Logo
শিরোনাম
বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ

নকশবন্দিয়া তরিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, ও গবেষক :

নকশবন্দিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা হযরত শেখ খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ আল-বোখারী রহ.। এই তরিকা মূলতঃ হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. কর্তৃক উদ্ভাবিত। রাসূলুল্লাহ সা. গোপন ভাবে হযরত আবু বকর রা.কে ইলমে মারেফাতের যে খেলাফত দান করিয়াছিলেন, তাহা অদ্যাবধি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন তরিকা, উপ-তরিকার মাধ্যমে জারী রহিয়াছে। নক্শবন্দিয়া তরিকা উহার একটি উল্লেখ যোগ্য তরিকা। রাসূলুল্লাহ সা.-এর গোপন তালিম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.- এর মাধ্যমে পীর বা খলিফা পরম্পরায় সিনা-ব-সিনায় ইমামে তরিকত শামসুল আরেফিন হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহ. পর্য্যন্ত খেলাফত প্রাপ্তির ষোড়শ স্তর পৌঁছিয়াছে।

নকশবন্দিয়া তরিকার গুরুত্বপূর্ণ তালিম হইল ছয় লতিফা এবং চার উপাদান তথা আব, আতশ, খাক, বাদ অর্থাৎ পানি, আগুন, মাটি ও বাতাস প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করা। ছয় লতিফা: ক্বাল্ব, রূহ, ছের, খফী, আখফা, নফস প্রভৃতির উপর সাধনার প্রতিক্রিয়া পরিচালিত হয়। ইহা ব্যতীত পঞ্চ হাযরা তথা সায়ের ইলাল্লাহ, সায়ের ফিল্লাহ, সায়ের আনিল্লাহ, আলম-এ-মিসাল, আলম-এ-শাহাদাত প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করিবার নিয়ম-পদ্ধতি এই তরিকায় বিদ্যমান রহিয়াছে। নকশবন্দিয়ার তালিম রাসূলুল্লাহ সা. হইতে সিনা-ব-সিনায় হযরত বাহাউদ্দীন নক্শবন্দিয়া রহ.- এর নিকট পৌঁছিলেও পূর্বে তাহা লিপিবদ্ধ আকারে ছিল না। হযরত বাহাউদ্দীন নক্শবন্দ রহ. তাহা সু-শৃঙ্খল ভাবে লিপিবদ্ধ করেন।

নক্শবন্দিয়া সাধকগণ আহাদিয়াত, ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াতের স্তরে পরিভ্রমণ করেন। ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াত স্তর দুইটি উপনীত হইতেছে সায়ের ইলাল্লাহতে। আলমে আমর ও আলমে খালক একই স্তরে অবস্থিত। আহাদিয়াতের স্তর কেবলই সায়ের ফিল্লায় অবস্থিত।

নকশবন্দিয়া তরিকা মতে ৮টি বিষয়ের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয় যথা:

১. হুঁশদম: শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি খেয়াল রাখা।
২. নেগাহ্ বর কদম: পীরের পদাঙ্কানুসরণ করা।
৩. সফর দার ওয়াতন: দেহ রাজ্যে পরিভ্রমণ করা।
৪. খিলওয়াত দার আঞ্জুমান: চুপি চুপি বাক্যালাপ।
৫. ইয়াদ কার্দান: সার্ব্বক্ষণিক জিকিরে মশগুল থাকা।
৬. বাজগশত: আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়া।
৭. নেগাহ দাশ্ত: আল্লাহতে অন্তর্দৃষ্টি নিবন্ধ রাখা।
৮. ইয়াদ দাশ্ত বা খোদগোজাশ্ত: নিজকে নিঃশেষ করিয়া আল্লাহতে চির জাগ্রত রাখা। এই তরিকা মতে নিচু স্বরে জিকির স্বীকৃত। এই তরিকার কোন কোন উপ-তরিকায় সামা জাতীয় গজলের প্রচলনও রহিয়াছে।

উল্লেখ্য, নকশবন্দিয়া তরিকার শাজারা মোবারকে ১৬তম পুরুষ ইমামুত তরিকত হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহ.। কিন্তু ভারতবর্ষে সর্ব প্রথম এই পবিত্র তরিকা প্রচার-প্রসার শুরু করেন হযরত খাজা রাজি উদ্দীন মুহাম্মদ বাকি বিল্লাহ রহ.। তিনি এই তরিকার ২২তম পুরুষ। তিনি স্বীয় পীর-মোর্শেদ হযরত মাওলানা খাজাগী আমাকনগী রহ.- এর নির্দেশে এই তরিকার প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যেই ভারতবর্ষে আগমন করিয়াছিলেন। তখন তাঁহার সফর সঙ্গী ছিলেন তাঁহার স্ত্রী ও মহীয়সী মাতা।

হযরত বাকি বিল্লাহ রহ.- এর পবিত্র মাজার শরীফ নতুন দিল্লী রেল ষ্টেশনের নিকটে নবী করীম সড়কের একটি টিলার উপর অবস্থিত।



আরও খবর

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনা ভারতেই আছেন, জানালেন জয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।

শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে গত দুই মাসে দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। গুঞ্জন ওঠে, ভারতে নাকি স্থায়ী হবেন না তিনি।

এ অবস্থায় রোববার নতুন করে গুঞ্জন ছড়ায়ভারত ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশটির আজমান শহরে তিনি অবস্থান করছেন বলেও চাউর হতে থাকে।

তবে শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার রাতে দেশের বেসরকারি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ২৪-কে জয় জানান, শেখ হাসিনার ভারত ছেড়ে যাওয়ার খবরটি সঠিক নয়। তার মা এখনও ভারতেই আছেন।

তিনি বলেন, আমার মা ভারত ছেড়ে গিয়েছে বলে যে খবর চাউর হয়েছে সেটি সঠিক নয়। তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।

গত ৩ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী টাইমস ম্যাগাজিনের সঙ্গে কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ওই সময় জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, তার নির্বাচনে লড়াইয়ের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

নির্বাচনে নিজের অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি জানিয়ে বলেন, আমার কখনই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কে জানে? আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।


আরও খবর

সব হত্যার বিচার চান জামায়াত আমির

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪




কোমর ব্যথায় নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, সপ্তাহে পাঁচবার আধা ঘণ্টা করে হাঁটলে ও ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী চললে কোমর ব্যথা ফিরে আসার সময়টা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ নিয়মিত হাঁটা ব্যক্তিরা, যারা হাঁটেন না, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যথামুক্ত থাকতে পারেন।

বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ লো ব্যাক পেইন বা কোমরের ব্যথায় ভোগেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজনের ব্যথা সেরে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে আবারও ব্যথা ফিরে আসে

গবেষণার প্রয়োজনে কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া ৭০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে অর্ধেক ব্যক্তির জন্য হাঁটা কর্মসূচি ও ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাকিদের নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল

তবে হাঁটা কেন কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করে, তার নির্দিষ্ট কারণ জানতে পারেননি গবেষকরা

এছাড়া হাঁটার কারণে কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ, হাড়ের ঘনত্ব, শারীরিক ওজন, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়েও সুবিধা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষণা প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপির অধ্যাপক মার্ক হ্যানকক।

 সূত্র : ডিপিআরসি হাসপাতাল


আরও খবর



পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে শিগগির ভারতের সঙ্গে বৈঠক

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসা হবে। অভিন্ন জলরাশিতে কত ধরনের স্থাপনা রয়েছে, কতটুকু বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং পানির পরিমাণ কত এই তথ্যগুলো আমাদের পেতেই হবে। আন্তর্জাতিক নদীর ক্ষেত্রে কোনো দেশেরই এমন কথা বলার সুযোগ নেই যে এই নদী শুধু আমারই। আমার মানুষদের পানি দিয়ে পরে আমি অন্য মানুষের কথা ভাবব, এটা বলার কোনো সুযোগ নেই।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গ্রিন রোডের পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক নদীতে আমার ভাগের একটি হিসাব রয়েছে। আমরা পানির এই হিস্যা নিয়ে জনমানুষের কথা শুনে আলোচনার পয়েন্টগুলো নির্ধারণ করব। আমরা অবশ্যই ভারতের সঙ্গে বসে এসব বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করব। আলোচনার সূত্রপাতে আমরা খুব দেরি করব না, শিগগিরই করতে চাই। তবে এই মুহূর্তে আরও কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কারণে এটির (ভারতের সঙ্গে আলোচনা) হয়ত আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে

উপদেষ্টা বলেন, উজান থেকে পানি আসার তথ্য জানার জন্য আন্তর্জাতিক আইন থাকার দরকার নেই। এটা আমাদের প্রথাগত অধিকার। আমরা বন্যা আটকাতে পারব না। কিন্তু আগাম তথ্য জানলে সতর্ক হতে পারব। জলবায়ু পরিবর্তনের এসময়ে প্রলয়ংকরী বন্যা বাড়বে। তাই ভারত, নেপাল, চায়না থেকে আমাদের এসব তথ্য পেতে হবে

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এবং পরিবেশবাদী সংগঠন বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা


আরও খবর



রাজশাহীতে হত্যা মামলায় ৯ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ : জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 


রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলায় একটি হত্যা মামলায় ৯ আসামি কে যাবজ্জীবন ও সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর ) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা: মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। গোদাগাড়ীর উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার বাসিন্দা আলতাফ হোসেনকে হত্যার দায়ে তাদের এ সাজা দেয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-  মোঃ  ইসাহাক আলী (৬৫), মোঃ হাসান (৫২), মনি খাতুন (২৬), মুক্তা খাতুন (৩২), জাহিদ হাসান (২২), নাহিদ হাসান (২৫), দামকুড়া গ্রামের আবুল হাসনাত (৪০), আবদুল হালিম (২৮) ও সেরাজুল ইসলাম মিয়া (৩০) তারা সবাই গোদাগাড়ী উপজেলার বাসিন্দা।


আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামির মধ্যে দুজনকে যাবজ্জীবন  ও সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা  করেছেন আদালত। অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আর এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অন্য আরেকটি ধারায় আরও ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত আলতাফ হোসেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তার ভাই ইসহাক আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ৩ মে উভয়পক্ষের মীমাংসা বৈঠক বসেছিলো। কিন্তু পৌর মেয়র মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। সেদিন পৌরসভা কার্যালয় থেকে সবাই চলে আসার পর ইসহাক আলী তার ছেলে, মেয়ে ও ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আলতাফ হোসেনের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় আলতাফ হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।


এরপর আলতাফ হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। পরে পুলিশ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, মামলার মোট ১০ আসামির মধ্যে একজন আগেই মারা গেছেন। অন্য ৯ জনকে সাজা দিলেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় মামলার আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও খবর



ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ভাসমান আমড়ার বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ঝালকাঠি, রাজাপুর প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির এর আগে পেয়ারার সুখ্যাতি ছিল এবার যোগ হলো আমাড়ার নাম।আমড়ায় আছে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন সি,এ, ক্যলসিয়াম,ফসফরাস অনেক পুষ্টিগু।আশ থাকায় আমড়া হজমে সহায়তা করে এছাড়াও রয়েছে আমড়া খাওয়ায় নানা উপকারিতা। 

দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির  প্রভাবে  ঝালকাঠির ভিমরুলী ভাসমান হাটে পেয়ারার দরদামে ধস নেমেছিল। সেই অস্থিরতা কাটিয়ে মৌসুমের শুরুতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে আমড়ার হাট। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে জমজমাট থাকে ভিমরুলীসহ আশপাশের বাজার। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি মৌসুমে ৩০ কোটি টাকারও বেশি আমড়া বিক্রি হবে। যা গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে।

শুধু ভিমরুলীই নয়, সদর উপজেলার শতদশকাঠি, ডুমুরিয়া, আতাসহ আশপাশের কমপক্ষে দশটি গ্রামে আমড়ার ভাসমান বাজারের বিস্তার ঘটেছে। সাধারণত ভাদ্র মাসের শুরুতেই জমতে থাকে আমড়ার বাজার। চলে টানা দুই মাস।

ভাসমান আমরা বাজার সম্পর্কে স্থানীয় ও চাষিদের সাথে  কথা বল্লে তারা জানান, "এ বছর পেয়ারা বিক্রি করে কোনো লাভই তুলতে পারিনি। তারচেয়ে বর্তমানে আমড়ার বাজার সন্তোষজনক। প্রতিমণ আমড়া বিক্রি করছি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা দরে। এই দাম সামনে আরো বাড়তে পারে।

 পেয়ারায় ফলন ভালো পাচ্ছি না। পাতায় ছত্রাক ধরেছে। ফল সাইজে ছোট হয়ে গেছে। এজন্য পেয়ারা গাছ কেটে আমড়া চাষ করেছি বছর পাঁচেক হলো। ইতোমধ্যে ফলন পেতে শুরু করেছি।

চাষীরা জানান, পেয়ারার চেয়ে আমড়ার ভালো দিক হলো– এই ফল দ্রুত পঁচে যায় না। ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। যে কারণে পঁচে যাওয়ার ভয়ে চাষীদের বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয় না।

ভাসমান বাজারে কর্মসংস্থান হয়েছে একাধিক শ্রমিকের। দূর দূরান্ত থেকে এসে কাজ করেন তারা। তাদের সাথে কথা বল্লে তারা বলেন,, বড় বাগান থেকে আমড়া পড়তে লোক লাগে। আমাদের কারও বাড়ি পিরোজপুর করাও বাড়ি  আরও দূরে  হলেও পেয়ারা-আমড়ার মৌসুমে ভিমরুলী, আটঘরম কুড়িআনা এলাকায় থাকি। দৈনিক মজুরিতে ফল পেড়ে দেই গাছ থেকে।

এদিকে,  বাজারের পাইকারী ক্রেতাদের সাথে কথা  বল্লে, পেয়ারার বাজার এ বছর তুলনামূলক কমে গেছে। কিন্তু আমড়ায় চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। পরিপক্ব ভালো সাইজের আমড়ার মণ ১৪/১৫শ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না। এত দাম দিয়ে কিনে পরিবহন খরচ দিয়ে আমরা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করে কীভাবে লাভ করবো?

আবুল কালাম নামে এক চাষী বলেন, "অন্য ফসলের তুলনায় আমড়া চাষে খরচ কম। একবার গাছ টিকে গেলে ৫/৭ বছর ধরে ভালো ফলন আসে। তখন শুধু পরিচর্যা করলেই হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আরও সহজ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের আমড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে।তিনি বলেন, সারাদেশেই দক্ষিণাঞ্চলের আমড়ার চাহিদা খুব বেশি।

এবিষয়ে  ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে বলেন , আমড়ার চাষ ঝালকাঠিতে দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ বছর জেলায় ৬০২ হেক্টর জমিতে আমড়ার আবাদ হয়েছে। আবাদি জমি থেকে ৪ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন আমড়া উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ফসল হচ্ছে ঝালকাঠির আমড়া। এই জেলার ভাসমান বাজারকে ঘিরে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দ্বার খুলেছে তাতে আমড়া চাষ ভালো ভূমিকা রাখছে। কিছুদিন আগে পেয়ারা ছিল।


আরও খবর