Logo
শিরোনাম

নিয়ন্ত্রণে আসছে না চাল, কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি বৃদ্ধি, ভর্তুকি মূল্যে বিক্রিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তারপরও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না চালের দাম। এক মাস ধরে দাম বেড়েই চলেছে দেশের এই প্রধান খাদ্যশস্যের। কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

চালের বাজারের এই নাজেহাল অবস্থায় বেকায়দায় নিম্ন থেকে মধ্যবিত্তরাও। তারা জানান, আমনের ভরা মৌসুম হলেও চালের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। এতে চাপ বাড়ছে ভোক্তার ঘাড়ে।

ক্রেতারা জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার লুট করছে। আর পকেট কাটছে ভোক্তাদের। বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা শুধু মুখে বললেই হবে না, মাঠ পর্যায়েও সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়ছে। চালের দাম বাড়ান মিল মালিকরা। আর সরকার অভিযান চালায় খুচরা বাজারে। এভাবে দাম কমানো সম্ভব না।

এদিকে, একটি নিত্যপণ্যের দাম কমলে, বাড়ে বেশ কয়েকটির। তবে, স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। ৩০ থেকে ৪০ টাকায় মিলছে প্রায় সব ধরনের সবজি।

আলু ও পেঁয়াজের দামও কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। বাজারে গেল সপ্তাহে ৩৬০ টাকার সোনালী মুরগি ৩৩০ টাকা আর ব্রয়লার পাওয়া যাচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সব ধরনের মাছ ও খাসির গোশতের দামও বেড়েছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর হবার কথা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তারা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাজাপুরে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি হুমকি ও তাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির রাজাপুর থানা প্রতিনিধি সদস্য তাইমুল হায়দার সজীব বলেন,   গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ একটি নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসনের অধীনে চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার জনগনের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। রাজনৈতিক দল সহ সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের জীবনে নেমে এসেছিল ঘোরতর এক বিপর্যয়। আর তার থেকে পরিত্রান পেতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র জনতা ও সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে গত ০৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাত করতে সক্ষম হয়। পরবর্তিতে এ অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানকে টিকিয়ে রাখতে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যায় রাজাপুর উপজেলায় তৎকালীন আন্দোলনরত ছাত্র জনতার সমন্বয়ে তাদের পরামর্শক্রমে ১০৮ সদস্যের তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠানো হলে কেন্দ্র থেকে রাজাপুর থানা প্রতিনিধি কমিটি হিসেবে গত ৮ জানুয়ারী অনুমোদন দেয়। এ প্রতিনিধি কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে এর বিরোধীতা করতে থাকে। কেননা তারা মনে করছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি থাকলে ওই কুচক্রি মহল টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, দখলবানিজ্য করতে পারবে না। তাই ওই কুচক্রিমহল বিভিন্ন কৌশলে আমাদের কয়েকজন সদস্যকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং কিছু সদস্যের নাম তাদের লোকজনের নামের সাথে মিলে যাওয়ায় তাদের দ্বারা সংবাদ সম্মেলন করিয়ে পদত্যাগের ঘোষনা দেওয়ানো হয়। তারা এমনও বলেন, আমাদের এ কমিটিতে নাকি ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষররা রয়েছেন। ইহা একদম মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিক্তিহীন কথা। তারা আমাদের ঐক্যে ফাটোল ধরানোর জন্য এখনও মিথ্যে কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। তাদের এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সংবাদ সম্মেলনে রাজাপুর থানা প্রতিনিধি সদস্য তাইমুর হায়দার সজীব আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আরও একটি বিষয় লক্ষ করেছি। আমাদের রাজাপুরের কৃতি সন্তান জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক মশিউর রহমানের বরাত দিয়ে রাজাপুর কমিটি থেকে কয়েকজন সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে লেখা হয়েছে। আদৌ কেন্দ্রীয় সংগঠক মশিউর রহমান মিডিয়ায় এমন কোন বক্তব্য দেননি এবং কোন সাংবাদিক এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চায়নি। রাজাপুর উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আমাদেরকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু কুচক্রি মহল মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্যদিয়ে আপনাদের সহযোগিতা নিচ্ছে। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আপনাদের সহযোগীতা ও লিখনীর মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আমাদের এ উপজেলাকে চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলবানিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধমুক্ত করতে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মালেক জানান, এ বিষয়ে তাদের কাছে কেহ কোন অভিযোগ করা হয়নি বা কেহ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  


আরও খবর



বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ক্যানসার প্রতিরোধ ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ২০২৫ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আসুন ক্যানসার সেবায় বৈষম্য দূর করি’ যা ক্যানসার সেবায় সমানাধিকার নিশ্চিতের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, ক্যানসার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। প্রতি বছর প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৬০ লাখ মানুষ এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং বয়স বৃদ্ধির মতো কারণগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার সুযোগ বেশি থাকলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সুবিধাগুলো সীমিত, যা বৈশ্বিক ক্যানসার ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য তৈরি করছে।

ক্যানসার মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, চিকিৎসা ও সেবায় বৈষম্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে। উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি, ওষুধ এবং পুনর্বাসন সুবিধা সহজলভ্য হলেও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই সুবিধাগুলো অপ্রতুল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ ক্যানসার-সম্পর্কিত মৃত্যু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে, যেখানে চিকিৎসা পরিষেবা এবং সচেতনতার অভাব রয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্যানসার চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে অনেক রোগী সময়মতো চিকিৎসা পাননি। বৈশ্বিক ক্যানসার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা, বিনিয়োগ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈষম্য দূর করা এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসা ও সেবায় বৈষম্য উল্লেখযোগ্য সমস্যা। দেশে মাত্র কয়েকটি বিশেষায়িত ক্যানসার হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া ক্যানসার চিকিৎসার উচ্চ খরচ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রযুক্তির অপ্রতুলতা সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া কঠিন করে তুলেছে। বাংলাদেশে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগী চিকিৎসার শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসেন, যখন চিকিৎসার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে। এছাড়া গ্রামীণ এলাকায় ক্যানসার সচেতনতা এবং স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের অভাব রয়েছে, যা রোগ দ্রুত শনাক্তকরণে বাধা সৃষ্টি করে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধি, স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম সম্প্রসারণ এবং চিকিৎসা সুবিধা উন্নত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্যানসার মোকাবিলায় আরো কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।


আরও খবর

মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!

সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫




এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এই ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ম্যাচটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাইব্রিড মডেলে ম্যাচটি হবে দুবাইয়ে।

আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ভারত-পাকিস্তানের মহারণ। এই হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের টিকিট বিক্রি শুরুর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই নয়, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ভারতসহ চারটি ম্যাচের সব টিকিট কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে।

আইসিসির সাম্প্রতিক টুর্নামেন্টগুলোয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না, ফলে কেবল আইসিসির ইভেন্টেই তাদের মুখোমুখি হতে দেখা যায়। এর ফলে এই ম্যাচের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়েছে।

টিকিট বিক্রি শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায়। অনলাইন ও বুথের দুই মাধ্যমেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল। তবে চাহিদার তীব্রতার কারণে অনেক সমর্থকই টিকিট পাননি।

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), জাসপ্রিত বুমরাহ, রিশাভ পন্ত, শুভমান গিল, ওয়াশিংটন সুন্দর, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, আর্শদীপ সিং, মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা।

পাকিস্তানের স্কোয়াড : মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), সালমান আলী আগা (সহ-অধিনায়ক), বাবর আজম, ফখর জামান, কামরান গুলাম, সৌদ শাকিল, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, তৈয়ব তাহির, আবরার আহমেদ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন ও উসমান খান।


আরও খবর



অন্যায় অযৌক্তিকভাবে বন্ধ হওয়া পাটকল চালু না হওয়া দুঃখজনক

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ২৭ এ জানুয়ারি ২০২৫ গণতন্ত্র অভিযাত্রার সপ্তম দিনে খুলনার বৈকালিক মোড় থেকে খালিশপুর অঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে পদযাত্রা ও মতবিনিময় করেছেন। 

এ সময় তিনি বিভিন্ন শ্রমিক অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন। শ্রমিকরা জানান, তারা তাদের যৌবনের পুরো সময়টা ব্যয় করেছে এ অঞ্চলে পাট শিল্প রক্ষার জন্য। তাদেরকে হঠাৎ করে চাকরিহারা করা হলো। পাটকল বন্ধ করা হলো। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পরও এখনো পাটকল খোলার কোন নাম গন্ধ নেই। বরং বিভিন্ন এলাকায় পাটকল গুলোর জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে, কল কবজা লুটপাট হচ্ছে। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে হাত পেটা খেয়ে জীবন ধারণ করছে। 

রুহিন হোসেন প্রিন্স ,স্বৈরাচারী শাসনামলে অন্যায় অযৌক্তিকভাবে বন্ধ হওয়া পাটকল চালু না হওয়াকে দুঃখজনক অভিহিত করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই পাট উপদেষ্টার সাথে দেখা করে লাভজনকভাবে পাটকল চালুর বিকল্প পথ আমরা তুলে ধরেছিলাম। তিনি কথা দিয়েছিলেন পাটকল চালুর ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আমরা দেখলাম উপদেষ্টার পরিবর্তন হলো। এমন একজনকে উপদেষ্টা করা হলো তিনি নিজেদের মালিকানায় আধুনিক পাট কলেজ স্থাপন করেছেন। কিন্তু তীব্র শ্রমিক শোষণ করে নিজেদের অর্থবিত্ত গড়ে তুলছেন। 

তিনি বলেন এসব দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের দিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আধুনিককরণ করে পাটকল চালুর সম্ভাবনা ক্ষীণ। 

তিনি বলেন খুলনা এক সময় শিল্পনগরী হিসাবে খ্যাত ছিল। এখন শিল্পহীন নগরীতে পরিণত হয়েছে। এখানে বন্ধ শিল্প কলকারখানা চালু ও নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা ছাড়া এ অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়ন করা যাবে না। 

তিনি বলেন এসব দাবিতে শ্রমিক মেহনতি মানুষকে নিজেদের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

তিনি কলকারখানা চালু এবং এই অঞ্চলে স্থাপিত যেকোনো কারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাক্তন শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়োগের দাবি জানান। একই সাথে নানা নিয়মের মারপ্যাঁচে যেসব শ্রমিক কর্মচারী এখনো তাদের সমুদয় পাওনা পাননি তাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি জানান। 

পদযাত্রা ও মতবিনিময় সিপিবির খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাস, সাধারণ সম্পাদক এস এ রশিদ , এইচ এমন শাহাদাত, মিজানুর রহমান বাবু, চিত্তরঞ্জন গোলদার, মিজানুর রহমান স্বপন, গাজী আফজাল হোসেন, নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ ঢালি , বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, তোফাজ্জল হোসেন, পলাশ দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার ভূষণ চন্দ্র তরুণ, অধ্যাপক সঞ্জয় সাহা , সৈয়দ রিয়াসাত  আলী রিয়াজ, সাইদুর রহমান বাবু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

মতবিনিময়ে স্থানীয় জনসাধারণ পাটকল ও পাট শিল্প রক্ষায় এবং মানুষের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রাখায় সিপিবি নেতৃবৃন্দ কে ধন্যবাদ অভিনন্দন জানান। তারা আগামীতে এসব আন্দোলনের সাথে থাকারও অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।


আরও খবর



টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত, গোপনে ঢাকায় ব্রিটিশ দল

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও ব্রিটেনের সাবেক নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা-এনসিএ। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গোপনে ঢাকা সফর করেছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এ সময় তারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন।

শনিবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র মেইল অন সানডে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ত মাসের বৈঠকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এনসিএর গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন যে তারা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তির তদন্তে টিউলিপের বিরুদ্ধে নতুন প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ তথ্য প্রকাশের ফলে টিউলিপের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইমেল রেকর্ড খতিয়ে দেখার, এমনকি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটেনের এই সাবেক নগরমন্ত্রী ও তার মা শেখ রেহানা সিদ্দিকসহ পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তিন দশমিক নয় বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করার অভিযোগে তদন্ত চলছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে শেখ হাসিনার চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপও।

বাংলাদেশের এক সরকারি সূত্র সংবাদপত্রটিকে জানায়, এনসিএ ব্রিটেনে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের দ্বারা টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করতে পারে এনসিএ।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো যদি প্রমাণিত হয় তাহলে যুক্তরাজ্যে ২০১০ সালের ঘুষ আইনের অধীনে তার ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাংলাদেশী কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের আয়োজিত এই বৈঠকের জন্য এনসিএই অনুরোধ করেছিল।

এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে এনসিএ বাংলাদেশে এসেছিল। সে সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে চুরি যাওয়া কোটি কোটি টাকা উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার প্রস্তাব দেয়, যা ব্রিটেনের মতো দেশে পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সূত্র : মেইল অন সানডে


আরও খবর