরো বড় প্রভাবের আশঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে যুদ্ধের বড় নেতিবাচক প্রভাব এখনো পড়েনি। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর ইউরোপে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় সংকোচন হয়েছে।

মাঝারি থেকে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আরো বেশি হতে পারে, বিশেষ করে বাস্তব অর্থনীতির ক্ষেত্রে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই প্রভাব প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

গবেষণা অনুসারে, যুদ্ধের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানি। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ না করত তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে দেশটির জিডিপি শূন্য দশমিক সাত শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম থাকত।

 ইতালির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই শতাংশ কম এবং জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি হতো।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধ না হলে সুইজারল্যান্ডের জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।

এই যুদ্ধ আগের যুদ্ধের তুলনায় কাছাকাছি এবং অতীতের তুলনায় শরণার্থী ও অতিরিক্ত সামরিক ব্যয়ের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের কর্মীসভা সফলভাবে অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার(২৪ সেপ্টেম্বর)  কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্তর সভাপতিত্বে কর্মীসভার উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মো. ফুয়াদ হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক সিয়াম রহমান, উপ-নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুল বাশার এবং সদস্য জেবুন্নাহার শিলা। কর্মীসভায় প্রারম্ভিক সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল। 

কর্মীসভার শুরুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের সামগ্রিক পরিবেশ ও তাদের প্রত্যাশা নিয়ে মতামত প্রদান করতে বলেন এবং তাদের মতামত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনানের কাছে পৌঁছে দেবার আশ্বাস দেন৷ 

এ সময় মো. রকিবুল হাসান রকি, রবিউল ইসলাম, মো. সাইদ ইসলাম সিয়াম, কামরুজ্জামান শতাব্দী, রায়হান আহম্মেদ শান্ত, রাফিউল হাসান, এমরান হোসেন মামুন, আকাশ, নাহিদুল ইসলাম হিমেল,  হুমায়ুন কবির, নাজিম উদ্দিন, বাবু কিশোর দেব, মানিক শীলসহ অন্যান্য কর্মীরা মতামত প্রদান করেন। 

মতামত প্রদান শেষে মাভাবিপ্রবিতে উপস্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নেতারা বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্ত বলেন, অতীতের চেয়ে সাদ্দাম-ইনানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অনেক শক্তিশালী। যে ইউনিটগুলোতে কমিটি নেই, সবগুলোতেই  দ্রুত কমিটি করবে ছাত্রলীগ। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট কমিটি দেওয়া হবে।

নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়গুলো জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক শিশির বলেন, ‘আপনারা জানেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ একটি টিম ওয়ার্ক। আমরা কর্মীসভা সম্পন্ন করার দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে এখানে এসেছি। আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাহী ছাত্র সংসদের সঙ্গে বসব, পর্যালোচনা ও বিচার বিবেচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনে কমিটি অনুমোদিত হবে।’


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে সজাগ থাকতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে কোন মতেই ক্ষমতা আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম - মুক্তিযুদ্ধে ৭১ এর ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার সারওয়ার আলী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ম, হামিদ এবং মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবো, যারা চক্রান্ত করবে তাদের বিরোধিতা করবো। সম্মিলিত কাজ করে যেতে হবে।

জাতীয় সম্মেলনে যোগদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, যারা স্বাধীনতা বিরোধীতা করেছে তারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে এবং স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরী সহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে আপনারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই আন্দোলনের মধ্যমণি এবং নেতা।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক খেলা হয়েছে, অনেক নেতৃত্ব এসেছে কিন্তু এই খেলায় বিজয়ী হচ্ছেন জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি জানতেন কিভাবে ধারাবাহিকভাবে রাজনীতি করতে হয় । বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে কোন রসায়ন কাজ করেনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির পিতা তিনি মানুষের অন্তরের কথা তিনি বুঝতেন এবং জানতেন, তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষা বাংলা অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে যে দুর্গম পথের যাত্রা শুরু হয়েছিল বা ৫২-এর ভাষা আন্দোলন ৫৪-এর যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬এর ছয় দফা, ৬৯এরনির্বাচন ও ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা অনেক মানবিক ছিলেন। যারা ক্ষুধার্ত তাদের অন্ন দিতেন। তিনি প্রতিটি ধাপে ধাপে বাঙালি চেতনাকে লালন করেছেন। তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা তার এই জাতীয়তাবাদী মনোভাব, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ সবকিছুতেই ছিলেন অন্যান্য সাধারণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি অঙ্গুলির হেলানে সমস্ত জাতীয় ঐক্যবদ্ধ হয় এরকম উদাহরণ পৃথিবীতে আমরা খুঁজে পাই নাই।

তিনি বলেন দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত থেমে থাকেনি। তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে।

তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধানকে তছনছ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে পরাজিত শত্রুরাই এসব করেছে, তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ।

১৯৭১ সালের গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলার মাটিতে সংগঠিত এই গণহত্যা বিংশ শতাব্দীর জঘন্যতম বৃহৎ গণহত্যা।

১৯৭১ সালের ১৩ জুন বিশ্ব সাংবাদিক এন্থনি মাসকারেনহাস এর লেখা যুক্তরাজ্যের "দি সানডে টাইমস" পত্রিকা "গণহত্যা" বিস্তারিত বিবরণ ছাপা হয়েছে, উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো করা প্রয়োজন।

এই দাবি নিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ও এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে এখন মর্যাদার আসনে আসীন।

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উপর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত "Genocide 1971" গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




শহরে জলাবদ্ধতার জন্য শুধু সরকার নয়, জনগণও দায়ি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল,সিনিয়র সাংবাদিক :

আজ ২৪ সেপ্টেম্বর (রোববার)  প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। আজিমপুর নিউ পল্টনের বাসা থেকে নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনেই চোখে পড়ল ময়লা আবর্জনার ঢিবি। ভেবেছিলাম এ আবর্জনা ঢিবি পাড়া মহল্লার বাসা বাড়ির।

নিউমার্কেটের কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মী জানালেন, এগুলো বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা নয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে রাজধানী ঢাকায় টানা কয়েক ঘন্টা বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় রাজধানীতে সেদিন ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। 

একটানা মুষলধারে বৃষ্টির ফলে আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানের উত্তর গেট থেকে নীলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডের সামনে পর্যন্ত রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। রাস্তায় প্রায় কোমর সমান জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ এবং যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। 

সেদিন রাতে বেশ কয়েকটি প্রাইভেটকার মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। আজিমপুর কবরস্থান থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করা হয়। শুধু রাস্তায় নয়, আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর গেটের বিপরীতে আইয়ুব আলী কলোনির বিভিন্ন বাসা বাড়িতে জলবদ্ধতা দেখা দেয়। এ কারণে কোন কোন বাড়িতে খাবার পানি ও সুয়ারেজলাইনের পানি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। শুধু নিউ মার্কেটে নয়, পুরান ঢাকা সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

জলবদ্ধতার ফলে নিদারুণ ভোগান্তির পোহাতে হওয়ার সাধারণ মানুষ সিটি কর্পোরেশন তথা সরকারের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে!

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্মীরা জলবদ্ধতা দূর করতে ২১ সেপ্টেম্বর রাত থেকে কাজ শুরু করে। বিশাল গাড়িতে  মোটা মোটা পাইপসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজে নেমে পড়ে। টানা কাজ করলেও ১৮/২০ ঘন্টা পরও জলবদ্ধতা পুরোপুরি দূর হয়নি।

গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে আমার মনে প্রশ্ন জাগে কেন নিউমার্কেট এলাকার জলবদ্ধতা দূর হচ্ছে না। এইতো বছরখানেক আগে এ রাস্তায় বিশাল আকারের পাইপ বসানো হলো। ঠিকাদারের সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে জেনেছিলাম বহু বছরের পুরনো পাইপ বদলে নতুন পাইপ বসানো হচ্ছে। এর ফলে টানা বৃষ্টি হলেও জলবদ্ধতা তৈরি হবে না। মোটা পাইপের মাধ্যমে পানি নেমে যাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখলাম ভিন্ন।

আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে নিউমার্কেট এক নম্বর গেটের সামনে ছোট বড় পলিথিনের ব্যাগ, প্লাস্টিকের পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট, টুকরা কাপড় এবং কাগজের ব্যাগ সহ বিভিন্ন পরিত্যক্ত ময়লা আবর্জনা দেখার পর মনে মনে ভাবলাম নগর জুড়ে জলাবদ্ধতা-এর জন্য কি সরকার একা দায়ী? এজন্য আমরা সাধারণ মানুষ সব কম দায়ী না।

উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছোট বড় কেউ ময়লা আবর্জনা রাস্তাঘাটে ফেলে না। তারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার জন্য জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে বিভিন্ন রাস্তাঘাট মনিটরিং করা হয়।

তাছাড়া উন্নত বিশ্বে প্রতিটি পরিবারের শিশুরা ছোটবেলা থেকে নিজেদের শহর ময়লা আবর্জনা মুক্ত রাখার জন্য পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করে। রাস্তাঘাটে ময়লা আবর্জনা ফেলাকে তারা অপরাধ মনে করে। ফলে তাদের রাস্তাঘাট চকচকে ঝকঝকে থাকে।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে  দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার কু-অভ্যাস বন্ধ করার পাশাপাশি ময়লা ফেললে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দেয়ার বিধান রাখতে হবে। তবেই শহর হবে জলবদ্ধতা মুক্ত।

ব্যাংকক থেকে ঢাকায় সোয়া ২ ঘন্টায়, বিমানবন্দর থেকে আজিমপুর যাতায়াতে তিন ঘন্টা

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, ফুকেট এবং পাতায়াতে ছয় দিনের ভ্রমণ শেষে খোশ মেজাজে গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলাম। ইমিগ্রেশন শেষ করে আনুমানিক ৭টায় এক আত্মীয়ের গাড়িতে চেপে আজিমপুর নতুন পল্টনের লাইনের বাসায় রওনা হলাম। 

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে কাওলায় এক্সপ্রেসওয়ের ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন। 

নতুন চালু হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যেহেতু এর আগে কখনো যাতায়াত করিনি তাই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলার পর মনে হল যেন উন্নত বিশ্বের কোন দেশের রাস্তায় চলাচল করছি। মাত্র ১৫ মিনিটেই ফার্মগেট এর কাছাকাছি চলে আসলাম।

কিন্তু ফার্মগেট থেকে নিচে নামতে দেখি অসংখ্য যানবাহন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। নড়াচড়ার কোন লক্ষণ নেই। আধঘন্টা পরপর পিঁপড়ের মত গতিতে যানবাহনগুলো সামনে এগোচ্ছিল।  খামারবাড়ি পর্যন্ত প্রচন্ড যানজট থাকায় ২ ঘন্টা বসে থাকতে হলো।

অনেকের সাথে কথা বলে জানলাম শুধু সেদিন নয় উদ্বোধনের পর থেকেই নামার পথে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর মত বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে সমীক্ষা ও পুন: সমীক্ষা করা হয়। নামার পথে যানজটের বিষয়টি আমলে নেয়া হয়েছিল কিনা তা খুব জানতে ইচ্ছা করে।

যে কথা বলছিলাম,  এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ফার্মগেটের রাস্তায় নামার সাথে সাথেই শুরু হলো বৃষ্টি। 

ব্যাংকক থেকে সোয়া দুই ঘন্টায় ঢাকায় আসতে পারলেও বিমানবন্দর থেকে বাসায় পৌছাতে পৌছাতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়।মুষলধারে বৃষ্টির কারনে রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার ফলে যে আত্নীয় আমাকে নামিয়ে দিতে এসেছিলেন তার উত্তরা আশকোনার বাসায় ফিরেন রাত ২টায়।


আরও খবর

ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩